কালকে ভারত -পাকিস্তানের খেলা না দেইখা কার কার পেটের ভাত হজম হইছে? আমার কিন্তু হইছে। সারা ভারত/পাকিস্তানে মাইক্রোস্কোপ দিয়াও একজন বাংলাদেশের সাপোর্টার পাওয়া যাবেনা আর আমরা এই দুই দেশের ফ্লাগ নিয়া মাঠে লাফাই। কি বলে নাই বাংলাদেশের ক্রিকেট নিয়া এই দুইটা?

পিচ্চি বেলায় আমার আইডল ছিলো ছোট মামা। মামা আর্জেন্টিনার ফ্লাগ হাতে খেলা দেখতে দেখতে লাফায়, এই দেখে আমিও লাফানো শুরু, খেলা বুঝি আর না বুঝি। খেলার মান এ অস্বীকার করে লাভ নাই যে, ব্রাজিল একফোঁটা এগিয়েই ( বেশি না, এক ফোঁটা)। যারা আজ ক্রিকেটে পাকিস্তানের এতো ভক্ত, তাদেরও নিশ্চয়ই একজন আইডল ছিলো যাদের দেখে পাকিস্তান প্রীতির শুরু।আর যদি বলেন ওদের খেলার ভক্ত, তাইলে ঠিক আছে, পাকিস্তানি গো মতো খেলা দুনিয়ার আর কোন দেশে খেলে না।

এইবার দুইখান প্রশ্ন--

স্বাধীন হবার এত্তো গুলো বছর পার হবার পরেও, আমার দেশের অর্ধেক ভারত আর অর্ধেক পাকিস্তানের কাছে আটকিয়ে আছে, আদৌ কি আমরা কোনদিন স্বাধীন হবোনা? আর কোন দেশে অন্য দুইদেশ নিয়ে এতো কামড়াকামড়ি হয়না 🙁

বাংলাদেশ -নিউজিল্যান্ড সিরিজে এক মেয়েরে জিজ্ঞেস করা হলো আপনার প্রিয় ব্যাটসম্যান কে? কয় তামিম ইকবাল। আর প্রিয় বলার কে? কয় তামিম ইকবাল। 🙂 আমার ধারণা ফুটবল বিশ্বকাপেও এই দেশের অর্ধেক মানুষ পাকিস্তানের সাপোর্ট করবে, যদি সুযোগ আসে। আপনি কি বলেন?

আমার দুই খান প্রস্তাবনা --

রাজনীতির সাথে খেলা সহ আর কি কি মেশানো ঠিক হবেনা তার একটি নিয়মকানুন তৈরি করা হোউক।

ফেসবুক আর মাঠ ফাটান ঠিক আছে, এর বাইরে আর এই দুই দেশ নিয়া দয়া কইরা নিজেদের মাথা ফাটাইয়েন না।

 

0 Shares

২৭টি মন্তব্য

মন্তব্য করুন

মাসের সেরা ব্লগার

লেখকের সর্বশেষ মন্তব্য

ফেইসবুকে সোনেলা ব্লগ