একদা নন্দু (নন্দলাল) করিল ভীষণ পণ, কস্মিন কালেও শুঁটকি মুখো সে আর হবে না, হোক না তা এক নং অরগানিক লইট্টা, আড়ালের আড়ির খবর হলো শুঁটকি বিরতি দিয়ে কাচা মাছের দিকে চোখ ফেলেছিল, শুঁটকিভূত নন্দুকে লাইনে আনার জন্য গলায় পা ফেলে সামান্য ফেনা সহ রক্ত তুলে ফেলেছিল, মাইরা হুতাইয়ালবাম বা কচুকাটা** করে ফেলব এবারে, বেপথু হলে যা হয় আরকি, প্রাণটি রক্ষা পেয়েছে নানান দোহাই, প্রচুর নাকে খত সহ বহু কিছুর দিব্যি ও মন্ত্রপাঠে। অবশ্য ভূতের লিঙ্গটি বহু চেষ্টা-চরিত্রি করে নির্ধারণ করাতে রাজি করানো যায়নি। জানা যায়নি আধঘোমটা-টানা ধিঙ্গী ভূতনীর ছলাকলার কাব্য।
বিশ্বশুঁটকিরান্না দিবসের শ্রেষ্ঠ শুঁটকি রানার রেসিপিটি এক বিশেষ গুপ্ত কৌশলে সাফল্যের সাথে হাতানো সম্ভব হয়েছে, খান্দানি শুঁটকিখোরদের জন্য (এলেবেলেরা বাদ) অবশ্যই উহা বিনিময় যোগ্য, সানন্দে,
রন্ধন প্রণালী........................
উপকরণ সমূহ,
#লইট্টা শুঁটকি ছোট ছোট করে কাটা পরিমাণ মত, (বারকয়েক গরম পানিতে সিদ্ধ করে পানি ঝরিয়ে রাখতে হবে, (ব্যবহৃত পানি সাতঘাটের হলে ভাল হয়, একান্ত না পাওয়া গেলে, স্বচ্ছ পুকুরের পানি, রাতের দ্বিতীয় প্রহরে জ্বালানো পিদিম মাথায় রেখে জিভে কামড় দিয়ে পুকুর থেকে পানি তুলে নেভানো পিদিম হাতে আধা কলসি পানি না ঢেকে অতি দ্রুত ফিরে আসতে হবে)
#ঘানি ভাঙ্গা খাঁটি সরিষার তেল (কলুর বলদটি নিজে হতে পারলে সব থেকে ভাল),
#বড় পিয়াজ দেশী, নো হাইব্রিড (লম্বা করে চার টুকরো করে কেটে ভিতরের নরম অংশ চাকু দিয়ে তুলে আলাদা করে রাখতে হবে আস্ত, বাকী অংশ কুচি করে রাখতে হবে)
#রসুন আস্ত অনেকগুলি(খোসা ছাড়ানো)
#শুঁকনো লঙ্কা কিং সাইজ এক হালি,
#কাঁচা লঙ্কা (ভূতজালোকিয়া একান্ত না পেলে নাগা মরিচ হলেও চলবে, এটিও না পেলে ক্ষুদে মরিচ, এটিও কোন অপদার্থ হতভাগ্য শুঁটকিখোর জোগাড়যন্ত না করতে পারলে বাড়ইয়া মরিচ দিয়ে কাজ চালানো জায়েজ আছে)
#খাঁটি গব্য ঘৃত, (নিজের ঘরে তৈরি, তবে নিজ হস্তে দুধ দোহন করে নিতে পারলে অতি উত্তম, অন্যথায় দোহনে বিশেষ পারঙ্গম ব্যাক্তির সাহায্যও নেয়া যেতে পারে)
#কাজু বাদাম বেশ কয়েকটা, কাঁচা,
#এক টেবিল চামচ বাঘের দুধ, সদ্য দোয়ানো (ধোয়া ওঠা),
#সাদা গোলমরিচ (রং করা কিনা পরীক্ষা করে নিতে হবে),
রান্না......
ছোট ছোট করে কেটে গরম পানিতে বার দু’য়েক সিদ্ধ করে পানি ফেলে দিতে হবে, এবারে তেল গরম হলে প্রথমে রসুন, একটু পরে কুচি করা পিয়াজ সামান্য লবণ ছিটিয়ে হালকা করে ভাজুন, এবারে শুঁটকি ও কাচা লঙ্কা দিয়ে নাড়তে থাকুন, একটু পরেই বেশ একটা ঘ্রাণ বের হবে, এরপর দু’চিমটি..................
হায় হায়!! বিনিময়ের ব্যাপারে তো রফা হয়নি, আসল জায়গা বলা হপে না। রান্না চলবে দরজা বন্ধ করে,
আসুন চেখে দেখুন,
সোনেলার সোনা পরিবেষ্টিত হয়ে সোনাময় পরিবেশে সোনা সোনা জপ করতে করতে সহি মনে খেতে বসলেন তাজিম সহকারে, রান্না করা শুঁটকির বাটির কাচের ঢাকনা তোলা হলো, ঘরময় ঘ্রাণ ছড়িয়ে পরতে শুরু করল, জ্বলজ্বল করে আপনিও তাকিয়ে আছেন, শুঁটকিও আপানর দিকে তাকিয়ে, আই টু আই কন্ট্যাক্ট, এরপর ঘোরগ্রস্ত হয়ে দু’জনে দু’জনার হয়ে খেতে শুরু করলেন, এরপর আর কিছু মনে নেই। এক সময় হাল্কা ধাতস্থ হয়ে আপনি নিজেকে আবিষ্কার করলেন, বিকট দু’চোখ ঠিকরে বাইরে বের হয়ে ঝুলে আছে, জিভ ভেতর-বাহির করতেছে, চোখের পানি নাকের পানি জিভের পানি সহ আরও কিছু পানিতে মাখামাখি, এর সাথে হাউমাউখাউ টাইপ চাপা গোঙ্গানি, আরও শুঁটকি চাই, আরও চাই।
আগামী দু”দিন রান্না ঘরকে কেন্দ্র করে এ মম গন্ধটি থাকবে। তাই রান্নাঘর সংলগ্ন হলেই হাউমাউ টাইপ হামলে পড়া থেকে রক্ষা করতে দন্ডি কেটে রান্না ঘর অব্দি না পৌঁছুতে দেয়ার ব্যবস্থাও মজুদ রাখা আছে।
Warning……Don’t try it at home with or without ‘Sona Sai’ ‘sona ma’
and ‘sona kobi’....................
টোটকা,
সোনেলার সোনা বৃন্দরা শুঁটকিভূত তাড়ানোর জন্য অষ্টধাতুর তৈরি কবজ ধারণ করতেই
পারেন, করা উচিৎও, সোনা অঙ্গের তারকা চিহ্নিত দু’টি স্থানে অমাবস্যা পূর্ণিমার মিলন তিথিতে এটি গ্রহণ করলে শুঁটকি ভুত/ভূতনীর ওছওয়াছা থেকে নিশ্চিত মুক্তি।
(গুপনে যুগাযুগ বিধেয়, গ্যারান্টি সহ, বিফলে কিচ্ছু ফেরৎ হপে না)
**কচু+কাটা বিষয়টি তুলে রাখালাম।
নাহ, আজ আর তোলাতুলি নেই, সবই দিমু!!
কচু ও কাটা,
কাটতে বা কাটাকাটি করতে একধারী, দু’ধারী ও তে’ধারী তলোয়ার থেকে শুরু করে, ছুরি চাকু ছেনি বটি দা কুড়ুল ব্লেড থেকে রাম দা বা আশবটি ব্যবহার করা যেতে পারে অবস্থান ও অবস্থা ভেদে,
আমাদের কচুর আছে নানা কিসিম, মান কচু, পানি কচু, গুড়ি কচু, দুধ-মান কচু, ওল কচু, পঞ্চমুখী কচু, ঘটমান কচু ও বিষ কচু।
কচুর প্রায়োগিক ব্যবহার মোটা দাগে দু’টি, দ্বিবিধতা ছাড়াই,
প্রথমত, শান্তিকালীন ব্যবহার, (শুধুই নেয়া)
কচুর শাক রান্না, ভাজি ও ভর্তা যেভাবে খুশি খেতে পারেন, সলিড অংশ আনাজপাতি হিসাবে ভেজে ভর্তা বা মাংসে যথাযথ ব্যবহার করা যেতে পারে,
দ্বিতীয়ত, যুদ্ধকালীন ব্যবহার, (শুধুই দেয়া)
শত্রুর নানান মুখে প্রবল বিক্রমে ম্যারাথন ভাবে দিতে থাকা, (বস্তুত স্পর্শকাতর স্থানে শুধুই বিষ কচুর যথার্থ প্রয়োগ)
আকুল আবেদন কেঁদেকেটে (গ্লিসারিণ).........
চলুন বিশ্বশুঁটকিরান্না দিবসে যোগদান করে চাখি ও চাখাই। সোনেলার সোনাদের ঝান্ডা ওড়াই,উড়ি!!
বিদ্রঃ তাবিজ সাথে রাখতে ভুল করবেন্না
....................................................................................
আবারও.........
শুঁটকি আসক্ত একজন শুঁটকি খাওয়া ছেড়ে দিয়ে সাধারণ মাছে ফিরে গেল, তাতে শুঁটকির ভূত রাতে আক্রমন করে প্রায় মেরে ফেলার উপক্রম করে, কোনক্রমে প্রাণ ফিরে পেয়ে আবার শুঁটকি খেতে শুরু করে।
একটি বিশেষ রেসিপি হ্যাক করে সেটি রান্না করে ও খায়, খাওয়ায়। আবার শুরু হয় শুঁটকিময় জীবন, ভুত/পেত্নীর নিয়ন্ত্রণে।
পরিত্রাণের জন্য তাবিজ।
ফান হিসাবে কচুর ব্যবহার।
৪২টি মন্তব্য
ইঞ্জা
ভাই শুঁটকি খাওয়াই আজ থেকে স্থগিত করলাম (যা লিখছেন তাতেই ডরাইছি)। ^:^ :@
ছাইরাছ হেলাল
কেউ আম্রে মাইরালা!
ইঞ্জা
(y)
ছাইরাছ হেলাল
আচ্ছা,
নাসির সারওয়ার
রন্ধন প্রণালী ভালোই বিক্রি হবে যদি আর সামান্য কিছু ঢুকিয়ে দেয়া যায়। এই যেমন, রাঁধুনিকে অবশ্যই পার্লার থেকে সাজুঘুজু করে এসে রান্নাঘরে যেতে হবে। তাতে শুঁটকি আপনার প্লেটে সৌন্দর্য নিয়ে আসবে। আর খাদকের চোখ চক চকে হবে তা দেখে রাঁধুনির উৎসাহ কয়েকগুন বেড়ে যাবে।
সেই কালের একটা খবর মনে হোল – New York সিটির পুব দিকের অংশে Sutton Place নামে একটা মহল্লায় কিছু বড় বড় দালান আছে যেখানে ছোটখাটো রাজা মহারাজারা থাকেন। আমাদের রাজকোষ থেকেও আমরা একজন রাজাকে রাখতাম যে তখন UN শাসন করতো। উনার আবার এই সুস্বাদু খাবার ছাড়া ভোজ হোতোনা। রাজার কি সময় আছে ঐ দালানের অন্য রাজারা কি ভাবে। একসময় উনি যুদ্ধে হেরে সেই রাজপ্রসাদ ছেড়ে পলায়ন করতে বাধ্য হলেন। আহা, তাতেও যে তার জয় হয়েছে! কারন NY Times সে যুদ্ধের গল্প ছেপেছে যেন পরের প্রজন্ম তা জানতে পারে।
আর একটা বিষয় – মান কচুর বিষয়ে আমরা কিছু শিখেছিলাম এই সোনেলাতেই একজন প্রগতিশীল ব্লগারের কাছ থেকে। আজ আপনার এই কচু বিষয়ক বিশ্লেষণ আমার জন্য সম্পদের মত কাজে আসবে। আপনাকে অনেক ধন্যবাদ এই সৃজনশীল লেখাটা আমাদের দেয়ার জন্য। আপনি ভালো থাকুন।
ছাইরাছ হেলাল
তাবিজ নেয়ার বিষয় ত কিছু বললেন না।
যেদিন পেত্নীতে গলায় পা ফেলবে তখন এই অধমের নামই জপতে হপে।
এটি রাজকীয় সোনা সোনা খাবার, এ সবার জন্য না,
না রান্না, না খাওয়া।
শান্তি ও যুদ্ধকালীন বিষয়টি মাথায় রেখে ব্যবহার করতে হবে, অন্যথায় খণ্ডযুদ্ধের
প্রবল আশংকা বিদ্যমান থাকবে।
পার্লার বিষয়টি যোগ করাই যেতে পারে, তবে সব পানি যখন জলাকারে প্রবহমান হতে শুরু করবে তখন ভুত-পেত্নীও ভয়ে পগারপার হয়ে যাবে।
তবে আপনি একটু সাহস বাড়িয়ে ট্রাই মারার সাহস দেখাবেন কিনা ভাবতে পারেন,
মিষ্টি জিন
কি লিখেছেন কিছুই বুঝতে পারছি না ভাইয়া।
ছাইরাছ হেলাল
ভা্ই আমিও না বুঝেই লিখছি,
নিজেই তো বুঝতে হিমসিম খাচ্ছি,
মিষ্টি জিন
একেই তো আমি ছোট্ট মানুষ তার উপর বুদ্ধি আবার টিউব লাইটের মত..
শুটকি তো আর রোজ রোজ খাইনা ভাই। রূচী বদলানোর জন্য মাঝে মাঝে একটু আধটু শুটকি খাওয়া যেতেই পারে..
ছাইরাছ হেলাল
আপনি ই ছয়ছোট্ট! তাহলে আমরা তো নাই ই।
আপনি ট্রাই করুন না, ভিন্ন রকম করে।
মনির হোসেন মমি(মা মাটি দেশ)
শুটকি প্রথমত আমি খাই না তেমন আর রন্ধনপ্রনালীর যে জিনিসপত্র লাগবে তাতে আমার দশা কাহিল।এই যুগে বিলুপ্ত প্রায় ঘানি ভাঙ্গা সরিষার তৈল কোথায় পাবো …. ;?
ছাইরাছ হেলাল
এ যুগেও এ সব জিনিসপাতি জায়জোগার করা এমন কিছু শক্ত না।
শুঁটকি কিন্তু খারাপ না, ট্রাই ইট!
জিসান শা ইকরাম
ব্লগার সজীবের রেডিমেড মন্তব্যের পোস্টটা গ্যালো কই?
প্রয়োজনের সময় আজকাল কিছুই খুঁজে পাইনা, ধুর………।।
নজর রাখছি পোস্টে,
কাকতাল, আমার বাসায় আজ কচু রান্না হয়েছে………
ছাইরাছ হেলাল
লিখতে হলে খুঁজতে হবে, খুঁজে পেলে শিখতে হবে,
কচুর শান্তিকালীন ব্যবহার চলছে জেনে আনন্দিত তা কাকতাল হলেও,
ভাগ্য ভাল যুদ্ধ নেই কাছে-পিঠে।
নজরে রাখা ও থাকা পুণ্যের কাজ!
অনিকেত নন্দিনী
অর্ধেক রান্না শিখলাম, পুরোটা শেখার আগেই তো মুখের উপর দড়াম করে দরোজা মেরে দিলেন। 🙁
কচুর তরকারি শুঁটকি সহযোগেই বেশি উপাদেয় হয়। টেরাই মাইরা দেখবেননি একবার? 😀
বাকি সব ল্যাখাজোখা মাথার বহুত উপ্রে দিয়া গেছে। কিস্যুই বুঝি নাই। আমার বুদ্ধিশুদ্ধি এতো কম কেনু? কেনু? কেনু?? কেনু??? ;(
ছাইরাছ হেলাল
দেখুন আপনি বিজ্ঞজন, সব কিছু তো জনারণ্যে সম্ভব নয়, সমিচীন নয়,
আর বিনিময়ের ব্যাপারটি রফা না হওয়ায় সাময়িক বন্ধ ব্যবস্থা,
বুঝতেই পারছেন, যেনতেন রান্না নয়!
অবশ্যই ট্রাই করবেন কচুর সাথে, তবে শুঁটকি কিন্তু লইট্টা হতেই হবে,
তবে রান্নায় কচু নির্বাচনে অসর্তকতা অপরিহার্য।
মাথা একটু উচুতে রাখুন, সবই জালে জড়াবে, কিছুই এড়াতে পারবে না!!
রোজ ল্যাহা দ্যান না ক্যা? নো অজুহাত।
অনিকেত নন্দিনী
অ মোর খোদা! আমি আপ্নেরে টেরাই করতে কইছি আর আপ্নে কিনা উল্টা আমারেই কইতে আছেন? ^:^
রোজ ল্যাহা দেওন যায় নাকি? ল্যাহা এত্ত সোজা? অবস্থা এইরহম যে মাথায় বাজ পড়লেও ল্যাহা বাইরাইতোনা। ;(
ছাইরাছ হেলাল
আপনি অভিজ্ঞ লুক, তাই আপনার কাছেই আসি।
বিনা বাজেই আমাদের দিকে একটু ভালোবাসার লেখাদৃষ্টি দিন,
অসম্ভব কথাটি আপনি বুকপকেটে ধারণ করতেই পারেন না।
তাই, পাঠকের দাবি অমলিন!
শামীম আনোয়ার আল- বেপারী
ভাই আপনার রান্না দেইখা আমি পাংখা হইয়া গেলাম ^:^
ছাইরাছ হেলাল
পাঙ্খা হতে হবে না, রান্নায় লেগে যান।
নীলাঞ্জনা নীলা
নিজের ঢোল আগে বাজিয়ে নেই। যদিও শুঁটকি খাইনা, তবে ভালো রান্না করতে পারি। একেবারে স্পেশ্যাল টাইপ এবং নামকরা শুঁটকি রাঁধুনীর থেকে পাওয়া। একটা কাজ করলে গন্ধ থাকবেনা। সেটা আমি বলবোনা ঘুষ ছাড়া। :p 😀
আর কচুর একটা রেসিপি আমি তৈরী করেছি (অবশ্য কচুও খাইনা)। ঘুষ পাইলে সেইটারও রেসিপি দেবো। 😀
তা রাঁধুন(পুরুষ বিশেষে) মশাই আর কি কি রান্না জানেন? শুনবার চাই।
ছাইরাছ হেলাল
অন্যের হাতে ফাটানোর থেকে নিজেই ফাটানো ভাল,
তবে নিজে নিজে ফাটালে আনন্দ নেই, ফাটাতে হলে অন্যকে দিয়েই বাজাতে হবে,
লেখা পড়ছেন মন্তব্যে তো তেমন মনে হচ্ছে না, ব্যাপার না, এখন!
ঘুস-ফুস সবই দেয়া হবে, গুপনে জানিয়ে দিয়েন,
অনেক রান্নাই জানি, সুযোগ পেলে আপনি অবশ্যই জানবেন।
নীলাঞ্জনা নীলা
আমার একটা খারাপ স্বভাব হলো মন্তব্য করি আর না-ই করি। লেখা পড়ি। হয়তো লেখার সাথে মন্তব্যের মিল থাকে না।
কি করবো বলুন! ইন্টেলেকচুয়াল লেখক আপনি।
ঘুষ যখন প্রকাশ্যে চাইতে পেরেছি, প্রকাশ্যে নেয়ার সাহসও আছে, বুঝলেন কবিভাই? 🙂
ছাইরাছ হেলাল
লিখতে না পারলে বড় কবিরা একটু গালমন্দ করতেই পারেন, ও কিছু না।
এবারে কষ্ট করে আর একবার যদি পড়তেন!!
বুঝছি এবার, দিবালোকই আপনার বিশেষ পছন্দ!!
তবে তাই ই হপে।
আবু খায়ের আনিছ
কচু বা কচুজাতীয় কিছুর সাথে জম্মের শত্রুতা, মুখে দিলেই গলায় ধরে।
শুটকি খেয়েছি, বাঙালী হয়ে শুটকি না খেলে কি আর মন ভরে, তয় আমার জন্মে ত পরের কথা, চৌদ্দপুরুষের জন্মে এমন রন্ধন প্রাণালীর কথা শুনি নাই।
তাবিজ ধারণ করার আর প্রয়োজন নাই, এমনিতেই ভূতের পেটে চলে যাবে উপকরণ জোগাড় করতে গিয়ে।
কাইট্টালবাম, হুতায়ালবাম, এগুলো আঙগর রাও, আম্নে কইতে পাইলেন? হা হা হা হা (আঞ্চলিকতা পুরু পারি না, চেষ্টা করলাম তবু)
ছাইরাছ হেলাল
দেখুন এক কালে আপনার অঞ্চলও প্রায় নিজের অঞ্চল ছিল,
লেখার সময় সেটি এসে গেল। এখন অনেক শব্দ ভুলে গেছি।
ধুর, কেউ ই তাবিজের লাইনে এলো না, অপেক্ষা করতেই থাকি।
আমার কাছের অনেক মানুষ ই শুঁটকি প্রিয়, তাদের দেখাদেখি অধুনা ইন করেছি।
ইচ্ছা থাকলে উপকরণের বিষয়ে ভাববেন না। ভুত-পেত্নীর সাহায্য আপনি পেলেও পেতে পারেন।
আপনার দেখাদেখি বড়সড় লেখা লিখে ফেললাম, সাহসে ভর করে।
আবু খায়ের আনিছ
আরেকবার নিমন্ত্রণ করব আমার এলাকায়, আপনাদের তিনবন্ধু কে, অগ্রিম বলে রাখলাম তখন কিন্তু না করতে পারবেন না।
সাহস পেয়ে গিয়েছেন তাহলে, এবার আরো কিছুর জন্য অপেক্ষা করতে পারি।
বুদ্ধি একটা আছে, সেটা হলো আপনি রান্না করে আমাদের জানাবেন, আমরা সোনা (জিসান ভাই এর সোনা নাম্বার) সবাই চলে যাব খেতে।
সাথে তাবিজও নিয়ে আসব।
ছাইরাছ হেলাল
আপনার নিমন্ত্রণ রক্ষা করার চেষ্টা থাকবে, ওখানের কিছু জায়গা দেখার ইচ্ছে আছে,
সময়ের অভাবে দেখতে পারিনি।
বড় লেখা আমি লিখি না, এবারে লিখলাম, আর একটি লিখব আপাতত, এত্ত বড় না।
তাবিজ নিতে চাইলে অবশ্যই রান্নার আয়োজন হবে সোনাদের জন্য।
শুন্য শুন্যালয়
ঘৃত বানানোর কলাকৌশল পড়ে আপনার warning অক্ষরে অক্ষরে পালন করবো ঠিক করলাম ঘটমান কচু? 🙂 লেখা পড়ে কচুকাটার সদ্ব্যবহার করতে খুবই খায়েস জাগছে, পাইলে হইতো!!
ছাইরাছ হেলাল
আপনার ইচ্ছে হলে পাবেন না, তা মনে হয় না।
আপনি চাক্কু বিশেষজ্ঞ তা তো আমরা জানি ই।
অবশ্য সব ওয়ার্নিং সবার জন্য না।
মোঃ মজিবর রহমান
আমার বাসায় তো কচু শাক রান্না ক্করেই শেষ! শুটকি ভরতা ওয়াও!
প্রনালী টা শিখতে চাই। কিন্তু আমারে খাওয়া দেওয়ার পর শিখমু! আর খামু খামু আর শিখমু!
গুরু খাওয়াবেন না?
জয় গুরুএ চরনে জয়।
মোঃ মজিবর রহমান
খুব ই দুখিত শব্দ ভুল হয়ে গেছে ক্ষমা চাচ্ছি।
ছাইরাছ হেলাল
আমরা কিন্তু আমরাই,
ছাইরাছ হেলাল
আপনার সাথে খাওয়া-খাওয়ি একটা হবেই, চিন্তা নেই।
মোঃ মজিবর রহমান
ভাল থাকুন। আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।
ছাইরাছ হেলাল
ধন্যবাদ,
মৌনতা রিতু
আমাগে রামপালের মানুষ, নারকেলের দুধ, বড় বড় বাগদা ও গলদা চিংড়ি দিয়ে কচুর লতি মানে কচুর বৈ রান্না করে। আমার অত্যান্ত প্রিয়।
আর শুটকিতে আমি নাক শিটকাই। কিন্তু এমন বেশি করে রসুন দিলে রান্না মজা হইলে খাইতে রাজি।
লেখাখান প্রথম দিনই পড়ছিলাম। কিন্তু ভাবলাম আগে খাইয়ে লই, তারপর মন্তব্য করুমনে। খালিপেটে কি রান্নার রেসিপিতে মন্তব্য করা যায় নাকি !
ছাইরাছ হেলাল
দেখবেন, আমরাও একদিন চিংড়ি রান্না শিখে ফেলব।
একা একা খেলেন! পেটে পিলে হওয়ার দায়িত্ব আমাদের না।
খেয়ালী মেয়ে
শুঁটকি আমার খুব প্রিয়, আর কচু অপ্রিয়,
আপনি দেখি প্রিয় অপ্রিয় দুটোরই সুন্দর করে পোস্টমর্টেম করলেন,,পোস্ট পড়ে মজা পেয়েছি, তবে লইট্যা শুঁটকী ভূনা আর ভর্তা খাওয়া বন্ধ হবে না 🙂
ছাইরাছ হেলাল
কিছুতেই শুঁটকি খাওয়া বন্ধ করা যাবে না,
আনন্দ পেয়েছেন জেনে ভাল লাগল, আমিও শুঁটকি প্রিয় মানুষ,
দ্রুত লিখতে শুরু করুন।
মেহেরী তাজ
এই লেখা অধিকাংশরায় বুঝে নাই! আমি না বুঝলেও ক্ষতি নাই!
ব্যাপার টা হলো শুটকি রান্না করতে বাঘের দুধও লাগে?
শুঁটকিমাছ মাছ আজ থেকে বাদ……
ছাইরাছ হেলাল
দেখুন, আমিও যে বুঝে বুঝে লিখি এমন না, আমিও কিন্তু ঐ
অধিকাংশের দলে থাকতে চাই,
ঐ রেছিপিটি তো হ্যাক কড়া, বাঘ-টাঘ তাদেরই ব্যাপার,
আমি কিচ্ছু জানিই না।
লইট্টা শুঁটকি কিছুতেই বাদ দেয়া যাবে ভাই,