শীতসকালের নগ্নগাত্রের শিশির মাখা
একাকীর লেজঝোলা ফিঙে পাখিটি
টেনিস নেটে বসে আছে, গাঢ় চোখে ঘাড় কাত করে
চেয়ে আছে আকাশপানে,
চোখ বেধেছে পলকহীনতায়;
ধুপ-ধাপ হুট-হাট করে বা বিড়াল পায়ে নয়
হাঁটিহাঁটি পা পা করেই পৌঁছে যাই
কাছে, খুবই কাছে,
অবাক! যাচ্ছে নাতো উড়ে,
তাকিয়ে আছে জোড়া চোখে
একদৃষ্টে, হাতছোঁয়া দূরত্বে,
হাত বাড়ালাম ধরব বলে,
ফুড়ুৎ করে উড়ে গিয়ে বসল আবার দূরের কাছে
ডেকে উঠল আপন মনে লেজ দুলিয়ে,
কাকে ডাকছে কী বলছে কে জানে!
গানের স্নিগ্ধ স্তব্ধ লয়ে,
৩২টি মন্তব্য
শাহানা আক্তার
“দূরের কাছে” শব্দটি বেশ লেগেছে। লেজঝোলা ফিঙেটি নিয়ে আপনার অনুভুতির কথাগুলোও ভলো লেগেছে।
ছাইরাছ হেলাল
মন্তব্যের জন্য, অবশ্যই প্রথম মন্তব্যে প্রশংসা করার জন্য অনেক ধন্যবাদ।
নাসির সারওয়ার
কতকিছুই দেখা হলোনা এই জীবনে। সত্যি কি লেজঝোলা পাখি আছে, না কি ও অসুস্থ! থাক, বেশী দেখা ভালোনা।
পাখীটা যে গানের সুরে সুরে তাকে (যে ধরতে গিয়েছিলো) বকাবকি দেয়নি, তা কে যানে।
ধরতে যাওয়া মোটেই ঠিক হয়নি। শীতের সকালে রোদ পোহানো, কোন ভাবেই ব্যাহত করা ঠিক কাজ না।
ছাইরাছ হেলাল
চোখ রগড়ে দেখলে লেজঝোলা পাখি দৃষ্টি গোচর হলেও হতে পারে, তাছাড়া এই ছোট্ট সময়ে কী ই বা দেখা সম্ভব!
কুবি থেকে পাখাল হলেন নাকি? পাখিভাষা রপ্ত করে ফেললেন দেখছি।
বকবে কেন! ধরে আদর সোহাগ করতে বলেনি তা বুঝি হতে পারে না!
আচ্ছা, ধাওয়া ধাওয়ি বাদ, ধাওয়া ছাড়া যা আসে তাতেই খুশি থাকতে হবে,
মিষ্টি জিন
কি ব্যাপার কুবিরাজ ? এত কুঠীন করে আপনি লিখেছেন,ভেবে অবাক হচ্ছি। 😀
আমি ছাডা আর কেউ এমন কুঠীন করে লিখতে পারে?
^:^
অপূর্ব, অসাধারন ।
ছাইরাছ হেলাল
সবই সঙ্গদোষ!
তবে ভাববেন না সহজ লেখার রোগ সেরে গেছে!
যে কোন সময় মাথাচাড়া দিলেও দিতে পারে!
অনেক অনেক ধন্যবাদ,
অরুনি মায়া অনু
পাখিরা সাধারণত জোড় বেঁধে চলে। শীতের সকালের একাকী ফিঙে যে তার সঙ্গীকেই খুঁজছে তা আমি নিশ্চিত। পাখিরাও স্বজন চেনে। সে বুঝেছে আপনার কাছে তার বিপদ হবেনা হয়ত। তাই উড়ে গিয়েও দূরের কাছে গিয়ে বসেছে। কাছে খুব কাছে তবুও ধরা ছোঁয়ার বাইরে। নির্জন ভোরে সেই একজন মানুষ আর একজন পাখি একে অপরের হয়ে নিবিড়তায় মিশে রইল।
খুব সুন্দর লেখাটি।
ছাইরাছ হেলাল
এবারে দেখছি সত্যি সত্যি মন্তব্যের আসল ধারায় ফিরেছেন,
মন্তব্য কন্যার মতই এবারের মন্তব্য,
এ লেখাটি নিছক কল্পনা ছিল না,
ভাবছি আপনি কী করে পাখিকে বুঝে ফেললেন!
আপনিও পাখি ধরে পাখি পোষেন কী না কে জানে!
আপনাকেও অনেক ধন্যবাদ।
অরুনি মায়া অনু
যাকে যেখানে মানায়। তাই অনেক ভাবনা চিন্তা করে আমার আসল ধারায় ফিরে আসলাম।
ছাইরাছ হেলাল
স্বাগত জানাচ্ছি,
ইঞ্জা
অসাধারণ অনুভবের অনুভূতি, খুব ভালো লাগা রইল ভাইজান। -{@
ছাইরাছ হেলাল
আপনাকেও অকৃত্রিম শিশির শুভেচ্ছা, ভাই।
ইঞ্জা
(3
ছাইরাছ হেলাল
পাইছি!
নীলাঞ্জনা নীলা
দেশে তো এখন অতিথি পাখীদের ভীড়। তাই না?
তা পাখীদের বারবিকিউ করবেন কবে?
কুবিরাজীয় কুবিতায় বারবিকিউর গন্ধ পাচ্ছি। যদিও আমি পাখী খাইনা।
😀
ছাইরাছ হেলাল
এবারে তড়া করে নাকের দাক্তারটিও দেখিয়ে ফেলুন,
আখেরে এটুকুইবা বাকী থাকবে কেন!
নাকতো দেখছি দু’হাত দশ আঙ্গুল!
আপনাকে দিয়েই বারবিকিউটি সেরে ফেলতে চাই, পেশল আগুনের ব্যবস্থা করে ফেলব,
নীলাঞ্জনা নীলা
আমার নাক তো ভালোই আছে। তা নইলে এতো দূরের ফিঙে পাখীর গায়ের পঁচা গন্ধ পাই কিভাবে! 😀
ছাইরাছ হেলাল
খালি গন্ধ! আর কিছু পান না!
মোঃ মজিবর রহমান
অবাক! যাচ্ছে নাতো উড়ে,
তাকিয়ে আছে জোড়া চোখে
একদৃষ্টে, হাতছোঁয়া দূরত্বে,
ছাইরাছ হেলাল
হুম, তেমনই তো হয়েছিল, যেমন বলেছি,
মোঃ মজিবর রহমান
কস্ট আর কস্ট
ছাইরাছ হেলাল
আনন্দ আর আনন্দ
মৌনতা রিতু
একটা ফিঙ্গে আমার ঘরের সামনে পুকুরের উপর দিয়ে যে ডিশ লাইনের তার চলে গেছে ঐ বাড়ি, ওর উপরই বসে থাকে আনমনে। আমি ও যখন থাকি আনমনা, ও হাসে আমাকেই ডাকে কাছে। বয়েই গেছে যেতে আমার! আমিই থাকি আনমনায় আমার মাঝে।
তা কুবি ভাই, শীতের পাখি দেখি আসা শুরু হইছে। ধইরেন না আবার। এ পাখি কিন্তু পোষ মানার নয়। ফুড়ুত করেই আবার যাইব গা। এ যে তার দেশ নয়। বঝলেন😊
ছাইরাছ হেলাল
আপনি পাখি বিশেষজ্ঞ! আগে বলবেন না!
ফিঙেরা শীতের পাখি!
আপনাকেও ডাকাডাকি করে! নাহ, ধরাধরির মধ্যে নেই, দূর থেকে একটু তাকাতাকি করি!
লেখা কই!
রায়হান সেলিম
কবিতায় অসামান্য দক্ষতা আপনার ! সেই তীর্যকতাকে ভেদ করে দৃষ্টি রাখা সত্যিই কঠিন। উদারতার উন্মিলিত জ্যোৎস্নায় অবগাহন করার স্বাদ-ই আলাদা।উপলব্ধির জলের ঝাপটা ভিজিয়ে দেয় নিরুদ্বেগ উপমায়।
ছাইরাছ হেলাল
আপনার প্রশংসা পেয়ে আনন্দিত বোধ করছি,
আবার শংকিতও হচ্ছি,
যদিও আপনার মন্তব্য পেলে আরও সামনে এগুবার পথ উন্মুক্ত হবে অবশ্যই,
মনির হোসেন মমি(মা মাটি দেশ)
শেষ মুহুর্তে ধরতেও পারলেন না।দূরের কাছে (y)
ছাইরাছ হেলাল
নাহ, ধরা দেয়নি! তবে দূরের কাছে থেকেছে,
শুন্য শুন্যালয়
হাতে ক্যামেরা নিয়ে যাইতেন, দেখতেন পালাতো কিনা। মরার পাখিগুলো ক্যামেরা দেখলেই ভোঁ দৌড় দেয়।
খুব ইচ্ছে করছে আপনার এই লেখাটায় একটা পাখির ছবি বসিয়ে দেই, টেনিস না হলেও একটা ছোট সকার নেটের উপর বসা একটা পাখির ছবি তুলেছি সেদিন, কিন্তু মুশকিল হলো ফিঙে পাখিতো নাই, আর ফিঙ্গে পাখি যে কোনটা তাই-ই তো চিনিনা। 🙁
যাক বকর বকর বাদ। দূরের কাছে শব্দটিতে আমারো চোখ আর মন দুই-ই আঁটকে গেছে। ফিঙে পাখি কাকে ডাকছে কী বলছে তা না জানলেও কিছু বলেছে এও বা কম কী। হয়তো বলেছে, কাছে আসার এতো দুঃসাহসে! আবার হাঁটি হাঁটি করে ফিরে যাও, দূরত্ব নমস্য।
ফিরে এসে সুইট একটা লেখা পড়ে খুবই ভালো লাগলো। আছেন কেমন ভাউ?
ছাইরাছ হেলাল
এমন মন্তব্য পেলে লেখারাও বেঁচে-বর্তে যায়,
প্লিগ লাগে ছবিখানি জুড়ে দিন, দেখি না কী হয়!
আসলে এটি কিন্তু সত্যি কাহিনী, নিজেই বেশ অবাক হয়েছি পাখিটির কাণ্ড দেখে।
আটঁকে যাওয়া মনচোখ দিয়ে কিছু একটু নামিয়ে ফেলুন, পড়া হয়নি অনেক কাল,
বিলকুল ভাল আছি আপনাদের সবার সাথে থেকে, তবে উপবাস চলছে।
আপনি কেমন আছেন তা জানতে চাচ্ছি না, লেখার গোডাউন গোছাচ্ছেন তা বুঝতে পারছি।
শুন্য শুন্যালয়
সুন্দর স্নিগ্ধ লেখাটির বারোটা বাজিয়ে দিলাম, তবুও ইচ্ছে পূরনের ধাপে নেমেছি, কোন ইচ্ছেই অপূর্ন রাখবোনা। অনুমতির জন্য ম্যালাগুলা থাংকস ভাউ।
লেখাটিয়ে সত্যি কাহিনী তা বুঝতে পেরেছি।
লেখার গোডাউন? বৈশাখের চরের মতো এখন আমার জমিন, কিচ্ছু নাই লেখা।
পড়ে পড়েই আগে ঝালাই করে নেই মগজটা, 🙂
ছাইরাছ হেলাল
এটিকে যদি বারোটা বাজানো বলা হয় তা বাজুক না! এক টা বা দুই টা বাজালে
আরও ভালই হয়/ হবেও,
আপনি বুঝবেন না তাও কি হয়!
চর-ফরের কাহিনী বলে সুবিধা হবে না, কাজে নেমে পড়ুন, খুবই জলদি,
ছবিশালা খুলে ফেলুন, ভর্তি হয়ে যাই!