নিশ্চুপে শুনে যাই জমে থাকা ঘামের আর্তনাদ,
কি করবো আমি?
আমি যে ডুবিয়েছি মিঠা জলে, আমার দুটি হাত।
তোয়াজ করে চলি নামহীন অঙ্কিত পশুর,
থুতনি চেপে ধরি লেপ্টে পড়া বিবেকের।
শেষ রাতে শুনি বিধবার অশ্রু নূপুর।
টুপ টাপ জলে ধুয়ে যায় ষোড়শীর কালো চোখ,
অক্ষিকোটরের পিচ্ছিল রক্তাক্ত স্রোত।
আমি নিরব দর্শক।
কন্ঠনালী ঠুঁকরে খায় একটা নেশাগ্রস্ত শকুন।
মৃতের চেয়ে জীবতদের মাংস নাকি সুস্বাদু!
তার চোখে বৃক্ষের ছায়া নেই আছে হোতামার আগুন।।
দিনদিন খসে পড়ে চাঁদ, সূর্য, গ্রহ, তারা।
আমিও খসে পড়ি,খসে পড়ে আমার চিবুক।
আমিও গলে যাই, চলে যাই সময়ের নির্মম গহ্বরে।
আমাকে ফেলে দাও নেশাগ্রস্ত শকুনের ঠোঁটে।
আমি ক্ষনিকের তারা যতদিন বেঁচে ছিলাম,
বিষ বৃক্ষের তোয়াজ করেছি নিজেকে বাঁচাবো বলে।
৬টি মন্তব্য
সুপর্ণা ফাল্গুনী
কৃষ্ণপক্ষ এভাবেই আমাদের ভাবনা, চেতনায়, জীবনযাপন এ ওতোপ্রত ভাবে মিশে আছে। অসাধারণ লেখনী। একটার চেয়ে আরেকটা সুন্দর। একরাশ শুভেচ্ছা ও শুভকামনা রইলো। ভালো থাকুন নিরাপদে থাকুন
মনিরুজ্জামান অনিক
আমরা বিবেকহীনতায় ভুগছি।
ভালোবাসা জানিবেন।
আরজু মুক্তা
তোষামোদ করে চললে বিবেকের কাঠগড়ায় একদিন দাঁড়াতে হয়।
দারুণ কবিতা।
শুভ কামনা
মনিরুজ্জামান অনিক
একদিন দাঁড়াতে হবেই।
ভালোবাসা জানিবেন।
পপি তালুকদার
তোষামোদ করে আমাদের জীবন! বিবেকহীন কাঠগড়ায় দাড়িয়ে কি লাভ?
অনেক ভালো কবিতা।
শুভকামনা নিরন্তর…
মনিরুজ্জামান অনিক
লাভ ক্ষতির হিসেব জানা নাই।
শুধু জানি কোন একদিন সকল অন্যায়ের বুঝা মাথায় চাপিয়ে দাঁড়াতে হবে বিচারকের সম্মুখে।
ভালোবাসা জানিবে।