বুনোগাঁথা

শুন্য শুন্যালয় ২০ ডিসেম্বর ২০১৪, শনিবার, ০৮:০৮:১৩পূর্বাহ্ন একান্ত অনুভূতি, বিবিধ ৫২ মন্তব্য

সহস্র সহস্রের পথের খুলে দাও পথ, হিরণ্ময়ী ভোর, কিংবা ঝুল বারান্দায় বিজলি চোখের রাতের।
এফোঁড় ওফোঁড় হাজারটা চলে যাওয়ায় একটি ক্লু খুজঁতে নেই। এক একটা চলে যাওয়াতেই তার হাজার হাজার বায়োগ্রাফি।
নিজেকে ফেক একজন ফেলু দা কিংবা শার্লোক হোমস সবাই ভেবে নিতে পারে এই আমারই মতোন, তবু দিন শেষে ঝুলে পড়া মাথায় একটাই আকুতি জাগে, দেবী কৃপা করো।

ম্যাজিক রশ্মির মতো দেবীর দয়া ফিরে আসার অপেক্ষায় থাকি, অপেক্ষায় থাকি অপেক্ষার। এক চপল রণরঙ্গিণীর দস্যিপনায় খুঁজে পাই তাকে, কিন্তু কাকে খুঁজে ফেরে সে? শৈশব, ছায়া নাকি ইচ্ছে ছবিকে? অপটু লেখক, চিত্রকর কিংবা গান তৈরীর কারিগর যে সীমার বাইরে যেতে পারেনি কোনদিন। যে খুঁজে বেড়ায় সমুদ্রের অতল ভুবন, ভেতর ফুরে যেতে যেতে যে খুঁজে পায় গোপন মহল। কিংবা খুঁজে হয়তো পায়না সেই সে ঠিকানাবিহীন গাছ, যে গাছ ডেকে বলবে কেমন আছো বন্ধু আমার? এ-যে অনেক কাল পরে এ-দেখা।
সমস্ত চঞ্চলতায় ঘিরে থাকে কেনো তার ভেতর এক ডুবুরী?? কেনো থাকে চাঁদ বেয়ে নেমে যাওয়া দড়িতে ঝুলে যাওয়া ঝুলনা কিশোরী? আত্মহননে নিজেকে সরিয়ে ফেলা আবার জাতিস্মর হয়ে বেঁচে থাকবার ইচ্ছা, রহস্যময়ীর এ রহস্য পাজেল আমি কোনদিন মেলাতেই পারিনি। তাই ঐ পাজেলে আমি হাতই দেইনা। সবকিছু মেলাতেও নেই। মিলে গেলেই এলোমেলো করবার ইচ্ছেটা চলন্ত ঘড়ির ছোট আর বড় হাত......

0 Shares

৫২টি মন্তব্য

মন্তব্য করুন

মাসের সেরা ব্লগার

লেখকের সর্বশেষ মন্তব্য

ফেইসবুকে সোনেলা ব্লগ