হ্যালো সোনেলার ব্লগারগণ, কেমন আছে সবাই? এ ক'দিন প্রচন্ড মিস করেছি আপনাদের। নিজের প্রাণভোমরা লুকিয়ে আছে সোনেলার যে উঠোনে সেখানে একদিন বিচরণ করতে না পারলে কিছুই ভালো লাগেনা। অনেক লেখা পড়েছি, অনেকের লেখা পড়ার সময় পাইনি। তবে পড়বো এখন থেকে।

আগামীকাল থেকে কঠোর লকডাউনে সবকিছু বন্ধ, আবার অনেক কিছুই খোলা। গতবার লকডাউনে হাস্যরসাত্মক অনেক কান্ড ফেসবুক ভিডিওতে দেখেছি, হয়তো এবারেও দেখতে পাবো।

তবে কতটা কঠোর হবে তা কাল না এলে বোঝা যাচ্ছেনা। উৎসুক আমজনতা লকডাউন দেখতে বের হচ্ছে এর নজীর যেমন আছে, আবার আর্মি মাস্ক ছাড়া জটলা পাকানো পিপলদের লাঠি নিয়ে দাবাড় দিচ্ছে সে দৃষ্টান্তও আছে।

গত একমাস আমের পিছনে যথেষ্ট পরিশ্রম গিয়েছে। সবাইকে সুন্দরমতন আম পৌঁছাতে পেরেছি এটাই শান্তির বিষয়। অনেকে মনঃক্ষুণ্ণ হয়েছেন, তাদের কাছে ক্ষমাপ্রার্থী। জেনে রাখবেন আমার চেষ্টার কমতি ছিলোনা।

কয়েকদিন থেকে জ্বর-সর্দি খুব ভোগাচ্ছে। প্রথম আমি আক্রান্ত হয়েছি, এরপরে দুদিনের ভিতরে বাসার সবাই। ভাইরাল ফ্লু হতে পারে আবার করোনা পজিটিভও হতে পারে। লকডাউনে টেস্ট করাতেও যেতে হবে। আমার বাইরে বের হবার পাস হচ্ছে অফিসের আইডি। তবে আর্মি রাস্তায় থাকবে, তাই আটকাতেও পারে। এটা নিয়ে কিছুটা চিন্তায় আছি।

করোনা পজিটিভ হলেও হাসিখুশি থাকতে হবে। বাংলাদেশে ভারতীয় ডেল্টা ভেরিয়েন্ট আক্রান্তের হার অনেক। আপনি আক্রান্ত হলে বুঝতেই পারবেন না। সাধারণ জ্বর-সর্দি, হালকা গায়ে ব্যাথা এর লক্ষণ। সুস্থ হলে সাতদিনেই হয়ে যাচ্ছেন অনেকেই আর কেউ ভালোমতো আক্রান্ত হলে চার-পাঁচদিন পরে শ্বাসকষ্ট শুরু হতে পারে। তাই জ্বর-সর্দি দু'দিনের বেশী হলেই করোনা টেস্ট করাবেন অবশ্যই।

আমাদের বাসার পাশে পার্ক আছে। আমি ঠিক করেছি, সমস্ত দুশ্চিন্তা বাদ দিয়ে খোলামেলা পার্কের ট্রি-হাউজে এই সাতদিন আরামছে দিন পার করবো। রিক্সা না পেলে পার্কে হেঁটেই চলে যাবো। সাথে থাকবে ক্যামেরা, মোবাইল আর কিছু বই।

সারাদিন ট্রি হাউসে বসে রাস্তায় লকডাউন দেখবো। ছবি ক্লিক করবো, ফেসবুক আর ব্লগে দিন পার করবো। ক্ষুধা পেলে ট্রি হাউস থেকে এক চিক্কুর দিলেই বাসা থেকে খাবার দিয়ে আসবে। বিকেল বেলা টুক করে নেমে হাঁটতে হাঁটতেই বাসায় ফিরে আসবো।

সবাই সাবধানে থাকুন, নিরাপদে থাকুন। দোয়া করবেন সকলে।

0 Shares

১৪টি মন্তব্য

মন্তব্য করুন

মাসের সেরা ব্লগার

ফেইসবুকে সোনেলা ব্লগ