স্বাধীনতা সংগ্রামী মণীষা-৫ : বিপ্লবী মাস্টারদা সূর্য সেন

(১৮৯৪-১৯৩৪)

[মণিষীরা বলেছেন “যে জাতি তার বীর সন্তানদের মূল্য দিতে পারে না সে জাতির কোনোদিন বীর সন্তান জন্ম নিতে পারে না।”আমরা আমাদের বিভিন্ন পর্যায়ের স্বাধীনতা সংগ্রামী আত্মদানকারী মণিষাদের সম্মন্ধে কত টুকুই বা জানি। যারা প্রবীণ তারা হয়তো কিছু কিছু জানে, কিন্তু আমাদের নবীন প্রজন্ম সেসব মণিষাদের সম্মন্ধে তেমন কিছুই জানে না।তাই সব শ্রেণির পাঠকদের জন্য উল্লেখযোগ্য কয়েকজন মণিষার জীবনী নিয়ে ধারাবাহিক আলোচনার আমার এ ক্ষুদ্র প্রয়াস।]

-মাহবুবুল আলম//  

সূর্য সেন ভারত উপমহাদেশের ব্রিটিশবিরোধী স্বাধীনতা আন্দোলনের অন্যতম নেতা ছিলেন। তিনি 'মাস্টারদা' নামে সমধিক পরিচিত ছিলেন। পূর্ববঙ্গে জন্ম নেয়া এই বাঙালী বিপ্লবী তৎকালীন ব্রিটিশবিরোধী সশস্ত্র আন্দোলনে সক্রিয়ভাবে অংশ নিয়ে, তার জীবন বিসর্জন করেন।

সূর্য সেন ১৮৯৪ সালে চট্টগ্রামের রাউজান থানার নোয়াপাড়ায় জন্মগ্রহণ করেন।সূর্য সেন ১৯১২ সালে চট্টগ্রামের নন্দনকাননে অবস্থিত হরিশদত্তের ন্যাশনাল স্কুল থেকে এন্ট্রান্স পাশ করে চট্টগ্রাম কলেজে এফ. এ.-তে ভর্তি হন। সে সময় আই.এ বা বর্তমানের এইচএসসি পরীক্ষার পরিবর্তে ফার্স্ট আর্টস বা এফ. এ. পরীক্ষার নিয়ম ছিল। চট্টগ্রাম কলেজ থেকে এফ. এ. পরীক্ষায় সাফল্যের সাথে পাশ করে তিনি একই কলেজে বিএ-তে ভর্তি হয়েছিলেন। কিন্তু তৃতীয় বর্ষের কোন এক সাময়িক পরীক্ষায় ভুলক্রমে টেবিলে পাঠ্যবই রাখার কারণে তিনি চট্টগ্রাম কলেজ থেকে বিতাড়িত হন। ফলে, তাঁকে বহররমপুর কলেজে বিএ পড়তে যেতে হয়। ১৯১৮ সালে তিনি বহররমপুর কলেজ থেকে বিএ পাশ করেন এবং চট্টগ্রামে ফিরে এসে দেওয়ানবাজারে বিশিষ্ট উকিল অন্নদা চৌধুরী প্রতিষ্ঠিত অধুনালুপ্ত 'উমাতারা উচ্চ ইংরেজী বিদ্যালয়ে' শিক্ষক হিসেবে যোগ দেন। এসময় বিপ্লবী দলের সাথে তাঁর সম্পর্ক গভীরতর হয়ে ওঠে এবং শিক্ষকতা করার কারণে তিনি 'মাস্টারদা' হিসেবে পরিচিত হন। সূর্য সেন ছেলেবেলা থেকেই খুব মনোযোগী ভাল ছাত্র ছিলেন এবং ধর্মভাবাপন্ন গম্ভীর প্রকৃতির ছিলেন। তিনি তখন থেকেই বিপ্লবী দলের সব খবর রাখতেন ও গোপনে বেআইনী রাজনৈতিক বইও পড়তেন। প্রথম বিশ্বযুদ্ধের শেষদিকে তিনি প্রত্যক্ষভাবেই বিপ্লবী দলের সাথে মিশে যান। সূর্য সেন এবং তাঁর ঘনিষ্ঠ সহযোগী অম্বিকা চক্রবর্তী একই থানার পাশাপাশি গ্রামের ছাত্র হিসেবে ছোটবেলা থেকেই পরস্পরের কাছে পরিচিত ছিলেন।

বিপ্লবী ভাবধারায় দীক্ষিত সূর্য সেন দেশের স্বাধীনতার জন্য আত্মত্যাগকে একমাত্র তপস্যা হিসেবে নিয়েছিলেন। তাই তিনি বিবাহ-বিরোধী ছিলেন। কিন্তু বিএ পাশ করে চট্টগ্রামে আসার পর থেকেই তাঁর বিবাহের কথাবার্তা অভিভাবকরা তোলেন। অবশেষে তাঁর বড়ভাই শিক্ষক চন্দ্রনাথ সেন (সহোদর নয় ও অন্যান্য আত্মীয়দের বিশেষ অনুরোধে ১৯১৯ সালে তিনি চট্টগ্রামের কানুনগোপাড়ার নগেন্দ্রনাথ দত্তের ষোল বছরের কন্যা পুষ্প দত্তকে বিয়ে করেন। আত্মীয়-স্বজনের চাপে বিয়ে করলেও মাস্টারদার মনে এ ধারণা বলবৎ ছিল যে, বিবাহিত জীবন তাকে কর্তব্যভ্রষ্ট করবে, আদর্শচ্যুত করবে। তার ফলে স্ত্রীর সংগে একদিন তিনি কথা পর্যন্ত বলেন নি। বিবাহের তৃতীয় দিনে হিন্দুদের মধ্যে যে ফুলশয্যার প্রথা প্রচলিত আছে, সেদিন তিনি তাঁর বৌদিকে বলেন, তিনি স্বপ্নে দেখেছেন স্ত্রীর সংগে সহবাসে তাঁর মৃত্যু অনিবার্য। তাই তিনি সেদিনই গ্রামের বাড়ি ছেড়ে শহরে চলে আসেন এবং তারপর স্ত্রীর সাথে আর কোনদিন দেখা করেন নি। উমাতারা বিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করেন। প্রথম বিশ্বযুদ্ধের (১৯১৪-১৯১৮) শেষের দিকে অনুরূপ সেন, চারুবিকাশ দত্ত, অম্বিকা চক্রবর্তী, নগেন্দ্রনাথ সেন প্রমুখের সঙ্গে চট্টগ্রামে গোপন বিপ্লবী দল গঠন করেন। গান্ধীজী-কর্তৃক অসহযোগ আন্দোলন শুরু হলে অনেক বিপ্লবী এই আন্দোলনে যোগ দেন। এই সময় চট্টগ্রাম গুপ্তবিপ্লবী সমিতির নেতাদের মধ্যে মতবিরোধ দেখা গেলে সমিতি ভাগ হয়ে যায়। ভাগ হওয়ার পর বিপ্লবী সমিতির অবশিষ্ট অংশটি কংগ্রেসের প্রকাশ্য আন্দোলনে কলকাতার 'যুগান্তর দল'-এর সাথে সহযোগিতা করতে থাকে। এই অংশের সভাপতি ছিলেন সূর্য সেন। মহাত্মা গান্ধী অসহোযোগ আন্দোলন প্রত্যাহার করলে বিপ্লবী দলগুলো আবার সক্রিয় হয়ে উঠে।

১৯২৩-এর ১৩ ডিসেম্বর সূর্য সেনের গুপ্ত সমিতির সদস্যরা প্রকাশ্যে সরকারী কর্মচারীদের বেতন বাবদ নিয়ে যাওয়া টাকা ছিনতাই করে। এর পর পুলিশ গোপনে খবর পেয়ে বিপ্লবীদের আস্তানায় হানা দিলে পুলিশের সাথে বিপ্লবীদের খন্ড যুদ্ধ হয় যা "নাগরখানা পাহাড় খন্ডযুদ্ধ" নামে পরিচিত। যুদ্ধের পর গ্রেফতার হন সূর্য সেন এবং অম্বিকা চক্রবর্তী। কিন্তু যথেষ্ঠ প্রমাণের অভাবে ছাড়া পেয়ে যান। ১৯২৬-এ টেগার্ট হত্যা প্রচেষ্টায় আবারও গ্রেফতার হয়ে ১৯২৮ সালে ছাড়া পান। ১৯২৯ সালে চট্টগ্রাম জেলা কংগ্রেসের সম্পাদক নির্বাচিত হন। ১৯৩০-এর ২৮শে এপ্রিল সশস্ত্র অভ্যুত্থানের উদ্দেশ্যে চট্টগ্রাম অস্ত্রাগার দখল করেন। এর কয়েকদিন পর ২২শে এপ্রিল জালালাবাদ পাহাড়ে কয়েকশত নিয়মিত সেনা বাহিনীর সাথে বিপ্লবীদের সম্মুখযুদ্ধ হয়। এই যুদ্ধে ব্রিটিশ বাহিনী সাময়িকভাবে পলায়ন করে যা ছিল দেড়শত বছরের মধ্যে ইংরেজ বাহিনীর এদেশের মানুষের কাছে প্রথম সুস্পষ্ট পরাজয়। তাই এই যুদ্ধের ঐতিহাসিক মূল্য অনেক। সূর্য সেনকে ধরার জন্য ইংরেজ সরকার প্রচুর টাকা পুরস্কার ঘোষণা করে।তাঁর নেতৃত্বে চট্টগ্রামে ঐতিহাসিক যুব বিদ্রোহ হয় ১৯৩০ সালের ১৮ এপ্রিল। অগ্নিযুগের সেই বিপ্লবীরা চট্টগ্রামের পুলিশ অস্ত্রাগার, রেলওয়ে অস্ত্রাগারসহ টেলিগ্রাফ ও টেলিফোন এক্সচেঞ্জ একই সময়ে আক্রমণ করে নিশ্চিহ্ন করে দেন। ব্রিটিশ সেনাদলের চলাচল রোধকল্পে, বিপ্লবীরা চট্টগ্রাম শহরের অদূরে অপসারিত করেন রেলওয়ে লাইন। মাস্টারদার এই বিপ্লবী কিশোরবাহিনী ছিলো কংগ্রেসের স্বেচ্ছাসেবক। দলে মোট ৬৫ জন কিশোর, মাস্টারদা সূর্য সেন, অনন্ত সিংহ, নির্মল সেন, গণেশ ঘোষ, অম্বিকা চক্রবর্তী, এই পাঁচ জন ছিলেন সাবেক রাজবন্দি।

১৯৩২ সালের ১৩ জুন সাবিত্রী চক্রবর্তীর বাড়িতে তাকে ধরার চেষ্টা ব্যর্থ হয়।ভারতের স্বাধীনতা অর্জনের জন্য যে বিপ্লবীদল তিনি গঠন করেন তার নাম ‘ইন্ডিয়ান রিপাবলিকান আর্মি।’ চট্টগ্রাম যুব-বিদ্রোহের মহানায়ক বিপ্লবী সূর্য সেন তাঁর দলের কর্মীদের নিকট এবং সাধারণ লোকের নিকট পরিচিত ছিলেন মাস্টারদা নামে। ছাত্রদরদী শিক্ষকরূপে তাঁর খ্যাতি ছিল কিংবদন্তীতুল্য। মাস্টারদা তাঁর ছাত্রদের ভিতর থেকে এমন এক নিঃস্বার্থ শিক্ষকদল সৃষ্টি করে গেছেন যাঁরা এপার বাংলা ওপার বাংলার বিভিন্ন স্কুলে আজও অম্লান রেখেছেন তাঁর আদর্শ; শত প্রতিকূল পরিবেশের মাঝেও। ব্রিটিশ গুপ্তচরদের ফাঁকি দিয়ে দলের কাজ করেছেন তিনি। জনস্বার্থে তাঁর পক্ষে আত্মগোপনে থেকেও কাজ করা সম্ভব হয়েছিল। চট্টগ্রাম অস্ত্রাগার বিজয়ের পর প্রথম স্বাধীন সরকার প্রতিষ্ঠার অনুষ্ঠান হয়। চট্টগ্রাম বিপ্লবী বাহিনীর সর্বাধিনায়ক মাস্টারদা সূর্য সেনকে ঘোষণা করা হয় সেই স্বাধীন সরকারের অস্থায়ী প্রেসিডেন্ট, ইংরেজ শাসিত ভারতে প্রথম স্বাধীন ভারতীয় সরকারের গৌরব পতাকা উড্ডীন হয়।মাস্টারদার পরবর্তী কার্যক্রমের নির্দেশ হল আপাতত সবাই কিছুদিন আত্মগোপন করে থাকবে, এবং পরবর্তী আক্রমণের সুযোগের অপেক্ষা করবে। জালালাবাদ যুদ্ধের পর গেরিলা সংঘর্ষ হয়। কালারপোল, চন্দননগর ও ধলঘাটের খন্ডযুদ্ধ, চন্দননগর সংঘর্ষ, চাঁদপুর সংঘর্ষ, আহসান উল্লাহ হত্যা, এলিসন হত্যা, ইউরোপিয়ান ক্লাব আক্রমণ। প্রায় তিন বছর পর্যন্ত আত্মগোপন করে থাকার পর মাস্টারদার এক আত্মীয় নেত্র সেনের বিশ্বাসঘাতকতার ফলে পুলিশ তাঁর সন্ধান পায়।

১৯৩৩-এর ২রা ফেব্রুয়ারি সূর্য সেন গৈরলা গ্রামে ক্ষীরোদপ্রভা বিশ্বাসের বাড়িতে গোপন থাকাকালে তার এক নিকট আত্মীয়ের বিশ্বাসঘাতকতায় পুলিশের হাতে গ্রেফতার হন। তার বিচারের সময় তার বিরুদ্ধে কোন প্রত্যক্ষ প্রমাণ উপস্থাপন করতে না পারলেও বিচারক তাকে মৃত্যুদন্ডে দন্ডিত করেন।গেড়লা সংঘর্ষে মাস্টারদা ধরা পড়েন। কল্পনা দত্ত অন্যত্র চলে যান। গহিরা সংঘর্ষে ১৯৩৩ সালের ৫ মে গ্রেপ্তার হন তারকেশ্বর দস্তিদার ও কল্পনা দত্ত। মাস্টারদা ও তারকেশ্বর দস্তিদারকে চট্টগ্রাম জেল থেকে মুক্ত করার প্রচেষ্টার মধ্যে আমরা পরিচয় পাই, তাঁর সহকর্মীদের দৃপ্ত পৌরুষ ও অবিচল আদর্শনিষ্ঠার। চট্টগ্রাম বি-ডিভিশন এসডিও নিয়ে গঠিত তৃতীয় ট্রাইব্যুনালের সামনে (১) সূর্য সেন, (২) তারকেশ্বর দস্তিদার ও (৩) কল্পনা দত্তের বিচার হয়। বিচারে কল্পনা দত্তের যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদ- এবং সূর্য সেন ও তারকেশ্বর দস্তিদারের ফাঁসির আদেশ হয়। ১৯৩৪ সালের ১২ জানুয়ারি চট্টগ্রাম জেলে মাস্টারদা সূর্য সেন ও তারকেশ্বর দস্তিদার ফাঁসির মঞ্চে শহীদের মৃত্যুবরণ করেন। সে দিন রাত বারোটার সময় সমস্ত চট্টগ্রাম জেল আলোড়িত হয়ে উঠে। বর্বর ইংরেজ পশুরা নিষ্ঠুর প্রহারে অচৈতন্য করে ফেলে তারকেশ্বরকে। প্রহারের ফলে মাস্টারদার সমস্ত দাঁত ভেঙে গিয়াছিল। অচৈতন্য অবস্থাতেই ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছিল দু’ জনকে ফাঁসিকাষ্ঠে। তাঁদের শবদেহ দেওয়া হয়নি আত্মীয়দের। দূর সমুদ্রের জলে পাথর বেঁধে ফেলে দেওয়া হয় দু’জনের মরদেহ।

চট্টগ্রামের ইতিহাসে এক অনন্য সার্থক একক পুরুষ মাস্টারদা সূর্য সেন। চিরকাল চির উজ্জ্বল হয়ে থাকবেন তিনি ও তাঁর সাথী তারকেশ্বর দস্তিদার। সূর্য সেনকে গ্রেপ্তারের সময় তাঁর কাছে পাওয়া যায় ‘বিজয়া’ ও ‘অনুভূতি’ ইত্যাদি প্রবন্ধ, ফাঁসির মঞ্চে আত্মবিসর্জনের পূর্বদিনে লিখিত তাঁর শেষ মর্মবাণী। চট্টগ্রামের পাষাণ কারার অন্তরাল থেকে লেখা তাঁর পত্রাবলী প্রতি সূর্য সেনের সাহিত্যপ্রতিভার পরিচয় বহন করে। বিপ্লবীর কঠিন কঠোর অন্তরের অন্তরালে যে স্নেহের ফল্গুধারা প্রবহমান ছিল, তার পরিচয় মিলে এসব লেখার মধ্যে।

অন্যায়, নিষ্পেষণ আর ঔপনিবেশিকতার বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে সূর্য সেনের আদর্শ এখনো আমাদের প্রেরণা যোগায়। বিপ্লবীরা জানতেন তাদের বিদ্রোহ ব্যর্থ হতে পারে। কিন্তু কেবল সফল হওয়াই সাফল্যের একমাত্র মানদ- নয়। এক পর্যায়ে তাঁরা পরাভূত হবেন। মৃত্যু নিশ্চিত জেনেও তাঁরা কাজগুলো করেছেন, বাংলা তথা ভারতবাসীর মনে বিশ্বাস জন্মাতে পেরেছেন, ব্রিটিশদের সামরিকভাবে মোকাবিলা করা সম্ভব এবং তাদের অতটা ভয় পাওয়ার কিছু নেই। আর এ ক্ষেত্রে তাঁরা বাজি রেখেছিলেন। অতুলনীয় সাংগঠনিক শক্তি, অকৃত্রিম দেশপ্রেম, বিস্ময়কর কর্মক্ষমতা, নিখুঁত পরিকল্পনা, অপরিমেয় শক্তি ও সাহস নিয়ে মাস্টারদা ব্রিটিশ বেনিয়া শক্তিকে বুঝিয়ে দিতে পেরেছিলেন যে ‘বাংলার মাটি দুর্জয় ঘাঁটি’। তাঁর সমস্ত জীবন উৎসর্গ করেছিলেন জাতীয় মুক্তির লক্ষ্যে। [সিরিজের শেষে তথ্যসূত্র দেয়া আছে]

 

 

0 Shares

২১টি মন্তব্য

মন্তব্য করুন

মাসের সেরা ব্লগার

লেখকের সর্বশেষ মন্তব্য

ফেইসবুকে সোনেলা ব্লগ