বারান্দাটা দিনে দিনে, দুর্দিনে, দিনের শেষেও প্রিয় হয়ে উঠছে।
সকালের প্রথম রোদটা যখন আমার প্রথম কেনা কাঠমল্লিকার পাতায় এসে পড়ে,
আমি মাঝে মাঝে গিয়ে ছুঁয়ে দেই।
আমার হাতে জন্মানো প্রথম ভ্রূণ, মাতৃত্বের সে আনন্দই পেয়েছিলাম সেদিন,
যেদিন প্রথম উচ্ছের বীজগুলো থেকে সবুজ উঠে এলো। এত আনন্দ!!
লাল টুকটুকে স্ট্রবেরী গুলো পাষাণের মত টুক করে খেয়েই ফেলি।
লতানো শসা গাছগুলোকে দেখতে ভীষন ভালো লাগে, কিভাবে জড়িয়ে ধরে খুঁটিকে।
আলো, মাটির চাইতে তাদের জন্য আশ্রয়টাই যেন সম্বল। হলুদ, সবুজ মিশে একাকার।
হলুদ গোলাপ। একটু একটু করে রঙ বদলায় রোদে।
জ্বলে গেলে রংটা খুবই বিবর্ন হয়ে যায়।
একটুও আর সুন্দর লাগেনা দেখতে তখন।
নেমে আসো বর্নিল লালিমা, নেমে আসো।
বারান্দা জুড়ে ধূসর বাসর সেজেছে।
সেই যে আমার নানা রঙের দিনগুলি, মানে মরিচগুলি।
এইটার নাম হট চিলি। তবে আমি জিহ্বায় পুরো মরিচ ডলেও কোন ঝাল পাইনি।
এদের কাছে হট এর মানে এই, আমাদের দেশে পাচার করে দিতে ইচ্ছে করতেছে।
মরিচ এখন সবজি হিসাবে খাই
জার্বেরা। এই ফুলটায় নেশা কিংবা কিছু একটা আছে। অনেক ভাবে দেখি, তবুও ঘোর কাটেনা।
আমি এই ফুলটার নাম দিয়েছি চারণ।
মোহনীয়া হলুদ, রোদের সাথে দেয় পাল্লাপাল্লি
ছায়ার সম্মোহন শক্তি বেশি।
ছায়াকে সবাই তবু কেন এত ভয় পায়? আমার গাছের ছায়ার মায়ারা, আমার অক্সিজেন।
৭১টি মন্তব্য
ছাইরাছ হেলাল
ছবি দেখে শান্তি পাইলাম,
কিন্তু!!!!
শুন্য শুন্যালয়
কোন কিন্তু নেই।
ছাইরাছ হেলাল
এত্ত ধ্মক দেন ক্যা!!
শুন্য শুন্যালয়
ধমকই দিয়েছি, মাইরধইর দেইনাই, কথা না বলে চুপচাপ আমার বারান্দা দেখেন।
ছাইরাছ হেলাল
হ্যা তাতো দেকতেই আছি, চৌক বদ্ধ কইরা ও খুইল্লা, হেতে তো মন ভরে না
আরও কিছু যে লাগে!! হের লাইজ্ঞাই ফাল পারি।
আর ইট্টু যোগ করে দিননা।
ভাইয়া আপনি শান্তি পাইলে যা যা দিতে চান সবই দিয়ে ফেলুন, তবুও কুল কুল!!
শুন্য শুন্যালয়
ভাইয়া, আপনার কেন মনে হচ্ছে এমন জানিনা। আমি কিন্তু মনে খুলেই দিয়ে ফেলি সব, আমার জন্য কোন বাঁধা নেই কোনকিছুর। এই বাগানটা আমার অনেক যত্নে বানানো, এর চেয়ে শান্তির কিছু আপাতত নেই।
কবিদের মন কবিতাতেই ভরে, আমি কিন্তু কবি না 🙂
আমি আমি
অদ্ভুত ভাল লেগেছে।
শুন্য শুন্যালয়
থ্যাংকস আমি আমি 🙂
আপু, নতুন মন্তব্য যখন দেবেন, তখন সবার নীচে যেখানে মন্তব্য করুন এর পর বক্স আসে, ওটাতে মন্তব্য দেবেন। আর উত্তর দিন এ অন্যের মন্তব্যের জবাব দেবার সময় ক্লিক করবেন।
ভালো থাকবেন।
জিসান শা ইকরাম
বারান্দাকে তো পুরো বাগান বানিয়ে ফেলেছেন 🙂
আপনাকে তো আর দেখতে পেলাম না
দেখছি আপনার স্পর্শধন্য মায়ায় জড়ানো আপনার সৃষ্টিকে
আপনার অক্সিজেন তো অত্যন্ত মায়াময়, আমিও মায়ায় পড়ে গেলাম।
শুন্য শুন্যালয়ের অজানা কত গুন যে অপ্রকাশিত হয়ে আছে তাই ভাবছি,
চারন নাম টা বেশ 🙂
শুন্য শুন্যালয়
বারান্দায় আগে তেমন যাওয়াই পড়তো না, সময়ই হতোনা যেন। এখন বিছানা থেকে উঠেই বারান্দার কাছে চলে যাই। উচ্ছের চারাগুলোর এই ছবিটা কিছুদিন আগে নেয়া। এখন অনেকটা বড় হয়েছে। সবকিছুতে এত মায়া, বোঝানো যাবেনা।
আপনার বাগানের ছবি দেখেছি ফেসবুকে। 🙂 আপনাকে টপকে আগেই আমি ছবি দিয়ে দিলাম এখানে।
চারণ, হুম আমারো নামটা বেশ লাগে। চারণ ফুলটা সুন্দর না? গায়ে জলের ফোঁটা।
আপনার মায়ার পড়ে যাবার কথা ওদের বলে দেব 🙂
জিসান শা ইকরাম
নিজে একটি বাগান তৈরী করা অত্যন্ত আনন্দের
ফুলের বাগানের সাথে আপনি সব্জির বীজ থেকে সব্জি ফলিয়েছেন,
আপনি কি জানেন, সবার হাতে বীজ হতে গাছ হয়না? কিষাণী গুন থাকতে হয়।
আমি বাগান করেছি মাটিতে, আমাদের দেশের মাটি সুফলা, খুব সহজেই এতে বাগান করা যায়,
আপনি সব টবে করেছেন, নিজের বারান্দাকে সাজিয়েছেন নিজের মত করে।
নানা রঙের দিন গুলো! আপনি মরিচের মত ঝাল নাকি? 🙂
নাকি ঝাল ছিলেন ফেলে আসা ঝলমলে রঙিন দিনগুলোতে?
চারণ নামটা দারুন সুন্দর, আর জল তো আমার প্রিয়ই……
আমার ফুল বাগানের পোষ্ট এবার দিতেই হয়,
শুন্য শুন্যালয়
আমার মধ্যে কিষানী গুন তো আগে ছিলোনা, কৃষকের সাথে বন্ধুত্ব কইরা হইলো কিনা কে জানে :p
গাছগুলোকে নিয়ে এতটা আশা শুরুতে সত্যিই ছিলোনা। সব বেঁচে উঠেছে। আমার উচ্ছেগুলো ( নন্দিনী আপুর উইস্তা ) এখন বেশ খানিক বড় হয়েছে, অনেক কাঁচামরিচ ধরেছে, শান্তিই শান্তি।
আমি ঝাল কিনা তা আমার সঙ্গের লোকজন কইতারে, আমি কইতারুম না।
ফেলে আসা দিনিগুলোতে তো আমি হাওয়াই মিঠাই আছিলাম :p ( কেউ তো আর দেখতে যাইবো না হাছা না মিছা )
জল আমারো প্রিয় 🙂
ফুল বাগানের পোস্ট দিয়েন, আপনি পোস্ট দিতে দিতে আমার গাছেদের নাতী পুতী হয়ে যাবে।
অরুনি মায়া
অনেক অনেক অনেক সুন্দর শুন্যাপু। প্রথম গাছটির নাম কিন্তু কাঠ গোলাপ। আমার সবচেয়ে প্রিয় ফুল। গাছ গুলো দেখলেই বোঝা যায় তুমি মায়ের মত স্নেহ আদর দিয়ে আগলে রেখেছ কত যত্ন করে। এমন বারান্দা পেলে আর কি চাই বল।
কিন্তু…………
অদ্ভুত বড় অদ্ভুত। এ কি করে সম্ভব। এত মিল কি করে হচ্ছে বারবার।
মাত্র সেদিন আমি কবিকে বললাম আমার ফুলের ছবি গুলো ব্লগে দিব ছোট ছোট বাক্য দিয়ে। তার প্রস্তুতিও প্রায় শেষ । কিন্তু তার আগেই তুমি কি করে দিয়ে দিলে। পার্থক্য তোমার গাছ গুলো বারান্দায় আর আমার গুলো উঠোনে।
ছায়ার ছবিটা অসাধারণ শুন্যাপু।
আপু আমি সত্যি খুবি অবাক হলাম।
সুন্দর পোস্ট। আমি ফুল প্রেমিকা তাই তোমার জন্য ভালবাসা দিয়ে গেলাম (3
অরুনি মায়া
আমার নেক্সট পোস্ট ওটাই হত। ডায়েরির লেখা আগে দিলাম বলে এমন করে প্রতিশোধ নিতে পারলে পঁচা শুন্যাপু কোথাকার ;(
শুন্য শুন্যালয়
নেক্সট পোস্ট ওটাই হোক, অপেক্ষায় থাকলাম। আজই দিয়ে দাও। এরপর থেকে আগে আগে ভেবে রাখবেনা , ভাবনা চুরি হয়ে যাবে। 🙂
অরুনি মায়া
আর ভাবনার কথা বলোনা আপু। আমি সকালে ভাবি রাতে এটা নিয়ে লিখব, কিন্তু বিকেল আসার আগেই তা ভুলে যাই। কোন ভাবেই মনে করতে পারিনা কি নিয়ে লিখতে চেয়েছিলাম। আগে এমন হতোনা আপু 🙁
শুন্য শুন্যালয়
আমিও আসলে সেদিন খুব অবাক হয়েছিলাম, ঠিক ঘুমাতে যাবার আগে তাকে বলেছি, ডায়েরী লিখবো, আমার কথাগুলো লেখা দরকার, কাকে লিখবো, যার কেউ নেই সে কি করে। আর অইযে রাগের কথা লিখেছ, ঠিক অইভাবে ভেবেছি। আমিতো রাগী হয়ে যাচ্ছি, কেন হচ্ছি। ভোরে লেখাটা দেখে চমকে গিয়েছি।
যাক, প্রতিশোধ নিতে পেরেছি তাহলে 🙂
কাঠগোলাপ? তাহলে কাঠমল্লিকা কোনটা? আমিতো দুটাই এক জানি। ^:^
ছায়ার ছবিটা আমারো প্রিয়। 🙂 মন্তব্যে ছবি দেয়া গেলে, তোমাকে আরো কএকটা দেখাতাম।
এবার তোমার উঠানের বাগান দেখাও। তোমার বাগান নিশ্চয়ই আরো অনেক সুন্দর হবে, মায়ার বাগান যে।
অরুনি মায়া
তোমার সাথে দুষ্টুমি করি আপু। তাই অনেক কিছুই বলে ফেলি অনেক কিছুই লিখে ফেলি। আসলেই অদ্ভুত ব্যাপার ঘটে গেল পরপর দুইবার। জাদুর প্রভাব মনে হচ্ছে :p।
আরও ছবি দেখতে চাই আপু। বাকি গুলো নিয়েও পোস্ট দিয়ে দিও কিন্তু।
না আপু আহামরি তেমন বাগান নয় আমার। তবে আমি ফুল পাগল। শুধু গাছ কিনতে আর লাগাতে ইচ্ছে করে। এটা নেশার মত হয়ে গেছে 🙂
শুন্য শুন্যালয়
গাছ মরে গেলে খুব কষ্টও হয় আপু। ভাল কিছুর নেশা থাকা ভাল। 🙂
তোমার পোস্ট কই আপু? দিয়ে দাও।
যাদুর আছর থাকলে প্রভাব তো পড়বেই 🙂
অরুনি মায়া
ঠিক বলেছ আপু, ধীরে ধীরে যখন গাছের পাতাগুলো শুকিয়ে আসে,একটু একটু করে মৃত্যু আসে তখন মনে একটা চাপ অনুভব করি। মন বলে আহা আমি যদি মৃত্যুকে রুখে দিতে পারতাম।
পোস্ট দিব আপু। তবে একটা একটা করে ফুলদের নিয়ে আসব। পর্ব আকারে দিব ভাবছি।
শুন্য শুন্যালয়
পোস্ট পেয়ে গেছি আপু। এত গোলাপ দেখে রাগে ফুঁসছি। :@
অরুনি মায়া
হাট থেকে চিরুনি এনে দিব, তবুও রাগ তুমি করোনা সখি। (3
মোঃ মজিবর রহমান
হয় দিদি গ আমারত বারান্দায় হারাইয়া গেছে
গাওগ্রাম থেকে আইসা এই শহর সব কাইড়ানেছে গ দিদি
এহন আমি ফইকিইরা হয়ছিগ।
নজর কাড়ে মন চাই দেহি আর দেহি।
শুন্য শুন্যালয়
আমার বাসাটা ছোট ভাইয়া, দুই রুমের বাসা, তবে সৌভাগ্যে দুইপাশে দুইটা বারান্দা পেয়েছি। যেখানে দেখিবে ছাইয়ের মত, এখানেই প্রচেষ্টা চালাচ্ছি।
শহর সব কেড়ে নেয় ভাইয়া 🙁
মন খারাপ করেন না ভাইয়া, মাঝে মাঝে গ্রামে চলে যাবেন বেড়াতে। ভালো থেকেন।
মোঃ মজিবর রহমান
থিক বলেছেন দিদি।
ভাগ্য ভাল দুই রুমে দুই বারান্দা।
ভাল থাকুন।
শুন্য শুন্যালয়
ভালো থাকবেন আপনিও ভাইয়া।
আবু খায়ের আনিছ
এই সেই বারান্দা, কত কথা এই বারান্দা । বারান্দা নয়, যেন বাগান। এমন একটা বারান্দর কথা চিন্তা বা কল্পনা করলেও মন ভরে যায়। আচ্ছা আপু উচ্ছ কি? (উচ্ছের বীজগুলো)
অনিকেত নন্দিনী
উস্তে। আমরা যাকে উইস্তা বলি।
শুন্য শুন্যালয়
😀 এইনা আমাগোর নন্দিনী আপু। (3
আবু খায়ের আনিছ
ও আচ্ছা, মনে মনে এমনটা ভেবেছিলাম, তবু নিশ্চিত হয়ে নিলাম। প্রশ্ন করতে আমি বড্ড বেশি ভালোবাসি। ধন্যবাদ অনিকেত নন্দিনী।
অনিকেত নন্দিনী
আই কিচ্চি? 😮
শুন্য শুন্যালয়
উইস্তা বহুদিন পরে শুনলাম সত্যি, তাই খুশিতে নন্দিনী আপুরে থাংকু দিলাম। 😀
শুন্য শুন্যালয়
উম, এই সেই বারান্দা 🙂 টবে সব গাছ ফলানো কঠিন, দেখি কতদিন যত্ন নিতে পারি। চিন্তা আর কল্পনাকে বাস্তব করে ফেলুন। 🙂
আবু খায়ের আনিছ
স্বপ্নটাকে লালন করছি, ইচ্ছা আছে যখন নিজের একটা বারান্দা হবে তখন করব।
শুন্য শুন্যালয়
স্বপ্নটাকে বাঁচিয়ে রাখবেন, পুরন একদিন হবেই।
ইলিয়াস মাসুদ
আরে বাহঃ বারান্দা নয়তো বাগান,আপনি তো চরম মানুষ স্টবেরি ধরাই ফেল্লেন টবে ? মরিচের কথা একদম টিক বলেছেন,যে ঝাল কে এসব দেশের মানুষ ঝাল বলে তাতে আমি হেসে মরি,আমার আম্মার জন্য আমি ঝাল মরিচ সংগ্রহ করে আনি দূর দূর থেকে,তাতেও মায়ের ঝাল মেটে না,এসব মরিচ কে মা বলে শো-পিচ….. হাহাহ 🙂
শুন্য শুন্যালয়
শোপিচ মরিচ, ভালো নাম দিয়েছে আপনার মা 😀 বেশি ঝালের মরিচও আছে, অনেক মরিচ ধরেছে তাতে। স্ট্রবেরী শুরুতে টক ছিলো, আস্তে আস্তে মিষ্টি হচ্ছে খুব। আমিও নিজেও বুঝতে পারিনাই, স্ট্রিবেরী ধরবে, এখন শুধু ধরেনি, চারিদিকে অনেক ছড়িয়েছে। হ্যাপি 🙂
আমার বাগান দেখার জন্য নিমন্ত্রন রইলো ভাইয়া।
ইলিয়াস মাসুদ
আমাকে ভুলেও বাগান দেখাবেন না,আমি ফুল আর ফল দুটোই সমান তালে চুরি করেছি জীবনে,আম্,কাঠাল কলা এমন কোন ফল নাই যা আমার চোরনিবাসে থাকতো না। আর ফুলের কথা তো বলবেন না,সুন্দর ভাল কোন ফুল দেখলেই চুরি করতাম,তবে যার জন্য চুরি করে আনতাম তাকে কখনো দিতে পারিনাই,এক দিন একটা শেষ চুরি করলাম তুলি আপাদের বাগানের সেই জাম্বু গোলাপ,সেই গোলাপ নিয়ে ভাবছি আজ তাকে দেবই,গিয়েছিলাম ও দিতে,গিয়ে দেখি স্ব-পরিবারে গ্রাম ছেড়ে তারা শহরে পাড়ি দিচ্ছে,দিলাম নদীর ঘাটে ভূ-দৌড়, কিন্তু খুব দেরি হয়ে গেল, ততক্ষনে নৌকা স্রতে ভেসে গেছে প্রায় বিশ হাত দূর,আমি দাঁড়িয়ে প্রস্থান দেখছি হাতে জাম্বু গোলাপ নিয়ে ……., আর সে দু হাত নেড়ে মিশে গেল সীমাহীন দূরে….।তার পর আর কখনো ফুল চুরি করেনি, তবে ফলের ব্যাপারে কোন গ্যারান্টি দিতে পারছি না। 🙂
শুন্য শুন্যালয়
আহারে ভাইয়া। আপনি তো ভুল করেছেন। এরপর গোলাপ নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকতে হতো, প্রতিদিন। ফিরে আসতোই কোন একদিন। ঠিকানা বের করা কঠিন ছিল কি?
আমার বাসায় আপনারে দাওয়াত দেয়া ঠিক হয়নাই দেখি :p
ইলিয়াস মাসুদ
আর কত দাঁড়ায়ে থাকা
আমি পাথর হয়ে ছিলাম কত কাল
বহুদিন পর ঘাটে নৌকা এলো,যাত্রী এলো……
যাত্রী বর বাচ্ছা সব এলো……. হাহাহা
দাওয়াত ফেরত দিতাম না কিন্তুক ॥ :p
শুন্য শুন্যালয়
বর বাচ্চা এলো, বউ কই গেলো, বউ ছিনতাই করা কোন ব্যাপার না। শাহজাহানের মমতাজ লক্ষনীয়। 😀
ব্যাপার না ভাইয়া, চোর তাড়ানি অস্ত্র আছে। দাওয়াত ফেরত নিলাম না। 🙂
খসড়া
এত সুন্দর, আমি পারি না আমি কিছুতেই পারি না। কি সুখি তুমি। শুনেছি সুখি না হলে নাকি গৃহকোনে গাছ হয় না।
শুন্য শুন্যালয়
তাই আপু? সুখির কথা জানতাম না, শুধু জানতাম সবার হাতে হয়না। আমি আগে কলেজ হোস্টেলে কএকবার চেষ্টা করেছি, কোন গাছ বাঁচাতে পারিনি। তাই এবারের গাছগুলো খুব আগলে রাখছি। আর এটা সত্যি, আমি সুখি 🙂
আপনিও পারবেন নিশ্চয়ই, হয়তো সময় দেননি, কারন যার এমন জানু আছে, সেতো সবার চাইতে সুখি 🙂
মারজানা ফেরদৌস রুবা
শুন্যের শুন্যালয়ে এতো সুন্দর বাগান! আহ কি প্রশান্তি! নির্মল অক্সিজেন!
ভালো লাগছে গো, চোখটা জুড়িয়ে গেলো। (3
শুন্য শুন্যালয়
গাছের মায়া অন্যরকম আপু, ভেজালমুক্ত নির্মল প্রশান্তির। বারান্দাটা এখন খুব প্রিয় হয়ে গেছে। আপু থাংকু (3
অনিকেত নন্দিনী
অন্নেএএএএএক সুন্দর।
আলাদা করে কিছু বলার নাই। প্রত্যেকটা গাছ তার নিজস্বতা নিয়ে খুবই সুন্দর। (3
এত্ত সুন্দর বারান্দা দেখলেই তো সেই বারান্দায় ধূমায়িত চায়ের মগ হাতে বসতে ইচ্ছা করে গো আপু। বারান্দাটা এত্ত দূরে, চায়ের মগ হাতে বসার জো কই? ;(
শুন্য শুন্যালয়
আপুগো, দিবো নাকি আপনার দুঃখ বাড়িয়ে? চায়ের কাপ হাতে এখন অই বারান্দা ছাড়া চলেই না। ভোর, রাত্রি যখন ইচ্ছে।
আমন্ত্রন রইলো, কোনদিন যদি সুযোগ আসে।
আপু আপনার উইন্ড চাইমের বারান্দাও কি কম লোভনীয়? আমার তো একটাই উইন্ড চাইম নাই। 🙁
অনিকেত নন্দিনী
লোভ কিন্তু আসলেও লেগেছে। স্ট্রবেরি যদিও আমার পছন্দনা, বারান্দায় ফলাতে সমস্যা নাই একটুও। আমার পুত্র খুব পছন্দ করে এইটা। 🙂 ও এই ছবি দেখলে বারান্দায় এই গাছ লাগাবার জন্য পাগল করে দিবে। ^:^
গাছের আলাদা জাদুকরী ক্ষমতা আছে। তাদের সান্নিধ্যে গেলে এম্নিতেই মন ভালো হয়ে যায় আর হাতে গরম চায়ের মগ থাকলে চা হলে তো কথাই নাই! 🙂
উইন্ডচাইম আলাদা, ফুল-ফলের গাছ আলাদা। আমার উত্তুরে বারান্দায় ফুলেল গাছ কম, পশ্চিমের বারান্দায় বেশি। উত্তরের বারান্দায় ইয়াবড়ো এক ক্যাকটাস আছে, বাকি গাছগুলি ওইটার কাছে কিচ্ছুনা। 🙂
শুন্য শুন্যালয়
আপনার বাগানের ছবিও একদিন দেখতে চাই আপু। স্ট্রবেরী আগে আমিও পছন্দ করতাম না, গন্ধটাই ভাল লাগতোনা, এখন সব ধরনের বেরীই পছন্দের তালিকায় চলে এসেছে। লাগিয়ে ফেলুন গাছ। হ্যাঁ গাছের যাদু অন্যরকম। গাছের প্রতি ভীষন টান থাকা সত্বেও এতদিন বাগান করতে পারিনি, এখন তার সদয় হয়েছে তাই পারছি। সমস্যা হচ্ছে শীত আসতেছে, বেশি শীতে এখানে এসব গাছ বাঁচাতে পারবোনা। ক্যাকটাসই ভালো।
ছবি দেখবো আপু। -{@
মেহেরী তাজ
এই সিরিজ কবে থেকে শুরু হইলো???
শুন্য শুন্যালয়
সিরিজ না, এইখানেই সমাপ্তি। 🙂
মেহেরী তাজ
ফাঁকিবাজি মন্তব্যের ফাঁকিবাজি উত্তর! ব্যাপার না!
শুন্য শুন্যালয়
হ, ফাঁকিবাজি দেবার সুযোগ আমি এক মূহুর্তও ছাড়িনা 😀
কেমন আছে পিচ্চি আপুটা?
নাসির সারওয়ার
চোখ জুড়ানো আর মন ভরানো। কোনটা রেখে কোনটা বলি!
গোলাপ অসুন্দরও হয় তাহলে! কি যন্ত্রনা। বিবর্ণ হবার আগে মাটিতে পুতেও দেয়া যায়না।
তবে বারান্দা বারান্দার মতই থাকুক। কোন ভাবেই ঘরকে যেনো খেয়ে না বসে।
শুন্য শুন্যালয়
হ্যাঁ ভাইয়া মাটিতে পুতেও দেয়া যাবেনা। বিবর্ন হয়ে গেলে সবকিছুই তার সৌন্দর্য্য হারায়, এটাই বলেছিলাম। মানুষও।
খুব ভালো বলেছেন, বারান্দা বড় হয়ে গেলে একদিন ঘরটাকে খেতেই বসে যায়, নিজেরই অজান্তে মনে হয়। তবে আপনার সাবধানতা পৌঁছে দিলাম 🙂
রিমি রুম্মান
সবগুলো ছবি ভীষণ জীবন্ত। ছায়ার ছবিটা কেন যেন আমায় টেনেছে বেশি। কি জানি কিছু অর্থ বহন করেছিলো কিনা !
শুন্য শুন্যালয়
ছায়ার ছবি আমার ভাল লাগে আপু। সবকিছুর ছায়ার ছবি খুঁজি। গাছগুলোতে টান পড়ে গেছে। ভাল থাকবেন আপু।
স্বপ্ন
আপু,বারান্দা তো দেখি ফুল, অন্য গাছে পুর্ন হয়ে গিয়েছে। কিছুদিন পরে পা ফেলতে পারবেননা মনে হচ্ছে 🙂 এত মমতা আপনার।ফুল সহ অন্য গাছ তো হাসবেই 🙂 সব কিছু দেখে মুগ্ধ হয়ে গেলাম। মিথুনকে আপনার কাছে পাঠিয়ে দেবো নাকি? ট্রেনিং দিয়ে দিবেন এসবের -{@
শুন্য শুন্যালয়
পা ফেলতে পারবোনা, এই ব্যবস্থাই করছি, একটা বারান্দা শেষ হলে, আরেকটা তে হাত দেব 🙂
মমতা থাকলেও সব সময় সবকিছু করা সম্ভব হয়না স্বপ্ন। মিথুন কে আমার কাছে পাঠিয়ে দেবেন? 🙂 মিথুনের মমতাও কম নয়, সে চাইলেই এর চাইতে সুন্দর বাগান তৈরি করতে পারবে বলে আমার বিশ্বাস, স্বপ্ন সাথে যার সে সব পারবে।
অনেক ধন্যবাদ স্বপ্ন।
-{@
মেহেরী তাজ
আপু গাছের সখ ও আছে? ভালো. । 🙂
আচ্ছা জার্বেরা ফুলে আছেটা কি!? ;? সবায় কে নাকি টানে! আমি ভাবছি আমিও আগামী দিন খুব ভালো করে দেখবো।
শুন্য শুন্যালয়
সবাইকে টানে নাকি রে? 🙂 কি জানি, ফুলটা অনেকদিন তাজা থাকে, হয়তো একারনে ভালো লাগে, সুন্দরকে সুন্দরেই মানায়, অসুন্দরে না।
ভূতু, পোস্ট দিবি কবে রে? কতদিন লেখা পড়িনা তোর।
অপার্থিব
সবজি হিসেবে মরিচ খাওয়ার আইডিয়াটা মন্দ না। জীবনে এই প্রথম মরিচ খাওয়ার লোভ জাগল। ছবি গুলো ভাল লেগেছে।
শুন্য শুন্যালয়
মরিচে ঝাল কম থাকলে আমার ভালই লাগে, ফাঁকিবাজি ভাবনা, বেশি ঝাল না তাই বেশি ভিটামিন সি খাওয়া যাচ্ছে :p
হুম হুম খাওয়া শুরু করুন সবজি হিসাবে, তবে দেশি মরিচ বুইঝা শুইন্যা 🙂
নীলাঞ্জনা নীলা
বারান্দা, এ নিয়ে লেখা তুমি-ই লিখতে পারো। ছবিগুলো দেখছি, আর ভ্রূণ।
“অঙ্কুরিত হইনি এখনও,
তবুও মাথার ‘পরে ছাদ
প্রস্ফুটিত হবার পরে
কোন বুকে থাকবো আমি!” অনেক আগের লেখা, ছবিও তুলেছিলাম একটি ভ্রূণের।
শুন্য আপু এতো গুণ ভালো না। বেজায় হিংসিত হইয়া দাঁতে দাঁত খিঁচিয়া মন্তব্য বাণ ছুঁড়িবার লাগিয়া প্রস্তুত হইয়া আছি। :@
ইমোতে খালি ধোঁয়া বের হয়, কেন?
শুন্য শুন্যালয়
প্রস্ফুটিত হবার পরে কোন বুকে থাকবো আমি, বাহ্। আগলে রাখছি চারা গুলোকে।
বেশি হিংসিত তুমি হতেই পারোনা, হিংসা বেশি হলে মানুষ উল্টা কথা বলে। জানি তোমার ভালোই লাগে আমার গুন, যদিও এটা গুন কিনা জানিনা।
আসলেই, ইমোতে আগুন জ্বলেনা ক্যান? ;?
নীলাঞ্জনা নীলা
আপু আগুণ জ্বলবে কি করে? অনেক ভেবে দেখেছি হিংসা করি তো তাই মাথার ভেতরে আগুণ জ্বলছে। 😀 :p
শুন্য শুন্যালয়
মাইনষের শরীরের ৬৫% ই নাকি পানি, আগুন জ্বলে ক্যাম্নে? ধোঁয়া ওঠাই সার, নিইভ্যা যাইবো। :p
ব্লগার সজীব
প্রশ্ন হচ্ছে আপনি কিভাবে এত সময় ম্যানেজ করেন? বারান্দার মরিচ সহ সব ফলের গাছ আমার জন্য রেখে দিবেন। ফুলের সৌন্দর্য্য আপনাদের সবার জন্য থাকলো। মিষ্টি ফলের গাছ বেশী লাগাবেন আপু, আমি জ্যুস বানিয়ে খাবো। জার্বেরা ফুল মনে হয় এই প্রথম দেখলাম, খুবই সুন্দর।
শুন্য শুন্যালয়
দাঁত নাই? ফল কামড়ে না খেয়ে জ্যুস বানিয়ে খেতে হবে কেন? নিয়মিত দাঁতের যত্ন নিন। আপনার জন্য ভাবছি নারকেল গাছ লাগাবো, চলবেনা?
জার্বেরা ফুল আমাদের দেশে আছেতো। তবে আমার বাগানের জার্বেরা আপনি এই প্রথম না, মনে হয় দ্বিতীয়বার দেখেছেন 🙂
আমার অফুরন্ত সময়, তাই বলে ধার চাইবেন না।
ব্লগার সজীব
নারকেল গাছেও সমস্যা নেই, ডাবের পানি মহা উপকারী আর সুস্বাদু। কিছু ডাবের পানি অবশ্য নোনতা, তার স্বাদও অমৃত সম। নারকেলেও ডরেনা বীর 🙂 আমি ধার কেন চাইবো, আমি তো একেবারের জন্যই নিজের করে চাইবো সময়। ধর নিলে তো ফিরিয়ে দেয়ার প্রশ্ন আসে। আমি ফিরিয়ে দেবো না তো 🙂
শুন্য শুন্যালয়
আমার সময় আপনি একবারে নিয়ে নেবেন, সে কি? তারপর আমার কি হবে? দিনের পর দিন পোস্ট দিতে না পারলে তো কান্নাকাটি শুরু করবেন। নোনতা ডাবের পানি আবার অমৃতসম কি করে হয় কে জানে! তবে তাই হোক আপনার জন্য নারকেল গাছ, উল্টাপাল্টা কিছু করেছেন তো, ডাব ছুড়ে মারা হবে। 🙂
ভাভু বাইয়া, বেশ পাকনা কথা শিখেছে দেখি আজকাল :p