দুইয়ের দুনিয়া

মনির হোসেন মমি ১৭ ডিসেম্বর ২০১৮, সোমবার, ০৫:৪৫:০২অপরাহ্ন একান্ত অনুভূতি, বিবিধ ১৪ মন্তব্য

ধরণীর বুকে নও একা তুমি
দুইয়ে আল্লাহ-রাসুল(সঃ)
মানব-মানবী হয়ে
দুনিয়ায় এলাম।

সৃষ্টি-ধ্বংসে দুইয়ের বসবাস
বর-কনে মিলে হয় জগৎ- সংসার
এখানেও দুইয়ের বস বাস
বিয়ে-বিচ্ছেদে
জীবনের হয় সর্বোনাস।

মা হলে পিতা আসে
দাদা-দাদী,নানা-নানী
সবিতে জোড় সংখ্যা রয়
শিক্ষক শিক্ষার্থী দুইয়েতে
মানবের দ্বিতীয় জনম কয়।

জন্ম-মৃত্যু জীবনের মাঝে
বেহস্ত -জাহান্নাম
দুইয়েতে জীবন চলে যায়
ইহকাল-পরকাল দুইয়ের মাঝে
দেহ-মন ভাল-মন্দ
দুই দুইয়েতে মানব সাজা বয়।

দুনিয়া-আখেরাত এ দুইয়ের খেলায়
হাসি-কান্নার যেন মানব-মানবীর উপহাস!
নশ্বর দুনিয়ায় মানবতার দেবতা কই?
হাসি যেন কান্নার মাঝে মরনের ব্যাধি।

ছবিটি কার তুলা ঠিক তার নামটি মনে নেই।তবে ছবিটি তুলার সময়কার ঘটনাটির বর্ননা মনে আছে।যুদ্ধাস্ত সিরিয়া একটি কিশোরী।পৃথিবী শাসনে বর্বোচিত যে অমানবিক অত্যাচার করা হয় তার ফল ভোগ করতে হয় দেশের সাধারন মানুষদের।বিশেষ করে অনাহারে অর্ধহারে অত্যাচারিত রুগ্ন নারী শিশু কিশোরদের মুখের দিকে তাকালে বা তাদের অসহায়ের মুখবয় চোখে পড়লে মনে হয় এ পৃথবীতে আমার মতন মানবদরদীর বেচে থাকার কোন মানে হয় না কারন আমি অধম পাওয়রলেস একজন মানুষ কি বা উপকার করতে পারি তাদের জন্য অথচ যারা পাওয়ারফুল যারা পৃথিবীকে শাসন করে তারাইতো ভাবেন ঐ সব মায়াভরা শিশু কিশোরদের রক্ষিত সুন্দর জীবন যাপনের।ধর্মের দোহাই দিয়ে দেশ রক্ষার্থে যুদ্ধের দামামাকে আমি ঘৃণাভরে দেখি।যুদ্ধ কেবলি ধ্বংসই ডেকে আনে,শান্তি নয়।

ছবিটি ফটো সাংবাদিক যখন তুলতে যাবেন ঠিক সে সময় এ কিশোরীর চোখে ছিলো,জলের প্রবাহিত ঝর্ণাধারা,মুখে ছিল আতংকের প্রতিচ্ছবি,মনে ছিলো ভয়,পেটে ছিলো জন্মের ক্ষুধা।আশাহীন পরিবারহীন(যুদ্ধে মৃত) জীবন ছিলো কোন মতন বেচে থেকে দায় সারাবার।সাংবাদিক বহুবার তাকে দিয়ে চেষ্টা করালেন মুখে একটু হাসি আনতে কিন্তু না,পুরোমুখবয় জুরে কিশোরীর মুখবয়ে হাসি আনতে পারেননি যতটুকু এসেছিলো তাতেই সাংবাদিক শেষ পর্যন্ত সন্তুষ্ট হলেন।

0 Shares

১৪টি মন্তব্য

মন্তব্য করুন

মাসের সেরা ব্লগার

লেখকের সর্বশেষ মন্তব্য

ফেইসবুকে সোনেলা ব্লগ