কোলাজ ২৩

নাজমুল হোসেন নয়ন ১৯ এপ্রিল ২০২১, সোমবার, ১২:২১:০০অপরাহ্ন কবিতা ১১ মন্তব্য

 

 

আমার সাড়া শরীর জুড়ে শেকড় গজাচ্ছে পৃথিবীর বেওয়ারিশ হাসনাহেনার গন্ধেমাতাল কবিরা ,

বোধিবৃক্ষের শেকড় বুকের অলিন্দে

বসে খতিয়ান কোষছে নাভিগোলকের তাপমাত্রা ।

আমাকে নৈবদ্যের মালা পরাতে চাও?

তবে পুষ্পাঞ্জলি নয়

হে বধির মহাকাল

আমার মাথার খুপরিতে ভাত ছিটিয়ে দাও,ভাত

আমাকে ধরে ফেলুক  কপট গেরস্থের সাপ্তাহিক হাটবার।

আমি গরম জিলাপি হয়ে উঠে পরতে চাই

ক্ষুধাতুর কবির ঝোলাব্যাগে।

অগ্নিবায়ূতে পুড়ে খাক খনার স্তনাগ্র

আদি পিতার বাম পাজর শুখিয়ে যাচ্ছে

টিপসইয়ের দোয়াতের কালির মতো।

 

শুক্লপক্ষীয় রাতে আমার শরীর জুড়ে

জোছনা মত নিজেই হাঁটিছি

এই যে শেষ শব্দটা লেখলাম ঠিক এই সময়েই জন্ম

নেওয়া দেবশিশুর মতো।

পোস্টমর্টেম শেষে আমার লাশ ছাড়াবার

জন্য খুচরা হয়ে যাচ্ছে কবি বন্ধুদের লয়ালিটি।

এক বোতল বাংলামদের বিনিময় মূল্যে ডোম হাতুরি বাটাল চালায়নি বকে যাওয়া নিউরন গন্থিতে।

কবির মৃর্তুর দিন বৃষ্টিবাদল কি অনিবার্য??

আমি সহসা বৃষ্টর পানিতে জোয়ার হয়ে যোনিপথ দিয়ে উঠে আসি মহাকালের জরায়ুতে ।

আমার মানবিক ব্যাথার লম্বা করিডোরে

আদুল পায়ে হাঁটতে থাকো

"অক্ষয়া"

হাঁটতে থাকো,

হাঁটতে  থাকো!

গত জনমের সবটুকু বেদন নিয়ে।

শারদীয় নায়র শেষে

বাম পাজরের তির্যক লাইন ধরে উঠে আসো

আমার জটায়ুতে।

 

তোমার নূপুর মারিয়ে যাক আমার রক্তজবা

তোমার নূপুরধ্বনিতে সতীচ্ছেদী হোক আমার নৈঃশব্দিক দুপুর।

0 Shares

১১টি মন্তব্য

মন্তব্য করুন

মাসের সেরা ব্লগার

লেখকের সর্বশেষ মন্তব্য

ফেইসবুকে সোনেলা ব্লগ