এসেছি বিকেল-সমুদ্দুরে, ডানা-মেলা-আনন্দে আনন্দ নিয়ে
চোখে পুরে নিয়েছি গোটা নীলের-সমুদ্র, বাতাসে এলো-চুল বিছিয়ে;
দিগন্ত ছুঁয়ে-ছুঁয়ে যাওয়া হাওয়া-উত্তল-জলরাশি,
বিচ্ছুরিত ঢেউ আছড়ে পড়ছে ক্রমাগত হৃদ-সমুদ্রে হৃদ্দি হতে হতে
গোলাপের-সুঘ্রাণ-উষ্ণতা নিয়ে, অপেক্ষার বীজ বুনছি।
হে দীঘল সমুদ্র, তুলে নাও আমাকে, একবার শুধু,
আমি সমুদ্র-জল হয়ে শুধুই নীলে গড়াবো,
বালিয়াড়ির ধার ধরে ধরে;
চোখে তুলে নিয়েছি রঙিন চশমা, বঁধু বেশে;
নীলাকাশ ছোঁব বলে
রূপানলে ছুটি, ছুটে যাই দিগ দিগন্ত পানে,
ভুরু-ভঙ্গা হাসির নূপুরের রিনিঝিনি
কাচ-পেয়ালা ভাঙ্গার ঝংকারের-শব্দ শুনি।
বুকের পাঁজরে ঝুলে থাকা আগ্নেয় শিলা
নড়েচড়ে বসে, গরল-অমৃতের বিষ-বাষ্প ছড়িয়ে,
লুকিয়ে থাকা অমৃত, চেখে নিতে চায় ঈর্ষার দহন-আগুনে।
ফিরে যাব মৃত্যু-উপত্যকায় ঐ নীল-সমুদ্র মাঝে
বারে বারে, কোন এক কোজাগরী পূর্ণিমা-রাতে
জমজম জলে ধুয়ে মুছে।
***************************************************
চোখান!!
এটি আসলে আমি না, মানে আমি লিখিনি,
শুন্য শুন্যালয়ের লেখাটি তাইপ করেছি মাত্র, উনি বিরাট ব্যস্ত-সমস্ত!!
৪০টি মন্তব্য
প্রহেলিকা
দিলাম মন্তব্য! আশা করি আমিই ফাস্টু।
ছাইরাছ হেলাল
পুরাই ফাস্টু!!
প্রহেলিকা
মেডেল দেলেন না যে!
প্রহেলিকা
আরে আরে হয়ে গেলাম দেখি প্রথম। মেডেল আমার 🎖🎖🎖
ছাইরাছ হেলাল
সে তো পারমানেন্টলি আপনার হই গেছে!!
প্রহেলিকা
উনারে এত্তো সুন্দর একটা লেখা লিখে দিলেন আর আমারে দিলেন ব্যাঙ-ভাজি?
ছাইরাছ হেলাল
আপনি চাইলেন, আর আমার দিতে দুষ!!
তাও সুন্দর বলছেন এটাই অনেক, আকালের দিনে শুকুর বলেই ঢেকুর তুল্লাম।
প্রহেলিকা
আমাগোরে অগাকান্ত ভাইবেন না কইলাম। এসব সুন্দর সুন্দর শব্দের সমাহার কতটুকু লেখকসত্বা থেকে নির্গত হয় তা কিন্তু বুঝি। আমারে বেগুন ভাজি খাওয়ালেও এবার ফাটানোর মত কিছু লিখেছেন। ক্যান যে রান্নাবান্নার দিকে চোখ দেন বুঝি না। আপনি এখানেই থাকবেন।
“আমি সমুদ্র জল হয়ে শুধুই নীলে গড়াবো” এই লাইনেই আপনার সব দোষ মাফ। অদ্ভুত লাইন।
আত্মীয় স্বজন দেখে ভালা ভালা লেলহা দিবেন আর আমাগো ব্যাঙ ভাজা! বেশ ভালো শিখেছেন!🔨🔨🔨🔨
ছাইরাছ হেলাল
আমার প্রিয় কবিরে কে বলতে পারে অগা/মগাকান্ত!! কার ঘাড়ে ডাবল কল্লা!!
যাক এক লাইনের উপ্রে দিয়ে পগারপার হয়ে যাওয়া চাট্টি খানি কথা না।
একহালি হাতুড়ি!!
অ্যারে বুঝেন্না ক্যা, ঘুস-ঘাট্টা দিতে হয়য় মডুদের, সামনে ম্যাগাজিন, আমার ল্যাহা বাদ হয়ে যাবে!!
আপনিও লাইন করেন আগে থেকে।
প্রহেলিকা
বাহ বাহ! ফক করে হক কথা বলে ফেলেছেন। টেবিলের নিচে চালাচালি তাইলে ভালোই হয়েছে।
অনেক কিছুই বুঝে নিলাম। স্বজন প্রেমে আমাগো ঠায় নাই, অকুল দরিয়ার বুঝি কুল নাই রে। যাই গান শুনি গা।
ছাইরাছ হেলাল
কবি/লেখকরা মিথ্যেই বলে, সত্য লুকানোর ভান করে,
দু’একটি হক-কথা ফাঁক গলিয়ে বেড়িয়ে-ও পড়ে, কালে-ভাদ্রে।
প্রহেলিকা
ব্লগে আসলে আজকাল আলোচনা হয় না তেমন। উদাসীন আমরা সকলেই।
ধ্বনি মাত্রার মধ্যে, শব্দের মধ্যে, পঙ্ক্তির মধ্যে একজন শক্তিমান কবিকে ফলিয়ে তুলতে হয় জীবনের আখ্যান। কবিভাষা আক্ষরিক অর্থে এর মধ্যে কোনো রহস্য নেই। প্রতিটি শব্দের নির্দিষ্ট ও সুস্পষ্ট অর্থ আছে। বহুভাবনার সম্ভাবনা জাগানিয়া লেখাগুলো পাঠককুলকে তথা কালকে অতিক্রম করে আজও টিকে আছে এমন উদাহরণ অনেক।
আমি যদি এই একটি লাইনের কথাই বলি তাতেও আজকে মন্তব্য ফুড়াবে না। অনেকদের দৃষ্টিতে খুন সাধারণ একটি লাইন, আসলেও তা তবে কবি গভীরভাবে অনুভব করার মতো।
“আমি সমুদ্র জল হয়ে শুধুই নীলে গড়াবো” আক্ষরিকর্থে যদি এটা কেউ ভাবে “নীল” কেবলি একটি রঙ হিসেবেই উপনীত হবে ফলস্বরূপ। কিন্তু আমার কাছে এই নীল বহুভাবনার সমন্বয়ক একটি শব্দ। পাঠক এই নীল শব্দের মাধ্যমে কেবল রঙ নয় ভাবে আরও বেশি কিছু, ইন্দ্রিয়ের মাঝে বন্দীত্বকে হার মানায়। রঙ নয় আরো বেশি কিছুই ভাবায়।
ছাইরাছ হেলাল
আপ্নে লুক ভালু না,
উদোম করে দ্যাহায়!!
সাধারণ লেখক হিশেবে বলি,
সামান্য একটি মাত্র সাধারণ শব্দের প্রয়োগে পৃষ্ঠার পর পৃষ্ঠা ভাবনা লিপিবদ্ধ থাকতে পারে/থাকেও।
“আমি সমুদ্র জল হয়ে শুধুই নীলে গড়াবো” “আমি সমুদ্র জল হয়ে শুধুই নীলেই গড়াবো” পরে এভাবে করেছি।
হ্যা, ফাইন টিউনিং না করেই দিয়ে দিয়েছি, ইচ্ছে ছিল আরও কিছু করার, হা হা।
প্রহেলিকা
“শুধুই নীলেই” পাশাপাশি দুটো শব্দের শেষে “ই” প্রত্যয় যুক্ত হওয়াতে পাঠের রিদমে সমস্যা হচ্ছিলো। লেখক লিখলেই হলো, আমরা পাঠক রিদম কা সহিতই পড়ি।
ছাইরাছ হেলাল
ভুল হয়ে গেছে, ঠিক করে দিচ্ছি,
আসলে নীলে চোখ মেলে চোখ ঝাপসা হয়ে গেছে।
এ দেখছি জনার্দন!!
🎖প্রহেলিকা🎖
ঘুষ টুষ খাইয়া আমারে ব্যাঙ-ভাজি খাওয়াইয়া এখন এমন পোষ্ট আরেকজনকে লিখে দিলেন। এই পোষ্ট বয়কট করলাম!
ছাইরাছ হেলাল
নিজের মেডেল নিজে লাগাইলে এমুন বয়কট করাই যায়!!
আপনিও লাইন করেন , কাজে দেবে!!
🎖প্রহেলিকা🎖
ঠিক না ঠিক না। আমারে আরেকটা দিতেই হবে, ভালো দেখে,সুন্দর দেখে।
ছাইরাছ হেলাল
আপনার মত সব কিছু গাছে ধরে মনে করেন।
কতটুকু ত্যাল পুড়ছে আগে হিসাব করেন,
তবে বলছেন যখন মনে থাকবে, কী হবে তা কিন্তু জানি না।
🎖প্রহেলিকা🎖
এহ! এটা কেমন বিচার, উনি চাইলো সাথে সাথে আর আমি চাইলাম তাই বলেন এই কথা! পোড়া কপাল দুই দুইটা মেডেল নিয়াও মানুষ আমাগো চোক্ষে দেখে না।
ছাইরাছ হেলাল
আপনারে তো চাওয়া মাত্র ভাজাপোড়া খাওয়ালাম, তাকে বসিয়ে রেখে!!
এখন শুনতে হচ্ছে এই কথা!!
নিজে নিজে আরও কিছু মেডেল ঝুলিয়ে নিন, আমরা চামু না।
🎖প্রহেলিকা🎖
ব্যাঙ ভাজা খাওয়াতে টাইম লাগার কথাও না। গর্ত থেকে একটা ধরে এনে কাম সাইরা ফালানো যায়। বিধি আমায় ছাড়া আর রঙ্গ করার মানুষ পাইলা না। সবাইরে পোলাও কোরমা আমার বেলায় ব্যাঙ। ভাবছিলাম আপ্নাকেও দিব মেডেল দুই একটা। তাড়াতাড়ি দিয়েন। হিংসে আমাদেরও হয়।
ছাইরাছ হেলাল
পাবেন পাবেন!!
কী তা জানিনা এখন-ও।
কখন তা ও আগাম বলছি না।
শুন্য শুন্যালয়
চোখে সবকিছু নীল দেখছি। লেখকের নাম পালটে দেব? আসছি পরে।
ছাইরাছ হেলাল
জ্বি, ভাইয়া, অপেক্ষা করতেই আছি।
শুন্য শুন্যালয়
জ্বি একটু থিতু হয়ে বসেছি বাসের সিটে। সকালে একটা লাইন লিখতে গিয়ে হুমড়ি খেতে খেতে বেঁচেছি দাঁড় করিয়ে, মহান ড্রাইভারের উড়োজাহাজ উড়িয়ে নেবার প্রাক্কালে।
বঁধু কী রঙিন চশমায় রঙিন দেখে সব বলে? আহা! সে এক বঁধু ছিলো বটে, ঘাড়ে ব্যাগপ্যাক নিয়া পা মচকাতে মচকাতে।
যা কিছু নেয়ার আপনার প্রিয় কবি আগেভাগেই চেখে নিয়ে গেলো, অদ্ভুত সুন্দর লাইনটি। তবে জমজম জলে ধুয়ে সমুদ্র নীলে হারিয়ে যাওয়া সেও ছিলো বৈকি!
আগ্নের শীলা অংশটি বুঝিয়ে দ্যান না একটু প্লিজ, এটি তো আমি আপনাকে বলিনাই। ভুলভাল টাইপ করলেই হলো! নামের স্বাক্ষর তো দেখি দিব্যি আমাকে দিয়ে দিয়েছেন, রিড প্রুভ না করেই।
ঈর্ষার দহনে অমৃত চেখে নেয়া! আমি কিন্তু সত্যিই ঈর্ষা করি, ভস্ম করি, হই, কিন্তু সে কবি কিভাবে দেখলো প্রশ্ন বটে, আর এতো সুন্দর করে লিখলোই বা কিভাবে?
আপনি বাঁকি ঈর্ষাকারীদের দিকে একদম কর্ণপাত না করে আমার লেখাগুলো লিখে দিন সব এক এক করে। বিনিময়ে আপনাকে একটা সমুদ্র দিবোনে। ইজারা নিয়েছি। সেই সমুদ্রে নীল, সবুজ, কালো, সাদা সব আছে, ভ্রমও আছে। দেখতে সত্যির মতো সুন্দর, মিথ্যের মতো চৌম্বকীয়।
এভাবে লিখে দেয়া ঠিক নয়। কবি বলেছেন, “সব কথা বলে দিতে নেই”
ছাইরাছ হেলাল
কুল,কুল, ভাইয়া আপনি চাইলে এখন ও যা লিখতে পারেন নি তা লিখে দিতে পারেন!
সে অবশ্যই আপনার মহান মর্জি!! থিতু আপনাকে হতেই হবে, তা না হলে আপনার লেখা কে পড়বে!!
আপনাকে তো চেক করে নিতে হবে!! চশমাধারী বঁধুর (বন্ধুর) মুল্যবান পা রক্ষা পেয়েছে এতেই শোকর করছি।
দেখুন হাড়ি-ভাঙার হাটে সব তুলতে নেই!!
লেখক কিন্তু গুণিন বা গণক না, ঝড়ে-বক সিস্টেমে লেগে যাওয়ার মত।
বিনিময়ে কিছু দিন বা না দিন, সব ইজারা নিয়ে আগলে রেখেছেন এটি জেনেই আনন্দ বোধ করছি।
জ্বি, সব বলে দিতে নেই মেনেই খুব কম বলেছি!! আপনার অনুমতিতেই!!
রিতু জাহান
নীল কিন্তু আমার।
আমি কিন্তু আন্দুলনে যাব।
সমুদ্রে ভেসে যাব যদি সূর্য শুষে নিয়ে নীল আকাশের বুকে ঢালে
আবারো ঝরব সমুদ্রে কখনো বা কোনো জলাশয়ে।
নীল তবু ছুঁয়ে আসব বার বার।
মৃত্যু উপত্যকার সর্ব শিখরে পৌছে যাব তবু নীল ছুঁয়ে আসব।
শুন্য শুন্যালয়
তুমি বাজারে গিয়ে রবিন লিকুইড ব্লু কিনে নিয়ে আসো।
রিতু জাহান
না না চলবে না। আমি কেঁদে ফেলব কিন্তু।
মেহেরী তাজ
ভাবীজান নীল কবে থেকে তোমার? আন্দুলোনে তো আমি যাবো। নীল আমার ছিলো অনেক আগে থেকে… হুহ
ছাইরাছ হেলাল
আগে নিজেদের মধ্যে ফয়সালা করুন, প্লিজ।
রাফি আরাফাত
অসাধারণ
ছাইরাছ হেলাল
কেন?
রাফি আরাফাত
সুন্দর লাগছে
ছাইরাছ হেলাল
বুঝিয়ে বলুন।
আরজু মুক্তা
নীল রং,আর সমুদ্র! অসম্ভব প্রিয়ো!বারবার যেতে মন চায়!
ছাইরাছ হেলাল
এই তো শব্দ সংখ্যা বাড়তে শুরু করেছে,
এতে তো হবে না, এত্ত কষ্ট করে লিখেছি, আপনি সময় করে পড়েছেন,
এবারে আর একটু বেশি বলুন।
লেখা নিয়ে আলোচনা শুনতে চাই।
সাবিনা ইয়াসমিন
সমুদ্র দেখতে মন চাইছে। নীলে জড়ানো সমুদ্রে লবন আর নীল কতটা মিশেছিলো তা জানতে পেলে মন্দ হতো না। গড়াগড়ি সমুদ্রে হাত ধরাধরি করে ঘুরতে হয়। নইলে নীল সমুদ্র সবুজ সাগর হয়ে যায় 😂
ছাইরাছ হেলাল
মনের কথা শুনতে হয়, শোনাতে-ও।
আপনি তো বিশেষজ্ঞ, ল্যাবরেটরিতে খানিকটা জল-সমুদ্দুর পরীক্ষা করেই নিলেই হয়।
সপ্তাখানেক বাদে দারুন কিছু লিখলেন।