Kya Kehna ( A strong lady)

আরজু মুক্তা ১৪ জুন ২০২০, রবিবার, ০৯:২৯:১৬অপরাহ্ন মুভি রিভিউ ১৮ মন্তব্য

Kya Kehna  ২০০০ সালের সফল চলচ্চিত্রের একটি। এটি ১৯ মে মুক্তি পেয়েছিলো। কুন্দন শাহ ছিলেন পরিচালক। নাম ভূমিকায় অভিনয় করেছেন প্রীতি জিনতা, সাঈফ আলী খান, চন্দ্র চূড় সিং, অনুপম খের, ফরিদা জালাল। আমার দেখা ভালো মুভির একটি।

খুবই স্পর্শকাতর একটি বিষয়কে সামনে তুলে ধরা হয়েছে। এর থিমটা সমাজে ট্যাবু।

নায়িকা প্রিয়া, যুবতী, সুন্দরি এবং একটি সুন্দর মানসিকতার পরিবারে বাস করে। সাথে দুই ভাইও। শৈশবের বন্ধু চন্দ্র চূড়ও ( অজয়)  ও তাকে ভালোবাসে। কিন্তু প্রিয়া তার ভালোবাসাকে শুধু বন্ধু হিসেবে দেখেছিলো।

প্রিয়ার কাছে সব ভালোবাসা তুচ্ছ হয়ে যায় যখন সে কলেজ বয় রাহুল ( সাঈফ)  এর প্রেমে পরে। তার ভাইয়েরাও তাকে সাবধান করেছিলো এই ছেলের ব্যাপারে। যে এই ছেলে শুধু মেয়ে নিয়ে খেলে। আমি তো বলি কলেজ বয় নয় ডেন্জারাস বয়। আর ট্রাজেডি বিয়ের আগেই গর্ভধারণ।  যা সামাজিক ট্যাবু। প্রিয়া বুঝেছিলো, বিয়ে ছাড়া এই বাচ্চার স্বিকৃতি হবেনা।

যখন তার বাবা, ভাই রাহুলের পরিবারের কাছে বিয়ের প্রস্তাব নিয়ে কড়জোরে অনুমতি চেয়েছিলো। রাহুলের মা বলেছিলেন, এবরসন করাতে এবং এটা তাদের ব্যাপার বলে প্রস্তাব প্রত্যাখান করেছিলো।

প্রিয়ার বাবার অপমানে সেও সিদ্ধান্ত নেয়, "যে বাচ্চাটি আগামীতে আসবে। তার তো কোন দোষ নেই। আমি মা, তখন দায়িত্ব ও আমার।"

প্রিয়া তার পরিবারের সগযোগিতায় সমাজের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে যায়।

তিন ধরণের সমালোচনা চলে আসে মুভিটি দেখতে।

১) সমালোচকরা বলবে, মেয়েটার সাবধানী হওয়া উচিত ছিলো।

২) সমাজ কীভাবে মেনে নিবে?

৩) কীভাবে এই নিষ্ঠুর মেয়েটি সমাজের মুখোমুখি হবে?

কিন্তু পরিচালক সুনিপুণ হাতে বুঝিয়ে দিয়েছেন, যে মা হয় সেই বোঝে। একজন মেয়ের সাহসী এবং সৎ সিদ্ধান্তে অটল থাকা এবং তা অর্জিত করা। এমন মুভি খুব কমই দেখা যায়। প্রিয়াকে কখনোই অসহায়ভাবে উপস্থাপন করেননি। কোন ভনিতাও তার চরিত্রে দেখা যায়নি।

যদিও রাতুল রাজি হয়েছিলো, প্রিয়াকে বিয়ে করতে। কিন্তু প্রিয়া বলেছিলো, দুঃসময়ের বন্ধুই আসল। আর প্রিয়াও বুঝেছিলো চন্দ্র চূড়কে ফিরিয়ে দিয়ে, সে প্রকৃত বন্ধু হারিয়েছিলো।

" হায় দিল লেয়া হায় বাহার " গানটি মুভিটিকে দারুণভাবে চিত্রায়িত করেছিলো।

মুভিটি কেনো দেখবো:

১) দায়িত্ববোধ শিখিয়ে দেয়।

২) তুমি যা সিদ্ধান্ত নিবে তা দৃঢ়ভাবে পালন করবে। এবং যে কোন পরিস্থিতিতে তা মেনে নেয়ার সিদ্ধান্তে অটল থাকবে।

৩) কোনভাবেই উদ্ভুত পরিস্থিতি থেকে পলায়ন করা যাবে না। মুখোমুখি হও এবং জয়ী হও।

৪) মেয়েদের প্রতি মেসেজ, ডেন্জারাস ছেলে থেকে তোমরা দূরে থাকবে।

৫) বাবা মায়ের বিশ্বাস ভাঙ্গবেনা। ভালোবাসা পাপ কিনা জানিনা। তবে হৃদয় দিয়ে তাকেই ভালোবাসতে হবে। পৃথিবী স্বার্থপর হলেও।

৬) সমাজে অনেক লোক আছে যারা নিজদের দায়িত্ব সম্পর্কে অসচেতন। এদের এড়িয়ে চলতে হবে।

সমাজের রক্তচক্ষু,  সন্তানের প্রকৃত বাবার অস্বীকার, একজন ভালো মানুষ হিসেবে সব জেনেও প্রিয়াকে মেনে নেয়া। এর সব প্রশ্নের উত্তর মুভিতেই।

সেইসাথে সমাজকে বুঝিয়ে দেয়া মেয়েরা কখনো শেষ হয়ে যায় না।

আশা করি, মুভিটি দেখবেন এবং ভালো লাগা রেখে যাবেন।

0 Shares

১৮টি মন্তব্য

মন্তব্য করুন

মাসের সেরা ব্লগার

লেখকের সর্বশেষ মন্তব্য

ফেইসবুকে সোনেলা ব্লগ