বরফের ভেতর বরফ, স্রোতের মধ্যে স্রোত, ছবির ও ছবি থাকে ,
ক্যামেরার চোখ থাকে, চোখে দেখা থাকে, চোখের ও স্মৃতি থাকে।
সোনালী এলো চুলে বাঁকা ঘাড়ে মুখটেপা গোল চোখে বান ডাকা ঝক্ঝকে স্বচ্ছ হাসি থাকে;
পাঁচ-পাঁচটি বেনোজল পায়ে ঠেলে স্বপ্নচোখে কাশফুলের শুভ্রতা জেগে থাকে।
হাওয়াই-মিঠাইয়ের মিষ্টি গন্ধ মেখে বাতাস এখনও হেসে ওঠে সুরের মূর্ছনা নিয়ে
বিনিদ্র রাত্রির মধুর ঝড়ো ঝগড়ায় গভীর ভালোবাসা থাকে,
ভালোবাসা বেঁচে থাকে সকালের সোনা রোদের ভেজা চুলে।
আম্র কাননের ছায়া শীতল আলোরদ্দুরের নিশ্চুপতায় হেসে ওঠে প্রতীকী বীরেরা
মায়ের অশেষ শুশ্রূষার ছোঁয়া পেয়ে ।
৪৫টি মন্তব্য
বন্য
স্বপ্নচোখে গুনা বেনোজল পায়ে ঠেলে শরৎ-এর কাশফুলের মুগ্ধতা নেওয়া কঠিন বটে। সম্পূর্ণ প্রতিকী এক সৃষ্টি, যেদিকে পাল ফেলি সেদিকেই যায়। শেষে এসে মায়ের শুশ্রূষা আম্র কাননে কিছুটা ভাবায় , আম্র কানন সম্পর্কে ভুলে গেছি, অথবা মনে করতে না পারার ব্যর্থতা। সোনা রোদের ভেজা চুলে ভালবাসা খুঁজে পাওয়া সবার হয় না কারো কারো হয়।
ছাইরাছ হেলাল
মুজিব নগরের স্মৃতি সৌধে আমের বাগানের কথা বলতে চেয়েছি।
বন্য
ও হো! হ্যা এবার মনে পড়েছে, মাথায় এসে এসেও চলে যাচ্ছিলো বার বার। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
ছাইরাছ হেলাল
আপনাকেও ধন্যবাদ।
মোঃ মজিবর রহমান
সৃতি জাগানীয়া
ধুব ভাল লাগলো হেলাল ভাই।
ছাইরাছ হেলাল
হ্যা, স্মৃতি রোমন্থন বলা যেতেই পারে।
মোঃ মজিবর রহমান
থাঙ্কস ভাইয়া।
কৃষ্ণমানব
আকাশের ও ওপারে আছে আকাশ . . .
স্বপ্নগুলো ডানা মেলুক সেখানেও !
বাতাসের ওপারে ও আছে বাতাস ..
বুক ভরে নিঃশ্বাস নিবো
কাশফুলের শুভ্রতা শরৎ নিত্য নতুন আমেজে স্পন্দন খুজে পায়. .
আপনার লেখায় !
ছাইরাছ হেলাল
আপনার সুন্দর মন্তব্য দেখছি আমার লেখা থেকেও ভাল।
অনেক ধন্যবাদ।
মনির হোসেন মমি(মা মাটি দেশ)
বেশ আবেগী কথন যে
আম্র কাননের ছায়া শীতল আলোরদ্দুরের নিশ্চুপতায় হেসে ওঠে প্রতীকী বীরেরা
মায়ের অশেষ শুশ্রূষার ছোঁয়া পেয়ে ।
ছাইরাছ হেলাল
অবশ্যই বেশ আবেগ নিয়েই এ লেখা।
মাতৃত্বের বিকল্প নেই ।
শুন্য শুন্যালয়
ক্যামেরার চোখ থাকে,চোখে দেখা থাকে,চোখের ও স্মৃতি থাকে। বাহ্। প্রকৃতির রূপ কতো সুন্দর উপমায় বর্ননা করলেন!!! পুরোটা অনেক সুন্দর। আমি আম্রকানন দেখে বড়জোর একটা ছবি আপলোড করে দিতাম। দেখবার চোখই কি কবি কবি ভাইয়া? নাকি লিখতে বসে কবিত্ব?
পাঁচ পাঁচটি বেনোজল মানে কি পাঁচটি পুকুর আশেপাশে?
এবার আমার মন্তব্য কেউ যেন কপি না করে …
ছাইরাছ হেলাল
আপনার দেখার চোখ আছে তাই সুন্দর করেই দেখেন। সবাই হয়ত এমন করে দেখতে পারে না।
যা দেখেছি তা বলার নিষ্ফল প্রচেষ্টা মাত্র। আপনি বললে আরও সুন্দর করেই বলতেন।
ইহা অবশ্যই কবিতা নয়।হয়ত আমার চোখের ভ্রান্তিও হতে পারে।
‘পাঁচ পাঁচটি বেনোজল’ বলতে অসংখ্য বাঁধা বোঝানো হয়েছে।
কপির ব্যাপার ! সে তো একান্তই আপনাদের নিজস্ব।
বাইরে থেকে কথা বলা ঠিক হবে না।
আপনার লেখা কই?
বনলতা সেন
কপি করা নিষেধ। তবে আমার আত্মীয়ের লেখা আপনার মন দিয়ে পড়া দরকার।
লেখালেখি এত সহজ কোন কাজ নয়।
ছাইরাছ হেলাল
জ্বী, ওনার লেখা এবার থেকে খুপ মন দিয়ে পড়ব। কিন্তু সে খুপ কুঠিন করে লেখে।
শুন্য শুন্যালয়
না না আমার কথা বলছেনা তারা। হয়তো অন্য কারো কথা।
ছাইরাছ হেলাল
কার কথা বলেছেন একটু যদি বুঝতে পারতাম তাহলে ভাল হোত ।
খেয়ালী মেয়ে
বাতাস এখনও হেসে ওঠে সুরের মূর্ছনা নিয়ে
বিনিদ্র রাত্রির মধুর ঝড়ো ঝগড়ায় গভীর ভালোবাসা থাকে,
ভালোবাসা বেঁচে থাকে সকালের সোনা রোদের ভেজা চুলে… (y)
ছাইরাছ হেলাল
আমার লেখা কপি-পেষ্ট করলে হবে না। বুঝিয়ে বলতে হবে।
ওয়ালিনা চৌধুরী অভি
আপনার লেখা পড়ে তো ফিদা হয়ে গেলাম রে ভাই… আসলেই এটা আমার কপাল ..এমন একজন গুণী মানুষের সাথে কিছু সময় বেড়ানোর সৌভাগ্য হয়েছিল… :c
ছাইরাছ হেলাল
হে আমার,আমারই ঈশ্বর;
চোখ ম্যালো,একবার হলেও,
আড় চোখে হলেও তাকাও,
দেখ,
তোমার নাদান নবিশ বান্দার
এ কী হাল!
আপনাকে বচন রানী বলাই যায়।
ওয়ালিনা চৌধুরী অভি
হা হা হা… কেন ডাকাতও বলতে পারেন 😉 সব গুলা টি-শার্ট হাইজ্যাক করার ইচ্ছা ছিল :p
ছাইরাছ হেলাল
ডাকাতি করা যাবে না এমন না।
এ দেখছি দস্যু রানী!
ভয় পেতে চাই।
লীলাবতী
লেখাটি পড়ে এক মিষ্টি সুবাতাস বয়ে গেলো যেনো আমাকে ছুঁয়ে ।
ছাইরাছ হেলাল
আপনার মন্তব্য ও সুমিষ্ট ঘ্রাণ ছড়াচ্ছে।
তেঁতুল খেতে খেতে লিখছেন বুঝি !
শিপু ভাই
বহু বহুদিন পর “ব্লগে” আপনার কোন পোস্ট পড়লাম। নস্টালজিক হয়ে গেলাম মামা।
খুব ভাল বোধ করছি।
কবিতা নিয়ে বলার কিছু নাই। জাস্ট++++++++++++++++
সোনেলায় নিয়মিত হবো আজকে থেকে। 🙂 এটা এই ব্লগে আমার ২য় মন্তব্য।
ছাইরাছ হেলাল
আমার প্রিয় মামাকে এখানে দেখে সত্যি ই আবেগে প্রবণ হচ্ছি ।
মনে পড়ে সে সব ফেলে আসা সোনালী দিনের কথা।
নিয়মিত হলে আমাদের থেকে আর বেশি আনন্দিত আর কেউ হবে না।
শুভেচ্ছা ও ধন্যবাদ।
শিপু ভাই
এতদিন নেট প্রবলেমের কারণে ইচ্ছা থাকা স্বত্বেও নিয়মিত হতে পারি নাই।
এখন আর সমস্যা নেই। 🙂
ছাইরাছ হেলাল
শুনে ভাল লাগল অনেক।
ব্লগার সজীব
কত সুন্দর ভাবে উপস্থাপন করলেন একটি ঘটনাকে। ভালো লেগেছে খুব।
ছাইরাছ হেলাল
চেষ্টা করেছি নিজের মত বলার ,পেরেছ কী না বা কতটা তা জানিনা।
ধন্যবাদ।
জিসান শা ইকরাম
ছবির ও ছবি থাকে , চোখের ও স্মৃতি থাকে
কি বলা যায় এমন বাক্যকে !
ছবির ছবি, চোখের স্মৃতি রয়ে যায় হৃদয়ের গহিনে
কিছু মানুষ আসে ভোরের শিশিরের মুক্তোর দানা হয়ে জীবনকে স্নিগ্ধ করতে।
শেষ লাইনে আম্মাকে এত উচ্চতায় নেয়ার জন্য কৃতজ্ঞতা।
ছাইরাছ হেলাল
আপনার আম্মাকে উঁচুতেই দেখি, রাখিও সেখানে।
সাইদ মিলটন
ভালোবাসা বেঁচে থাকে সকালের সোনা রোদের ভেজা চুলে…
এই লাইনটা পড়ার সময় যে লাইনটা ভিজুয়ালাইজ হয় অইটা আমার সবচেয়ে পছন্দের একটা ভালোবাসায় মাখামাখি মুহূর্ত 🙂
আপনার লেখা নিয়া বলার কিছু নাই , জাস্ট অসাম 🙂
ছাইরাছ হেলাল
কল্পনা মিশে আছে একই বিন্দুতে।এ ছাড়া আর কী বলতে পারি।
নিয়মিত লেখা চাই এখানে। মনে থেকে যেন।
সাইদ মিলটন
উক্কে 🙂
হিলিয়াম এইচ ই
আবেগী কথন।। 🙁
ছাইরাছ হেলাল
আপনি তো আমাদের ভুলে গেছেন।
লিখতে শুরু করুণ।
হিলিয়াম এইচ ই
ভুলি নাই। এখন লেখার সময় পাই না। তাই পড়ি। তাও ১ম পৃষ্ঠা।
ছাইরাছ হেলাল
প্রথমে নিজের কাজ,পরে অন্য কিছু। মাঝে-সাজে উঁকিঝুঁকি চালু রাখলেই হবে।
মেহেরী তাজ
ভাইয়া শিরোনাম দেখে’ এক যে ছিলো সোনার কন্যা……… হাসিতে যার মুক্তো ঝরে রে…………… ‘ গানটি মনে পরলো। জানিনা কোন সোনার কন্য ছিলো কিনা লেখায়। তবে মন্তব্যে এক সোনার কন্যাকে দেখলাম 🙂 আপনার লেখার একজন ভক্ত আমি।
ছাইরাছ হেলাল
এখানে অনেকেই অনেক ভাল লেখেন কিন্তু।
সব লেখা আক্ষরিক অর্থে নিলে হবে না তো।
সে কিন্তু আমাদের একজনের আম্মা হন। অতি স্বজন আমাদের।
ধন্যবাদ আপনাকে।
শুন্য শুন্যালয়
আচ্ছা এটা তাহলে আপনাদের আম্মা, মানে আমাদের খালাম্মাকে নিয়ে লেখা? আমি ভেবেছিলাম দেশকে নিয়ে।
তবে আম্মা আর দেশমা একই কথা।
ছাইরাছ হেলাল
হ্যা,আমাদের আম্মা। তবে তাকে নিয়ে লেখা বলা যাবে না।
তিঁনি লেখায় এসেছেন। আপনি সময় ই মন দিয়ে পড়েন।
নীলাঞ্জনা নীলা
স্নেহাতুরা কাব্য, ঠিক আছে তো শব্দটি?
সকল মন্তব্য পড়ে একটা শব্দেই আটকে গেলাম। “নারী”—দেশমাতৃকা, মা জননী, প্রেমময়ী। -{@ (3
শিখতে চাই লেখা আপনার থেকে। শেখান না প্লিজ। এ নিয়ে দুষ্টুমী না, যে আপনি পারেন না লিখতে…ব্লা ব্লা ব্লা—-