ও মন রমযানের ঐ রোজার শেষে এলো খুশির ঈদ”।

শাহ আজিজ ১২ জুলাই ২০১৩, শুক্রবার, ১২:১৯:৩৪পূর্বাহ্ন বিবিধ ৮ মন্তব্য

নজরুল তখন ম্যাডন থিয়েটারের একজন গীতিকার এবং সুরকার। সে সময় বাজারে উর্দু কাওয়ালী গানের জয় জয়কার।ঠিক সে সময়ই শিল্পী আব্বাস উদ্দীন এলেন নজরুলের সাথে দেখা করতে। এসেই কবিকে বললেন, এই যে কাজীদা, দেখুন, পাশের রুমে পিয়ারু কাওয়াল উর্দু কাওয়ালী গানের রিহার্সাল দিচ্ছে। বাজারে সেসব গান খুব চলছে। আপনি বাংলায় এমন কিছু গান লিখে দেন না কেন?নজরুলের পাশে বসে থাকা কোম্পানীর বাঙালী সাহেব সাথে সাথে বলে উঠলেন, না না, ওসব চলবে না বাজারে।এভাবে চলে গেল প্রায় এক বছর। কী ভেবে যেন এবার কর্তা রাজী হলেন। আব্বাসউদ্দীন ছুটে গিয়ে কবিকে বললেন, কাজীদা, কর্তা রাজী হয়েছেন। এ খবর শুনে নজরুল একটি আলাদা রুমে গিয়ে ঢুকলেন। আব্বাসকে বললেন, কিছু পান নিয়ে এসো। তিনি পান নিয়ে এলেন ঠোঙা ভর্তি করে। কবি নজরুল তখন বললেন, দরজাটা বন্ধ করে এবার চুপচাপ বসে থাক।পনেরো থেকে বিশ মিনিট। কবি মাথা তুলে তাকিয়ে বললেন, এই যে এসো, নাও, ধরো। শিল্পী আব্বাস উদ্দীন অবাক। তখনকার ম্যাডন থিয়েটারের প্রধান নাট্যকার ও সংগীতকার ছিলেন কাশ্মীরের আগা হাশার।এই আগা হাশার রচিত একটি বিখ্যাত গজল গানঃ
“হাম জায়েঙ্গে ওয়াঁহা খুশ দিলে
দিওয়ানা যাহাহো”।
এই গজলের সুরেই এই কয়েক  মিনিটেই তার কাজীদা লিখে ফেলেছেন,
“ও মন রমযানের ঐ রোজার শেষে
এলো খুশির ঈদ”।
এভাবেই সৃষ্টি হলো নজরুলের বিখ্যাত এ গানটি।

0 Shares

৮টি মন্তব্য

মন্তব্য করুন

মাসের সেরা ব্লগার

লেখকের সর্বশেষ মন্তব্য

ফেইসবুকে সোনেলা ব্লগ