রান্নায় থাকে বিস্তর ঝকমারি,
এটা দাও ওটা দাও, নিক্তি মেপে নিয়ম মেনে,
একটু ঝটপট তাড়াতাড়ি, বিফলে গোটাতে হতে পারে পাততাড়ি।
সে-বারে রান্নায় যেই-না দিলাম ফোড়ন, উরে বাপ্রে
সে এক আওয়াজ উঠলো রাশভারী, ধোয়ায় মধু-গন্ধে আকাশ হলো ভারী,
হচ্ছেটা কী! এই অসময়ের বেলায়, এ কিসের আহাজারি?
চোখ গেল চোখ গেল, এতদিন শুনেছি পাখির গানে
এ দেখছি উঠে এসেছে এ ধরায় ধোয়া-রান্নার টানে!!
শুনেছি/শুনছি লেখক/কবিরা হয় রান্না-পটীয়সী
প্রমাণ এখানেই আছে নাকি ভুরি ভুরি!!
ভাবছি, চেক করে নেব এক্ষুণি।
এক বার এক পাখি! বসলো বেঁকে
কিছুতেই সে মেনে নেবে-না রান্না-কবিকে,
ঢং!! রান্নায় আবার কবিতা থাকে নাকি!!
কলিকাল এতদিন শুনে শুনে কান ঝালাপালা
এখন দেখছি রান্না, দুয়ারে দাঁড়িয়ে দিচ্ছে উঁকিঝুঁকি
ছুড়ছে কবিতার ফুলঝুরি!! উরি উরি!! কবিতার কী ছিরি!!
সব দেখছি খেলাম কুচি!!
কবি আর কবিতার জাত/মান সব-ই গেল
ছিল নাকি পাগলুদের এমন কিছু!
গেল গেল বর এবার উঠলো বলে!! মৃদুমন্দ ভাবে,
ইতি আজ আদাবান্তে, কুশল জানিবেন যথারীতি।
৪৬টি মন্তব্য
প্রহেলিকা
এই কবিরে কেউ না থামাতে পারলে ই-ম্যাগাজিন পুরোটাই উনার দখলে যাবে। আমার আর কেউই চান্স পাবো না লেখার। কই রান্না কই কবিতা আর কই কবি। তিনটারে একসাথে মিশাইয়া আপনি যে কি খিচুরি পাকাইলেন তা আপনিই জানেন।
পাখির আর কি দুষ যা শুরু করেছেন, বেঁকে একটু না বেশি বেঁকে বসার দরকার।
ছাইরাছ হেলাল
আমার কী দুষ!!
চাইবেন রান্নার রেসিপি,
রেসিপি দিলে তখন বলবেন নৈব নৈব চ!!
এ ভারী অন্যায়/অন্যায্য কথা!!
আপনি ম্যাগাজিন/ফ্যাগাজিন বানাইবেন!! কিন্তু দখল দেবেন্না তা-কী হয়!!
প্রহেলিকা
অন্য ল্যাহকরা যে কবে আপনার বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা করে! একটু তাল লয় ঠিক রেখে সাবধানে থাকিয়েন।
একখান পারলাম না আর আপনি দুই দুইখান নামাই ফেললেন। ব্লগে কিন্তু একজন আরেকজনেরটা লিখে দেয় এখন। আমারেও এই পথেই হাটতে হবে দেখছি।
ছাইরাছ হেলাল
ঠিক-ই ধরেছেন!!
আমার গুলো সব আপনার লেখা তা কিন্তু বলতে চাই-না/চাই-নি!!
আমিও হ্যাঁগো লগে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে তাল লয় ঠিক রাখুম।
জনতা জনার্দণ স্লোগান দিমু বুলন্ধ আওয়াজে।
প্রহেলিকা
আপনি তা করতেই পারেন না! আর করলেও তেমন সুবিধে হবে না, তারা আজকাল বেশ চালাক হয়ে গেছে। কাউরে দিয়া আমিও লেখাই নিবম কি আর করার সবাই তো আর আপনার মত কাঁত করলেই গড়াই ফড়াই পড়ে না।
ছাইরাছ হেলাল
বিনা কাতে-ই উথলে পড়ে, তা দেখতে পাচ্ছি কবিতা টু গল্পে!!
তবে আমার লেখা যে আপনি লিখে দেন তা কিন্তু আর বলিব না,
তবে আপনি কিন্তু নিজেকে দিয়ে নিজের কবিতা লিখিয়ে নিতে পারেন, দেখেও না দেখার ভান করে যাব।
আপনার ঐ গপ্পোরে কী করি দেখতে পাবেন, দাঁড়ান, না থাক অন্য কিছু লিখবনে!!
প্রহেলিকা
পাঠক ভুলভাল পড়া শুরু করেছিল, তাইতো একটু সহজ কইরা বুঝাইতে চাইলাম, ওদিকে আপনার নজর ফজর না দিলেও চলবে। নিজের লেখায় মন দেব।
আপনার লেখারে কপি পেস্ট মেরে চালিয়ে দেয়ার ফন্দি এঁটেছি, এ ছাড়া আর উপায় নেই।
লেখকরা সব কিছুই পারে নামাতে। এটা না হইলে ঐটা, নৌকা চালায় হাতে নিয়ে বৈঠা!
ছাইরাছ হেলাল
দেখুন কপির কপি কি সুন্দর দেখাবে!!
আজকালকার কবিরা আর বৈঠায় নৌকা চালায় না,
আলগোছে ফু দিলেই মাতম হাওয়ায় পাল হেসে ওঠে!!
কবিতা কৈ!!
প্রহেলিকা
কবিতা আর কি! চাইলেই ডজনখানেক কাত করে দিয়ে ফেলা যায় কিন্তু মন্তব্যের উত্তর দিতারি না। তারচেয়ে বরং রান্নাবান্না শিখি কবিদের কাছ থেকে। পরবর্তী রেসিপি কি? বেগুন দিয়া ব্যাঙ ভাজি?
ছাইরাছ হেলাল
আপনি চাইলে তো না বলতে পারি না!!
কবিতা কবিরা লিখতেই পারে কিন্তু রান্না সবাই পারবে না!
তা মন্তব্যের উত্তর না দিতে কে আবার দাগা দিল!!
ধুন-ফুন ছাড়ান দিয়ে ভাল হই যান!!
সাবিনা ইয়াসমিন
সব নিজেই লেখেন। আমাদের জন্যে কিছুই রাখছেন না 😱😱
ছাইরাছ হেলাল
সব লেখাইতো আপনাদের লেখা, তা থেকে টেনে-খিচে একটু নেয়া!
লিখতে পারলে আর এত দৌড়ঝাঁপ লাগত না,
এক খানা মেরে দিয়েই কেল্লা ফতে।
শুন্য শুন্যালয়
হাহাহা, এইটা রম্য বিভাগ নাকি রান্নাবান্না বিভাগ? রান্নার রেসিপি দিয়া ফেলেন পরেরটায়, তবে বুঝে শুনে। একজন কিন্তু তিনটার বেশি দিতে পারবেনা। গল্প, প্রবন্ধ, চিঠি, ভ্রমণ, ছবিব্লগ ম্যালা কিছু বাঁকি আছে এখনো। টস্ করেন কোনডায় দেবেন। 🙂
ছাইরাছ হেলাল
আমি আবার রান্নার কী জানি!!
রম্য লেখার চেষ্টা করলাম!! আপনাদের সামনে, অতি দুঃসাহসে!!
কোনটা যাবে বা না যাবে তা তো মটুরা ঠিক করবে!!
তেনারা হৃদয়বতী তা মেনেই নিয়েছি।
ল্যাক্তে পারিনা বলে এমন করে কেউ হাসে!!
হাসি চিরস্থায়ী হোক, বেঘোরেও!!
শুন্য শুন্যালয়
আপনি একদিন রাঁধতেই চোখ গেলো পাখি দেখে ফেললেন! রাঁধুনি হতে গেলে যে কবি হওয়া আবশ্যক তা কিন্তু এদ্দিনে এই এক্ষনে টের পাইলাম। এই জন্যেই আমার রান্না মজা হয়না।
তা কবি কী রাঁধিলো, কার জন্য রাঁধিলো এবং কবে এসব যোগ করে দিলে দুনিয়ার কবিতাদের নিয়ে চলে যেতে পারতাম না?
ইয়ে আমার কবিতা, আরর রম্যটি কবে লিখে দিচ্ছেন? আগাম নিলেন যে!
ছাইরাছ হেলাল
রাঁধতে পারলে একদিনেই অনেক দিন!!
তাছাড়া রান্নার লাইনে তো নূতন না, আপনি জানেন, মাঝে মাঝে বাসনাদি (বাসন-কোসন) একটু পাল্টে যায়।
রানা চালুই থাকে, বলতে পারেন সে রান্না অখাদ্য, হান্ডি/পাতিল জং-জুং ধরা, রান্না কিন্তু মন্দ হয় না।
ফাঁকতালে কিছু রান্না আপনিও চালু করে দেখতে পারেন, একদম কিমি. মজার হবে না। পাক্কা রাঁধুনির বেশে!
কে বলছে আপনার রান্না ভাল না, যাদের খাইয়েছেন তারা কিন্তু মহা তৃপ্তি নিয়েই খেয়েছে!! (বেইলি রোডের ব্লগার আড্ডা)।
আপনার লেখা নিয়ে ভাববেন না, এসে যাবে। আজ একজনের অর্ডার সরবরাহ করেই আপানার দিকে ধাবিত হওয়ার ইচ্ছে আছে।
বাকী আরশঅয়ালার মর্জি!! দুয়ায় রাইক্কেন।
প্রহেলিকা
সবার অর্ডার সরবরাহ করতেছেন তাইলে আমি কি দুষ করছি? তাইলে আমারেও দিতে হবে। যা যাক আপনার উপর দিয়েই যাক।
ছাইরাছ হেলাল
এই তো আপনার অর্ডার রেডি, অপেক্ষা ৯-১০ মিনিট পর্যন্ত।
যাক আমার উপ্রে দিয়াই যাক, আপনি কবি তাই তো মানি।
প্রহেলিকা
মন্তব্যের সময় থেকে কিন্তু দশ মিনিট শেষ! পেলাম না’তো কিছু!
উপরের দিকে তাকিয়েই আছি চাকতের মতো।
ছাইরাছ হেলাল
২৪ ঘণ্টা হইছে!!
প্রহেলিকা
১৩ মিনিট বাকী কাটায় কাটায়!
প্রহেলিকা
উহু আর মাত্র ১২মিনিট, আছি আজকে গালাসহিত লেগে।
প্রহেলিকা
মডুরা সবাই অবশ্য ঘুমে আছে এখন। দেখব না কেউ, আর না দেখলে ঝাড়িও দিতে পারব না।
ছাইরাছ হেলাল
মডুরা ক্ষেপলে কিন্তু খবর আছে!!
তাল-লয় ঠিক না-থাকার দায় কিন্তু আপনার!!
প্রহেলিকা
এখন লিগ্যাল আছেন, ২৪ ঘন্টা পার হই গেছে! গরম গরম!
ছাইরাছ হেলাল
২২ সেকেন্ড আগে হয়ে গেছে, দায় কিন্তু আপনার।
মোঃ মজিবর রহমান
আমি চললাম কলিকাতায়।
ছাইরাছ হেলাল
আমাদের সাথে নিয়েন।
ইঞ্জা
জাতি আজ হতবাক, রান্নার রেসিপি দেওয়ার নাম কইরা কুবিরাজ কোবতেও দিলোনা। 😂
ছাইরাছ হেলাল
সব কিছুর মধ্যে কোবতে খুঁজলে কী করে হবে!!
এতো রম্য রেসিপি!!
ইঞ্জা
😲 এইটা রম্য ছিলো? 😭😭😭😭
ছাইরাছ হেলাল
হুম!! রেসিপি রম্য!!
তৌহিদ
কবিরা রান্নাঘরে আসলে কবিতা লিখবে কারা? নাহ! আপনি সব জায়গায় সমান দক্ষ ভাই।
ছাইরাছ হেলাল
এখুনি দক্ষ বললে হবে কী করে!!
সব তো দেখাইনি!!
কবিরাই কবি, শয়নে, স্বপনে, জাগরণে, রান্না ঘরে-ও।
তৌহিদ
এই কারনেই আপনার আশেপাশে ঘুরঘুর করি! বুঝেন্না ক্যান?
একটু ছোঁয়া দিবেন আমায়?
ছাইরাছ হেলাল
ভুল-ভাল জায়গায় ঘুরাঘুরি করা ঠিক না।
সময়াপচয় মাত্র।
রিতু জাহান
আমি কি রান্না করব তা ভুলেছি। আজ এক ভাগ্নীকে বললাম,’আমাকে শুধু একটু আলুভর্তা করে দিয়ে যা। সে আলুভর্তা ভারী মজা হয়েছে এ কথা বলা যাচ্ছে না। অগত্যা সে খেয়েছে। কি আর করবে, বাড়ির গৃহিনী রান্না ঘরে যেতে না পারলে অগত্যা এমন আলুভর্তাই খেতে হবে।
এতোদিনে সে বুঝেছে গৃহিনীর কি মূল্য। বিণে পয়সায় সাহিত্যেক রাধুঁনী।
না, কবিতা লিখতে লিখতে রান্না কখনো কখনো যে পুড়াই নাই তা না পুড়াইছি।
তাকে তো আর বুঝতে দেই নাই তখন।
কিন্তু কথা হলো, এটা কি ছিলো গুরুজি?
কবিতার খিচুড়ি?
পাখি কি বেরসিক যে সে জানে না রান্নায়ও কবিতা থাকে।
ঝাল, নুন, মিষ্টি প্রেমের মিশ্রণ।
বুঝেছি এবার ম্যাগাজিনে আমার যায়গা হবে না।
আমি কিন্তু তবে কেঁদে দিব।
ছাইরাছ হেলাল
সাহিত্যিক রাঁধুনির কিম্মত সবাই বুঝতে পারে না।
বুঝলে মাথায় তুলে নিতে বিলম্ব হতো না।
রান্নার কবিতা সবাই মানতে চায় না।
ম্যাগাজিনে আপনাকে কে জায়গা দিবে না, জায়গায় বসে শুধু একবার আওয়াজ দিয়েন!!
মনির হোসেন মমি
হা হা হা
ছাইরাছ হেলাল
ভালো বোঝতারলাম না!!
আরজু মুক্তা
বেরসিক বেচারা!!
ছাইরাছ হেলাল
তা তো অবশ্যই।
ধন্যবাদ।
মোঃ মজিবর রহমান
আম জাম কলা পেট ভরে খাওয়া।
ছাইরাছ হেলাল
খাওয়া চালু থাকুক।
চাটিগাঁ থেকে বাহার
ভাবছিলাম কিছু রান্না শিখব।
আশায় গুড়ে বালি!
ছাইরাছ হেলাল
এখানেও আছে অনেক কিছু শেখার, শুধু ইচ্ছে হলেই হোয়।
পুরনো লেখা পড়ার জন্য ধন্যবাদ।