প্রিন্সিপাল আনসারী ৭১ এর ১৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত শহরে বেশ আরামেই ছিলেন।
১৪ ডিসেম্বর আমাদের তৎকালীন মহকুমা শহরটি মুক্তিযোদ্ধাদের দখলে আসে। একদিন পুর্বেই পাকিস্থানী সেনারা গানবোট সহযোগে শহর ত্যাগ করে। প্রিন্সিপাল আনসারীও তাদের সাথে যে চলে গেল আর ফিরল না। কলেজে আর নতুন প্রিন্সিপাল নিয়োগ দেয়া হলো না, ভাইস প্রিন্সিপাল মন্নান স্যারই দায়ীত্ব পালন করেছেন।
শহর দখলমুক্ত হবার পরে প্রিন্সিপাল আনসারীর বাসা মুক্তিযোদ্ধারা আক্রমন করে দখলে নেয়। পাকসেনাদের সাথে প্রিন্সিপাল আনসারীর লটর পটরের কারনেই এই আক্রমন।
তার এই নিরুদ্দেশে ধরে নেয়া হয়েছিল যে প্রিন্সিপাল আনসারী হয়ত পরবর্তিতে মুক্তিযোদ্ধাদের হাতে নিহত হয়েছিল।
কিন্তু এই ধারনা ভুল প্রমানিত হলো। দুইদিন পুর্বে জানলাম যে প্রিন্সিপাল আনসারী বহাল তবিয়তে বেঁচে আছে। এই শহর থেকে পালিয়ে গিয়ে ঢাকার মিরপুরে সে অবাংগালীদের দুইটি বাড়ি দখল করে, যা এখনো তার দখলেই আছে। আর সে হয়ে যায় বীর মুক্তিযোদ্ধা। প্রতিবছর ১৬ ডিসেম্বর মহা ধুমধামে সে বিজয় দিবস পালন করে।
কেন সে পালন করবে না? রাজাকার থেকে হয়ত এই ১৬ ডিসেম্বর মুক্তিযোদ্ধা বনে যায়। এই রাজাকারের বিজয় অবশ্যই ওই তারিখে। আর এই আনসারী রাজাকারের মৃত্যু হলে তার দেহ জাতীয় পতাকায় আবৃত করা হবে। গার্ড অব অনার প্রদান করা হবে তাকে।
কেন যে রাজাকারের তালিকা করা হলো না? রাজাকারদের তালিকা করা হলে এই আনসারী রাজাকার কি মুক্তিযোদ্ধা হতে পারত?
রাজাকারের তালিকা করা কি পদ্মা সেতু নির্মানের চেয়েও কঠিন কিছ?
রাজাকারদের তালিকা চাই।

0 Shares

৩টি মন্তব্য

মন্তব্য করুন

মাসের সেরা ব্লগার

লেখকের সর্বশেষ মন্তব্য

ফেইসবুকে সোনেলা ব্লগ