প্রিয় গুণতরাসী,

ভাবনা না-ভাবনার অজস্র জলা-জঙ্গলকে পাশে ফেলে
পাশ কাটিয়ে নির্বিকার শুয়ে থাকো, জলস্রোতে ভেসে ভেসে
ফিনফিনে মনে; এ-পাশ থেকে ও-পাশে
ও-পাশ থেকে এ-পাশে।
নাছোড় হাতে হাত রেখে, হাত ধরে উঠে এসো
সহিষ্ণু হও বন্ধুত্বে,
সখি, ফিরে ফিরে এসো, শাপলা-শালুক হাতে
সেই বিলের ধারে;

হৃদ-পাথর বানানোর মন্ত্র কোথায় শিখলে!!
শেখাতে হবে এমন-ও বলছি না, ঠিকানা পেলে
শিখে নিয়ে তুখোড় খেলায় মেতে উঠবো
পাথর-পাথর খেলে রক্তাক্ত হবো, রক্ত নেবো,
লালের সহারোহে কসাই রাণীর মত হাসবে,
কুহকিনীর বেশে;

বাঁন্দরনী!
মন চায় কৈতর হয়ে উড়ি
ঐ নীল আসমানে,
ওদিকে
জলবাঁদরনী ডাকে ডুবাডুবি খেলতে
উষ্ণ-জলের সুগভীর গহীনে!!

পাগলু,
তলে-তলে মনে-মনে
পাগল-পাগল সুখে-সুখে
খুঁত-খুঁতানির তোড়ে ডিঙি উল্টিয়ে
আচ্ছা মত কোঁকাও? কোঁকাও
আহত অনাহুতের মত,
উদ্বৃত্তের উল্লম্ফন আস্ফালনে
কী-বোর্ড হাতাও,
পাগলি!!
সেথায় লেখারা উধাও;

ইতিতে!!
তড়পানো হৃদয় শুদ্ধ করার নিমিত্তে শাকান্নের অসাধ্য গুরুভার দণ্ড নিয়ে
বাষ্পসলিল-চক্ষে অনুগ্রহ-পিয়াসী একান্ত বিনয়াবনত চিত্তে,

প্র-হে-লি-কা।

0 Shares

৫৯টি মন্তব্য

মন্তব্য করুন

মাসের সেরা ব্লগার

লেখকের সর্বশেষ মন্তব্য

ফেইসবুকে সোনেলা ব্লগ