সকালের হাঁটাপথে পড়ে আছে সংখ্যাধিক আধ-খাওয়া সব-খাওয়া অল্প-খাওয়া না-খাওয়া আধপোড়া-পোড়া সিগারেটের টুকরো,
পা পিষে চ্যাপ্টা হওয়া ক্ষত অক্ষত নানান রংয়ের নানা আকৃতির ফিল্টারের সমারোহ, সুশ্রী বা সদ্য ফেলে যাওয়া, পচে যাওয়া,
আধ-পচা আধখেঁচড়া হয়ে যাওয়া শ্যাওলা ধরা ফিল্টার যত্রতত্র,
কে ফুঁকেছিল, কে চুষেছিল? কোন সে মুখ? কোন পাণ্ডুর রুগী, সান্নিপাতিক বা কালাজ্বরে আক্রান্ত কেউ?
ভরপেট বা ক্ষুধার্তের কোন মুখ? খকখকে এজমালি কাশির কোন টাকলা বুড়ো?
পয়মন্ত কোন অকবি বা স্বঘোষিত কোন প্রেমিক? মন্থন উন্মুখ কোন মাতাল উল্লুক? ন্যাংটা হনুমান?
বিকট বাঁদর? জবরদস্ত জ্ঞানী, অধুনা যার ঠোঁট জুড়ে অহরহ খিস্তি- খেউরের মনোরম ঝিলিক?
হে বিড়িকুল, পারলে যাওতো ফিরে যার যার পকেটে যেথায় ছিলে তুমি সযত্নে স্ব-মহিমায়
দশ মাস দশ দিন!
৩৬টি মন্তব্য
খেয়ালী মেয়ে
আমারও মাঝে মাঝে সিগারেটা ফুঁকতে ইচ্ছে করে 🙂 ১/২টা ফুঁকতে পারলে আজ নিশ্চিত আপনার লেখায় আমিও উঠে আসতে পারতাম 😀 :p
ছাইরাছ হেলাল
কী না কী কন! বিড়ি-বুড়ি আপনার ফুকাইতে হবে না।
আপনি অবশ্যই লেখায় উঠে আসবেন, এবং তা অচিরেই।
খেয়ালী মেয়ে
তাই নাকি 😮
তাহলে তো এখনিই অপেক্ষা শুরু করে দিতে হয়,
ছাইরাছ হেলাল
দিন তারিখ দিয়ে কেউ অপেক্ষা করে বুঝি!!
নাসির সারওয়ার
বিড়িখোড়দের চৌদ্দ গুষ্টি উদ্দার কইরা শেষ লাইনে এইডা কি কইলেন! সম্ভব না! কেউ ফেরত যেতে পারেনি আর কোনদিন পারবেওনা।
তবে সাবধান, বিড়ি কোম্পানিগুলো কিন্তু আপ্নারে খুঁজতে পারে। কামডা ভালো করেন নাই।
ছাইরাছ হেলাল
চিন্তাইয়েন না, আমারে বিড়ি দেলে সবই বিলিয়ে দেব, কী আছে গেবনে!
গুষ্টি করা যায় নাকি!
তয় আপনি বিড়ি খোর এইডা কিন্তু বুঝছি।
শাওন এরিক
বিড়িময় দুনিয়া! বাহ! আমার তো পৃথিবীর নতুন করে নাম রাখতে ইচ্ছে হচ্ছে!
” পৃথিবিড়ি ” 😀
ছাইরাছ হেলাল
যা অবস্থা তাতে এমন নাম রাখা যেতেই পারে।
মোঃ মজিবর রহমান
বিড়ী খায়নের আর খায়ন্দাদের এভাবে বাঁশ না দিলে কি চলত না।
কেউ জেতে পারে না বস!!!
তবে ভাল হয়ে গেলেই চলে।
ছাইরাছ হেলাল
বিড়ি খুব খারাপ জিনিস,
ভাল হয়ে গেলে ভাল তবে কেউ ভাল হতে চায় না।
মোঃ মজিবর রহমান
এই ইচ্ছা শক্তিই না থাকায় যত নষ্টের কারন।
ছাইরাছ হেলাল
ইচ্ছা শক্তি আপনার অবশ্যই আছে, থাকবেও।
আবু খায়ের আনিছ
সব বিড়ি ভাইয়ার হাটা পথে পড়তে হবে কেন? এমন করে খিস্তি করে করে দিলো যে।
ছাইরাছ হেলাল
আসলেই যেখানে হাঁটি সারাপথেই শুধু পরিত্যাক্ত বিড়ি,
অবশ্য জায়গাটি নির্দিষ্ট, তাই কিছুই চোখ এড়িয়ে যায় না,
প্রহেলিকা
বেশ ভাল বিষয় নিয়েই লিখেছেন এবারে। কাট্টাকাট্টা শব্দগুলো যেমন আপনার পিছু ছাড়ে না তেমনি বিড়িখোরদেরও বিড়ি পিছু ছাড়ে না।
ছাইরাছ হেলাল
আসলে বিষয়ভাবনা থেকে লিখিনি, যা দেখলাম ও দেখে যা মনে হলও তাই ই নিজের মত
করে লিখে দিলাম,
বহুদিন পর আপনাকে দেখলাম বিস্মৃতির পথ বেয়ে, কেমন আছেন? লেখারাই বা কেমন আছে?
ভাল থেকে আরও ভাল লিখুন তা চাই।
প্রহেলিকা
***আসলে বিষয়ভাবনা থেকে লিখিনি, যা দেখলাম ও দেখে যা মনে হলও তাই ই নিজের মত
করে লিখে দিলাম। ***
সহজ স্বীকারোক্তি। তবে কথা হলো লেখা কেবলি লেখা ছিলো না; গোপন উদ্ধারের তুমুল প্রচেষ্টা যে চালিয়েছেন তা কিন্তু স্বচ্ছ। বিকট বাঁদর বা ন্যাংটা হনুমান যেই ফুঁকুক না কেন এমনভাবে আপনি তাদের পেছনে লাগবেন জানলে ভুল করেও ফিল্টার ফেলে যেত না।
আপনাকে অবশ্যই আমি দেখি; হাররোজই দেখি। কখনো তক্কে তক্কে তাকিয়ে কখনোবা মিনমিন চোখে টিপটিপ করে। লিখিয়েরা আছে আমার সাথে সাথেই সমতালে চলে। কখনো ভালো থাকে কখনো আবার ভালো থাকার জন্যে বাঘের দুধের সন্ধান করে।
আপনি সুস্থ আছেনতো? সকালের হাঁটাপথে রোজ হাঁটেনতো?
ছাইরাছ হেলাল
ঠিক-ঠাক ধরে ফেলেছেন, যেমনটি ধরতেন,
ভালো লাগল অনেক কেউ মনে রাখেছে দেখে ও এই মহা আবজাব কেউ দেখছে,
এসবে যেন সময় নষ্ট করবেন না, অনেক অনেক ভাল কিছু আছে,
সেগুলোতে মনযোগী হয়ে আপনার লেখাদের সাথেই থাকুন,
হা হা, সে দিনের সে সব কথা শুধুই সোনা হয়ে আছে, থাকবেও,
এই তো সেদিনও শুঁটকি নিয়ে লেখায় বাঘের দুধ ব্যাবহার করেছি।
আল্লাহ ভালই রেখেছেন, নিয়মিত হাঁটি, অনেক মজার গল্প আছে,
লক্ষ্য করলে পাওয়া যাবে।
জিসান শা ইকরাম
হাটতে গিয়ে এত্তকিছু দেখেন! কিছুদিন আগে না চোখ অপারেশন হইল?
আমিও হাটব ভাবছি আপনার সাথে, সোনা রুপা দেখলেই বলবেন, আমি পকেটে নিয়ে নেব, ইচ্ছে করলে আপনি সোনা পকেটস্থ করা নিয়ে লিখতে পারেন 🙂
ছাইরাছ হেলাল
চোখের অপারেশনের পর এখন তো সব কিছু ফকফকা,
অন্যরা যা না দেখে তাও দেখি, আমি রূপায় নেই, শুধু সোনা আর সোনা, রোজই কুড়াচ্ছি।
আচ্ছা সকালে উঠলে ভাগ দিমুনে, সমস্যা নেই, আমরা তো আমরাই।
আসিতেছে লেখা, সোনায় সোনা।
নীলাঞ্জনা নীলা
আগুণ পোড়ায়। নিজেও পোড়ে।
একবার পোড়া শুরু হলে আর আগের জায়গায় ফিরতে পারে না।
নিভিয়ে দিলেও পোড়ার দাগ থেকেই যায়।
আর কি ফিরে যাওয়া যায়? যেখান থেকে চলে আসা হয়, মানবজন্ম যে একবারই।
ছাইরাছ হেলাল
সব আগুন আগুন না, পোড়ে না পোড়ায়ও না!
ফিরে যাওয়া যায় না, ফেরা হয়ও না।
সুন্দর মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
শুন্য শুন্যালয়
কবি খোঁজে কবিতা।
কবি হাঁটতে হাঁটতেও খোঁজে, কবি মাপতে মাপতে ভুলে গিয়েও কবিতা খোঁজে।
কবি দাঁড়ি কাটতে গিয়েও কবিতা খোঁজে, হাড় বজ্জাত নেংটো পিচ্চি দেখলেও কবি কবিতাই খোঁজে।
ঘুমের মধ্যেও কি কি জানি খোঁজে,
ঘুম ভেঙ্গে গেলে তো কাগজ খোঁজেই।
সিগারেট ছেড়ে দিয়ে কবি নেশা খোঁজে কবিতায়।
—-শেষের লাইনটা কী না লিখলেই চলতো না! নইলে অবলীলায় বলে দেয়া যেতো, এইসব ছাইপাশ আমাদের না পড়ালেই চলতো না!!
স্বঘোষিত প্রেমিকের পাশে প্রেমিকারা বাদ পড়ে গেলো? বিস্তর বিঁড়ি ফুঁকেছি একসময়, বেচারা সেই আধফোঁকা বিঁড়িরা না পেলো ঘর, না পেলো কোন কবি!
অদ্ভূত।
ছাইরাছ হেলাল
আপনি কবি?!! আগে বলবেন না!!
কবিরা বুঝি এ সব করে! বাহবা, এ দেখছি ভীষণ এক নেশা! খালি খোঁজে আর খোঁজে,
মানির মান আল্লাহ ই রাখেন, আপনি বুজুর্গ সে তো জানি ই।
প্রেমিক প্রেমিকাদের দুঃখ আপনি ই বুঝলেন!
বুঝলেন বিড়িদের দুঃখ,
আচ্ছে, আপনিও কি বিড়িখোর কবি ছিলেন! বা আছেন,
হায় কবিদের কত সুখ! রাশি রাশি কবিতাসুখ!
শুন্য শুন্যালয়
আমি কবি কই বললাম? কবি থেকে ৪/৫০০ হাত দূরে থাকি, কবিদের দেখলে আমারো হাসি পায়।
যারা কবিতা খোঁজে তাদের কথা বললাম, তার মধ্যে আপনি অবশ্যই পড়েন না, আপনি খোঁজেন পোড়া সিগ্রেট, বাটখারা আরো কী কী। প্রেমিক প্রেমিকাদের দুঃখ আমি বুঝলেতো হইতোনা মমিন, বোঝন লাগপে কবিদের, হেইরাই বোঝেনা, হেরা আছে সোনা নিয়া। আফসুস।
ছাইরাছ হেলাল
আপনি একদম ঠিক বলেছেন, আমি সত্যিই নানান কিছু খুঁজি,
আপনি কবি না হয়েও এত্ত কিছু কেমনে যে জানলেন তাই ভাবছি।
তবে আপনি মোটেই কবি না এটি নিজ মুখে বলে দিয়ে দিলে চোট
লাগল, একজন সফল কবির অকাল প্রয়াণ আমরা কিছুতেই মেনে নিতে চাই না।
খাঁটি সোনা খোঁজার মজাই আলাদা।
বেশি করে হেসে দূরত্ব আরও বাড়িয়ে তুলুন।
মিষ্টি জিন
এবার আসছেন বিড়ি সিগারেট নিয়া। আপনি পারেন ও মশাই।
বিড়ি সিগারেট একদমই পছন্দ করিনা। গন্ধ ও সহ্য করতে পারিনা।
শেষের লাইন দুটো তো ভাবিয়ে তুললো।
ফিরে যেতে পারলে ভালই হোত ।
ছাইরাছ হেলাল
আরো আছে ভাই,
আমিও কিন্তু বিড়ি-বুড়ির মধ্যে একদমই নেই।
সে ফেরায় ফেরা নেই, আমরা তা জানিই,
মৌনতা রিতু
হাঁটাপথে এত্তো কিছু দেইখা ফালাইলেন।
তয়, চশমা আছে তো চোখে ! মুই তো চশমা পইরাই হাঁটি। মুখটাও ঢাইক্কা লই। যদি কেউ দেইখা ফেলে ওদের থেকে শব্দ নিতাছি!
শেষের লাইনডা কি হইল ;?
ছাইরাছ হেলাল
ভাই, শেষ লাইনটি আমিও বুঝতে পারিনি, একটু যদি বলে দিতেন।
হাঁটার সময় চোখ খুলেই রাখি, তাই কত কী দেখি, আপনি মনে হয় চোখ বন্ধ করে হাঁটেন!!
তবে চশমার পাওয়ার চেক করে চোখ খুলে রাখতে পারেন, মুখও!!
মেহেরী তাজ
এতো বিড়ি দেখেন কেনু চারপাশে! গাছ,পাখি, লতা পাতা, এতো কিছু আছে দেখার। সব বাদ দিয়ে শুধু বিড়িই কেনু! নাকি হ্যালুসিনেশন??? ;? সব কিছুর একটায় চেহারা, নাম তার “বিড়ি”।
যাক ভাইয়া! চোখ ভালো আছে তো?
ছাইরাছ হেলাল
দেখি দেখি আরও অনেক কিছুই দেখি, ফুল পাখি লতাপাতা, আপনাদেরও তা অবশ্যই দেখাব,
আমার আবার কোমল হৃদয়, বিড়িদের দেখা খুব মায়া হলো। তুলে নিয়ে আপনাদের দেখালাম,
চোখ এখন বেশি ঠিক, আগের থেকেও বেশি বেশি দেখি!!
মেহেরী তাজ
আমি আপনার চোখের ডাক্তার হলে বলতাম বেশি বেশি দেখা বারন। প্রত্যেকটা জিনিসের ক্ষয় আছে। প্রয়োজনের অতিরিক্ত কিচ্ছু দেখবেন না!
কিন্ত ডাক্তার নয়!
ছাইরাছ হেলাল
জ্বী, জনাব, বেশি বেশি দেখব না, অল্প বেশি দেখব,
আপনি তো ডাক্তারের ডাক্তার!!
প্রহেলিকা
হা হা হা শুঁটকি রেসিপিতে বাঘের দুধ!! আপনার লেখালেখির দিকেই থাকা উচিত; ফাঁক-ফোঁকরে অনেক কিছুই দেখতে পারবেন, আর আপনি দেখতে পারলে আমরা পড়তেও পারবো। খামোখা লেখা বাদ দিয়ে রেসিপির দিকে চোখ দিলে অবস্থা কতটুকু নাজুক হতে পারে তা আপনার শুঁটকি রেসিপি দেখলেই বুঝা যায়।
আজকাল লেখায় পাঁচফোঁড়নের ব্যবহার বিশেষভাবে লক্ষণীয়। আর হ্যা গল্পকে গল্পাকারে পড়তে চাই।
সংবিধিবদ্ধ সতর্কীকরণঃ লেখক হওয়া থেকে দূরে থাকুন।
ছাইরাছ হেলাল
এত্তদিন পরে এসে আপনি দেখছি হাটে কলসি ভাঙ্গার উপক্রম করেছেন,
আপনি পড়বেন জানলে ওটা হাপিস করে দিতাম আগেই।
বুঝছি শুধু লেখা নয় আরও অনেক কিছু থেকেই দূরে রাখার সুগভীর জাল ছড়ানো হচ্ছে।
আমি খেলে আপনারাও বাদ যাবে না, সে ঘোষনা না দিলেও তা বহাল আছে। থাকবে।