বিধাতা ডাকেন নিজ মহিমায়
প্রশান্ত আত্মাদের, ফিরে আসতে তাঁর কাছে
সন্তুষ্ট হয়ে সন্তুষ্ট করো (তাঁকে),
অনিষ্পন্ন-নিস্তব্ধ-নিস্পন্দ-নিরন্ন মন-শরীর
তীব্রতর অসন্তুষ্টিতে ঠাসা;
কী করে সন্তুষ্ট হই/করি!হে ক্ষমাকারী!
ঈশানে কালো মেঘের ঘনঘটা
মুহুর্মুহু বজ্র-বিদ্যুতের চমক
ক্ষীণ মন-পায়ে কী করে পেড়িয়ে যাব
হে ক্ষমাশীল, এই অবেলায়!
নিশ্চুপ-আলো-ভাবনায় কেটে যায় অজস্র বিনিদ্রতা,
তবুও জেগে উঠে জেগেই থাকি
মন্দের ভুলগুলো তুলে রাখি,
চিলে কোঠার শত গোপন কুঠুরিতে
একবার বিধাতা যদি চোখে চোখ রাখেন;
ক্ষমা-পরবশ, হে পরশপাথর;
১৫টি মন্তব্য
রিতু জাহান
পরশপাথরের স্পর্শ কে না চায়! চাই বলে ডুকরে উঠি তার সামনে। রুকুতে হাজির হয়ে বলি, “আমি হাজির”
পরম মমতায় মাথায় হাত রেখে বলে, সম্মুখপানে চলো। কতো কি নালিশ করে যাই সেজদায়।
মাগরিবের আযানে তাই ব্যাথায় হাহাকার করে ওঠে মন। চলে গেলো আরো একটি দিনের সূর্য।
চমৎকার একটি কবিতা পড়লাম।
ছাইরাছ হেলাল
এমন মন্তব্যের উত্তরে কী লিখতে হয় বুঝছি না,
আপনি তো দেখছি বেশ এগিয়ে যাচ্ছেন, ওখানেও!
তবে নালিশ-নুলিশ দেয়া বন্ধ করে দিন, কী না কী গ্রান্ট হয়ে যায়!
রিতু জাহান
না না নালিশ আর করে কি হয় বলুন! জীবন তো একটাই। ইবাদত তা ওতো শুধু আমার আর তার মাঝের বোঝাপড়া। মাথা নতো করে শুকরিয়া করি এ জীবনটার।
ছাইরাছ হেলাল
শোকর-গুজার করাই আমাদের কাজ।
মায়াবতী
সন্তুষ্ট হয়ে আবার সন্তুষ্টি করার অবকাশ কেনো থাকবে ! বিধাতা যে অন্তরযামী । বিধাতার পরশ পাথর তো তার সৃষ্টিতেই ছড়িয়ে আছে শুধু অনুভবের অপেক্ষা কবি সাহেব । কবিতায় বিধাতার কাছে আপনার প্রার্থনা খুব হৃদয় ছুঁয়ে গেছে।
ছাইরাছ হেলাল
সন্তোষের ব্যাপারটি আমার কাছে যেমন,
বান্দা তার নিজের কর্মে সন্তুষ্ট হয়ে আল্লাহর কাছে ফিরে তাঁকেও সন্তুষ্ট করবে, আমি এমন করে বুঝেছি!!
আপনি এ বিষয়ে আরও ভাল বা অন্য রকমও জানতে পারেন!
সমস্ত প্রশংসা একমাত্র আল্লাহর,
অনেক ধন্যবাদ।
মোঃ মজিবর রহমান
বিধাতার স্বর্গীয় পরশপাথর জিবনে আনুক স্বর্গীয় শান্তি।
বিধাতার কাছে হোক, এই আকুতি।
ছাইরাছ হেলাল
আমাদের সবার-ই এই আকুতি থাকে প্রাণে।
ভাল থাকবেন আপনি।
জিসান শা ইকরাম
বিধাতা কি আসলেই ক্ষমা করেন?
বিধি বিধান অণুযায়ী সব কিছু নির্দিষ্ট, সেখানে ক্ষমাও কি আছে?
ছাইরাছ হেলাল
বিধাতার বিষয়ে না গলানোতে নিষেধ আছে।
তবে চাওয়া-চাওয়ি চালু রাখতেই হবে।
নীলাঞ্জনা নীলা
“খ্যাপা খুঁজে খুঁজে ফিরে পরশপাথর।
মাথায় বৃহৎ জটা
ধূলায় কাদায় কটা,
মলিন ছায়ার মতো ক্ষীণ কলেবর।”—আমার বুড়োর কবিতার লাইনগুলো মনে পড়ে গেলো। সেটাই দিয়ে দিলাম।
বিধাতা আমায় ক্ষমা করুক।
ছাইরাছ হেলাল
নকল করে মন্তব্য দিলে বিধাতা কচু পোড়া খাইয়ে দেবে,
আর বুড়ো! কান মলে দেবে!
ভাল হয়ে যান এবারে!
নীলাঞ্জনা নীলা
নকল করা তারি সাজে
কপি করতে পারে যে! 😁
ছাইরাছ হেলাল
দন্ত হীন কালে নকল নবীশ হলেন!!
রক্ষা কর ঠাকুর!!
নীলাঞ্জনা নীলা
ঠাকুরে রক্ষা আপনাকে করবে না।