১.গোলাকার পৃথিবী।

এ এক অদ্ভুত গোলক ধাঁধা,
চারিদিকে তাকালে এসব কি দেখা যায়?
শুধু দিগন্ত জোড়া সবুজ বৃক্ষ আর উচু পাহাড়
সূর্যের দিকে তাকালে চোঁখ জ্বলসে যেতে চায়।

পৃথিবীটা নাকি গোলাকার
তাও আবার নাকি লাঠিমের মত ঘোড়ে
আর সূর্যকে পাক মারে।
বিজ্ঞানীরা অনেক কিছু দেখে,
তাদের তৃতীয় চক্ষুটা অনেক শক্তিমান।

পাহারের উচ্চতায় ভ্রমনের মজাই আলাদা,
ভয়ের আনন্দ পাওয়া যায়।
বৃদ্ধ লোকের ভাংগা নৌকাটাও সুন্দর লাগে দেখতে
লোকটা বিজ্ঞানীও হতে পারে,
হয়ত গোলাকার পৃথিবীটা ঘুরে দেখে এসেছে,
আর এখন বৃদ্ধ হয়ে নিজের বাড়ি ফিরছে।

না, গোলাকার পৃথিবী দেখা হল না
অনেক দুরে যেতে হবে,
বৃদ্ধ বিজ্ঞানী যেখানে গিয়েছিল।
হয়ত অনেক পথ।

পাহাড়ের চুড়ায় বেশিক্ষন থাকা যায় না
সূর্যটা তেতে উঠে গা পুড়িয়ে দিয়ে যায়।
তাই নেমে পড়াই ভাল।

বৃদ্ধ বিজ্ঞানী চলে গেছে,
হয়ত গোলাকার পৃথিবী দেখা এখনও শেষ হয়নি।
ভাগ্যিস তার ভাংগা নৌকাটা ডুবে যায় নি।

লোকালয় ছেড়ে আসলে সুন্দর পৃথিবী দেখা যায়,
তা কি শুধু বিজ্ঞানীরাই জানে?

গোলাকার পৃথিবীটা দেখতে,
অনেক দুরে যেতে হয়।
মরুভুমির বালুতাপে আবার ফিরেও আসতে হয়।
তখন আর গোলাকার পৃথিবী দেখার ইচ্ছা থাকেনা।
ইচ্ছা জাগে সবুজ পৃথিবী দেখার।

২.রোবটের সাথে বন্ধুত্ব।

প্রযুক্তির এই যুগে, চেনা বড় দায়
কেবা রোবট আর কেবা মানুষ
মানুষ আর রোবট এক সারিতে দাড়িয়ে গিয়েছে
আলাদা করার সুযোগ নেই।

এখন সবাই বলে, আমরা মানুষ।
তাহলে রোবটটা কে?
চেনার কোন উপায় নেই, কে রোবট আর কে মানুষ।
বিজ্ঞানীরা সরল মানুষকে ধোকা দিচ্ছে
তারা রোবটকেও মানুষ বলে চালিয়ে দিচ্ছে।

তা দিক, শুধু মন থাকলেই মানুষ হওয়া যায়
রোবটের হয়ত তা আছে।

0 Shares

১০টি মন্তব্য

মন্তব্য করুন

মাসের সেরা ব্লগার

লেখকের সর্বশেষ মন্তব্য

ফেইসবুকে সোনেলা ব্লগ