এসো তবে মঙ্গলে যাই/লাল সূর্যের আকাশবাড়ী/নিঃশ্বাসহীন বুকে ভেসে বেড়াই/
গরিমা ভাল নয় রাত/সন্ধাকৈবর্ত সেজেছি যখন/এক রহস্যময় জানা-অজানা প্রান্তরে/
উঁকি দিয়ে নীল আকাশ খুঁজি/নীল পদ্মের দেশে/ আহা! কর কী? অত কিনারায় যেও না/
পড়ে গিয়ে ভেসে রবে অজানার দেশে/ নীরক্ত বুকে তাজা রক্তের আস্ফালন/ বোঝে না সে
বোঝেনা কিছুতেই সে/
স্বপ্নের ছেঁড়া কাঁথায় শুয়ে জেগে থাকা অপেক্ষার দুরন্ত এক ঘোড়সওয়ার।
২৬টি মন্তব্য
খেয়ালী মেয়ে
উফফফফফফফফফ্ কেউই দেখি কিচ্ছু বুঝে না :p
কবিতা দারুন হয়েছে (y)
ছাইরাছ হেলাল
সত্যি ই সমস্যা। ‘রাত’কে কিছুতেই বোঝাতে পারছি না।
প্রথম মন্তব্যের জন্য অবশ্যই ধন্যবাদ।
খেয়ালী মেয়ে
কি দরকার বুঝানোর?…রাতকেই নিজ থেকে বুঝে নিতে দিন 🙂
ছাইরাছ হেলাল
বোঝাতে চাই এ জন্য যে, ঠ্যাং ভেঙ্গে গেলে আমাকেই ভুগতে হবে যে।
খেয়ালী মেয়ে
বুঝতে গেলে ঠ্যাং ভাঙবে, এ আবার কেমন বুঝাবুঝি? ;?
ছাইরাছ হেলাল
না বুঝে লাফালাফি করলে বেমাক্কা পাথুরে ধাক্কায় ঠ্যাং ভেঙ্গে যাওয়ার ভয় থাকে। আর তখন তা আমাকেই পোহাতে হবে।
খেয়ালী মেয়ে
ওরিপ্পাআআআআ আপনেতো দেখি অনেক সচেতননননন 🙂
শুন্য শুন্যালয়
এঈ সুযোগ হারানো ঠিক হবেনা। এমন আমন্ত্রণ !!!!
পৃথিবী রহস্য কি তবে জানা হয়ে গেলো?
অনেকদিন এমন লেখা পড়িনি, এটাই মনে হলো।
অপেক্ষা শব্দটা আপনার সাথেই যায় আসলে।
ছাইরাছ হেলাল
আপনি ‘রাত’কে একটু বুঝিয়ে বললে হয়ত লাফালাফি একটু কমবে।
মঙ্গলে গিয়েও লাফালাফি। কী না কী বিপদ!
আপাতত গ্রহান্তরেই থাকতে চাই।
মর্তে অজানা খুব বেশি,ঠিক পেড়ে উঠছি না।
ধন্যবাদ মন দিয়ে পড়ার জন্য যা আপনি সবসময়ই করেন।
শুন্য শুন্যালয়
এভাবে অজানার দেশে ভেসে বেড়ানোর সুযোগ পেলেও মন্দ হয়না কিন্তু, আপাতত লাফালাফি কম করতে বলার চেয়ে আমিও ভাবছি রাতের সাথে লাফালাফিতে যোগ দেব। নিরুক্ত বুকে তাজা রক্তের আস্ফালন !!! রাত কে তো দেখছি কোনভাবেই থামানো যাবেনা…
ছাইরাছ হেলাল
তা আপনি ইচ্ছে হলেই যোগ দিতে পারেন ভোরের অনুমতি নিয়ে। অনুমতি পেলে আমাদের জানিয়ে দিয়েন, তখন না হয় ওদিকে সামান্য দৃষ্টি ফেলব আপনার অনুপস্থিতিতে।
রাতকে থামানো যাচ্ছে না সত্যিই।
মনির হোসেন মমি(মা মাটি দেশ)
স্বপ্নচারী কবিতা বেশ ভাল লাগল।গরিমা কি?
ছাইরাছ হেলাল
স্বপ্নেই করি বসবাস।
গরিমা শব্দের অর্থ অহংকার বা প্রচলিত অর্থে ডাট বলা যেতে পারে।
জিসান শা ইকরাম
আমারেও সাথে নিয়েন। পরে গেলেও শান্তি ভেসে থাকবো অজানা দেশে।
ছাইরাছ হেলাল
আচ্ছা নিয়ে যাব।
নুসরাত মৌরিন
স্বপ্নের ছেঁড়া কাথায় শুয়ে যে গ্রহ থেকে গ্রহান্তরে পাড়ি জমাচ্ছেন… বাহ! বেশ তো!!
ছাইরাছ হেলাল
গ্রহান্তর মন্দ নয়। পড়ার জন্য ধন্যবাদ।
ব্লগার সজীব
কবে যে হবো ‘ শুয়ে জেগে থাকা অপেক্ষার দুরন্ত এক ঘোড়সওয়ার ‘ ? 🙁 লেখার মাঝে মাঝে / দিয়ে লেখাটিকে ভিন্ন ভাবে উপস্থাপন করলেন। ভালোই লাগছে 🙂
ছাইরাছ হেলাল
যখন যা যেভাবে মনে আসে তাই করি। স্বপ্নরাজ্যে বসবাসে এই ই হয়।
বন্য
আজব আজব বায়না সব, এমন করে মায়ার সাথে মধু মিশিয়ে বললে না গিয়ে কি আর উপায় আছে! অবশেষে কি আহবানে সাড়া দিয়েছিলো রাত?
ছাইরাছ হেলাল
রাত আমার প্রিয় বিষয়।তাই বিভিন্ন ভাবে তুলে ধরার চেষ্টা করি ।
ধন্যবাদ।
সায়ন্তনু
মহাশূন্যচারী। বেশ।এখানে বুঝি সুবিধা হলো না। তাও কঠিন কঠিন মনে হয়।
ছাইরাছ হেলাল
কল্পনাচারী আপনি বলতে পারেন। এখানেও অসুবিধা কিছু ছিল না।
নাহ্ এ আর এমন কোন কঠিন কিছু না ।
লীলাবতী
আচ্ছা তাহলে এখন এই অবস্থা ? ‘ স্বপ্নের ছেঁড়া কাঁথায় শুয়ে জেগে থাকা অপেক্ষার দুরন্ত এক ঘোড়সওয়ার। ‘ (y)
ছাইরাছ হেলাল
হ্যা অবস্থা সঙ্গিন। আপনি নাই তাই।
নীলাঞ্জনা নীলা
কল্পনায় কতো কি যে নিয়ে আসেন! বাস্তবের চরকায় তেল দিতে দিতে ফুরিয়ে যায়, কিন্তু কিচ্ছু বুঝিনা।
ভাবছি গ্রহান্তরে যাবো, রাত্রি সেজে, অন্ধকারের দরোজা খুলে। পথে যতো বাধা-বিপত্তি আসুক, অ্যালিয়েন জুটিয়ে নেবো। আর কিসের চিন্তা! 😀