তোমাকে আজ খুব মনে পড়ছে । পুরোনো
কাগজ
পত্র সব বিক্রি করার জন্য একএ করছিলাম । হঠাত্
থমকে
দাড়াঁতে হল ।
একটা কাগজ হাতে তুলে নিলাম । তোমাকে লেখা
প্রথম
প্রেম পত্র।
আলো, চিঠিটি দেখে তোমার কথা মনে পড়ল ।
চিঠিতে
তোমাকে উদ্দেশ্য করে লেখা, এক আবেগ
প্রবণ
ছেলের মনের কথা । যে ছেলেটা তোমাকে
চিঠিটা
কোনদিন দিতে পারেনি ।
আলো, চিঠিটা দেখে হঠাত্ করে তোমাকে খুব
কাছে
পেতে ইচ্ছা করছে । আগে তোমাকে নিয়ে
বিচিএ
স্বপ্ন দেখে জেগে উঠতাম । সবচেয়ে
বেশী কোন
স্বপ্নটা দেখতাম জানো ? দেখতাম, তোমার হাত
ধরে
পুরো স্কুল ক্যাম্পাস ঘুরে বেড়াচ্ছি । বাতাসে
তোমার
চুল উড়ছে । আমি তোমার দিকে একদৃষ্টিতে
তাকিয়ে
আছি । ঘুম ভেঙ্গে যাওয়ার পরে ফ্যালফ্যাল করে
তাকিয়ে থাকতাম ।
আমাদের স্কুলজীবন শেষ হয়ে যাচ্ছে আলো
।
আজকাল আবার প্রথম দিন থেকে স্কুলে যেতে
ইচ্ছা
করে । ইচ্ছা করে পুরোনো সব স্মৃতি নতুন
করে
ফিরে পেতে ।
এখন রাত ১০টা বেজে ১৫ মিনিট । আগে রাত
জেগে বই
পড়তে পারতাম না । এখন দিব্যি রাত জেগে বই
পড়তে
পারছি ।
আলো, তোমার কি মনে পড়ে যেদিন তোমার
সাথে
আমার প্রথম দেখা হয়েছিল ? আমার অবশ্য কিছুই
মনে
পড়ে না ।
তোমার সাথে পরিচয় হবার পর মনে হল তোমাকে
তো
আমি পেয়েই গেলাম । কিন্তু আমি বোকা ছিলাম ।
তোমাকে আমি বুঝতে পারি নি । আমি তোমাকে
আমার
মত করে সাজিয়েছিলাম ।
তোমার সাথে কথা বলার দিন, সেইদিন কি গভীর
আনন্দ
আমাকে অভিভূত করেছিল । মনে হয়েছিল আমার
আলোকে আমি পেয়েছি ।
তুমি অন্য কাউকে পছন্দ করতে । আমি তা ধরতে
পারি নি
। শুধু বুঝতে পারছিলাম, তুমি কোন দিন আমায়
ভালবাসবে
না । আলো, আমি কি ভালবাসিনি ! তবে কেন এত
কাছে
এসে কষ্ট দিলে ? আমার অপরাধ কি ছিল ?
ক্রমে তুমি আমার কাছ থেকে দূরে সরে যেতে
লাগলে
। প্রায়ই তোমাকে অন্য জনের সাথে কথা বলতে
দেখতাম । আমি অবাক হয়ে তাকিয়ে থাকতাম ।
আহ্ ! লিখতে লিখতে কেমন যেন লাগছে । এখন
মাএ
সাড়ে ১০টা । কিন্তু মফস্বলে সাড়ে ১০টা মানে
ভীষণ রাত
। তবু ইচ্ছা করছে নির্জন রাস্তায় হেঁটে হেঁটে
গান
গাইতে । আহ্ ! তাও করতে মন চাইছে না ।
আলো, কবে যেন তুমি অন্য জনকে
ভালবাসলে ? দিন-
তারিখ এখন আর মনে পড়ে না । আসলে আমি তা
জানিও
না । আমি রাস্তায় দাড়িয়ে দেখলাম, তুমি ওর সাথে
বিড়বিড়
করে কি যেন বলতে বলতে স্কুল গেটের
দিকে
এগুচ্ছেলে । খানিক পর দেখলাম তুমি খুব হাঁসছো ।
অন্য জনও মুচকি মুচকি হাসছে ।
সেদিন আমার আত্মহত্যার কথা মনে হয়েছিল । কিন্তু
আমার সাহস কম । তাই কিছু করতে পারি নি ।
আমি ভিরু ছিলাম । সব মেনে নিলাম । কিন্তু আমার
হৃদয়ে
তোমার জন্য ভালবাসার সঙ্গে গ্লানি ও ঘৃণা রেখে
দিলাম
। কারণ আমি একজন সাধারণ ছেলে ।
সময় কাটতে লাগল । নিজেকে শামুকের মত গুটিয়ে
নিলাম
। আসলে কখনোই তুমি আমাকে বোঝনি ।
ব্যক্তিগত
হতাশা ও ব্যর্থতা - এই দুই মিলিয়ে মানসিক ভাবে
অসুস্হ্য
হয়ে পড়লাম । রাতে ঘুম হয় না, পড়াশুনাও ঠিকমত
করতে
পারি না ।
তোমরা রাস্তা দিয়ে হেঁটে যেতে । হাসতে
হাসতে,
কখনও বা হাত ধরে । আমি তাকিয়ে থাকতাম ।
তোমার কথা মনে হলেই এখন কষ্ট হয় । ভালবাসার
কষ্ট । না পাওয়ার কষ্ট ।
আলো, আমরা সবাই অল্প ক'দিন বাঁচি । তবু এসময়ে
কত
দুঃখ-সুখ আমাদের আচ্ছন্ন করে রাখে । কত না
পাওয়ার
বেদনা,কত আনন্দ আমাদের চারপাশে ঘুরে বেড়ায়
। কত
শূণ্যতা বুকের ভেতর হা-হা করে ।
আলো, এখন গভীর রাত্তি । আবার হয়ত কোন
একদিন
তোমার কথা মনে হবে । আমার মনের কিছু লিখব
আবার
। আলো, তুমি ভাল থেকো । সুখে থাক......
২০টি মন্তব্য
অনিকেত নন্দিনী
অয়োময়কে সোনেলায় স্বাগতম। -{@
শিরোনাম কই? ওইটা নিশ্চয়ই অবান্তর নয়, তাইনা? কোথায় আছেন? জলদি একখানা শিরোনাম দিয়ে দিন। 🙂
অয়োময় অবান্তর
অতিথিতিয়তা গ্রহণীয়। ধন্যবাদ।
অনিকেত নন্দিনী
এখানে সবার কাছ থেকেই আন্তরিকতায় ভরপুর আতিথেয়তা পাবেন এইটা নিশ্চিত করে বলতে পারি। 🙂
ইকবাল কবীর
সোনেলায় স্বাগতম। ভালো লিখেছেন। শুভ কামনা রইল।
অয়োময় অবান্তর
ধন্যবাদ।
ইকবাল কবীর
🙂
সালমা আক্তার মনি
অসাধারণ, সবচেয়ে যেটা ভাল লেগেছে তা হলো আপনার ধারাবাহিকতা রক্ষার ক্ষমতা। অনেক ভালো লাগা রেখে গেলাম।
অয়োময় অবান্তর
সব রেখে দিলাম। ভাল থাকবেন
নীলাঞ্জনা নীলা
স্বাগত জানাচ্ছি সোনেলা নীড়ে।
অয়োময় আবার অবান্তরও! কোথায় বোঝা যাচ্ছেনা তো!
অয়োময় অবান্তর
হবে বলে বলছি না, হতেও তো পারে!! ভাল থাকবেন।
ইনজা
ভালো লাগা রইল।
অয়োময় অবান্তর
যত্ন করে রেখে দিলাম। ভালো থাকুন।
মৌনতা রিতু
হুমমম। ভালো। স্বাগতম। শুভকামনা। লিখুন পড়ুন অন্যের ব্লগেও ঘুরে আসুন।
অয়োময় অবান্তর
ধন্যবান। ভাল থাকুন।
অপার্থিব
বানান ভুল গুলো সংশোধন কইরেন। “বিচিএ” শব্দে “এ” উপরে মাত্রা না থাকায় উচ্চারণ সম্পূর্ণ ভিন্ন হয়ে গেছে।
অয়োময় অবান্তর
চেষ্টা ক্রুটি রাখব না
লীলাবতী
এমন কবিতার মত লাইন কেন? কিভাবে লেখেন বলুন। লিখতে সমস্যা হলে বলুন, আমরা সমাধান দিয়ে দেই।
অয়োময় অবান্তর
কি জানি!! বুঝতে পারছি না,
মেহেরী তাজ
সোনেলায় স্বাগতম।
প্রথম লেখা বেশ ভালো!
শুধু পরের বার এমন লেখা গুলোকে একটা কিংবা দুটা স্টিপে লিখলেই হবে!
অয়োময় অবান্তর
পরামর্শ গ্রহণীয়। ভাল থাকুন।