মদনোৎসবের মদমত্ততায় মনশ্চক্ষু মগডালে মতিভ্রষ্ট,
মহত্ত্বের মহত্ত্ববোধের মঞ্জুল মঞ্জুরী মজ্জমান মজ্জাদোষে,
মউজ মচ্ছবে মওয়া মক্ষী।
মশান মঠে মটরূ,মকরধ্বজে মটকা মারা,
মণিনীপ মণিহারা।
মদান্ধ মদন,মদনগঞ্জনায়,
মসৃন মনকলায়,মনকাড়া মধুমল্লিকার মধুগন্ধে
মধ্যাহ্নস্বপ্নের মনক্কায় মধুরেণসমাপয়েৎ।
=================================
মুমূর্ষু মানসিকতায় মেতেছে মানুষের মন
মধ্যাহ্নিকের মধ্যাহ্নস্বপ্নের মোহে,
মস্তিস্কে মৃত মনুষ্যত্ব মন্ত্র মনকাড়া মনতুষি মনতুষ্টিতে।
মনুষ্য মনীসত্ত মন্দাক্রান্ততায় মুহ্যমান,
মন্বন্তরে মন্দিরগেহ মন্দিরা।
মরণ-বঁধু ময়ূরাক্ষীর ময়ূরশয্যায়।
===========================================
নজ্জুম নই,নই নট,নাটের।
নকদা নক্তচারী নই
নকলে নাকাল নই
নই নক্ষত্রপল্লীর নক্ষত্রবীথি,
নই নক্ষত্ররতনদীপ্ত।
নগণ্য নকলী নকলনবিশ নখাগ্রসম
নগরকোলাহলের নগরসংকীর্তনে।
নবধব নরিষ্ঠ নকল।
==========================================
মঞ্জুল---সুন্দর
মঞ্জুরী---নতুন পাতা
মউজ---নেশাগ্রস্থ অবস্থা
মচ্ছব---বড়ো উৎসব
মওয়া---মারা যাওয়া
মক্ষী---মৌমাছি
মদন---কামদেব
মদনগঞ্জন---মদনের রূপকে গঞ্জনা দেয় এমন।
মদান্ধ---অহঙ্কারে অন্ধ
মধুমল্লিকা---ফুল বিশেষ
মজ্জাদোষ---সংশোধন সম্ভব নয় এমন দোষ
মকরধ্বজ---কবিরাজি ঔষধ বিশেষ
মটরূ---যাত্রার ভাঁড় শ্রেণির চরিত্র বিশেষ
মণিনীপ---মণিময় কদম ফুল
মণিহারা---মাথার মণি হারিয়েছে এমন।
মশান---শ্মশান
মনক্কা------কিশমিশ
মধুরেণসমাপয়েৎ---মিষ্টি উত্তম কিছু দিয়ে শেষ করা।
মটকা মারা---ঘুমের ভান করা
মনশ্চক্ষু---মানস-চোখ
মধ্যাহ্নস্বপ্ন—দিবাস্বপ্ন
মনীসত্ত---মনুষত্ব
মনতুষি---মন তুষ্টকারী
মরণ-বঁধু---মরণরূপ বন্ধু বা প্রণয়ী
===================================================================
নকদা---কোথাও দীর্ঘদিনের জন্য চুক্তিবদ্ধ না হয়ে যে নগদ পয়সার বিনিময়ে কাজ করে।
নক্ষত্র-রতন-দীপ্ত---নক্ষত্ররূপ রত্নে আলোকিত
নক্ষত্রবীথি---তারকার সারি
নক্ষত্রপল্লী---নক্ষত্রলোক
নকলী---কৃত্রিম
নট---নষ্ট
নজ্জুম---জ্যোতিষী
নড়িষ্ঠ---নড়বড়ে
নবধব---নতুন শুভ্র
নাট---অভিনয়
নক্তচারী---নিশাচর
নাকাল---দিশেহারা
=============================================
"প্রহেলিকাকে নকল করে লিখলেই ল্যাখাটি লেখা হয়ে ওঠে না।"
তা ত জানি ই,তবুও.........................................
==========================================================================
শুধু আভিধানিক অর্থ দেয়া হলো,যদিও এই শব্দার্থই সব অর্থ নয়,শব্দদের ভাবার্থ থাকিলেই থাকিতে পারে,
যাহা নিজ দোষে উদ্ধার করে পড়ে বুঝে নিতে হবে।সব বুঝিয়ে বলা যায় না,ঠিক ও না।
৫৫টি মন্তব্য
অরণ্য
বাহ! জব্বর ব্যাপার স্যাপার তো! জটিল! (y)
ছাইরাছ হেলাল
জব্বর কিনা জানিনা,জটিল অবশ্যই।
স্বপ্ন নীলা
এযে ম আর ন এর ছড়াছড়ি—– দারুন দারু এবং দারুন—
চিন্তা করছি লিখলেন কেমনে —-
ভাবছি আর ভাবছি —
আপনি যখন লিখেন তখন যেন আকাশে শুধুই একটাই উজ্জল তারা জ্বলজ্বল করতে থাকে — আর সেই একটি তারায় মনে হয় আকাশ টিপ পড়েছে ———
ছাইরাছ হেলাল
আপনিও লিখতে পারেন ইচ্ছে হলেই,শুধু লিখছেন না এই যা।
আপনার প্রশংসা পেলে ভালই লাগে কিন্তু এবারে যে বেশি বেশি লাগছে!
প্রহেলিকা
না না না, নক্তচারীর নিচ্ছিদ্র নিদ্রাঘোর নড়ছে নকলের নধর নিনাদে।
নিশি নামিলে নত নত নয়নে, নাইতে নামিব নক্ষত্রে, নিভৃতে।
ছাইরাছ হেলাল
নকলী লেখা মনে রাখলেই হয়।
দেখি,অপেক্ষা করি।
প্রহেলিকা
নকলোৎসবে দেখি আগ্রহ সবার বেশি, আগেই কৈছিলাম পুরোনো সব রীতিফীতি বাদ দেয়া দরকার, নকলকে বৈধ ঘোষণা করা হোক, এই প্রতিভার নিঃসরণ থেকে জাতি বঞ্চিত হচ্ছে। কই লুকাইয়া আছিলো এতদিন এই প্রতিভা? ঠিক না ঠিক না .
ছাইরাছ হেলাল
ও আচ্ছা নকলেও প্রতিভা লাগে! আগে বলবেন না!
প্রহেলিকা
**নই নক্ষত্রপল্লীর নক্ষত্রবীথি,
নই নক্ষত্ররতনদীপ্ত **
এইডা কিন্তু মানার মতো না আর কাউকে এখন মানানোর সেই সুযোগ নেই। জাতি দেখে ফেলেছে আজ সব কিছু। এইবার যাইবেন কি? নবোঢ়ার ঘোমটার আড়ালে কে আছেন নন্দিনী না ননদ তা এইবার জাতি দেখছে।
ছাইরাছ হেলাল
আপনি ঠিক ই বলেছেন,এটি কোন ভাবেই মেনে নেয়া যাবে না।
আমি ও খুঁজতেছি এইসব পল্লীর বীথি। খোঁজ পেলে জানাতে কোন ভুল
করবেন না যেন।
নীতেশ বড়ুয়া
ভাই ভান্ডারের ভারাক্রান্ত ভারী…
ছাইরাছ হেলাল
ভারাক্রান্ত একটু করেছি ই।
নীতেশ বড়ুয়া
মস্তিষ্কের মন্দকোষের মগজের মেঝেতে মারমূখী মাত্রার মহোৎসব। ^:^
ছাইরাছ হেলাল
শুধুই মহোৎসব।
হৃদয়ের স্পন্দন
আমি আসছি এবার নকলবাজ হয়ে
ছাইরাছ হেলাল
নকল করা কিন্তু ভাল না। আপনি নকলবাজ হয়ে যাচ্ছে।
আপনার অবস্থা সঙ্গিন কিন্তু।
সাইদ মিলটন
মাথার মইধ্যে মমমম আর নননন করতাসে 😀
ছাইরাছ হেলাল
যাক্ বাঁচলাম,অন্য কিছু হয়নি দেখে।
নীলাঞ্জনা নীলা
মাগনা মাগনা মহোৎসব মানিনা মানবোনা।
মদনোৎসবের মদমত্ততায় মাথানষ্ট :D)
নতে নগন্য নীলাঞ্জনা নীলা নেই 🙁
শব্দের উৎসব চলছে মনে হয় :p (y) (y) (y)
ছাইরাছ হেলাল
আনন্দোৎসব করছি একটু।
ধুর,এর মধ্যে কি আপনার নাম আনা যায়!।
খেয়ালী মেয়ে
এতো দেখি বিরাট ষড়যন্ত্র, আমি কিছুই বুঝলাম না–আমি এতো অল্প বুঝি কেন? ;(
ছাইরাছ হেলাল
সত্যিইতো,আমিও দেখছি অতি বৃহৎ ষড়যন্ত্র, বুঝেও তা স্বীকার না করার।
খেয়ালী মেয়ে
আমাকে বুঝার কোন সুযোগই দেওয়া হলো না–ষড়যন্ত্র 🙁
প্রজন্ম ৭১
মাথা খারাপ হয়ে যাবে আমার,আমাকে মদন বানিয়ে কি লাভ আপনাদের?টাস্কিত লেখা দেখে (y)
ছাইরাছ হেলাল
মদনদের কিন্তু অনেক সুবিধা। টাস্কিত হওয়ার কিছু নেই।
ব্লগার সজীব
কি যে হচ্ছে?এই লেখায় মন্তব্য করতে মাথা নষ্ট হলে কে দায়ী হবে? ঝাতি জানতে চায় -:-
ছাইরাছ হেলাল
ঝাতি আপনার মহামূল্যবান মাথা বাঁচিয়েই রাখবে। চিন্তার কিছু নেই।
রিমি রুম্মান
পড়তে গিয়ে মাথা চক্কর দিয়ে উঠলো ! দ্বিতীয়বার পড়ার চেষ্টা করে দেখলাম পৃথিবী শুদ্ধ চক্কর দিয়ে উঠলো। আমার একলাই কি এমন হলো, নাকি আরও কারো এমন হলো ?
ছাইরাছ হেলাল
দুঃখিত মজা করার জন্য লিখেছি, সম্ভব হলে সময় করে আর একবার পড়ে
দেখতে পারেন।
অন্যদের মাথাও ঘুরিন্টি অবশ্যই।
প্রহেলিকা
নাকাল শব্দের অর্থ দিতে ভুইলা গেছেন কইলাম! এইটা বাদ গেলো কেন? কোনো রহস্য নেইতো?
ছাইরাছ হেলাল
দিয়ে দিলাম।রহস্য নেই।
প্রহেলিকা
এইবার তাহলে ওমেদার অর্থের অর্থ খুজতে হবে! সমস্যা হবে না জায়গা বরাবর দোস্তি পাতা আছে। প্যারি না পাড়ি চেষ্টা করতে দোষ কি?
ছাইরাছ হেলাল
কোন দোষ নেই।
শুন্য শুন্যালয়
বুঝিলাম বা বুঝিলামনা। বকলম বিদ্বানে বোধগম্য বিফলে। বিস্তারিত বুঝাইয়া বলুন বরেণ্য। বচনার্থেও ব্যর্থ, বলিতে বেলাজ 🙁
হৃদয়ের স্পন্দন
আপনি যদি আজ পোষ্ট না করেন তবে মামলা হবে আপু, বাহ ব এ বড় বড় কথা
ছাইরাছ হেলাল
আপনি ও!
দ্রুত ঝেড়ে দিন একখানি।
অভাজন শব্দার্থ বলিয়াই দিয়েছে। এবারে ভাবুন নিজের মত করেই।
শুন্য শুন্যালয়
শব্দার্থ বলে দিয়েছেন, উহা জোড়া লাগাইবার কাজে ব্যস্ত আছি। তিনখানাতেই আমাদের আক্কেল গুরুম। দুখান বুঝতে না বুঝতেই এডিশন সারা। এখন আবার আরেকটা ‘ম জুড়ে দিয়েছেন। ম তে মা দূর্গাই এবার ভরসা। ফিরবো জোড়াতালি নিয়ে।
ছাইরাছ হেলাল
অপেক্ষা চলবে।
হৃদয়ের স্পন্দন
আপনারা আর সঙ্গীন করতে বাকি রাখলেন কই
ছাইরাছ হেলাল
আহারে, সব দোষ এখন মোদের ঘাড়ে!
জিসান শা ইকরাম
ভাগ্য ভালো গতরাতে নেট শ্লে ছিলো
নইলে এই বুড়া মাইনসের দাঁত সব ভাইংগা যাইত।
বুড়ারে আল্লাহ রক্ষা করেছেন ——— 🙂
ছাইরাছ হেলাল
দাঁতের দরকার নেই।
খুব মজার লেখা।
নুসরাত মৌরিন
মাথা দুইবার চক্কর দিল।
তারপরও খুশি খুশি মন্তব্য করতে চলে আসলাম,কারন ন-তে নুসরাত আর ম- তে মৌরিন!!আমার নামের আদ্যক্ষরের ছড়াছড়ি দেখেই আমি খুশিতে আটখানা!! \|/
বুঝতে না পারলেও কি যায় আসে!! 😀 :p
ছাইরাছ হেলাল
আহারে, ধরে নিন আপনার থেকেই শব্দ দু’টো নিয়েছি।
আপনার কিন্তু চক্কর দেয়া কথা না।
প্রহেলিকা
***মুমূর্ষু মানসিকতায় মেতেছে মানুষের মন
মধ্যাহ্নিকের মধ্যাহ্নস্বপ্নের মোহে,
মস্তিস্কে মৃত মনুষ্যত্ব মন্ত্র মনকাড়া মনতুষি মনতুষ্টিতে।
মনুষ্য মনীসত্ত মন্দাক্রান্ততায় মুহ্যমান,
মন্বন্তরে মন্দিরগেহ মন্দিরা।
মরণ-বঁধু ময়ূরাক্ষীর ময়ূরশয্যায়।***
হ্যা!! এই কি এগুলো এলো কোথা থেকে!! অবির্ভাব হলোই বা কোথা থেকে আর কেনই বা হলো? দুই একটা লাইন চেনা চেনা তারপরও বিস্তারিত এইবার জানতে চাই, প্রথমটার সাথে দ্বিতীয়তার সংযুক্তি সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে চাই।
ছাইরাছ হেলাল
আমিও ভাবছি কিছু কিছু চেনা চেনা লাগে ক্যা! সেগুলো কি আগেও ছিল?
প্রহেলিকা
আগেতো ছিলোই কিন্তু কথা হলো প্রথম একটা লাইন তুলে নিয়ে এটাকে পোস্টমর্টেম করে আপনি কি না কি লিখছেন তা কিছুই বুঝতেছিনা , শব্দের মার ম্যাচে কি তাবিজ সৃষ্টি করেছেন তা কেবল আপনিই জানেন।
মেহেরী তাজ
এসব কি ভাইয়া? ;( 🙁 ^:^
ছাইরাছ হেলাল
আনন্দ, শুধুই আনন্দ।
মরুভূমির জলদস্যু
“ন” নিয়ে নানান নাটক
মাতায় মরুদস্যুর মন।
ছাইরাছ হেলাল
আপনি ‘ন’ ও ‘ম’ দিয়ে দেখছি লিখে ফেলেছেন।
মিথুন
বাংলা ব্লগে এগুলো কি ভাষায় লিখেছেন ভাইয়া?
ছাইরাছ হেলাল
ভাইয়া,সামান্য হিব্রু ভাষার চর্চা করছি।শীঘ্র আর হবে না।
শাহানা আফরিন স্বর্ণা
একবার দুবার তিনবার পড়লাম!
মন মাতাল মদে মত্ত !! :D)
শিপু ভাই
^:^ ^:^