শব্দের রাজফড়িং ছুঁয়েছি বলেই
এ বিহ্বলতা,
শব্দশব এড়িয়েছি বলেই শব্দাহংকারের
এ ই চঞ্চলতা,
জড়িয়ে বিষাদকালো শব্দছায়া
অপরাজিতার চেয়েও গাঢ় লাল শব্দ-ফুলের
আজন্ম বিষণ্ণতা!!
প্রজাপতির স্বপ্নসাঁতারের হৃদয়গাঙে
উজানের বন্যতা;
বাঁক-বদলেও হয়না থাকা দাগহীন নিরুত্তাপ,
বিবাগী নিঃস্পৃহতায়ও নয়,
শব্দলোলুপতা জেগে থেকে জাগিয়ে রাখে
জীবনের স্বপ্ন-দ্বীপের অভিন্ন সত্তায়, ছেনে-ছুনে;
প্রাণোচ্ছল স্বতঃস্ফূর্ততায়; উচ্ছ্বাসের ধুন ধরে,
আঁতিপাঁতি করে খুঁজে পাওয়া শব্দের রাজফড়িং
আশংকারগ্রীবা ঘুরিয়ে তাকায়, দেখতে থাকে;
শব্দের আধখোলা চোখ মধ্যাকাশে, দ্যাখে দ্যাখায়,
ঝর্না-জলের স্ফুরণে চিরবসন্তের সবুজ নরম শ্যাওলা,
নিসর্গ দু-ফাঁক করে উসখুস করে, যাব কী যাব না,
সুখ-সখ্য-বিরাম-আরাম বা জখম–বেদনা –সুখ,
এটা-ওটা,
নিখুঁত হৃদয়ের তৃণভূমি!!
সহসা পৃথিবীর গভীর থেকে উঠে আসা বন্য কৃষাণ
আমাকেই দেয় পথরেখা;
৩৩টি মন্তব্য
মনির হোসেন মমি(মা মাটি দেশ)
শব্দের রাজফরিংয়ের দেখা আর কখনো দেখতেও পাবো না,শব্দ নিয়ে বাহাদুরীও করতে পারবনা।কবিতাটি তেমনটি এখনো বুঝে উঠতে পারিনি আরো কয়েকটি মন্তব্যের পর আবার আসব। -{@
ছাইরাছ হেলাল
আমি কিন্তু নিজেই ভাল বুঝি না,
আর শব্দ নিয়ে বাহাদুরির ও কিছু নেই,
পড়েছেন তাই ই অনেক,
ধন্যবাদ,
অনিকেত নন্দিনী
শব্দের রাজফড়িং ছুঁয়েছেন সে কবিতা পড়েই ঢের বুঝতে পারছি। ফড়িং ছোঁয়া তো দূরের কথা শুঁয়াপোকাও ছুঁতে পারিনা। ^:^
কবিতায় “ড্যাস” এর মাত্রাতিরিক্ত ব্যবহার চোখে পড়ছে। লবণ হোক আর মিষ্টি কুনুডাই বেশি খাওন ভালোনা, ব্যামো হয়।
আরো কডিন কডিন ল্যাহা ল্যাখতে থাহেন। এইসব কডিন ল্যাহা ভাবতে গিয়া মাথার চুল বেবাকডি পইড়া যাউক। :p
ছাইরাছ হেলাল
‘ড্যাস’ এর ব্যবহার নিয়ে খুব দ্বন্দ্বে আছি, এখন যারা লিখছেন বিখ্যাতজন
তাঁদের লেখায় এমন ব্যবহার দেখছি, আবার একটু পুরানো লেখায় এই ব্যবহার নেই, বেশি পেছনের লেখায় এমন ব্যবহার আছে,
মাস্টারাফার সাহায্য চাই,
চুলফুল নাই হয়েই আছে, তাই আর ভাবি না, এসব আউল-ফাউল ল্যাহা নিয়ে!
অনিকেত নন্দিনী
বাংলা ব্যাকরণের সমাসের নিয়ম অনুযায়ী দুটি শব্দ একসাথে লিখতে গেলে ড্যাস দিয়ে লেখা হয়। সেই হিসাবে “বিষাদ-কালো” বললে বিষাদ ও কালো বোঝায় কিন্তু বিষাদকালো বললে রূপক অর্থ্র বোঝায় ‘বিষাদের মত কালো’।
এখনকার বিখ্যাতজন মাত্রই যথার্থভাবে ব্যাকরণ জানবেন এমনটা আশা করা ঠিকনা। আমরা বাংলা লিখতে প্রচুর ভুল করছি। ভুল লিখতে ভূল লিখছি, মানুষের না লিখে মানুষ এর লিখছি, দাঁড়ি কমার ব্যবহার জানিনা, অব্যয় আর বিরাম চিহ্নের ব্যবহারে তালগোল পাকাচ্ছি। 🙁
ছাইরাছ হেলাল
ওরে বাব্বা, এই না হলে মাস্টারাফা(কড়া) বলি সাধে!
নাসির সারওয়ার
না না, কোথায় যাবেন একালে! থাকুন আপনি আপনার হৃদয়ের গহীনে আর কি যেন ফড়িং নিয়ে।
ভালো লিখেছেন। খুবই সহজ।
ফড়িং গুলোকে বাচিয়ে রাখুন। আমার মত পাঠকের জন্য ভেবে সময় নষ্ট করা যাবেনা।
আর কি কি বলা যায়!
ও টিচার, বাকি চুলগুলোতো বাচানো দায়।।। কিছু একটা করেন।
ছাইরাছ হেলাল
আপনি সমজদার কুবি মানুষ, আপনাদের জন্যই ল্যাহি,
এভাবে দূর দূর করা ঠিক না ঠিক না,
যাওনের জায়গা থাকলেও আপনাদের রেখে কই যাই কী ই বা করি!
আবু খায়ের আনিছ
ভাইয়া, শব্দ নিয়ে ইদানীং আপনার বেশ কিছু লেখা দেখলাম। শব্দেরা আপনাকে ধরেছে ভালো করেই সুতরাং যেতে চাইলেও আর যেতে পারবেন না।
ছাইরাছ হেলাল
এগুলো কোন লেখাই না,
আজগুবি আউল-ফাউল যা ইচ্ছে তাই টাইপ লেখা,
এমন কিচ্ছু না,
আবু খায়ের আনিছ
আপনার লেখা যদি ফাউল হয় তাহলে আমার মত মানুষের লেখা অফসাইড বা কর্ণার।
ছাইরাছ হেলাল
আপনারা সবাই অনেক ভাল লেখেন,
তবে আরও ভাল অবশ্যই লিখবেন,
নীলাঞ্জনা নীলা
আমার শব্দগুলো এভাবে নিয়ে গেলেন? নাহ শব্দ দিয়ে জব্দ করার কারসাজি একদিন ঠিক ধরে ফেলবো। সেদিন কি করবেন শুনি!
ফড়িং কিন্তু বেশী ছুটতে পারেনা, প্রজাপতিকে ধরা কষ্ট। শব্দ নিয়ে খেলায় জয়ী হয় আবেগ, কেন বলুন তো!
ভাবছি শব্দদের সাথে লুকোচুরী খেলার টুর্ণামেন্ট চালু করবো। কেমন হয়! তখন আমি হবো বিচারক, আর সোনেলার সোনারা সবাই খেলোয়ার। ইস কি মজাই না হবে! 😀
এতো সহজ কুবিতায় যে মন্তব্য করেছি, এটাই আপনার অনেক ভাগ্য কুবিরাজ ভাই। আমি কঠিন কুবিতা ছাড়া মন্তব্য সাধারণত করিনা। :p 😀
ছাইরাছ হেলাল
আপনি লেডি গুরু,
আপনি বুঝবেন্না তা কি হয়!
আপনি লুকোচুরি করলে মন্দ হয় না,
তবে আপনার বিশালতা নিয়ে ব্যাপারটি একটু কঠিন বৈকি!
তা দিন তারিখ দিয়ে শুরু করে দিন, দর্শক বনে যাই তড়িঘড়ি করে,
উহ! আপনাদের থেকে নিয়েই আপনাদের নিয়েই তো আছি,
নীলাঞ্জনা নীলা
হ আমি তো সবজান্তা। এইভাবে মনে করাইয়া দিয়েন। এতো জ্ঞান মাথায় লইয়া সব আউলাইয়া ফেলি।
কুবিরাজ ভাইয়ের কুবিতার আলপিন মন্তব্যে মনে পড়ে সব। 😀
ছাইরাছ হেলাল
আপনার বিশাল বিরাট মন, কিছুই এড়িয়ে যাবার জো নেই,
ইঞ্জা
বেশি মোটা মোটা কথা বলা আমার দ্বারা হয়না তাই শুধু বলি “মুগ্ধ হলাম কবি”।
ছাইরাছ হেলাল
ছিলিমগুলো হাতের কাছে পাচ্ছি না, ধরাও দেয় না,
ভাবছি আপনার কাছ থেকে কিছু ধার নেয়া যায় কীনা!
ইঞ্জা
এই সেরেছে, তা ভাই আমারে মাফ করা যায়না? ^:^
ছাইরাছ হেলাল
উহ, সেটি পারব না,
ধার আপনাকে দিতেই হবে,
মিষ্টি জিন
রাজফডিং খুঁজছেন?
ছোটবেলায় অনেক ফড়িং ধরেছি তবে রাজফডিং কখন ও দেখিনি। আচঁছা ধরতে পারলে আওয়াজ দিয়েন।
:D)
অপরাজিতা দেখেছি,শুনেছি নীল হয় সাদা হয়।লাল হয়,জানতাম নাতো ^:^
খুব ভাল লেগেছে কবিতা।
🙂
ছাইরাছ হেলাল
আওয়াজ দিতে সমস্যা নেই, তবে ভয় আছে, ভাগ চেয়ে বসবেন কীনা বুঝছি না্!
অপরাজিতাদের রংয়ের শেষ নেই! কল্পনা করে নিলেই হয়।
মিষ্টি জিন
আমি কোন ভাগাভাগির মধ্যে নাই।পুরোপুরি চাই।
কল্পনা কেমতে করতে অয় ,শিখতে মুন্চায় 😀
ছাইরাছ হেলাল
আচ্ছা, পুরোটাই পাবেন!
কল্পবিদ আপনি হয়েই আছেন,
আর শিখতে হবে না, বরং আমাদের শেখাতে শুরু করুন,
শুন্য শুন্যালয়
দেয়ালে মাথা ঠুকতেই আছি ঠুকতেই আছি, ভাবলাম দোয়েল যদি কিছু উদ্ধার করে দিতে পারে। কিন্তু কিসের কী!!
আমি বাবা কোনদিন ফরিং ছোঁবার চেষ্টাও করবো না। ধরনী ফাঁক হলেও কিচ্ছু বলবোনা, অই দেখিয়ে দেয়া পথ-রেখাতে ভুলেও চলবো না।
পই পই করে প্রত্যেক লাইনের ব্যখ্যা করুন। এইটা একটা লেখা হইলো? এতো সহজ কেন? 🙁
ছাইরাছ হেলাল
এ লেখাটির মূলানুগ ভাবনায় ‘শব্দ’, সামান্য বাড়িয়ে বললে শব্দপ্রীতিও বলা যায় বললে,
এসব শব্দদের অবস্থান নিঃশ্বাস দূরত্বে না হলেও দূরতম নাক্ষত্রিক দূরত্বে তাও নয়, এটি বোঝাতেই মধ্যাকাশ (মধ্য আকাশ) বলা হয়েছে,
শব্দের প্রতি এই ভালোলাগা ভালোবাসা, দুঃখ-যন্ত্রণার সুখ সুখ অনুভূতি, তা ভাব প্রকাশের অসফল প্রচেষ্টা হিসাবেও ভাবলেও ভাবা যেতে পারে। শব্দসখ্যতা একটি দীর্ঘ সহজাত অভ্যস্ততা ও চর্চা যা প্রতিক্ষণে হৃদ্য হৃষ্ট হৃদয়ে বহন করতেই হয়, যা একই সাথে কষ্টসাধ্য ও অপার আনন্দেরও।
এই সখ্যতা ও শব্দাকুলতার জন্য শব্দেরা জীবন্ত হয়ে ভাব-ভাবনায় দেদারছে ভাগ বসাচ্ছে (দ্যাখে দ্যাখায়), যার ফলশ্রুতিতে সামান্য কাবঝাপ,
সময়ের নানা বাঁকে দাঁড়িয়ে (বাঁকবদল) শব্দদের এই অবিশ্রান্ত আনুকূল্য নেয়া হয় না, নেয়া যায়ও না, তা সত্ত্বেও শব্দাকুলতা ও শব্দের মায়াজাল অনপেক্ষিত (যা উপেক্ষা করা যায় না) থেকেই যায়, আর তাই ফিরে ফিরে যেতে হয় শব্দদের নিরবিচ্ছিন্ন গভীরতর নীড়ে,
না এড়ানো পাখির চোখে (আপনার) দেখেছেন, এটি আপনার লেখায় করা একটি মন্তব্য থেকে শুরু করে এই লেখাটির ব্যাপ্তি ও বিস্তার, কোন কোন মন্তব্যে একটি পোস্টের সক্ষমতা থেকেই যায়, কখনও তা প্রকাশিত বা অপ্রকাশিত,
ভাগ্যিস প্রতি শব্দের ব্যাখ্যা চেয়ে বসেননি! (আল্লাহ সহায়), যদি এমন হতো এ লেখার কোন কোন বা অনেক শব্দের মধ্যেই লেখারা (পোস্ট) লুকিয়ে আছে! তাহলে তো তা লিখতে লিখতে কম্মকাবার হওয়ার জোগাড় হয়ে যেত,
সহজ লেখা শেখানোর মোজেজা বুঝতে পারছেন নিশ্চয়ই!
বিষয়ান্তর হলেই অপ্রয়োজনীয় নয় ভেবেই বলি,
আমরা করো জন্য লিখি, আবার কিন্তু লিখিও না, ধরুন আপনি ভাবলেন ( আপনি তা ভাবছেন না, আপনার জন্য লিখিও নি) লেখাটি আপনার জন্য!
এখানে আমার ভাবনাটি এরকম, আমি বা আমরা কথাও কোন জানা বা অজানা গন্তব্যের উদ্দেশ্যে যাত্রা করলাম, পথমাঝে প্রয়োজনে অপ্রয়োজনে থেমে থেমে নানান চেনা বা অচেনা মানুষদের সাথে কথা বললাম, চা বা টা ও খেলাম! লেখায় এ বিষয়গুলোও চলে আসে,
এটি পথের দূরগামী পথিকের যাত্রা পথ মাত্র, সবসময় এটি গন্তব্য না, যা দেখা যাচ্ছে,
গন্তব্যদিশা শুধু পথিকই জানে বা জানে না, তবুও সে পথেই থাকে, পথকে আপন ভেবেই
আউল-ফাউল ল্যাখে, ল্যাখবেও!
মিষ্টি জিন
কবিতার অর্থ এমন সহজ ভাবে (কঠীন) বুঝিয়ে দিলে না বুঝে উপায় আঁছে ? ^:^
ছাইরাছ হেলাল
যাক বাঁচলাম, আপনি বুঝতে পেরেছেন!
মৌনতা রিতু
ননদিনীর মতো দেয়ালে মাথা ঠুকতেই আছি। তয় মোর কিন্তু উপকার হইছে মাইগ্রেনীল, ইরাকজিট, জেলকর্ট,মিরজালাক্স যে মাইগ্রেনের ব্যাথা কমাতে পারেনি এই মাথাখুটেই ব্যাথা চইলা গেছে।
কুবি ভাই, ভিজিট দিমু ক্যমনে।
শব্দরে তোর কতো যাদুরে ! :c
শব্দ নিয়ে থিসিস চলতেই থাক।
ছাইরাছ হেলাল
মুফতে যাদু দ্যাখা ঠিক না,
আরে করছেন কী করছেন কী! দেয়াল ব্যথা পাচ্ছে তো! ভেঙ্গে ফেলবেন না যেন!
আপনি তো দেখছি খুবই হৃদয়হীন!
মৌনতা রিতু
মুই বাঁচি না মাথা লইয়া! ;( দেয়াল দিয়া কি করুম ! ভাইঙ্গা যাউক।
মৌনতা রিতু
অবশ্যই লেখককে সাধুবাদ জানাই। পড়েছিলাম লেখাটা। কিন্তু মন্তব্য করা হইছিল না।
আচ্ছা আমি যদি বই না পা, এই ফোনের ভিতরে ঢুকেই কিন্তু ঝগড়া করুমনে।
মুই কিন্তু সেই ঝগড়ি। :p
অনেক অনেক শুভকামনা রইল।
ছাইরাছ হেলাল
ভুল করে ভুল আমরা করি ই!