ড্যামিশ—
কেমন আছো তুমি?—কি খুব অবাক হচ্ছো তাই না, যে আমি জানতে চাচ্ছি, তুমি কেমন আছো?—কতদিন পর তোমায় আবার লিখতে বসলাম—মনে হচ্ছে তোমার সাথে আমার বহুকাল কোন কথা হয়নি—বহুকাল তোমার সাথে আমার ভাবনার জগতে স্বপ্নের জালবোনা হয়নি—বহুকাল তুমি আমার থেকে অনেক দূরে—তুমি আমার অনুভবে কেনো ধরা দিচ্ছো না?—আজ আমি সত্যি বুঝতে পারছি না, তুমি কেমন আছো?—মনে হচ্ছে খুব মজবুত একটা দেয়াল আমাদের মাঝে জায়গা করে নিতে চাচ্ছে—আমি চাই না কোন দেয়াল আমাদের মাঝে—তাহলে কেনো এমন মনে হচ্ছে?—তুমি কি চাও?.....
ভালোবাসা ব্যাপারটা খুব অদ্ভূত, তাই না বুদ্ধু?—হঠাৎ করে আসে, তারপর খুব তাড়াতাড়ি মনের মনিকোঠায় ভালো লাগার এক স্বর্গমহল গড়ে তোলে—তারপর সেই মহলের এপ্রান্ত থেকে ঐপ্রান্তে প্রজাপতির মতো রঙিন ডানা মেলে ছুটে বেড়ায়—আর মনের দেয়ালের সব জায়গায় রেখে আসে সেই রঙিন ডানার ছাপ—আস্তে আস্তে করে জেনে নেয় মনের গোপন যতো কথা—কিন্তু হঠাৎ করে সেই ভালোবাসাটা যদি কোনদিন গড়ে যাওয়া সেই স্বর্গমহলে আর না আসে, তখন খুব কষ্ট হয়—ব্যাথার ঝড় বয়ে যায় মনে—কেঁদে উঠে মন চিৎকার করে—তখন চাইলেও মনের দেয়ালে রেখে যাওয়া তার রঙিন ডানার ছাপ কোনভাবে মুছে ফেলা যায় না—মন খুঁজে বেড়ায় সেই ভালোবাসাকেই—যেমন আজ, আমিও আমার অনুভবে, সেই তোমাকেই খুঁজে যাচ্ছি, আমার বুদ্ধুকে.......
তুমি আমায় অনেক দূরে নিয়ে যাবে ড্যামিশ?—যেখানে দিগন্তছোঁয়া মাঠ থাকবে—একটু হাত বাড়িয়ে ছুঁয়ে নেওয়া যাবে আকাশটাকে—যেখানে সবুজ ঘাসের উপর শিশিরের টুপটাপ ঝরে পড়ার ছন্দপতন দেখা যাবে—যেখানে বসে অন্ধকার ঘুছিয়ে ভোরের আলো ফোটার দৃশ্য অবলোকন করা যাবে—যেখানে গাঙছিল ডানা মেলে উড়ে বেড়াবে কোন বাঁধা থাকবে না—যেখানে কোলাহল মুক্ত একটা মধ্যদুপুর চুপচাপ চোখে চোখ রেখে কাটিয়ে দেওয়া যাবে—যেখানে হঠাৎ করে আলতো রোদ এসে সব নীরবতা ভেঙে দিয়ে তোমায় আমায় ছুঁয়ে যাবে—যেখানে চোখবুজে একটু ঠান্ডা বাতাসের স্পর্শ নেওয়া যায় এমন মায়াবী বিকেল থাকবে, যে বাতাসে মিশে থাকবে স্বাধীনতার ঘ্রাণ, ভালোবাসার ঘ্রাণ, মাটির ঘ্রাণ—যেখানে বসে ঢেউয়ের ছন্দ শুনতে শুনতে তারাদের লুকোচুরি খেলা দেখা যাবে—যেখানে খোলা আকাশের নীচে কুয়াশা ভেজা ঘাসের উপর মাথা রেখে ভরা পূর্ণিমা কাটিয়ে দেওয়া যাবে তোমার সাথে—যেখানে তোমার আমার সব দূরত্ব মিটে যাবে—যেখানে তুমি’আমি আমরা হয়ে যাবো—নিয়ে যাবে ড্যামিশ, আমাকে সেখানে?......
ভালো থেকো ড্যামিশ—অনেক অনেক অনেক ভালো থেকো—আমার হয়ে থেকো....
(খেয়ালী মেয়ের স্বপ্নীল চিঠি)
৪২টি মন্তব্য
অরণ্য
আপনার চিঠি গুলো আবৃত্তি করে পড়ে আমি খুব মজা পাই। আমার ড্যামিশ কোন জবাব না দিলে আমার কাছে আসতে বলবেন একবার – ভদ্রলোক ঠিক বুঝতে পারবে তখন।
অরণ্য
আমার ড্যামিশ নয় আপনার ড্যামিশ লিখতে চেয়েছি। কিন্তু ভুল করেছি।
খেয়ালী মেয়ে
বুঝা গেলো আপনি ভালো আবৃত্তি করতে পারেন 🙂
কোথায় পাব তাকে আমি 🙁
অরণ্য
ভালো আবৃত্তি করতে পারি, আসলে তা নয়। তবে চিঠি পড়ার একটা মজা আছে, আমি চিঠি যুগের মানুষ। একটা চিঠি খুলবো কিভাবে, পড়ব কখন, কাউকে পড়ে শোনাব কি? এসব ভাবনাও ভাবতাম তখন। সময়টা হুট করেই চলে গেল।
আপনি ভাল লেখেন।
খেয়ালী মেয়ে
হুমমম বুঝলাম–
চিঠি যুগের মানুষরা অনেক ভাগ্যবান-আমার তাদের হিংসে হয়..
নুসরাত মৌরিন
আপু এত সুন্দর চিঠি পেয়েও কেন যে ড্যামিশ ভাইয়া আসছে না!!
চিঠি পেলে ঠিক ঠিক নিয়ে যাবে আপনাকে…।
চিঠি মনে হয় পাচ্ছে না… ;?
খেয়ালী মেয়ে
হয়তো পাচ্ছে না আর হয়তো বা পেয়েও ধরা দিচ্ছে না 🙁
নওশিন মিশু
আপনার এমন সুন্দর ইচ্ছে গুলো পুর্ন হোক খেয়ালী মেয়ে।অনেক আবেগ দিয়ে লেখা চিঠি (y)
খেয়ালী মেয়ে
আমিন–
আমিও চাই ইচ্ছেগুলো পূর্ণতা পাক—
স্বপ্ন
ভুল ঠিকানায় পোষ্ট হচ্ছে মনে হয়। আপনার ইচ্ছে গুলো খুবই সুন্দর আপু।
খেয়ালী মেয়ে
অজানা ঠিকানায় পোস্ট হচ্ছে 🙁
ড্যামিশকে ঘিরে আমার সব ইচ্ছেই সুন্দর (-3
শুন্য শুন্যালয়
চিঠির উত্তর শুধু একা পড়লে তো চলবেনা আমরাও পড়তে চাই। আর যদি এমন এমন চিঠির উত্তর না পেয়ে থাকেন তবে বুদ্ধু ক্যানসেল। ভুল ঠিকানায় পোস্ট নয়, পরী আমি জানি এ চিঠিগুলো কখনোই আপনার পোস্ট করা হবেনা। নামটা পরী যে, সবার ইচ্ছে পুরন করে যে তার ইচ্ছের খবর কিন্তু কেউ রাখেনা।
অনেক আবেগ একান্তই আপনার …
খেয়ালী মেয়ে
আমার কোন চিঠির কোন উত্তর কখনো আসেনি আপু–হয়তো কখনো আসবেও না–কিন্তু তাই বলে বুদ্ধু কেনো ক্যানসেল হতে যাবে?–
শুন্য শুন্যালয়
বুদ্ধু ক্যানসেল হবেনা, ওটা স্বভাবজাত দুস্টুমি থেকে বলা। প্রার্থনা করি, চিঠি একদিন ঠিক পৌঁছে যাক ঠিকানায়। আবেগী মেয়ে, ভালো থাকুন খুব।
খেয়ালী মেয়ে
হুমমমম বুঝতে পেরেছি–শুন্য আপুও থাকুন সব সময়…
খেয়ালী মেয়ে
হুমমমম বুঝতে পেরেছি–শুন্য আপুও ভালো থাকুন সব সময়…
ছারপোকা
আচ্ছা যদি ড্যামিশ আসে । ইচ্ছেগুলো ও পূরন হয় তাহলে কেমন হবে ?তখন কি চিঠির উওর গুলা বলবেন নাকি আমাদের নাকি একা একা এ উওর গুলো মনের মধ্যে গেঁথে রাখবেন ?
ইচ্ছেগুলো খুবই মনকাঁড়া আপনার ইচ্ছেগুলো পূরন হোক ।
খেয়ালী মেয়ে
যদি কখনো ড্যামিশের কোন চিঠি আসে, আমার কোন ইচ্ছে পূরণ হয় তবে সেটা আমি অবশ্যই আমার সেসব বন্ধুদের সাথে শেয়ার করবো, যারা আমার চিঠি আর ড্যামিশের খবর জানতে চাইতো……
ব্লগার সজীব
এই ড্যামিস বুদ্দুটাকে কোথায় খুঁজবো আমি?এত আবেগ দিয়ে লেখা চিঠি সে পাবেনা,এটি হয়?
খেয়ালী মেয়ে
তার কোন ঠিকানা আমারও তো জানা নেই 🙁
রিমি রুম্মান
চিঠি আজকাল ডাকবাক্সে ফেলা হয় না। ভালই হল, এই সুযোগে আমরাও পড়ে নিলাম। 🙂
খেয়ালী মেয়ে
চিঠি যথাসময়ে অজানা ঠিকানায় পোস্ট হচ্ছে–শুধু সেই চিঠির ডকুমেন্টস থেকে যাচ্ছে খেয়ালী মেয়ের আইডিতে………..
ছাইরাছ হেলাল
উত্তর ওয়ালা চিঠি চাই। তা নাহলে নূতন ঠিকানায় চিঠি চলে যাবে,ড্যামিশ। আমরা তখন তোমরা হয়ে
ড্যামিসের সামনে দিয়ে ঘুরে বেড়াবে। দেয়াল-টেয়াল উড়ে যাবে সেই কখন ।
খেয়ালী মেয়ে
এটা কি ড্যামিশের জন্য কোন হুমকিবার্তা?..
ছাইরাছ হেলাল
অবশ্যই। এক পাক্ষিক পত্র চলাচল আমরা দেখতে চাই না।
খেয়ালী মেয়ে
ড্যামিশ আমায় পত্র লিখে না, তাই বলে কি আমিও লিখা বন্ধ করে দিবো 🙁
ছাইরাছ হেলাল
চলিবে।
খেয়ালী মেয়ে
🙂
মেহেরী তাজ
আশা করি এই চিঠি টা আপিনার ড্যামিশের কাছে পৌঁছাবে। আরআপনার সাথে সাথে আমরা ও খুব তাড়াতাড়ি চিঠির উত্তর জানিতে পারবো।
খেয়ালী মেয়ে
ইশশশশশ আপনার আশাটা যেন পূরণ হয় 🙂
স্বপ্ন নীলা
কতদিন চিঠি পড়ি না–যাইহোক এই সুযোগে চিঠি পড়ে নিলাম
খেয়ালী মেয়ে
কতদিন চিঠি পড়ি না–তার মানে এক সময় খুব পড়তেন 🙂
লীলাবতী
বুদ্ধুটা আসলেই একটা বুদ্ধু।কি মিস করলো সে বুঝলো না।অনেক ভালো চিঠি লিখেছেন পরী আপু।
খেয়ালী মেয়ে
আসলেই ও একটা বুদ্ধু 🙂
নীলাঞ্জনা নীলা
অসাধারন চিঠি লেখেন আপনি।কেউ এমন চিঠি পেলে সে স্বর্গের সুখ অনুভব করবেন।
খেয়ালী মেয়ে
কাশশশশশশশশশশশ্ চিঠিগুলো তার কাছে পৌঁছাতো—–
নীলাঞ্জনা নীলা
একদিন ঠিকই পৌছাবে 🙂
খেয়ালী মেয়ে
-{@ এটা আপনার জন্য 🙂
বনলতা সেন
আমি হলে ড্যামিসের মাথা ফাটাতাম সেই কবে।আমি শিওর আপনি চিঠির উত্তর পাচ্ছেন কিন্তু লুকোচ্ছেন।
খেয়ালী মেয়ে
কাশশশ্ চিঠির উত্তর পেতাম, তাহলে লুকালেও সেটা সবাইকে জানান দিতাম 🙁
প্রজন্ম ৭১
আফসোস বুদ্দুটা এই চিঠি পায়না 🙁 (y)
খেয়ালী মেয়ে
🙁