হে দাস,
কখনও কি তাকিয়েছ প্রভুর পানে তাকানোর নিষেধ নিয়ে?
ইচ্ছে কী করেনি এড়িয়ে প্রভুর চোখ, সবুজে মিশ যেতে?
অথবা আকাশ চিড়ে শির উঁচিয়ে মহা শূন্যে মিলিয়ে যেতে?
হে দাসানুদাস,
চকচকে দগ্ধ যন্ত্রণা কী করে ভুলে যাও ভুলে থা্ক, দগদগে ঘা নিয়ে?
হাপিত্যেশ সভ্যতার মায়াজালে হুতাশন ছড়িয়ে আর কত কাল?
সদা-প্রভুর ব্যতিক্রমী নিয়ম কি শুধু নিয়মের জন্য?
স্ফটিকের মরীচিকায়?
স্বপ্নের বৈকুন্ঠে?
উষ্ণতায় লীন হয়ে কাফনে লুপ্ত কবরের হা করা মুখ
মুক্ত আমি প্রভুর রূপ-গুনে,
ফোঁসে কোন আগুন,
এ বুকে তার অসহ্য স্খলিত মৌনতা।
হে নিদ্রালু ঋতু, জাগো, জাগাও।
৩৪টি মন্তব্য
লীলাবতী
আবার স্বরূপে কঠিনে চলে গেলেন।বুঝতে পারবো অবশ্য 🙂
ছাইরাছ হেলাল
ফিরতেই হয়, কঠিন কিছু না।
প্রভুর কাছে মুক্তির প্রত্যাশা করে আবেদন রাখা।
প্রথম মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ অবশ্যই।
মেহেরী তাজ
ভাইয়া লীন কি?
কবিতা পড়লেই বুঝা যাচ্ছে এটা ছাইরাছ ভাইয়ার লেখা।
প্রথম দিকে তো ভালোই বুঝলাম,কিন্তু শেষে এসেই জট লেগে গেলো।
একটু বুঝায়ে বলেন না ভাইয়া।
ছাইরাছ হেলাল
‘লীন’ হল মিশে যাওয়া।
প্রভুর কাছে নানান যন্ত্রণায় সত্ত্বেও জেগে ওঠার আকুতি।
আপনি একটু মন দিয়ে পড়ুন, আপনি অবশ্যই বুঝতে পারবেন।
মেহেরী তাজ
আচ্ছা আবার চেষ্টা করে দেখি। 🙂
আপনি যখন বলেছেন তখন হয়তো পারবোই।
ছাইরাছ হেলাল
অবশ্যই আপনি পারবেন।
ইমন
উষনতায় বিলীন …।বাহ! সবাইকে লীন দিয়ে তাক লাগিয়ে দিয়েছে হেলাল ভাই \|/
ছাইরাছ হেলাল
নাহ্, সবাইকে আর আর পারলাম কৈ!
জিসান শা ইকরাম
আজকাল কি যে হয়েছে জানিনা
দিনে কয়েকবার মৃত্যু চিন্তা আসে
বুড়া হয়ে গেছি
কবর নামক বাসস্থান এ বসবাস এর খুব একটি দেরী নেই আর।
এড়ানোর উপায় নেই……
ছাইরাছ হেলাল
মৃত্যুই হলো জীবনের চরমতম সত্য, তাকে ভালো না বেসে এড়িয়ে
যাবার জো নেই।
আবু খায়ের আনিছ
চকচকে দগ্ধ যন্ত্রণা কী করে ভুলে যাও ভুলে থা্ক, দগদগে ঘা নিয়ে?
হাপিত্যেশ সভ্যতার মায়াজালে হুতাশন ছড়িয়ে আর কত কাল?
সত্যিই তাই, আর কত কাল??
ছাইরাছ হেলাল
আমাদের সত্যি তা জানা নেই, আর কত কাল!
অরণ্য
জব্বর ব্যাপার তো! কবিতা বুঝে যাচ্ছি! ক্লান্ত হয়ে পড়ছি না তো; প্রশ্ন করছি নিজেই নিজেকে।
“মুক্ত আমি প্রভুর রূপ-গুনে,
ফোঁসে কোন আগুন,
এ বুকে তার অসহ্য স্খলিত মৌনতা।”
গ্রেট! থাম্বস আপ।
ছাইরাছ হেলাল
ক্লান্ত হয়ে পড়ছেন কিনা এমন প্রশ্ন আপনি হাজার বার নিজেকে করতেই পারেন,
তা নিরিবিলিতে করুণ,
কিন্তু কথা হল লেখাটির একমাত্র জব্বর জায়গায় হাত দিয়ে ফেলেছে যে।
অবশ্যই আপনাকেও গ্রেট গ্রেট থাম্বস আপ।
খেয়ালী মেয়ে
সবসময় ভালো লিখেন, এবারও ব্যতিক্রম নয়–
আপনার লেখা কয়েকবার পড়া ছাড়া আমি বুঝতে পারি না, তাই একবার নয় কয়েকবার পড়তে হলো–মন্তব্য করতেও এখন খুব ভাবতে হয়, না জানি কোনদিক দিয়ে কি ভুল করে ফেলি–গাধা টাইপের হলে যা হয় আর কি 🙂
সদা-প্রভুর ব্যতিক্রমী নিয়ম কি শুধু নিয়মের জন্য?—মাঝে মাঝে মনে হয় নিয়ম ভাঙার জন্যও কতিপয় নিয়ম থাকা প্রয়োজন ছিলো….
ছাইরাছ হেলাল
প্রভুর নিয়মের নিয়মটি কী আমরা জানতে পারিনা।
তাই হিসাব ও মেলাতে পারি না।
আপনি অনেক গুণী, সে পরিচয় পেয়েই যাচ্ছি।
অবশ্যই কয়েকবার পড়বেন, আপনারা না পড়লে কে পড়বে!!
শুন্য শুন্যালয়
কতটুকু বুঝতে পেরেছি কিংবা আদৌ বুঝেছি কিনা জানিনা। তবে বলার চেষ্টা করছি, ভুলগুলো ধরিয়ে দেবেন।
শিরোনাম -দগ্ধ হয়ে চলা জীবননামা (?)
প্রভূর নিয়ম কে তৈরি করেছে? মানুষ? তবে আরেক মানুষ কেন তা ভাঙ্গতে পারবে না?
পেছনের কোন ক্ষত থামিয়ে দিচ্ছে বারবার? অন্যরকম কিছু শুধু স্বপ্নে নয়, একালেই হয়তো আছে, হয়তো না।
সবশেষে কি প্রভূ কে চ্যালেঞ্জ প্রদর্শন?
প্রিয় ঋতু বর্ষার আগমন ঘটুক। জেগে উঠুক ময়ুরাক্ষি নদী।
আপনি যে স্তরে লেখেন, আমার ভাবনা মই বেয়েও পৌঁছুতে পারবেনা। বলেছেন লিখতে মন দিয়ে, মন মেরামতের ব্যবস্থা নিচ্ছি, এমন লেখা একটি হলেও চাই।
ছাইরাছ হেলাল
আমাদের বঞ্চিত করার ইচ্ছে আছে বলেই এর থেকে কুটিকুটি গুন ভালো লেখা
আপনার জন্য কোনো ব্যাপার না ভাই। জোড় কদমে পা চালান, তবে আমাদের ও একটু
সাথে-পাশে নিয়েন।
আর আপনি যে স্তরে মন্তব্য দিচ্ছেন ডানায় ইঞ্জিন লাগালেও পৌছাতে পারবো বলে মনে হয় না।
রং এর তুফান যা উঠিয়েছেন তাতে ময়ূরাক্ষীর কাছে যেতে হবে বলে মনে হয় না।
প্রভুর নিয়মের নিয়ম আমাদের জানা নেই, তাই হিসাবের অংকটি আর মেলানো হয় না।
সেই লেখাটি অপেক্ষা করতেই আছি।
জনম সার্থক না হলেও চোখ সার্থক করতেই চাই,পবিত্র লেখাটি দেখে।
শুন্য শুন্যালয়
ডানায় ইঞ্জিন লাগাতে হবেনা আপনি বরং সাপের মুখে ঢুকে লেজে নামার চেষ্টা করে দেখতে পারেন 🙂
রং এ বেশ ভালোভাবেই ডুবেছেন দেখতে পাচ্ছি। খবর্দার বলছি আমাদের দোষ দিয়ে বাঁকা ভাবে তাকাবেন না। নজর এড়ান নজর বাঁচান।
লেখা জন্ম নেবার আগেই এতো এতো বিশেষন পেয়েছে যে আনন্দে আর গুহা থেকে বের হতে চাইছেনা। 🙂
ছাইরাছ হেলাল
আপনাদের দোষ দিয়ে ইহকাল খোয়াতে পারবো না। পরকালের হিসাব অন্য।
নজর বাঁচাতে পারলেও নজর এড়াতে পারবো বলে মনে হয় না। কোকিলের চোখ বলে কথা।
গুহাবাসী হয়ে নিজের রূপে নিজেকে আবৃত না রেখে লেখাদের আলোতে উন্মুক্ত করুন
পাঠকদের নয়ন সার্থক করে লেখা শিখতে দিন।
এখানে বিণ বাদক আছে দেখছি, ভয় পাব কিনা বুঝতে পারছি না।
শুন্য শুন্যালয়
আপনি সাপলুডু খেলতে শেখেন নি সেকি? মই বেয়ে যখন আমি উঠতেই পারছিনা, আপাতত সাপে আপনাকে দংশন না করলে আই কই যাইয়ুম? বিণ বাদক, ওঝা সবই আছে, তবে সাপুড়েরাও সাপের কামড়ে মরে, এখন ভয় পাবেন কিনা ভেবে দেখুন। লেখা শিখবেন নাকি যা জানতেন ভুলে যাবেন? আমিতো চিন্তায় অস্থির, কিন্তু আপনাদের তো মোটেই তা মনে হচ্ছেনা। এবার নিজের কালো রূপ খানা দেখিয়েই ছাড়বো।
কোকিলের চোখ, তাই তো বলি কালো বলেই খালি রঙ এর পেছন পেছন ছুটছে। এবার বোরখা বানাবোই, না নিজেদের জন্য না, কোকিলের জন্য।
ছাইরাছ হেলাল
‘সর্প হয়ে দংশন করে ওঝা হয়ে ঝাড়’ কাজেই ভয় পাচ্ছি না।
আপনার কালো রূপ দেখে সব ভুলে গিয়ে নূতন সব শিখে নিতে আপত্তি নেই।
আপনারা রং ছড়াচ্ছেন, আমরা শুধু দেখছি মাত্র।
আহা কোকিলদের ও দুর্দিন আসছে দেখছি, সুন্দরের লাল চোখ আর দেখাতে পারবে না
আমরাও বঞ্চিত হব, সবই আমাদের কপাল।
সীমান্ত উন্মাদ
এ বুকে তার অসহ্য স্খলিত মৌনতা।
হে নিদ্রালু ঋতু, জাগো, জাগাও।
বেশি ভালোলেগেছে এই লাইনগুলো। মৃত্যু অনিবার্য জানি, তাই কবরের বাস্তবতা মেনে নিয়েছি আগেই, বেঁধেছি মাথায় কাফন রনহুঙ্কারে।
শুভকামনা নিরন্তর।
ছাইরাছ হেলাল
কঠিন সত্যকে ভালো বাসতেই হয়।
আপনি মন দিয়ে পড়ে সুন্দর করে মন্তব্য দিচ্ছেন দেখে ভালোই লাগে।
প্রজন্ম ৭১
কবরের কথা মনে হলেই ভয় জাগে,যেতে চাই না এই সুন্দর ভুবন থেকে।
ছাইরাছ হেলাল
অবশ্যই ভীতিকর এবং না যেতে যাওয়ার মতোই।
তবে এটি ই চুড়ান্ত গন্তব্য।
মিথুন
আমি আমার নিয়ম নিজেই তৈরি করি :v
মৌনতায় জ্বলেপুড়ে নিখাদ হয়েছেন, কঠিনও কি? প্রভূর রূপগুনে মুক্ত হওয়া এ কাঠিন্য সবাই হতে পারবেনা। আপনার লেখা মানেই অন্যকিছু…………
ছাইরাছ হেলাল
নিজের নিয়ম তৈরি করতেই পারেন তবে নিয়মের নিয়মটি কী তা আগে
জানতে হবে। যা আমরা জানি ই না।
এ লেখা এমন কিছু নয়, এখানে এর থেকেও অনেকে অনেক ভালো লেখেন।
আমি তাদের নিয়মিত পাঠক এবং সেখান থেকেই শিখি।
ব্লগার সজীব
কবর প্রজন্ম!! এত এত প্রজন্ম থাকতে এই কবর প্রজন্ম নিয়ে না লিখলেও পারতেন 🙁
ছাইরাছ হেলাল
তা ঠিক না লিখলেও হতো্.
কিন্তু লেখাকে আমি নিয়ন্ত্রণ করি না, উল্টো লেখাই আমাকে নিয়ন্ত্রণ করে।
যখন এটি চুড়ান্ত সত্য তখন এড়াতেও পারছি না।
অরুনি মায়া
সদা সহজ সরল নিয়মের লংঘণ করা এ যেন আমাদের চিরন্তন অভ্যাস। শান্তির পটভূমিতে দাঁড়িয়েও শান্তির জন্য হাহাকারে কাটিয়ে দেই পূর্ণাংগ একটি জীবন
ছাইরাছ হেলাল
বুঝে বা না বুঝে হাহাকার কিন্তু আমাদের নিত্য সঙ্গী।
লিখতে শুরু করে দিন।
অরুনি মায়া
জি লিখব। তবে আগে কিছুদিন আপনাদের লেখা পড়ে নেই। আপনাদের লেখার মান অনেক উন্নত।আমার সহজ সরল ভাষার প্রয়োগ জানিনা আপনাদের কতটুকু ভাল লাগবে 🙂
ছাইরাছ হেলাল
উন্নত বা অনুন্নত বলে কিছু নেই, আপনি আপনার মতোই লিখবেন।
এখানে কোন সমস্যা নেই।