ঈদের পরদিন ফাঁকা রাস্তা। কিছুক্ষণ পর পর মোটরবাইকের বিকট আওয়াজ। অসহনীয় শব্দে কানের অবস্থা শোচনীয়।

ফাঁকা রাস্তা পেয়ে দুর্বার গতিতে তারুণ্যের জয়গান চলছে। লাগামহীন গতিতে চলছে বাইক। এদের অবস্থা দেখলে নিজেদের অন্তর আত্মা কেঁপে ওঠে। যারা বাইক চালাচ্ছে তাদের অনেকেই কিশোর।

শহরের ভয়াবহ যানজট ঠেকে মুক্তি পেতে ক্রমাগত বাইকের ব্যবহার বৃদ্ধি পাচ্ছে। বাইক স্বল্প জায়গা দিয়ে স্বাচ্ছন্দে চলাচল করতে পারে। এ বাইক চালকরা অনেকটাই বেপরোয়া। ফুটপাত কে তারা রাস্তা বানিয়ে ছাড়ে। এবার ঈদ পরবর্তী দুর্ঘটনার অধিকাংশ কারণই হচ্ছে মোটরবাইক।

মোটরবাইকে একসাথে দুজনে বেশি যাত্রী বহন করা নিষেধ। তবুও অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায় তিনজন এমনকি চারজন একসাথে যাচ্ছে। বাধ্যগত হেলমেট ব্যবহার নিয়ম থাকলেও অনেকে হেলমেট ছাড়া চলছে। মোটরবাইক যারা চালায় তারা বয়সে তরুণ। তারুণ্যের কারণে কিছুটা লাগামহীন ভাব নিয়ে চলে। এর ফলে যা হবার তাই হচ্ছে। ক্রমাগত দুর্ঘটনা বৃদ্ধি পাচ্ছে। এর ফলে পরিবার হারাচ্ছে প্রিয়জন। তারুণ্যের দ্যুতি থাকা ভালো। কিন্তু এর রশ্মি বেশি তাপ ছড়ালে ক্ষতিকর।

দুর্ঘটনা রোধে হেলমেট ছাড়া বাইক চালানো নিষেধ করা। চালক সহ দুজনের বেশি বহন নিষিদ্ধ। বাইকের গতি নির্দিষ্ট করে দেওয়া। এছাড়াও হাইওয়েতে বাইক চলাচল নিয়ন্ত্রণ করা প্রয়োজন। অধিকাংশ দুর্ঘটনা ঘটে হাইওয়ে। একটি দুর্ঘটনা একটি পরিবারকে নিঃস্ব করে দেয়। দুর্ঘটনা রোধে প্রশাসনের পাশাপাশি আমাদের সকলের সচেতনতা প্রয়োজন।

0 Shares

৮টি মন্তব্য

মন্তব্য করুন

মাসের সেরা ব্লগার

লেখকের সর্বশেষ মন্তব্য

ফেইসবুকে সোনেলা ব্লগ