ফেলে রেখে ফেলে যাওয়া রাজ্য পাটে
গুমরে উঠছে কান্না-লহরী নিভৃতে, প্রকাশ্যে
মুখ চাপড়ে বুক থাবড়ে, ক্ষীণ-বস্ত্রে, উলু ধ্বনিতে;
হু-হু আহা-আহা, উহু-উহু, হায় রাজা হায় রাজা।

ছর-ছর শব্দে বয়ে যাওয়া গ্লিসারিন কাঁদাকাটার
স্রোতের শেষে, কান্নার ঢেউ তুলে সিডর ডেকে আনা
বিস্তর বিস্তার কান্না-সভার আয়োজনে,
দিক্বিদিক হারিয়ে ছন্নছাড়ার বেশে;
ষোল/বত্রিশ প্রহর জুড়ে, কে দেবে আশা, কে দেবে ভরসা,
এই প্রয়াণ-প্রণয়ের জল-স্থল-অন্তরীক্ষে!!

সিংহাকৃতির ভুয়া আসনটি ছেড়ে
রাজন এবার বনবাসের বন-কেলিতে(বাধ্য হয়ে)।

রানী-মা ভাবেন বারে-বারে বার-বার ঘুঘু তুমি
চুবে-চুবে চুপে-চুপে খেয়েছ বহুত ঘোলা জল,
ফস্কা গেরোতে নয়,
বাঁধবো এবার হেভি-লোহার কাঁটা-ভরা শেকলে,
দেখি-না এবার আসে
কোন এলোকেশী বা টাউক্কা শালারা সুপারিশে,
মুণ্ডু ঘুরিয়ে দেব বিরাশি সিক্কার এক চটকানোতে!

সপাটে-জাপটে ধরে সুপুরি/তাল/বেল/নারকেল/কদম্ব বা কদলী বৃক্ষ
মিহি-কান্নার হেঁচকি-হোঁচট খেতে-খেতে হৃদ-ব্যথা-কান্নার-হাবুডুবুতে
দীর্ঘ থেকে দীর্ঘতর/দীর্ঘতম হবে/হোক এ বনবাস/বনুবাস;মনোরম ফাঁদ;

এখানেই না হয় খুঁজে নেব নূতনের দাস/দাসী
বা ইতং বিতং অন্তর্ভেদী প্রলয়- প্রণয়-নিপুণ বনদেবী/বনুদেবী;

বিধাতা এবার আর আড়ালে নয়,
হাসেন প্রকাশ্যে, প্রকাশে।

0 Shares

১০টি মন্তব্য

মন্তব্য করুন

মাসের সেরা ব্লগার

লেখকের সর্বশেষ মন্তব্য

ফেইসবুকে সোনেলা ব্লগ