পুরোনোর নূতন

ছাইরাছ হেলাল ৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৭, শুক্রবার, ১২:১১:৩৯পূর্বাহ্ন একান্ত অনুভূতি ২৭ মন্তব্য

পুরোনো ঘরের গন্ধ গা ঘেঁসে দাঁড়িয়েছে, এই তো এখানে ওরা সবাই ছিল, একে অন্যতে একাকার হয়ে,
এই বিশাল শব্দ না তোলা স্বপ্নপালংকে শুয়ে শুয়ে বসে বসে হাঁটু মুড়েও কত কী না ভেবেছে, করেছে, অন্য রকম করে আরও অনেকক্ষণ কত কিছু ই করার কথাও ভেবেছে,

খিস্তিমৈথুন থেকে শুরু করে ধানি বা খিল পড়ে থাকা জমা জমির নিকেশি হিসাব, মস্ত ওলানের দুধেল গাইটির দুধ কেন কমে যাচ্ছে? সাপ-কোপ আসে কী না অগোচরে, বাড়ীর সোমত্ত কাজের মেয়েছেলেরা শীতের রাতে খড়ের গাদার আড়ালে গেল কী না, গেলেও কে কার সাথে কখন যায় খোঁজাখুঁজির অজুহাত তুলে, গঞ্জের ধান বিক্রির হিসাবে গোলমাল হলো কী না, অমনোযোগী গাছিরা রস নামাতে দেরি করে সব নষ্ট করে দিচ্ছে কী না, রসে ভেজা চিতই আর বেশি করে দেয়া নারকেল সহ গরম শিরণির ম ম ঘ্রাণের নাকে লেগে আছে, উত্তরের ভিটেয় কলা গাছে এবার ভারী ভারী কলার বিশাল কাঁদি পড়েছে, শীত এলোনা এবার জাঁকিয়ে, বর্ষায় কী হয় কে জানে!! চিনা হাসের ডিম বেশি বেশি খাওয়া বারণ।

পালঙ্কের পাশে অতিকায় মাটির ঘড়ায় শিশু বেশে পুতুল খেলার ছলে সবার চোখ ফাঁকি দিয়ে ঢুকে পড়ে জামাই-বউ খেললে বেশ হতো, ভারী কুয়াশায় উঠোনে আগুন জ্বেলে ভুত-পেত্নী খেলব,

ভাবছি থেকেই যাব, এই এখানে, এখানে,
সময়ের ক্রূরতাকে উপেক্ষা করে অঘটনঘটনপটীয়সী হয়ে,
সোঁদা মাটির ঘ্রাণে, সোনালী মাঠ আর সবুজের মাঝে, কুয়াশা-মোড়া শীতসকালে;
একপাল বিমিশ্র শয্যারতন এখানে, ক্ষয়িষ্ণু বিকেলের নোনাজল পেছনে ফেলে,
তরুণীসময় কাঁদে মন্থনাকাঙ্খায়, ক্ষরণবিপন্নতার মগ্নজলে এ কার! কিসের আহ্বান!! সময়ের দোলাচলে!!
দু-পায়ে পা ফেলে আর কোথাও যাচ্ছি না, যাবোও না, হারাবো এই সবুজের শ্যামলিমায়,
ঘন হব খুব, মাটির বুকে লেপ্টে, নিস্পন্দনে;

0 Shares

২৭টি মন্তব্য

মন্তব্য করুন

মাসের সেরা ব্লগার

লেখকের সর্বশেষ মন্তব্য

ফেইসবুকে সোনেলা ব্লগ