রাত্রির রক্তরাঙা চিবুকে (অক্ষরেখা-বরাবর)
অসমান্য ঝকঝকে জীবন্ত মায়াতিলচিহ্ন দেখে
বিস্ময়বিস্ফার চোখে, ঘোর লাগে-নি;
হৃদ-অন্তস্থল বিপুল-বিশালতায় ধড়ফড় করে-নি,
খুন-হয়ে-যাওয়া বিচূর্ণ হৃদয়ের উচ্ছসিত জলস্রোত!!
উহ্, তা-ও-না;
বোখারা-সমরখন্দ দিয়ে দেব!!
এমন ভাবনা-ও ভাবি-নি (নেই-ও-তা);
তিলোত্তমা!! নাহ্,
তা-ও-তো মনে হয়-নি।
তিলটি ক্রমাগত গড়াতে গড়াতে
ঢেকে গেল সারা-মুখ সারা-শরীর,
অরণ্যস্নাত প্রত্যুষ কুয়াশার আদ্রতায়
হৃদয়ের দীপাবলীতে, জড়ালাম কালো-চাদরে
অনন্ত জ্যোৎস্নার সরোবরে;
১৮টি মন্তব্য
নীলাঞ্জনা নীলা
বোখারা-সমরসন্দ দেয়ার মতো ক্ষমতা তার মানে আছে, কিন্তু দেবেন না।
অথচ সৌন্দর্য সবটুকু অবলোকন করে নিজের আয়ত্বে নিয়ে আসার যে প্ল্যান করছেন, জয়ী হতে কি পারবেন কুবিরাজ ভাই?
উত্তর দ্যান। 😀
ছাইরাছ হেলাল
ভালোবাসায় জয়-পরাজয়ের হিশেব হয় না,
তবে এখানে শেষে-তো এক-চাদড়ের নীচে এসে গেল সব,
অর্ধেক পড়ে লাফাইলে হপে না,
ডালের কিন্তু সবটুকুই খেতে হয়!!
নীলাঞ্জনা নীলা
অর্ধেক পড়েই লাফাতে হয়।
ডালের জল স্বাস্থ্যের জন্য বেশি ভালো। 😀
ছাইরাছ হেলাল
স্বাস্থ্যবতীরাই স্বাস্থ্যবতী!!
লাফ চলবে, তয় ইট্টু সামলে!!
শুন্য শুন্যালয়
নি, নি, না, না সব মিছা কথা। অনলি মায়াতিল ইজ ট্রু।
তিল গড়ায়? অতিসত্বর রাত্রি স্কীন স্পেশালিস্ট দেখানো জরুরি। আর কবির? কবির কবিরোগ সে কঠিন অসুখ, ছাড়বেনা। কালো চাদর চাপায় খুন হয়ে যাওয়া কবির লাশ সরোবরে জাগায় অনন্ত জ্যোতি।
এইতো সুন্দর!
ছাইরাছ হেলাল
যাক, আপনার তিল-তুল না থাকলেও ঠিক-ঠাক সব কেমনে বুঝলেন কে জানে!!
লেখকদের একটু অসুখ থাকেই, লাগেই, কঠিন হলে সোনায়-সোহাগা,
ভাগ্যিস আপনি কবি না, অসুখ-ও নেই।
বাহ্, লাশেও শান্তি!!
হিলিয়াম এইচ ই
অনতিবিলম্বে একজন dermatologist কে দেখাতে হবে দেখছি!!! 😀 😀
ছাইরাছ হেলাল
আমিও খুঁজি কিন্তু পাই না!
সৈয়দ আলী উল আমিন
পারবেন কি ? কবিতাটি ভাল লেগেছে।
ছাইরাছ হেলাল
এতো স্বপ্নবাস্তবতা!!
পড়ার জন্য অবশ্যই ধন্যবাদ।
নীহারিকা
তিল গড়ানো তো ভয়ের ব্যাপার।
এখন থেকে তিলের উপর নজর রাখতে হবে দেখছি 🙂
ছাইরাছ হেলাল
অবশ্যই কঠিন নজরদারি চালু রাখতে হবে।
প্রহেলিকা
কালো তিলে অন্ধকার থাকে বলেলে শুনেছি দেখানে আবার জ্যোৎস্নার সরোবর আনিলো কোত্থেকে লেখক?
লেখা কোনো লাইনে দাঁড়াতে দেয় না, একটার পর একটা গলি। কোথাও দাঁড়ালেই বলে পরের গলিতে যাও।
নাহ ইহা বেশ কঠিন হয়ে গেছে অধমের জন্য।
ছাইরাছ হেলাল
আসলে এ লেখাটি আপনার ঐ লেখার পর লিখিনি, এই লেখাটি শেষ করে এসেই আপনার লেখাটি পড়লাম, মনে হলো এটি যেন আপনার লেখার অন্য একটি দিক, যা-নিজ ভাষায় বলার চেষ্টা মাত্র, এটি সামান্য কাকতাল মাত্র।
তিল চলে-ফেরে জ্যোৎস্নায় ডুব দেয়!!
খুব-ই কঠিন, বোঝতারিনা কিছুই।
প্রহেলিকা
কাকতালই ভালো। লেখকদের এমন হয় মাঝে মাঝেই। আমারটি অবশ্য বেশ পুরনো। তবে অবশ্যই আপনার মতো এত উচুতে নিতে পারিনি, পারি না।
মনুসিংহ পড়িয়া এখন কুঠিনরে ভালবাসিয়াছেন তা বুঝি। নিজেরটা ষোল আনা ভাবাও ঠিক না, আমাগো কথা চিন্তা করিতে হয় মাঝিমধ্যি।
ছাইরাছ হেলাল
বলেন কী!! প্রত্যেকে মোরা অন্যের তরে!! (মুখে-মুখে)।
পাঠক হওয়া খুব কঠিন!! এবং তা অসম্ভব-ও।
প্রহেলিকা
গোটা সপ্তাহে একটা লেখার অনুমতি কে দিয়েছে আপনাকে?
ছাইরাছ হেলাল
ঘনপোস্টের নিষেধাজ্ঞা তো আপনি ই দিয়েছেন,
আপনি এখন কাজ-কামে ব্যস্ত!!
আগে কাজ, পরে পাঠ।