এই যে কনকনে উত্তুরে শীত, দাঁত ঠক ঠক,
না এলেও মন্দ কিছু হতো না,
পোশাকের জঙ্গলে হাঁসফাঁস, মুণ্ডুটাও বাদ যায় না,
টুপি মুড়িয়ে কাম-কাইজ! উহ্ অসহ্য যন্ত্রণা!
কুঁকড়ে যাওয়া বস্তা জীবন, ঠোঁট-ফাটা পা-ফাটা,
একাকীর লেপোন্মত্ততা বিষবৎ, নিরামিষ হটওয়াটার ব্যাগটা!
মন্দ নয়,
পিঠে পুলি পায়েস, নবান্নের উৎসব,
কাঁচা খেজুরের রসঘ্রাণ,
সারাক্ষণ শীতের উসখুস, উড়াধুড়া শরীরে তৈলমর্দন
ফেল কড়ি মাখ তেল অনেকক্ষণ!
মন্দ লাগে না,
পিঠে মিঠেকড়া রোদ ফেলে জলচৌকিতে বসে
সাবধানে লুঙ্গি গুটিয়ে, পেলব কোমল মিষ্টি হাতের তেলউষ্ণছোঁয়া;
মোটেই মন্দ নয়,
শিশিরে জড়ানো শিউলি ভোর,
মিষ্টিগন্ধ ছড়িয়ে কাঁচা রসের
পাকনা গাছির হাড়ি দুলিয়ে দ্রুত চলে যাওয়া,
রোদোষ্ণ গরমগোছল শেষে খানিক রোদখেলা,
গরম কাল বড্ড বিশ্রী! ম্যালা হ্যাপা!!
২১টি মন্তব্য
নীলাঞ্জনা নীলা
শীতের দুটো দিকই দেখা হয়ে গেলো। তীব্র কাঁপুনী আবার ওম ওম উষ্ণতা।
হুম কুবিতা কিছুতেই মন্দ নয়।
এমন কুবিতা লেখা হইলে মন্দ ক্যাম্নে হয়! 😀
কুবিরাজ ভাই আপনারে শীতের ঠক ঠকানি মায়নাস বিশ ডিগ্রী(-২০) তাপমাত্রা পাঠাইলাম। 😀 আরেকখানা কুবিতা লেখেন পিলিজ।
ছাইরাছ হেলাল
আপনার প্রশংসা পেতে ভালই লাগে, এমন গুণী সবাই হয় না,
সব কিছুর মত শীতেও বহুরূপী!
বললেই যদি লিখতে পারতাম তাহলে এ গেবন আর রাখতাম না,
হাওয়া হাওয়া করে ফেলতাম,
-২০!!
শুনলেই তো
লেপের নীচে ঢুকি ঢুকি,
নীলাঞ্জনা নীলা
বহুরূপী কে না কুবিরাজ ভাই? 😀
যাহা হউক যে লেখা দিলেন আওয়াজ দিতে দিতে গলা আর হাঁটতেই পারতাছে না।
এরচেয়ে তো -২০ ডিগ্রীও ভালো। 😀
ছাইরাছ হেলাল
কুসুম কুসুম গরম পানি ট্রাই করুন প্লিজ,
মন্দ লাগবে না!
-২০ কোন ব্যাপার না,
মিষ্টি জিন
হা হা হা ..শীতের কবিতা।
আমাদের কুবিরাজ যে এত্ত মজার কবিতা লিখতে পারে …ঝানতাম না।
ঠোটফাটা পা ফাটা নিয়ে এত চিন্তাইয়েন না । মেনিকিউর ,পেডিকিওর মেরিল প্রেট্রল্য়াম জেলী আছে না। 😀
তা কিছু শীত আর খেজুরের রস মানুষ রে ভাগ দিয়েন ।
ছাইরাছ হেলাল
জানার শেষ নেই
কুবিরাজি বোঝার চেষ্টা বৃথা তাই!!
আচ্ছা বলছেন যখন নো চিন্তা ডু শীতশীতা!
ভাগ দিতে তো চাই ই, শুধু কী খেজুরের রস! শীতসকালও দিয়ে দেব,
শুন্য শুন্যালয়
বিষবৎ লেপোন্মত্ততা নিয়েও এরকম কবিতে! ঠিক বুঝলাম না কিন্তু মনে মনে আহাজারি চালু রেখেও দাঁতে ফাঁটা ঠোঁট চেপেও এমন লিখে কী করে লোকে?
এই সেই, সেই শীত আর ঔ শীত সবই আপনেগো। কি সব রস টস, শিউলি মিউলি এগুলা কিছু হইলো! রসে ভেজাল বিশ্রি গন্ধ, শিউলি মাত্র কএক ঘন্টার, পিঠা পায়েস! এত্তো কষ্ট করার কোন মানে আছে!!
গরম কাল বড্ড ভালো, ম্যালা হ্যাপ্পি!!
ছাইরাছ হেলাল
দাঁতে শুধু চেপে রাখাই নয়, দাঁতে কেটে কেটে কি ভাবে এ সব আবজাব
লেখে নিজেও ভেবে হই আকুল অবস্থা,
সেইগরম, সেরামগরম, গরমাগরম, শুধুই গরম সে তো কিছুদের দখলেই দেখছি,
উহ্ দেখলেই গরম লাগে!!
সারা হলাম ঘেমে ঘেমে!!
নাসির সারওয়ার
মন্দ নয়, মোটেই মন্দ নয়। যেখানে কাঁচা খেজুরের রস পাওয়া যায়, তা আবার মন্দ হয় কি করে!!
এত্তু যদি দাওয়াত বলতেন, অন্তত কাঁচা খেজুরের রস চেখে দেখতাম। কতদিন দেখিনি, পান করাতো দুরের কথা!
কুবিতা পছন হইছে। জলচৌকিতে বসলে রোদেই বসবেন। উনুনের কাছে লুঙ্গি গুটিয়ে না যাওয়াই উত্তম।
ছাইরাছ হেলাল
না না, মোটেই মন্দ নয় এই রস-ফস, কাঁচা বা পাকা!
এত্ত পানা-পানির কী আছে! ডায়া হপে!
ও আচ্ছা, এরপর লুঙ্গী গোটানোর ঝুঁকি না নিয়ে গোটা লুঙ্গী নিরাপদ হেফাজতে রাখে যেতে বলছেন!!
ওরে অভিজ্ঞতা!! অভিজ্ঞতারে!!
নীরা সাদীয়া
শীতের ছড়া বেশ লাগল।
ছাইরাছ হেলাল
ছড়া!!
আচ্ছা ধন্যবাদ।
ইঞ্জা
মুগ্ধ
ছাইরাছ হেলাল
ঠিকাছে ভাই,
ইঞ্জা
\|/
অলিভার
হা হা হা!
ভাইজান কি শীতকে তিরস্কার করলেন, নাকি করলেন শীত-বন্দনা সেটাই বুঝলাম না। তবে শীতের জ্বালায় অতিষ্ট হয়েও যে শীতের সকল আর্শীবাদ গায়ে লাগিয়ে তার কোমল পরশ উপভোগ করছেন তাও কিন্তু একদম স্পষ্ট! ধীরে ধীরে নগর হয়ে উঠা নাগরিক জীবনে এখন আর শীতের সকালের তাজা খেঁজুর রসের দেখা আার পাই কোথায়? আর যা আছে তাও বাসি আর গেলাস গেলাস ময়লা পানির মিশ্রিত অশুচিকর কিছু। আর শীতের মিষ্টি রোদ! লম্বা লম্বা দালানের মাথায় তাদের বসবাস।
তবে মা-খালাদের হাতের গুণের সুবিধাস্বরূপ এখনো শীতের পিঠার দেখা মেলে বৈ কি। 😀 😀
ছাইরাছ হেলাল
হ্যা, জরাজটিল নাগরিকতা প্রায় সবটুকুই কেড়ে নেয়ার পথে,
এর ফাঁক গলিয়ে যেটুকু তুলে নিতে পারি তাই মহার্ঘ,
বুড়োদের কাছে শীত শীত নিয়েই আসে, অন্যান্যের কাছে অন্যরূপে,
মানি বা না মানি।
প্রাকৃতিক সারল্যে কিছু নিঃশেষ আছে অটুট, আমারা সেখানেই ছুটি বাস্তবকল্পনায়,
অলিভার
“বুড়োদের কাছে শীত শীত নিয়েই আসে”
সহমত আপনার কথার সাথে। সে জন্যেই বোধ করি শীতের শুরু হতে একদম শেষ পর্যন্ত শুধুই বয়োজ্যোষ্ট ব্যক্তিদের মৃত্যু-সংবাদ শুনতে পাই।
ছাইরাছ হেলাল
ঠিক বলেছেন, বুড়োদের শীতকাল বেশ কষ্টকর তবে তা শুধু
প্রান্তিক মানুষদের জন্যই,
মৌনতা রিতু
শীতেও কাবু, মুই গরমেও কাবু। তয় আমি কিন্তু ম্যালা পিঠা বানাইতে পারি।
আর শীতে আমি পুরাই প্যাকেট হইয়া থাকি।
শীত নিয়ে এতো ভাবলে চুল পইড়া যাইব গা।
তবে শীত আসলে রস জাল দেওয়াটা মিস করি। ছোটবেলায় আমি কিয়াম মামার পাশে বসে থাকতাম। রস কিছুক্ষন জাল দেওয়ার পর অর্থাৎ গুড় তৈরি হওয়ার আগে ঐ রসটা খেতে আমি খুব পছন্দ করতাম, তাও গরম ভাত দিয়ে। সেই সব দিন এখন শুধুই স্মৃতি।
ভাল থাকবেন।
ছাইরাছ হেলাল
দেখুন যাদের চুল-ফুল নেই তাদের ভাবনাটুকুই সম্বল,
মুখে মুখে পিঠা-পুঠার গপ-শপ দেয়া কোন ব্যাপার না, ম্যালা সুবিধাও,
চলুক চলুক, দেখতে থাকি, দেখেই যাই,
এখন সৃতিকাতরতাই জীবন ধরেই নিয়েছি,