রাত হলেই
রাত্রির কাঁধে কাঁধ রাখি
কাঁধে মাথা রেখেই ঘুমাই,
মুখচোখহীন জমাট অন্ধকার রাত, ঝানু বিষণ্ণতায়,
অশেষ নিস্তব্ধতা বা দুধেল জ্যোৎস্নায়
হু হু নিঃশব্দ নির্জনতায়, নিঃস্বতায়,
রা নেই মুখে, উল্লাস-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে
মজে-হেজে যাওয়ায়, সত্য-মিথ্যের যমজজন্মে
অবশ্যই রাত হলেই রাত্রি আসে
উঁকিঝুঁকি দিয়ে আড়ালহাসি হাসে,
রাতে, রাত্রি শুধুই ভান করে শেখানোর
কিছুই শেখায় না,
ইতং-বিতং শেষে তিড়িং করে এক লাফে
বুড়ো সকালের নড়নড়ে কাঁধে
গ্যাঁট হয়ে বসে,
অসভ্য বিশ্রিমুখোরাত্রি টানাটানা চোখে
মিটমিটিয়ে হাসে,
অনন্ত তৃষার জলক্লান্ত বুকে
পাঁশুটে মুখে অন্তহীন ব্যথিত ব্যথায়
বিষণ্ণতা শুয়ে থাকে, নিশ্চিন্তে;
৩৬টি মন্তব্য
মৌনতা রিতু
মুই রাতের কাঁধে মাথা দিয়া দেখছি, কয় সইরা যাও। মুই সরে আসি। ঘুমও তাই পালায়।
তা রাত্রির কাছে কি শিখবার চান, কইনছেন দেহি?
সকাল বুঝি এভাবে হয়!
কুবিতা কিন্তু হ্যাপ্পি হইছে।
না, সত্যি ভাল লেগেছে।
ছাইরাছ হেলাল
শেখার শেষ নেই, তাই সবার কাছ থেকেই শিখি,
আপনাদের কাছ থেকেও।
রাতে রত্রির সাথে ভাব করে ফেলবেন আলগোছে,
নীলাঞ্জনা নীলা
বুড়ো সকাল!!! আহারে বেচারা সকাল হলো বুড়ো। এখন বুঝেছি রাত্রি নিয়ে কেন এতো টানাটানি! তন্বী রাত্রির কাছে বিখ্যাত সব কবিদের কবিতাই কুপোকাৎ হয়েছে। আমাদের কুবিরাজ ভাইও তো বিখ্যাত, এখন তাইতো দেখছি! 😮
কুবিতা ফাঁটাফাঁটি হইছে কিন্তু। :c 😀
ছাইরাছ হেলাল
গুরুজি আমি বিখ্যাত না হয়েও কুপোকাত হয়েছি, আপনি ঠিক ধরতে পেরেছেন,
ফাঁটাফাঁটি !! ঠিক বলছেন!!
নীলাঞ্জনা নীলা
কুবিরাজ ভাই আপনার কুবিতা ধরার মতো শিক্ষিত এখনও হই নাই। ^:^
ছাইরাছ হেলাল
গুরুজী আগে কইবেন্না!!
নিহারীকা জান্নাত
ওহ বাঁচলাম। তেমন কঠিন কোন শব্দ আজ নেই। এমনিতেই আক্কেল দাঁতের নড়বড়ে অবস্থা।
ছাইরাছ হেলাল
কিছু বাড়তি দাঁত লাগিয়ে নিন, প্লিজ,
শুন্য শুন্যালয়
সত্য -মিথ্যা জমজ!! তাহলে বোধহয় ডাইজাইগোটিক টুইন হবে।
মুখচোখহীন রাত্রি যেভাবে হেসে গেলো, হেসে হেসে ফাঁসিয়ে গেলো তবুও বলছেন কিছু শেখায়নি!
প্রশ্ন তো একই, সকাল বুড়ো আর তার কাঁধ নড়নড়ে? তাই শক্তপোক্ত রাত্রির কাঁধ বেছে নিয়েছেন? কলিকালের রাত্রিরা কিছু শেখায়না, ভানই করে।
ভালো হইছে কবিতা, তবে আগেরটা বেশি ভালো 🙂
ছাইরাছ হেলাল
সে যেমন টুইন ই হোক না কেন, পাশাপাশি ই থাকে।
কেউ কিচ্ছু শেখায় না, ঘোর কলিকাল,
সব কী আর আগের মত হয় নাকি, ওটি তো স্পেশাল!!
প্রহেলিকা
রাতগুলো এমনি হয় স্বৈরাচারী। কবিদের কাছে অবশ্যই তার স্বৈরাচারীতার সর্বোচ্চটা প্রকাশ করে। কবি না হলেই বরং বেঁচে যেতেন।
রাত্রীর কাছে এতো কিছু শিখতে চান তা হাদিয়া কিছু দিয়েছেনতো নাকি? আহা রে কবি, হাদিয়াতো দিলেনই না তার উপর আবার রাত্রির এই গীবত!
ছাইরাছ হেলাল
বুঝলাম রাতেরা আপনার পূর্বপরিচিত,
কবি তা হয়েও বাঁচতে পারলাম কই!!
উহ্, গীবত বেলছেন কেন!! যা তাই-ই তো বললাম,
আপনি ইচ্ছে হলে ভাল হলেও হয়ে যেতে পারেন, মশাই।
নাসির সারওয়ার
ভাবছি একবার কাঁধ থেকে মাথা আলাদা করে ঘুমাবো, দেখি ভোরটা বুড়া হয়ে উঠে কিনা।
কিসব যে পড়ি আজকাল, আগামাথা পাইনা।
মিষ্টি জিন
নাসির ভাই ,কাঁধ থেকে মাথা আলাদা করে ঘুমাবেন? :D) :D) :D) :D) :D) :D)
মরে গেলাম হাসতে হাসতে
ছাইরাছ হেলাল
এখুনি অক্কা পাওয়া ঠিক হবে না।
ইঞ্জা
কাব্য এমনি হয় যার আগা মাথা খুঁজতে গেলে কিছুই বুঝবেন না ভাইজান, নেক্সট টাইম দেখা হলে আপনাকে দেখাবো, আমার দাঁত একটা গেছে কবিরাজের মহা কাব্য পড়ে। ;?
ছাইরাছ হেলাল
হায় দাঁত!! আর কটা দিন থেকে গেলে না!!
ইঞ্জা
আহ কি দুঃখ ;(
ছাইরাছ হেলাল
দুঃখের কিচ্ছু নেই, ভাই।
দাঁত আজকাল ম্যালা পাওয়া যায়।
ছাইরাছ হেলাল
কাঁধ থেকে মাথা আলাদা করে ফেলেছেন বলেই এমন সমস্যা দেখা দিচ্ছে,
অতি দ্রুত জুড়ে ফেলুন,
সব ফকফকা হয়ে যাবে,
ইঞ্জা
ফকফকা হবে সেদিন যেদিন কবি শিখাবে কাব্য, আস্বাদন করাবে কাব্য রস।
ছাইরাছ হেলাল
আগে আমি পাকা হই!! তারপর অন্যদের,
কিন্তু নিজের পাকা হওয়ার কোন লক্ষণ দেখছি না।
ইঞ্জা
শুভকামনা
ছাইরাছ হেলাল
ধন্যবাদ ভাই।
ব্লগার সজীব
আমার একটি শান্ত শিষ্ট সুবোধ রাত্রি লাগপে। আপনার কথা না শুনলেও আমার কথা শুনবে 🙂
ছাইরাছ হেলাল
বাহ, এইতো চাই, পোষ মানিয়ে আমার কাছে পাঠিয়ে দিয়েন,
মিষ্টি জিন
কি বলি?
রাত্রের কাঁধে মাথা না রেখে বালিশের কাঁধে রাখলে ঘুমটা ভাল হবে।
ডাইনির বদলে এঁখন আবার রাত্রি উকি ঝুঁকি মারে।
বুডো সকাল ?
কই যাই ^:^
:D)
ছাইরাছ হেলাল
দেখি চেষ্টা করে আপনার বুদ্ধি কাজে লাগে কি না,
এত্ত বুদ্ধি নিয়ে ঘুম হয়!!
ডাইনি আছেই, ফাঁকে রাতে রাত্রির খোঁজ নিচ্ছি,
যাওনের জায়গা রাখিনি,
সকাল খুব পচা,
মিষ্টি জিন
ঘুম হয়না মানে?
কাঁধের উপরে বুদ্ধি রেখে ঘুমাই। :p
ওরে আল্লাহ কয় কি ডাইনি থাকতে আবার রাত্রি ?
সন্দেহজনক!! ;?
বুডো সকালের চেঁযে পচা সকাল ভাল। :p
ছাইরাছ হেলাল
এরা নানান রূপে আসে, থাকে, যায়ও!
সকালকে আপনার কথা জানিয়ে দেব।
সন্দেহের কিছু নেই।
ইঞ্জা
ভাইজান দাঁত আরেকটা নড়তে শুরু করেছে আজ কিন্তু লেখাটা মন ছুঁয়ে রইল। (y)
ছাইরাছ হেলাল
সব দাঁত আগে ভাগেই সাফা করে ফেলুন, ভাই,
আর ঝামেলা হবে না,
মন ছোঁয়া ল্যাহা হইছে!!
আবু খায়ের আনিছ
আমার একটা রাত লাগবে, নিশ্চুপ স্তব্দ রাত, ঘুমানোর জন্য।
ছাইরাছ হেলাল
পেয়ে যাবেন, চিন্তার কিছু নেই।
মনির হোসেন মমি(মা মাটি দেশ)
লেখায় সব মন্তব্য পড়ে
ভাল লাগা জানিয়ে গেলাম। -{@
ছাইরাছ হেলাল
সব পড়েছেন জেনে আরও ভাল লাগল।