রৌদ্রকোজ্জ্বল আকাশে সূর্যকে পরাস্ত করে প্রবল বিক্রমে মেঘেদের রাজত্ব প্রতিষ্ঠিত হয় মাঝে মাঝে। ক্লান্তিহীন গাছের সারির দু একটি গাছ স্বপ্ন ভাঙার আশংকায় ভিতরের ক্ষয় টের পায়। মেঘের বাড়ি থেকে ভালবেসে পাঠানো জলে গাছের স্বপ্ন পাতা থেকে ডালে জলকনা হয়ে ঝুলে থেকে থেকে ক্লান্ত হয়ে বা হাল ছেড়ে দেয়ায় মাটিতে পড়ে মিলিয়ে যায়। হায় স্বপ্ন কবে আবার পাতায় ফিরবে তুমি?
একাকী হেটে যাওয়া বা ক্লান্তিতে নিসংগতায় ঘোরলাগা অসার চোখ দেখে খসে পড়া পালকগুলো যে যার মত। উদভ্রান্ত যুবকের নেশাগ্রস্থতায়ও স্থির চেতনার আবদ্ধ যুবক একাকী খুঁজে বেড়ায় মাটিতে মিশে যাওয়া স্বপ্ন।
চারদিকের কোলাহল, আনন্দ উচ্ছ্বাস, উল্লাসকে আঁধারে না ঢেকে দেবার স্থির সংকল্প। থাকুক যে যার মত আনন্দ উল্লাসে, যা সে চেয়েছিল বহুকাল। বলা হয়না না বলা কথা, ভাল নেই ভাল নেই আমি হে সময়।
হেটে যাওয়া দুরের পথ কাছে আসে ধীরে ধীরে,
পথ থামেনা, থেমে যায় পথিক।
১৫টি মন্তব্য
মিষ্টি জিন
অসম্ভব ভাল লেখা।
মেঘে তার ভালবাসা মাঝে মাঝে ভুল সময় পাঠায়, সে বোঝেনা সব সমঁয় সব কিছু পেতে নেই। অসময়ের ভালবাসায় ভালবাসা থাকে না, থাকে স্বপ্ন ভংগের আশংকা।
তারপর ও আমরা হেরে যাবো না। স্বপ্ন আমরা দেখবই। কারন আমরা জানি কালকের দিনটা
হবে রৌদ্রজ্জল । সেই রোদ সব মেঘ কাটিয়ে দিবে ।
আমি আমরা ভাল থাকবই।
ইঞ্জা
আসলেই পথ ধীরে ধীরে পথ কাছেই আসে, পথ থামেনা, পথিকই থেমে থাকে, দারুণ লেখা।
মনির হোসেন মমি(মা মাটি দেশ)
ক্লান্তিহীন গাছের সারির দু একটি গাছ স্বপ্ন ভাঙার আশংকায় ভিতরের ক্ষয় টের পায় (y) লেখার গভীরতা চিন্তার বিষয়।দিন যায় রাত যায় ফুরায় না পথ। -{@
লীলাবতী
পথিকেরও থামা উচিৎ না। পথিকের সাথে আমরাও আছি তো।
নীহারিকা
থেমে গেলে কি চলে? এগিয়ে তো যেতেই হয়।
যাই হোক ছবিদুটো চমৎকার। আর মেঘ-বৃষ্টির ছবি বলে বেশি ভালো লাগলো।
নীলাঞ্জনা নীলা
ছবি দুটো কথা বলে যেনো। মেঘ-বৃষ্টি-বৃক্ষ-হাওয়া চার বন্ধু একসাথে বসেছে আড্ডায়। গল্প হচ্ছে। আর এক তরুণ প্রাণের মানুষ তাদের আড্ডায় কান পেতে শুনছে তাদের কথা। দৃষ্টিও ওদের দিকেই। তারপর দূর থেকেই তাদেরকে ক্যামেরায় বন্দী করে, সেই যুবক মনের ভেতরে যে ভাবনাগুলো ঘুরপাক খাচ্ছিলো, সেসব লিখে ফেললো।
কি নানা, ঠিক বলিনি?
অনে—————-ক বেশি ভালো হয়েছে। -{@
ছাইরাছ হেলাল
কোলাহল পেরিয়ে পথিক হেঁটে যায় পথের নিয়ম মেনে,
পথ হেঁটে যায়, পথিক থমকে দাঁড়ায় আদি নিয়মে, অমোঘে,
মোঃ মজিবর রহমান
পথিক পথে হেটে যায়, সময় চলে যায় মনে মননে থাকে কি ধরার স্বাভাবিক নিয়ম। উদ্ভ্রান্ত চলি পথে প্রান্তে, বুঝি না ভাল না মন্দ , মন্দ কেমন চিনতে পারি না অসহায় এসময়ে। কেউ জোর করে বাঁ সৎ বাঁ ভালো মনে বলেনা ভাল কাজ করো, এখন অস্থির সময়ে সবাই ( অফিস, আদালত, সব ক্ষেত্রেই করতে হয় খারাপ।) টাকা আর টাকার পিছনে আদর্শের পিছনে নাই। আজ প্রকৃতির অমোঘ নিয়মও আমরা নষ্ট করে চলেছি তা এখন আমাদের কাদায় তবুও করে চলি অন্যায়।
হায় ! খোদা আমরা কবে আমাদের ভুল বুঝে ক্ষমা চাব তাও জানিনা।
আপনার লেখায় সব সময় সাদামনের লেখা ফুটে উঠে ভাইজান। ভাল থাকুন।
অরুণিমা
বাহ ভালো তো
শুন্য শুন্যালয়
স্বপ্ন ভাঙে বলেই আমরা আবার স্বপ্ন দেখি। এইযে বেদনা, যন্ত্রণা, ক্ষয় এসব ই ভালোবেসে আবার বাঁচতে শেখায়, পথিক কে হাঁটতে শেখায়। হোঁচট খাবার ভয়েই যদি থেমে যেতাম আমরা, হাঁটতে কী শিখতাম?
বৃক্ষের মতো উদভ্রান্ত যুবকের জন্য মায়ায় ভরে উঠলো মন। লেখক নয়, কথা বলে উঠলো বৃক্ষ, লেখার যুবক।
মন ভালো হয়ে যাক, মন ভালো হয়ে যাক।
আপনার বোধহয় জানা নেই, কতো ভালো লেখেন আপনি। শুভকামনা পথিকের জন্য। -{@
ইলিয়াস মাসুদ
ক্লান্তিহীন গাছের সারির দু একটি গাছ স্বপ্ন ভাঙার আশংকায় ভিতরের ক্ষয় টের পায়।গাছেদের মত এই ব্যাপারটি বোধহয় মানুষেও।
কথাবার্তা খুব দুর্দান্ত,মনটা কেমন অবশ হয়ে যাচ্ছে পড়তে পড়তে,সত্যিই বোধ হয় খুব ক্লান্ত আমি? না সময় ? কি জানি
আগুন রঙের শিমুল
স্বপ্ন ভাঙ্গার আগে এখানে মেঘেদের ঘরবাড়ি ভাংচুর ভাংচুর
নীরা সাদীয়া
দাদা, আমি মুগ্ধ। কিছু বলার ভাষা হারিয়ে ফেলেছি।
মেহেরী তাজ
পথ তো থামবেই না। পথেক কি কোন গন্তব্য আছে নাকি? আর পথিককে যে থামতেই হবে কারন তার না একটা গন্তব্য আছে?
রায়হান সেলিম
অবগাহনের স্বাদ পেয়ে যায় নাফ্রাটিসের টলমলে জল আর বাতাস নাচিয়ে পাখী তার ওষ্ঠের বৃষ্টি ঝরায়! সুন্দর!