ছিমছাম শুয়ে-বসে নখ খুঁটতে খুঁটতে
পুরোটাই ছিঁড়ে-খুঁড়ে ফেলেছি,
খুঁড়ে ফেলা রক্তহৃদয় উল্টে-পাল্টে খুঁজেছি;
কৈ!! সোনার পাথর-বাটির তো দেখা পাইনি,
হৃদের প্রতিটি পরতে পরতে এই মাত্র ফেলে যাওয়া
মায়া-ছায়ার-ছাপ দেখতে পাচ্ছি,
কটু-গন্ধ নয়, মিহি-মসৃণ-সুগন্ধ টের পাচ্ছি।
নিরবধি হৃদয় খুঁজে-খুঁড়ে প্রতি জাগরণে স্বপ্ন-ঘ্রাণে
শুধু সে নেই এ হৃদে, ছিল সে এখানেই অনেকটা জুড়ে;
বিস্মৃত হৃদয় ভুলে গেছে হৃদ-কান্না
অবাক করা নির্জন নির্জনতায়।
১২টি মন্তব্য
নাসির সারওয়ার
আহা, কি বলেন এসব! একটা নেইল কাটার না কিনলে চাইনিজরা না খেয়ে থাকবেতো।
গন্ধ সুগন্ধ এদেরও স্বাদ আছে! আচানক ব্যাপার!!
না বুজলে যা হয় আর কি। তবে আমরা সবাই একা এবং নির্জনতায়ই থাকি। আপনি সাহসী কুবি তাই বলে ফেললেন। বাকি পথটাও উপভোগ করুন এই নির্জনতা।
ছাইরাছ হেলাল
দেখুন শুধু নেইল-কাটারে তো হবে না, শেষ-অব্দি
হৃদয় ছিঁড়ে-ফিড়ে পোষ্ট মর্টেম করতে শান দেয়া ছুড়ি-চাক্কু লাগবে, তাই চায়নিজ দিয় হবে না, সুইচ মেড লাগবে।
গন্ধ-সুগন্ধদের অবশ্য-ই স্বাদ আছে, নাক চেপে রাখলে সে স্বাদ কী করে পাবেন!!
কুবি/লেখক মাত্রেই সাহসী হয়, সে তো আপনি/আপনাদের বীর-দর্প দেখলেই বোঝা যায়!!
যে লেখে সে যে কী মাথামুণ্ডু লেখে তা সে-ই জানে, আর জানেন ঈশ্বর!!
হ্যাঁ, এবারে একদম ঠিক বলেছেন, নির্জনতাই হিরন্ময়!!
নীলাঞ্জনা নীলা
কী এতো হা-হুতাশ!
কিসের, কার জন্যে?
স্বপ্নময়তায় বাঁচি, বেঁচে উঠি নতুন উদ্যমে।
হৃদয় বিশুদ্ধ রক্তপ্রবাহে সচল থাকুক, —–
এতো কবিতা লেখেন কিভাবে? আমি ক্যা-নো পারিনা? 😭😭
ছাইরাছ হেলাল
আহারে!! আপনি-ও পারেন, ভাল ভাবেই পারেন!!
এগুলাইন তো আপনার কাছ থেকেই নেয়া!! ঐ যে দিলেন।
বুঝছি,
কিছু হপ্পন ও বিশুদ্ধ রক্ত ধারে নিতে হবে আপনার কাছ থেকেই।
(যদিও আপনাকে হাড়কেপ্পন বলেই জানি।)
ল্যাহা দ্যান না ক্যা!! আজিব!!
নীলাঞ্জনা নীলা
স্বান্তনা পুরষ্কার দিতাছেন? কচু জানি।
কি ল্যাহা দিমু আপ্নেই কইয়া দ্যান।
ছাইরাছ হেলাল
আরে ভাল কিছু বললে-ও এমুন করেন ক্যান!!
ছোট্ট একটি প্রেমের কবিতা লিখুন।
মন ভিজেই পড়ি।
নীলাঞ্জনা নীলা
প্রেমের কবিতা লেখে ক্যাম্নে? প্রেম আগে তো জন্মাইয়া লই, তারপরে লিখমুআনে। 😀
ছাইরাছ হেলাল
আপনি তো খনি,
নূতন আর কী জন্মাবেন!!
রিতু জাহান
ছিলো! হৃদে বাসা বাঁধলে তো সে তো অনন্তকাল ধরেই থাকা কথা।
তবে কি সে বাসার বাঁধন কাঁচা ছিলো? হলেও হতে পারে। নাকি কোনো পরিযায়ী পাখি।
কতো কতো ব্যাথা বুকে জমিয়ে রাখছেন! বিড়াল টিড়াল বাড়িতে কি বেশি ঘুরছে? বিড়ালের ভয়ে নাকি ডাইনি পালায়।
তবে কি সব ডাইনি ভূতের পলায়ন হইছে বুঝি? যাক, বাঁচা হেলো। ব্লগে ঢুকতে আর তাবিজ কবচ লাগবে না।
ছাইরাছ হেলাল
ডাইনিরা হাজার বছর ধরে ছিল আছে, থাকবেও। (শেক্সপিয়ার পড়েন)
ওরা আছে বলেই আমরা বাঁচি/বাঁচব।
ভাল কথা মনে করেছেন, ডাইনিদের সাথে বাত-চিৎ হয়-না বহুদিন, দেখি কোথায় আবার কী ঘোট পাকাচ্ছে!!
আসলে পাখিরা কিন্তু পরিযায়ী-ই। আসে যাওয়ার জন্য-ই, যায়-ও।
শুধু ছায়া রেখে যায়। ছায়া-যন্ত্রণাই আমাদের জীবন!!
জিসান শা ইকরাম
ভুলে আর কই যাবে? নির্জনতা ভেংগে ফিরে আসবে এক সময়।
ছাইরাছ হেলাল
এলেই ভালো,
কোথায়/কতদূর-ই বা যাবে!!