এই-যে ক্রমাগত না-হতে থাকা থেকে থেকে, না-ই হয়ে যাওয়া
বালখিল্যতার আনন্দ-বিষাদে মন্দ লাগে-না, আনন্দ না-আনন্দদের আতিশয্যে
গুলিয়ে ফেলে গুলতে গুলতে ঢক করে গিলে ফেলা; তা-ও মন্দ নয়,
আমরা যাব অরণ্য-গভীরে, কোন এক জানা-না-জানার বনে
নিশীথে বা মধ্য-দ্বিপ্রহরে ঘর্মাক্ত কলেবরে, ঘোড় সওয়ারির বেশ ধরে,
নগ্ন পায়ে-ও, হাঁটা-না-হাঁটার ভাব নিয়ে খেলতে খেলতে,
ক্রমাগত আড়াল নিতে থাকবো, প্রকাণ্ড কোন গাছ-কোঠরে,
এখানে-ই গাছেদের সাথে ঠায় দাঁড়িয়ে মিলিয়ে যাব, মিলেমিশে।
হয়ত কোন-এক-দিন
বজ্রের হ্রেষা ধ্বনিতে চৌচির হয়ে লুটিয়ে পড়বে
প্রকাণ্ড গাছটি, গাছ-কোঠর থেকে বের হয়ে আসবে
আজানুলম্বিত এক প্রস্তর মুর্তি, মার্বেল পাথরের ধাঁচে,
চোখ-চাওয়া হাসি নিয়ে;
তিরতির করে এফোঁড়-ওফোঁড় হয়ে
বয়ে যাওয়া সময়-স্রোতের বিপরীতে!!
৩৪টি মন্তব্য
নীলাঞ্জনা নীলা
প্রথম মন্তব্যকারী হিসেবে থাকার জন্য আপাতত লিখছি।
“এই-যে ক্রমাগত না-হতে থাকা থেকে থেকে, না-ই হয়ে যাওয়া”—–শুধু এই একটি লাইন-ই আমাকে মনে করিয়ে দিলো, “out of sight, out of mind.” আপাতত এটুকুই। আবার পরে আসছি।
ছাইরাছ হেলাল
আপনি-ই তো প্রথম!! মন্তব্যকারী,
ব্যাপার-না,
সময় করে সময় নিয়েই আসুন!!
নীলাঞ্জনা নীলা
চাওয়া আবার না-পাওয়া এবং না-চাওয়া থেকে পাওয়া, সমান্তরাল জীবন।
সত্যি বলতে কি অনুভব করতে পারছি, কিন্তু বলে বোঝাতে পারছিনা। ওই পারা-না-পারা এবং বোঝা-না-বোঝা,
এই আর কি;
আপনি কমা(,)তে আর আমি সেমিকোলনে(;)। 😀
ছাইরাছ হেলাল
কমা-কুমার থেকে সেমিকোলন অন্নেক সুন্দর!!
আমতা তো আমরাই,
ব্লা-না-বলাগুলো-ও বুঝতে নিতেই পারি!!
অনুভবের আওতায় এলেই হপে!!
নীলাঞ্জনা নীলা
নতুন লেখা কই? ;?
লেখা নিয়ে কঞ্জুসী করতে নেই। 😀
ছাইরাছ হেলাল
গাছে ধরে বুঝি!!
আপনিও কঞ্জুস, তা মানি!!
মিষ্টি জিন
ক্রমাগত না- হতে থেকে না-ই হয়ে যাওয়া…. না না না-ই হইনিতো এইযে এসে পড়েছি । :p
অরণ্যের গভীরে যেতে টেতে পারবো না ,, বাঘ ভাল্লুক থাকতে পারে। তারচেয়ে
ক্রমাগত আড়াল নিয়ে লুকোচুরি খেলা অনেক ভালু। 😀
যাক বাবা এন্টেনা ছাডাই কুবিরাজ্র কুবিতা বুঝে ফেলছি। \|/
ফাঁকি দিচ্ছেন কিন্তু । বেশী বেশী লেখা দেন।
ছাইরাছ হেলাল
আর কুন চিন্তা নেই,আপনি এসে পড়েছেন!! আপনি নাই হতেই পারেন্না!!
আড়াল, আড়াল ভালু খেলা, তবে বনজঙ্গল একটু হলে লাগে,
বাঘ-বুঘ কুন ব্যাপার না,
অবশ্যই আপনি বুঝতে পেরেছেন/পারবেন-ও।
লেখা দিমুতো, আপনি নাই-নাই, তাই লেখাও নাই-নাই!!
মোঃ মজিবর রহমান
ভালই লাগলো আসলেই হতে হতে না হয়া, পেতে পেতে না পাওয়া সমাজই এরকম কিংবা প্রকিতিও তাই।
ভাল লাগলো ভাইজান।
ছাইরাছ হেলাল
আসলে আমরা ‘পাই পাই পাইনা’ এর মধ্যেই বেঁচে থাকি।
মোঃ মজিবর রহমান
তা ঠিক টা ঠিক ভাই। উপায় নাই।
ছাইরাছ হেলাল
উপায় নেই গোলাম হোসেন টাইপ অবস্থা।
মেহেরী তাজ
ভাইয়া সব কিছুই “না” হলে হ্যা হবে কবে?? ;?
তবে নগ্ন পায়ে হাঁটা না হাঁটার ভাব নিয়ে খেলতে খেলতে যাওয়া এটা পছন্দ হইছে কিন্তু।
ছাইরাছ হেলাল
কিছু কিছু ‘না’ আসলেই হ্যাঁ হয়-না, হবে-ও না, তবুও আমরা এই হ্যা বা না বৃত্ত
কিছুতেই অতিক্রম করতে পারি পারি পারি-না,
আপনাকে কিচ্ছুতেই পিচ্চি বলা যাছে না, বলা ঠিক-না!!
তাই বলে পাক্কু-ও বলে বলে বলছি-না।
মেহেরী তাজ
ঠিক বলছেন তো? পিচ্চি বলা ঠিক না?
তাইলে সমস্যা নাই পাক্কুও বলার দরকার নাই। 😀
ছাইরাছ হেলাল
ইয়ে, মানে পুরা ঠিক না, পিচ্চি!!
নীহারিকা
এত হারিয়ে যেতে মন কেন ক্যান চায় বুঝি না।
যান তাইলে কিছুদিন ছুটি নিয়ে ঘুরে আসুন।
হারানো চলবে না কিন্তু।
ছাইরাছ হেলাল
সোনাদের থেকে হারিয়ে যাওয়া খুপ কুঠিন!!
হারাচ্ছি না।
ইঞ্জা
নগ্ন পায়ে হাটা না হাটা ভাব নিয়ে খেলতে খেলতে যাওয়া, বজ্র হ্রেষা ধ্বনিতে বড় গাছটা চৌচিড় হয়ে লুটিয়ে পড়ে আজানুলম্বিত মূর্তি চোখ চাওয়া হাসি নিয়ে বেড়িয়ে আসা —– অনবদ্য।
ছাইরাছ হেলাল
পড়ার জন্য অনেক ধন্যবাদ, ভাই।
ইঞ্জা
শুভকামনা
ছাইরাছ হেলাল
আপনাকেও,
গাজী বুরহান
না হতে থাকা থেকে একেবারে নাই হয়ে যাওয়া কিংবা আনন্দ না-আনন্দের প্রশ্ন যেখানে…
আমাদের এভাবেই চলে যাওয়া, খেলিতে খেলিতে হাসিতে হাসিতে ক্রমাগত অস্তমিত সূর্য্যের মত।
ছাইরাছ হেলাল
এক সময় সবারই চলে যেতে হয়, এটিই নিয়ম,
মানি বা না-মানি।
লীলাবতী
একা যাবেন ভাইয়া? গাছদের মাঝে মিলেমিশে যাবার আমার খুব ইচ্ছে হয়।
ক্যামনে লেখেন এমন লেখা?
ছাইরাছ হেলাল
নাহ্ একা কৈ!! সোনারা আছে না!!
ল্যাখা কুন ব্যাপার না, আপনিও পারেন!!
প্রহেলিকা
সংসারের নিয়মটাই এমন, ধীরে ধীরে অধীর পায়ে আড়ালে লুকায়। এ বড় অদ্ভুত নিয়তি তবে প্রক্রিয়াটা বেশ জটিল এই ভবঘুরে সংসারের। হাহাকার হাহাকার রোমাঞ্চকর হাহাকার! ঠিক যেন লাশকাটা ঘরের রোমাঞ্চকর অনুভূতি।
চোখ-চাওয়া হাসি নিয়ে;
তিরতির করে এফোঁড়-ওফোঁড় হয়ে
বয়ে যাওয়া সময়-স্রোতের বিপরীতে!!
ছাইরাছ হেলাল
হাহাকার-ফাহাকার লাশ-লুশ কৈ পাইলেন!!
এ লেখায়-তো চোখ-চাওয়া তাকাতাকি আছে!
ফাঁকি-ফুঁকি দেওন ঠিক না।
প্রহেলিকা
প্রহেলিকা ফাঁকিবাজ হতেই পারে না। লেখাপড়া ভুইলা গ্যালে কি হের দোষ নাকি! গ্যাপগুপ দেয়া বন্ধ করেন। গ্যাপট্যাপ দিলে অরণ্যের গভীরে আর যেতে হবে না হে কবি
ছাইরাছ হেলাল
ভুইল্লা যাওনেরতাই লিখে দেন, কী কী ভুলে গেছেন সেটি উল্লেখ করে দিলেই হবে,
নাহ্, কুনই গ্যাপ দেইনি, আপনি পড়ার সময় পান-না তাই দিচ্ছি না!!
চাটিগাঁ থেকে বাহার
ভালো লাগলো। -{@
ছাইরাছ হেলাল
আচ্ছা।
শুন্য শুন্যালয়
একি অন্যায়! পড়েছিতো। মন্তব্য কই আমার? কতোকিছু বলে গেলাম, লিখে গেলাম সেসব নাই হতে হতে না ই হয়ে গেলো। তবে সময় স্রোতের বিপরীতেও তারা হয়তো আর বেঁচে ফিরবেনা। মানুষের মতো কথারাও কী প্রস্তর হয়ে যেতে পারে? লুকাতে পারে গাছের আড়ালে?
নাহ এমন লেখা ভারী অন্যায়। এটা বেশি ভালো, না পরেরটা, একটা হলেই হলো। 🙁
ছাইরাছ হেলাল
না-হয়ে যাওয়া মন্তব্য হয়ত পাথর হবে বলে লুকিয়েছে কোন অরণ্য অভ্যন্তরে!!
বজ্রের অপেক্ষা আমাদের করতেই হচ্ছে!! করি-তা।
মন্তব্যের উত্তর দেয়া খুব-ই কঠিন!!
তা ঠিক বলেছেন, ভাই, হলেই হলো!!