আমার এই লেখাটা তাদের জন্য ডেডিকেটেড যারা নিজের রান্না খাবার খেতে খেতে বিরক্ত।
নিজের রান্না করা চলে/ ফালতু/ মোটামুটি রকম খাবার কিভাবে অসাধারণ মনে হবে তার বর্ণনাঃ
রাতে ও সকালে হালাকা খাবার খেতে হবে । বেলা ১২ টার সময় তরকারী কেরাসিন এর স্টোভে চাপাতে হবে।অবশ্যই স্টোভে তেল কম থাকতে হবে যাতে তরকারি অর্ধেক সেদ্ধ হতেই স্টোভ দপ করে নিভে যায় । এবার সবকটা রুম্মেটের স্টোভ চেক করে দেখা যাবে কোনটাতেই তেল নেই।
ঝটপট রেডি হতে হবে চারতলা থেকে নিচে নামার জন্য। নিচ তলায় এসে মনে হবে ভুল করে টাকা ফেলে এসেছি। উপরে উঠে টাকা নিয়ে পুনরায় নিচে নামতে হবে।
দোকানে গিয়ে দেখা যাবে সেই ভিড়। সিগারেটের ধুয়ায় শ্বাস কষ্ট হয়,কিন্তু দেখা যাবে নিজের ঠিক পাশেই একজন মনের সুখে সিগারেট টানছেন। নিশ্বাস বন্ধ রেখে তেল নিয়ে ছুটে রুমে আসতে হবে। এবার স্টোভে তেল তুলে স্টোভ জালিয়ে আধা সেদ্ধ তরকারি স্টোভে চাপাতে হবে। এর মাঝে ভাতের মার গালানো ও স্নান টা করে নিতে হবে। মাঝে দু এক বার ফেসবুক বা ব্লগ বা গ্রুপে ঢু মারা যেতে পারে।
তরকারি হয়ে গেছে। ঘড়িতে সময় দুপুর দুটা। এবার খাওয়া যায়ত
ওহ হ্যা আর একটু সবুর করতে হবে কারন সবুরে মেওয়া ফলে।
রুমে পানি নাই।
আর একবার চারতলা থেকে নিচে নেমে পানি নিয়ে আসতে হবে।
পানি আনা হয়ে গেলে এবার মাদুর বিছিয়ে গ্লাসে পানি ঢেলে প্লেটে ভাত নিয়ে তারপর তরকারি নিয়ে, খুব আয়েশ করে খেতে হবে।
এই খাবার অবশ্যই অনেক সুস্বাদু মনে হবে 🙂
২৮টি মন্তব্য
জিসান শা ইকরাম
হা হা হা হা , হাসতেই আছি।
তবে এমন রান্না অবশ্যই সুস্বাদু হবে, এ বিষয়ে কোন সন্দেহ নেই।
আপনার বুদ্ধি দেখে অবাক হচ্ছি আমি।
লিখতে থাকুন আরো।
মেহেরী তাজ
আমি হচ্ছি বুদ্ধির খনি 🙂
নীতেশ বড়ুয়া
এতো বুদ্ধি কি গুলতি মাইরা নিয়া আসেন তাজাপু???? ;?
খেয়ালী মেয়ে
এমন সুস্বাদু খাবার খাওয়ার জন্য এত্তো পরিশ্রম করতে হবে?..
আমার কি হবে?..আমিতো বিরাট আলসে টাইপের..আমার কি নিজের রান্না করা সুস্বাদু খাবার কখনো খাওয়া হবে না ;?
মেহেরী তাজ
আলসে হলে সুস্বাদু হপেনা আপু 🙂
ছাইরাছ হেলাল
এমন রান্না সুস্বাদু না হওয়ার কোনই কারণ নেই।
আহারে কত কষ্ট।
মেহেরী তাজ
কষ্ট করলেই তবে কেষ্ট মেলে ভাইয়া 🙂
শুন্য শুন্যালয়
হা হা হা তুমি বেজায় দুস্ট মেয়ে। :D)
তবে দেখ তোমার কস্ট দেখে ভীষণ মন খারাপ হয়েছে আমার, এই যে দেখ 🙁
আমার থিউরী উল্টা। অইসময় যদি কোনভাবে তাজের প্লেটে হানা দিতে পারতাম, সব খেয়ে ফেলতে পারতাম তাহলে সেটাই হতো সবচেয়ে সুস্বাদু খাবার 😀
মেহেরী তাজ
আপু, আপনাকে আমার হোষ্টেলে দাওয়াত। অবশ্যই আসবেন আপু 🙂 (3
সায়ন্তনু
আপনার লেখা খুব মজার।
মেহেরী তাজ
আপনার মিনিকে কি ফিরে পেয়েছেন ? ধন্যবাদ আপু।
নুসরাত মৌরিন
হিহিহি।বাহ্ দারুন রেসিপি!! এমন খাবার সুস্বাদু না হয়ে পারেই না। 😀
মেহেরী তাজ
ধন্যবাদ আপু 🙂
ব্লগার সজীব
যতই পড়ছি ততই আপনার ভক্ত হয়ে যাচ্ছি ওস্তাদ। কি সব আইডিয়া ওস্তাদের (y) (y)
মেহেরী তাজ
অনেক দিন পরে মন্তব্য গুলো দেখলাম।
ধন্যবাদ শিষ্য।
বন্য
কুবুদ্ধি!!! মাথায় যে কি আছে আপনার !! এতো কষ্ট করার চেয়ে না খেয়ে ঘুম দিবো আমি তারপরও না এই কুবুদ্ধি শুনুম না।
মেহেরী তাজ
সব মাথায় সুবুদ্ধি থাকলে চলে?? কিছু মাথায় কুবুদ্ধি থাকা দরকার। :p
মনির হোসেন মমি(মা মাটি দেশ)
মজাদার লেখা।হা হা হা…
মেহেরী তাজ
ধন্যবাদ ভাইয়া।
লীলাবতী
দুষ্টের শিরোমণি :D) বাথরুমের আইডিয়া মনে থাকবে তো ? :D)
মেহেরী তাজ
হুম আপু মনে আছে। 🙂
নীতেশ বড়ুয়া
মানে কি??? শয়তানি ভূত-৩ কি লীলাপুর উৎসাহে??? :p
তবে পিচ্চি তাজের বলিহারি!
চিন্তাইতাসি, যেদিন এর পোলা মাইয়া ইকটু বড় হইবো হেইদিন তাগোর লগে কি করবো!!!!!!!! :p :D)
মেহেরী তাজ
না লীলা আপুর দোষ না। 🙁
আমি এখন বড় হয়ে অনেক শান’ত হয়ে গেছি। ছোট দের সাথে তো আর সব সময় ফান করা যায় না। এখন ভারিক্কি একটা ভাব নিয়ে থাকি।প্রয়োজন এর বেশি কোন কথা বলি না। 🙁
নীতেশ বড়ুয়া
আহালে… এই ভারিক্কি ভাবের বদহজম হয়ে কোনদিন না জানি আবার মহাসমারোহে শুরু হবে :p
মেহেরী তাজ
মানুষ মরে গেলে পচে যায়,বেঁচে থাকলে বদলায় কারনে অকারনে। হা হা হা হা হা :p :p
নীতেশ বড়ুয়া
বেঁচে যাওয়া মানুষ সবাইকে হাসায় বারেবারে, কারণে অকারণে… হাআআআআআআআআআহহাহাহাহহাহাহাহাহা :D)
মেহেরী তাজ
এটা কে বলছে??? ;? ;?
নীতেশ বড়ুয়া
মহান অ-মনিষী নীতেছ :p