বেজি , আপাত নিরীহ প্রাণীটি মুলতঃ আফ্রিকা মহাদেশের। দক্ষিন এশিয়ার কিছু কিছু দেশে এই প্রানী দেখাতে পাওয়া যায়। আমাদের বাংলাদেশেও একসময় গ্রামের পথে ঘাটে প্রচুর দেখা গেলেও নগরায়ন এবং বন জঙ্গল কমে যাবার কারনে বর্তমানে এই প্রাণীটি বিলুপ্ত প্রায়।

বেজি বা নেউল যার সংস্কৃত শব্দ নকুল স্তন্যপায়ী প্রাণী। লোমশ শরীর । খুব দ্রুত চলাচল করতে পারে। মাছ, হাঁস-মুরগি, অন্য ছোট প্রাণী এদের খাদ্য।খুব খিপ্রতায় এরা শিকারকে কব্জা করে ।

রাতে এরা দলবেঁধে ঘুমন্ত বাড়িতে আসে খাবারের সন্ধানে

দিনের বেলায় খাবার সংগ্রহ করে রাতে মাটিতে নিজেদের তৈরীকৃত গর্তে বাস করে।

দলবদ্ধ হয়ে থাকে এরা হয়ত শ্ত্রুর আক্রমণকে সম্মিলিত ভাবে মোকাবেলা করার জন্য

অন্য প্রানীদের মতই সঙ্গীর মৃত্যু বা অসুস্থতা নিয়ে উদ্বিগ্ন এরা

জ্যোৎস্নায় এদের প্রতিক্রিয়া বেশ মানবিক ।  কেউ খোলা প্রান্তরে , কেউ গাছের ডালে । বেজিদেরও প্রেম আছে ।

 

বেজিকে সাপের শত্রু বলে গণ্য করা হয়। এরা দ্রুত প্রতিক্রিয়াশীলতা দ্বারা সাপকে পরাস্ত করতে পারে। এদের সাপের বিষে অনাক্রম্যতা আছে। অনুমান করা হয় যে এদের নিকোটিনিক অ্যাসিটাইলকোলিন রিসেপ্টার কেউটের বিষের সঙ্গে এমন ভাবে সহ-বিবর্তিত হয়েছে যে রিসেপ্টরের যে অংশে বিষ সাধারণতঃ বাঁধতে পারে সেই অংশটি পরিবর্তিত হয়ে গেছে ।  ফলে কেউটের বিষ বেজির রিসেপ্টরের সঙ্গে বেঁধে তাকে অকেজো করতে পারেনা। সম্ভবত প্রাণী জগতে বেজিই একমাত্র প্রানী যে সাপের বিষে মরেনা। মানুষের মাঝে এমন দুএকজন থাকতে পারে যাদের অনেক কিছুতেই কোন প্রতক্রিয়া হয় না।

0 Shares

১২টি মন্তব্য

মন্তব্য করুন

মাসের সেরা ব্লগার

লেখকের সর্বশেষ মন্তব্য

ফেইসবুকে সোনেলা ব্লগ