কি অদ্ভুত ব্যাপার বল তো!
বসে আছি ল্যাপটপে
অথচ আমি যেন তোমার প্রতীক্ষায়
রয়েছি বসে কোন এক পার্কের বেঞ্চে।
জায়গাটা আমি চিনিনা একদমই
অথচ দেখতে পাচ্ছি
সেই আমি যেন বসে।
পরে আছি একটা পোলো শার্ট
কাল প্যান্ট, জুতা ছাড়া।
অথচ উনি বসে আছেন
কি সুন্দর! বাবু হয়ে!
কি অদ্ভুত! উনি স্যুট পরে বসে আছেন
কাল স্যুট, সাদা শার্ট, টাইও পরেছেন দেখছি!
বাহ্! বেশ উনি বসে আছেন
হাতে আবার এক তোড়া ফুল
রজনীগন্ধা, গোলাপ, মাঝে মাঝে সাজানো কাঠমল্লিকা
ডিজাইন করা স্বচ্ছ প্লাস্টিকে মোড়ানো।
ঠিক প্রথম বসেছে যেন - এভাবে।
আশে পাশে দেখছি না কাউকেই
উনি একা বসে মোজাইক করা বেঞ্চটির ডান পাশ ঘেঁসে
হাতলটিতে ঠেস নেই।
বেঞ্চের একটু পিছনে বড় গাছের কাণ্ড চোখে পড়ে
উপরে তাকাতে পারছিনে
নীচে পরিপাটি সবুজ ঘাসের মাঝে দাঁড়িয়ে
বেশ কিছু পাতা বাহার আর জংলী ফুল
সাদা আর বেগুনী এত বেশি কেন!
আচ্ছা, আমি কোন পাখির শব্দ শুনছি না কেন?
এত সকালেও গাছের পাতা, ঐ ফুল গুলো নড়ছে না কেন?
তুমি আসবে লাল ইটে মোড়ানো পায়ে হাঁটা পথে
ঘাড়টা একটু ডানে ঘুরালাম
সে কি! এত রাধাচুড়া এখানে!
তুমি আসছ কখন?
৩৭টি মন্তব্য
বোকা মানুষ
সুন্দর! 🙂
অরণ্য
ধন্যবাদ বোকা মানুষটিকে। অদ্ভুত একটা নাম নিয়েছেন আপনি। 🙂
মোকসেদুল ইসলাম
অনেক সুন্দর
অরণ্য
থ্যাঙ্কস্ ভাইয়া।
জিসান শা ইকরাম
চলে আসবে সহসাই
অপেক্ষার হোক অবসান।
সুন্দর, কোমল
ভালো লেগেছে খুব।
অরণ্য
ধন্যবাদ জিসান ভাই। আমিও ভাবছি সে আসবে চলে সহসাই। আপনার মন্তব্য বরাবরই আমাকে কেন জানি বেশ ইন্সপায়ার করে – শুধু লিখতে না, ভালমত বাঁচতে, সবকিছুকে পজিটিভলি দেখতে। ভাল থাকবেন।
নওশিন মিশু
বেশ সুন্দর … 🙂
আচ্ছা, রাধাচুড়া ফুলের রং কি?
অরণ্য
ধন্যবাদ আপনাকে। বাসন্তী রঙ।
নওশিন মিশু
এই ফুলটি আমার দেখা হয়নি এখনো 🙁
আপনাকেও ধন্যবাদ ….
অরণ্য
গুগলের যুগে কোন চিন্তা নেই। দেখে নিন। 🙂
https://www.google.com.sg/search?output=search&sclient=psy-ab&q=radhachura+flower+image&oq=radhachura&gs_l=hp.1.1.0l2.1444.5455.1.8325.10.10.0.0.0.0.2654.8522.7-2j2j1.5.0….0…1c.1.58.hp..5.5.8520.gM2nqIumco8&psj=1&bav=on.2,or.r_qf.&bvm=bv.80642063,d.c2E&biw=1366&bih=607&dpr=1&ech=1&psi=abR2VPCpNcS2uATTg4GwAw.1417065583566.4&ei=drR2VLDWMcOyuQTPg4KQDg&emsg=NCSR&noj=1
অরণ্য
ধন্যবাদ জিসান ভাই। আমিও ভাবছি সে আসবে চলে সহসাই।
জিসান শা ইকরাম
আপনার ভাবনা/আশা পুর্নতা পাক।
সোনেলায় আপনি আসার পরে নিজে পোষ্ট দিচ্ছেন নিয়মিত
অন্যের লেখা পড়ে মন্তব্য দিয়ে উৎসাহিত করছেন
এটি দেখে ভালো লাগে খুব
দ্রুত একটি অবস্থান করে নিচ্ছেন ব্লগে
শুভ কামনা।
অরণ্য
থ্যাঙ্কস জিসান ভাই।
মনির হোসেন মমি(মা মাটি দেশ)
অপেক্ষায় থাকুন সে আসবেই।
অরণ্য
ধন্যবাদ মনির ভাই।
মামুন
মুগ্ধতা ভালোলাগার মোড়কে রেখে গেলাম। -{@
অরণ্য
ধন্যবাদ মামুন ভাই। ভাল লাগলো আপনার মন্তব্য পেয়ে – মুগ্ধতা ভালোলাগার মোড়কে। 🙂
ছাইরাছ হেলাল
আসবে অবশ্যই, এমন করে অপেক্ষা ক্রলে।স্যুটেড-বুটেড না হলেও আসবে।
দ্বৈত উপস্থাপনা সুন্দর হয়েছে।আপনি দেখছি পাকা লেখক।
অরণ্য
ছাইরাছ ভাই হাসালেন “স্যুটেড-বুটেড না হলেও আসবে”। ফের হাসছি।
ভাল বলছেন জেনে আমারও ভাল লাগছে। আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।
খেয়ালী মেয়ে
আসবে আসবে 🙂
হয়ত খোঁপায় গুঁজে আসবে রাধাচুঁড়া 🙂
অরণ্য
হুম! খোঁপায় গুঁজে রাধাচুঁড়া ;? বেশ তো 🙂
খেয়ালী মেয়ে
🙂
মেহেরী তাজ
সেতো এসেছে ভাইয়া। দেখতে পাচ্ছেন না? 🙂
অরণ্য
হুম, ঠিক বলেছেন তো।
ঐ তো আসছে সে নীল শাড়ি পরে
রাধাচুঁড়ার গালিচা মাড়িয়ে।
বাতাস তো ঠিকই আছে দেখছি
দূরে কোন পাখিরা গান গায়!
এমন লাগছে কেন আজ?
ধন্যবাদ আপনাকে।
মরুভূমির জলদস্যু
একা একা বসে থাকা শেষ হয় না কখনো।
অরণ্য
কেউ বলে অপেক্ষা কর ধর্য্যের সাথে। কেউ বলে ভদ্রলোকের অপেক্ষা ১৫ মিনিটের। দুটোই মন্দ না। বাজারে দুই কুকুরের “ভবিষ্যৎ ভালো” একটা গল্প প্রচলিত আছে, সঙ্গত কারণে এখানে বলতে পারছি না। এই ভবিষ্যৎ ভালো টাইপের অপেক্ষা মোটেও কাম্য নয় যেখানে সাধ আর সাধ্যের আদৌ কোন মিল নেই। অলীক ভাবনায় বসিয়া থাকা মোটেও সমীচীন নহে। অপেক্ষা যৌক্তিক হইলে ধৈর্য্য ধারণ উত্তপ পন্থা হইতে পারে, যদিওবা আমরা অনেকেই ভুল করিয়া নিজেদের মত করিয়া যুক্তি দাঁড় করাইয়া কালক্ষেপন করিতে থাকি। ইহা জীবনে ধ্বংস ডাকিয়া আনিতে পারে।
আপনার জন্য শুভ কামনা। 🙂
লীলাবতী
সাদা, বেগুনি, হলুদ রং এবং ফুলো গুলো কি কোন অর্থ বহন করে?ভালো লেগেছে ভাইয়া।
অরণ্য
ধন্যবাদ আপনাকে। হ্যাঁ, ফুলের রংগুলো বসে থাকা মানুষটি মনেরই প্রতিচ্ছবি যা সাজিয়ে ভদ্রলোক বসে আছে তার অতি কাংখিত মানুষটিকে স্বাগত জানাতে। যদিও বিভিন্ন জাতি একই রং নানাভাবে অর্থবহ করে দেখেছে বা পেয়েছে তথাপি সাধারনভাবে বোঝার জন্য একটা লিংক শেয়ার করে রাখছি যদি কেউ আগ্রহ পান একটু ধারনা নেবার। http://changingminds.org/disciplines/communication/color_effect.htm ।
লীলাবতী
ধন্যবাদ কালার এর লিংক শেয়ারের জন্য। কাংখিত মানুষকে অবশ্যই স্বাগত জানাতে পারবেন 🙂 প্রতিক্ষার হবে অবসান। ফুলেল শুভেচ্ছা ভাইয়া -{@
অরণ্য
🙂 থ্যাঙ্কস্ লীলাবতী। আপনার জন্যও অনেক শুভ কামনা।
শুন্য শুন্যালয়
অপেক্ষা কারীকে একাজে একটু অনভ্যস্ত মনে হচ্ছে, প্রথমবার এলে যা হয়, স্যুট বুট পরে দেখা করতে আসতে হয়না। 🙂
এমন বর্ননায় চোখে দৃশ্যপট তৈরি হয়ে যায় আপনাআপনি। কে যেন বললো আপনি পাকা লেখক আমারও তাইই মনে হচ্ছে।
তা শেষ পর্যন্ত কি তিনি এসেছিলেন?
অরণ্য
ধন্যবাদ আপনাকে। যা দেখতে পেয়েছেন তাই আসলে সত্যি। তবে এখানে একটা মিশ্র ব্যাপারও রয়েছে। এ শুধু প্রেম নিবেদনের ব্যাপার নয় আজ ভদ্রলোকটি তার রাজকন্যেকে পরিপূর্ণভাবে গ্রহনও করতে পারে যে! তাই ভদ্রলোকের এই হাল। ভদ্রলোক এখনও বসিয়া রহিয়াছে । 🙂
শুন্য শুন্যালয়
প্রথম বার হলেও আপনি চিন্তাভাবনায় পটু আছেন। 🙂
all the best for ur অপেক্ষা।
নীলাঞ্জনা নীলা
অপেক্ষার অবসান হোক। ভালো লিখেছেন ………… অরণ্য
অরণ্য
ধন্যবাদ নীলা। আপনার ভালো লেগেছে জেনে ভালো লাগলো। ক’দিন একটু অনিয়মিত পড়ার ব্যাপারে। আপনার লেখা দেখেছি। পড়ব খুব শিগগিরি। ভালো থাকবেন।
ব্লগার সজীব
কখন আসবে আমি জানি,কিন্তু বলবো না 🙂 রজনীগন্ধা, গোলাপ,কাঠমল্লিকার তোড়া নিতে আসতেই হবে তাঁকে। ভালো লিখেছেন ভাইয়া।
অরণ্য
ধন্যবাদ সজীব ভাই। নাহ্, আপনাকে না বললেও হবে, আপনি যেভাবে বলছেন তাঁকে আসতেই হবে তাতে বুঝলাম ভোদাইটা ঠিক কাজটিই করছে। ‘তাঁকে’ শব্দটিতে একটু মজা পেলাম। ভাল থাকবেন।