আমার চোখে আওয়ামী লীগ বনাম জাতীয়তাবাদী দল

মিল
১/ দলের আমলে ঠিকাদারি কাজ নিতাম ১০ পারসেন্ট দিয়ে , এখন নেই শতকরা ১০ টাকা দিয়ে ।
২/ অফিস আদালতে ঘুষও দেই দুই আমলে সমান পরিমাণ। তবে লীগের প্রথম ২ বছর কিছুটা কম লেগেছে । ইনকাম ট্যাক্স অফিসে প্রথম দুই বছর ঘুষ চায়নি কেউ।
৩/ ঢাকার সিএনজি স্ট্যান্ড গুলোতে আগেও ৫-১০ টাকা নিত , এখনো নেয়। ট্যাক্সি/ সিএনজি চালকদের ভাব সেই আগের মতই ।
৪/ ফুটপাতে আগেও দোকান ছিল , এখনো আছে । প্রতি দোকান থেকে রোজ টাকা তোলার পরিমাণ এবং পদ্ধতি এক।
৫/ দুই আমলেই ক্ষমতাবানরা অন্যের কেন্দ্রীয় অফিস পুলিশ দিয়ে অবরুদ্ধ করে রাখে ।
৬/ দুই আমলেই মহিলা কর্মীরা মিছিলের সামনে থাকেন। পুলিশ পিটাইয়া রক্ত বেড় করে কেন্দ্রীয় নেতাদের।
৬/ মুখে গণতন্ত্রের কথা বললেও দল/লীগ চলে একনায়ক ভাবধারায় ।
৭/ লীগ/দলের নেত্রী শাড়ী পড়েন।
৮/ দুই আমলেই আমার ছেলেদের মা আমাকে একই রকম ভালোবাসে 🙂

অমিল 
১/ লীগের মাঝে আশ্রয় নেয়া রাজাকারদের মুখ দিয়েও লীগ বলাতে পেরেছে ' যুদ্ধাপরাধীদের বিচার চাই ' । দলের মাঝের রাজাকাররা দলকে দিয়ে বিচারের বিরুদ্ধে এবং রাজাকারদের মুক্তির জন্য আন্দোলন করাতে পেরেছে।
২/ লীগের সমর্থকরা মাঝে মাঝে লীগের সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করেন ( জোড়া আবুলের কর্মকান্ড , ক্রিকেট দলের পাকিস্থান সফর , লোটা কম্বল উপাধী , বিএসেফ এর নির্যাতন , ভারতীয় পণ্য বর্জন , টিপাই মুখি বাধ , সুরঞ্জিত সেন - আপাতত এই কটা মনে আছে )
দলের সমর্থকরা হাইকমান্ডের কোনো কিছুর বিরোধিতা করেন না।
৩/ প্রচার সেল লীগের খুব দুর্বল , দলের শক্তিশালী ।
৪/ দুর্নীতির অভিযোগে দুএকজন মন্ত্রী পদত্যাগ করেন লীগের , দলে কেউ করেছেন বলে আমি মনে করতে পারছি না।
৫/ লীগের মাঝে এমন দু একজন নেতা আছেন যারা মন্ত্রিত্বের অফার প্রত্যাখ্যান করতে পারেন। দলের মধ্যে মনে হয় তেমন কেউ নেই।
৬/ লীগের নেত্রীর শীত বেশী , দলের নেত্রীর গরম বেশী । ( শাড়ীতে প্রমান )

আপাতত এই । সম্ভাবনা আছে - দুতরফের গালি খাবার । ব্যাপারনা -
আমি যেভাবে দেখেছি , তাই লিখেছি।

0 Shares

৬টি মন্তব্য

মন্তব্য করুন

মাসের সেরা ব্লগার

লেখকের সর্বশেষ মন্তব্য

ফেইসবুকে সোনেলা ব্লগ