ম্যানিকিওর ,প্যাডিকিওর করে মুখে ফেসিয়াল করে সংসার অট্টালিকার স্নেহ ভালোবাসার ইঁটগুলি হাতুড়ি দিয়ে টুকরো টুকরো করছ!!!???
উল্লঙ্গ বাঘকে নিয়ে খেলা করতে করতে সাপের মত বেঁকে যাচ্ছ !!??
সিংহ র মত্ততা বশে আনতে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়ে সানিয়া মির্জার মত টেনিস খেলে আ্যওয়ার্ড নিয়ে জিতে যাচ্ছ!!??
তুমি ই নারী!!!
তুমি কি সেই নারী !!!??
যার বুকের শক্তিশালী রসে পুরুষজাতির মুখের প্রথম বাক্য ফোটে!!!
মৌচাকের সাফল্যে তুমি!!!
মৌচাকের অস্তিত্বে তুমি!!!
তবু তুমি অত্যাচারিত অবহেলিত ও প্রতারিত!!!!????
কোলকাতা
১৭ নভেম্বর ২০১৫
২৪টি মন্তব্য
জিসান শা ইকরাম
নারীর প্রতি যে কোন ধরনের অত্যাচার বন্ধ হোক
আমরা যেন সব নারীকে তাঁর প্রাপ্য সন্মান দিতে পারি
ভালো লিখেছেন।
শুভ কামনা।
অরুনি মায়া
হায়রে নারী জাতি যুগের পর যুগ শুধুই পুরুষ জাতের ভোগ বিলাসের সামগ্রি হয়ে থাকল |
কিন্তু কেন?
আর কতকাল?
অরুণিমা
এই প্রশ্নের উত্তর জানা নেই মায়াদিদি।নারীকে মনে হয় একারনেই সৃষ্টি করা হয়েছিল।
আবু খায়ের আনিছ
দিদি, শুভেচ্ছা তোমায় প্রথমে কিন্তু এই শুভেচ্ছা ভিন্ন কারণে। বেশ কিছু মেয়ে দেখেছি আমি যারা নারীর মুক্তি নিয়ে কথা বলতে আগ্রহী নয় কিন্তু মনে প্রাণে মুক্তি চায়।
আবার কিছু মেয়ে দেখেছি যারা নিজেদের মেয়ে বলে দাবী করে, যখন বলি নিজেকে একজন মেয়ে না ভেবে মানুষ ভাবুন,তখনই বলে সম্বভ নয়। কেন এই প্রশ্নটা করার সাহস পাই না, যদিও কখনো ভুলে করে ফেলি তখন উত্তরটা যেন তাদের মুখে প্রস্তুত থাকে, আপনার মত ছেলেদের জন্যই ত নিজেকে মেয়ে বলে পরিচিয় দিতে হয় মানুষ বলে নয়। আমি নিশ্চুপ হয়ে যেতে বাধ্য হই।
নারীর প্রতি সকল অন্যায় বন্ধ হোক।
আবার শুভ কামনা।
অরুণিমা
আপনার কথা সত্যি দাদা।আমরা নারীরাই নারীদের চিনতে পারিনা।
আবু খায়ের আনিছ
অবস্থার পরিবর্তন হচ্ছে,এটাই আশার কথা।
মারজানা ফেরদৌস রুবা
আনিছ ভাই, এ ব্যাপারগুলো নিয়ে অনেক কথা বলার আছে। অনেক কথা বলাও যায়। কিন্তু যখনই সুক্ষভাবে বিশ্লেষণ করতে যাই তখনই নারীবাদী বলে ট্যাগ খেতে হয়।
কিন্তু মনেপ্রাণে চাই সবসময় নারী নয়, পুরুষ নয় সবাই মানুষ হিসাবে যার যার অবস্থান থেকে মর্যাদা পাক।
নীতেশ বড়ুয়া
নারী নিয়ে কিছু লিখলেই সবাই মনে করেন নারীকে নিয়ে করা অন্যায়ের প্রতিবাদ করার জন্যই লিখেছেন অথচ নারী মানেই যে অন্যায় নয় তা কয়জনা ভাবছি।
আপনার পোস্ট মানেই আমার কাছে ‘অট্টালিকায় জোছনা দেখার চাইতে কুঁড়েঘরের উঠোনে লেগে থাকা চাঁদের আলো দেখা ঢের ভালো’ অনুভূতি। সচরাচর সবাই যেভাবে কবিতা লিখেন সেভাবে নয়, আপনি লিখেন আপনার মতো করে। আর এমন সব কথা বলেন যাতে মন্তব্য করার মতো কিছুই থাকে না শুধু পড়ে যাওয়া।
নরের জন্য শুভকামনা তাঁরা যেন নারীকে চিনতে শিখে। -{@
অরুণিমা
আমি আমার বিশ্বাস হতে লেখি দাদা।নাম এর জন্য নয়।লিখতে ভালো লাগে এসব।
নীতেশ বড়ুয়া
বিশ্বাস করলাম দিদি। আপনি বরাবরই অন্যভাবে নিজের বিশ্বাসকে নিয়ে ভাবেন। এমন আজীবন চলুক দিদি। -{@
নীলাঞ্জনা নীলা
দিদি আপনার লেখার ধারার সাথে মিল খায় কেবল আপনারই লেখা। আজও কথা হচ্ছিলো আপনার লেখার প্যাটার্ণ নিয়ে। অবশ্যই তা পজিটিভ। অদ্ভূতভাবে ব্লগে এসে দেখি আপনার লেখা, সত্যি অবাক হয়ে গেছি!
লাইনটা যেনো গেঁথে গেলো মনে, “যার বুকের শক্তিশালী রসে পুরুষজাতির মুখের প্রথম বাক্য ফোটে!!!” মায়েরাই(নারী) তো সবচেয়ে বেশী অবহেলিত। কবে পুরুষেরা তাদের স্ত্রীদেরকে নিখাঁদ সত্যি এবং সততার সাথে সম্মান দেবে?
অফুরান ভালোবাসা রইলো। -{@ (3
অরুণিমা
এত প্রশংসার যোগ্য কিনা আমি জানিনা দিদি।অনেক ধন্যবাদ আপনাকে -{@
অপার্থিব
দারুণ কবিতা। খুবই ভাল লাগলো।
অরুণিমা
ধন্যবাদ দাদা।
ছাইরাছ হেলাল
প্রকৃত সম্মান আমাদের অবশ্যই দিতে হবে।
অরুণিমা
আমরা দিতে জানিনা সম্নান দাদা।মন খারাপ হয় এসব ভাবলে।
অরণ্য
“তুমি কি সেই নারী !!!??
যার বুকের শক্তিশালী রসে পুরুষজাতির মুখের প্রথম বাক্য ফোটে!!!” ;?
“তবু তুমি অত্যাচারিত অবহেলিত ও প্রতারিত!!!!????” ;?
অরুনিমা, আমার একটা মজার অবজারভেশন আছে নারী, স্নেহ ও আজকের অনেক নারীদের নিয়ে। অনেকে হাসবে, অনেকে মানবে না। তবুও আপনার এ লেখা পড়ে শেয়ার করতে ইচ্ছে করল।
অরজারভেশন ১ঃ যারা তাদের শরীরের স্নেহ (ফ্যাট) নিয়ে দারুন চিন্তিত এবং তা ঝরিয়ে ফেলায় ব্যস্ত তাদের যেন আরও বেশি আকর্ষণীয় লাগে নানা বাঁকে বাঁকে, তারা দিনে দিনে স্নেহ করার প্রবনতাও হারিয়ে ফেলে তাদের অজান্তেই। একটু নাদুস নুদুস (আমি ওবেস বলছি না) মা’রা তাদের সন্তান-পরিজনদের অনেক বেশি স্নেহ করেন, তাদের শরীর মনেও স্নেহ একটু বেশি বলেই হয়তো। 🙂
অরজারভেশন ২ঃ যেসব মা’রা শারীরিক সৌন্দর্যের কথা ভেবে (অনেকে ভাবেও বটে) এবং লেবার পেন এর কষ্ট এড়াতে সিজারিয়ান বেবির জন্ম দেয়, তাদের একটু কমই কাজ করে মায়া, মমতা বা সন্তানকে ঘিরে আমাদের সেকেলে মাদের মত পাগলামি। কারণ মায়া, মমতা, ভালবাসারও হরমোন আছে। ভেলিভারির সময় কিছু হরমোন অনেক পরিমাণে সিক্রেশন হয়, তা অনেককিছুতেই প্রভাবও ফেলে।
বেশি পাগলা চিন্তা আমার। 😀
অরুণিমা
আপনি খুব ভালো বলেছেন অরণ্য দাদা। কিন্তু বাচ্চা জন্ম দেওয়ার সময় মায়েদের খুবই কষ্ট পেতে হয়। সে যেকোন ভাবেই হোক না কেন।
তানজির খান
নারীকে সম্মান করা মানে মানব জাতীকে সম্মান করা। নারী আছে বলেই পৃথিবী বেঁচে আছে।
ড্রথি চৌধুরী
নারী তখন ই মানুষ হবে যখন তারা চাইবে…… পুতুলের মত করে নিজেদের বন্দি জীবন থেকে পরিত্রাণ পায় সে চেষ্টা নারীকেই নিতে হবে! তবে সেই চেষ্টায় যেন কোন মেয়ে তার বাবা-মাকে অশ্রদ্ধা, কোন মা যেন সন্তান কে অবহেলা আর কোন স্ত্রী যেন স্বামীকে অপমানিত না করে সে দিক ও নারীকেই খেয়াল রাখতে হবে! কেননা নারী ই পারে স্বর্গ গড়তে না ভাঙতে 🙂
অনেক সুন্দর লিখেছ দিদি :c -{@
শুন্য শুন্যালয়
নারী নিজেকে সম্মান যেদিন দেবে, সেদিনই সে সবচেয়ে শক্তিশালী হয়ে উঠবে।
অল্প কথায় অসম্ভব ভালো লিখেছেন আপু। -{@
রাত্রি রায়
সৌন্দর্যই যেনো মুখ্য প্রথম চোখাচোখিতে। পটের বিবিও সাজতে হবে, আবার খরচের খাতার সঠিক ব্যবহার। ইচ্ছা-অনিচ্ছার কোনো দাম নেই, ব্যথা সইতে হবে আবার আনন্দের পরিতৃপ্তিও। নারী গর্ভধারিণী তারপর মা। দায়িত্ত্ব বেড়েই চলে। দিদিকে দেখি আর ভাবি নারী আসলেই দশভুজা। অরুণিমা আপনার লেখায় কাব্য-প্রতিভার সঠিক প্রয়োগ পেলাম।
লীলাবতী
আমরা নারীরাই নারীদের শত্রু হয়ে যাই অনেক ক্ষেত্রে।আপনার লেখা পড়ে একটি লেখার আইডিয়া আসলো দিদি।খুবই ভালো লেখেন আপনি।
দীপংকর চন্দ
//পুরুষজাতির মুখের প্রথম বাক্য ফোটে!!!//
শুধু পুরুষই তো নয়, মানবজাতির মুখের প্রথম ধ্বনি ফোটে সম্ভবত!!!
শ্রদ্ধা অনিঃশেষ প্রতিটি নারীর প্রতি।
শুভকামনা।