এক টুকরো মেঘ উড়তে উড়তে ঘুরতে ঘুরতে মিলিয়ে যাচ্ছে। দশে মিলি করি কাজ এর মতো ক্রমশ কালো হয়ে ওঠা হচ্ছেনা, ঝরে পড়া হচ্ছেনা। এই যে মেঘ, পানি, বর্ষা, পৃথিবীতে পানির পরিমান নাকি অপরিবর্তনীয়। অথচ আমার চায়ের পানি অদৃশ্য হয়ে যাচ্ছে, কোথায় গিয়ে মেঘ হয়ে গুটিসুটি মেরে অপেক্ষা করে আমার চায়ের পানি! জন্ম, ফি-জন্ম, পূনর্জন্ম হয়ে ফিরে ফিরে আসে আমার চোখের নোনা পানি, মেঘ, আমার পরিশ্রান্ত শরীরের ঘাম, আমার ঠোঁট পোড়ানো চায়ের পানি।
মিনিটে মৃত্যু আর জন্মের এই আসা যাওয়ায় আমিই কি ফিরে ফিরে আসছি বারবার আমার মেঘের মতো করে! নাকি তারা খসে পড়ার মতো করে অবিরাম খসে খসে পড়ছি, যেখানে শূন্য শূন্যালয়!
১৯টি মন্তব্য
মায়াবতী
অদ্ভুত সুন্দর * -{@
শুন্য শুন্যালয়
অনেক ধন্যবাদ আপনাকে মায়াবতী। -{@
ছাইরাছ হেলাল
‘লেখা সোজা মন্তব্য করা কঠিন’ আপনার এ আপ্তবাক্যটি মানি/মানি-না,
মেনে নিয়ে এবারে মন্তব্য না করে একটি অল্প আবজাব লেখা দিয়ে দিলাম, জানিনা আপনার সুন্দর/পচা লেখার সাথে যায় কী না!!
হুটহাট নামিয়ে তো দিব্বি চালিয়ে যাচ্ছেন!!
মাঝখানেরটুকুও দিয়ে দিন, একটু সময় করে ধীরে-সুস্থে!!
শুন্য শুন্যালয়
মাঝখানে আরো কিছু ছিলো বুঝি? থাকলে সেগুলো আপনার। আমি এর বেশি আর পারিনা। 🙁
আপনার জন্য লেখা, মন্তব্য কিছুই কঠিন না, সবই কলমের খোঁচা।
তবে আরেকটু গুছিয়ে লিখতে পারতাম হয়তো। মূল বক্তব্যটা আসলে বলতে চেয়েছি, পৃথিবীতে সব কিছুই অপরিবর্তনীয়। সব ব্যালেন্স হচ্ছে। একই আত্মারা হয়তো ঘুরেফিরে আসছে। এজন্যই একদিকে মৃত্যু হচ্ছে, আরেক দিকে জন্ম। যাদের ব্যালেন্স করা যাচ্ছেনা, তারা হয়তো পৃথিবী থেকে ছিটকে যাচ্ছে।
আমার আর ধীর-সুস্থির হওয়া হবেনা কখনো, বুঝলেন?
ছাইরাছ হেলাল
আপানার মত করে যদি খোঁচাতেই পারতাম (এক খোঁচাতেই মাইল পার) তাহলে তো
আর চিন্তা-ফিন্তার কিছু ছিল না।
হ্যা, আপনি এটি-ই আরও গোছগাছ করে দিলেও দিতে পারতেন।
আমার লেখাটিতেও অন্য ভাবে এই ছিটকে পড়াদের কথাই বলতে চেয়েছি (আপনার মত ভাল হয়নি)।
আপনি অনেক স্থির ছিলেন এখন আরও ধীর-সুস্থিরই আছেন,
আমাদের শুধু ফাঁকি দিচ্ছেন!!
মোঃ মজিবর রহমান
চলতে দিন চলুক , ঘুরতে দিন ঘুরুক। কি সব কষ্ট কষ্ট লেখা লেখেন আপনেরা বুঝা খুব কঠিন অর্থ আরো কঠিন।
হয়তো চলেই যাব।
শুন্য শুন্যালয়
এর চাইতে সহজ ক্যাম্নে লেখে? 🙁
মোঃ মজিবর রহমান
পারলে তো লিখতুম আপু।
মনির হোসেন মমি(মা মাটি দেশ)
যেখানে শুন্যশুন্যালয় নাম করণের স্বার্থকতা পেলাম।ব্লগে এই মুহুর্তে টপ শিরোনাম একটি লেখা এবং দুইটি লেখা।
ভাববার কিছুই নাই
মইরা গেলে দেখবার উপায় নাই
আসলেও আসবো আবার
অন্য কোন বেশে অন্য কোন হৃদয়ের আত্মা হয়ে
যার অর্থ দাড়াবে শুন্য শুন্যালয়ে। -{@
শুন্য শুন্যালয়
মনির ভাই আপনার মন্তব্যে তো আজকাল ডানা মেলেছে দেখি 🙂
নীলাঞ্জনা নীলা
এই যে বারবার ফিরে ফিরে আসা,
শূন্যে উঠে, শূন্যে গিয়ে, শূন্য নিয়ে এবং দিয়ে নেমে আসা
ভালোবেসে এবং না-বেসে
ফাঁপা গোলকবদ্ধ জলীয় জীবনের সন্ধানে
অথচ জ্ঞানের অন্ধকারে লিপিবদ্ধ ‘ন জায়তে ম্রিয়তে;’
হা হতোস্মি! ভুলে যাওয়া!!
শূন্যের ভেতরে শূন্য খেলা করে
‘ন হন্যতে হন্যমানে শরীরে!’
আপু আর যদি কখনো বলো লিখতে পারছো না, খুব রাগ করবো। আর তুমি তো জানোই একমাত্র রাগ করলেই আমার চোখে জল আসে। :ড
নতুন লেখা চাই-ই-চাই। 💐 🌹
শুন্য শুন্যালয়
আর কতোকাল এইভাবে লেখার সর্বনাশ করবে? জানো কি তোমার এইসব লেখা দেখলেই তো আমার লেখা দৌড়ে পালায় 🙁
নীলাঞ্জনা নীলা
আপু পালিয়ে যেও না। আমার লেখার কি আর মাথামুন্ডু ঠিক আছে?
নতুন লেখা দাও।
মৌনতা রিতু
চায়ের পাতিলে পানি বেশি করে দিয়ে দাঁড়িয়ে থেকে এতোকিছু ভাবলে চা তৈরি হবে কি করে শুনি!!
যদি আবার জন্ম নেই, কি হয়ে জন্ম নেবে শুনি? আমি জানি পাখি।
আজকে আমিও চায়ের পাতিলে পানি দিয়ে দাঁড়ায়েে থাকব, এমন সুন্দর করে কি করে লেখ?
বেশ লিখেছো।
শুন্য শুন্যালয়
😀 হাহাহা, ভাইয়া চিল্লান দিবে তো।
পরের জন্মে আমি আমিই হতে চাই। আমি খাঁচা ভাংতে পারি, পাখি পারেনা।
তুমি এর চাইতেও ভালো লেখো। 🙂
তৌহিদ ইসলাম
লেখাটি কয়েকবার পড়লাম তবুও কোন মন্তব্য করার সাহস পেলাম না। অদ্ভুত সুন্দর। শুভকামনা রইলো।
শুন্য শুন্যালয়
ধন্যবাদ আপনাকে ভাই। এখানে এর চাইতেও অনেক সুন্দর লেখা পড়তে পারবেন অন্যদের। শুভকামনা।
আগুন রঙের শিমুল
আপনার চায়ের পানি যখন উড়াল দিবে – তার সাথে আপনিও উড়াল দেন। দেখে আসেন কই যায় – কতদূর।
আর নাহয়, দুচ্ছাই বলে নতুন চায়ের পানি বসান, কিছুই স্থির না যেহেতু চায়ের পানি স্থায়ী হবে কেন?
শুন্য শুন্যালয়
স্টিম তো চোখে দেখুম না ক্যাম্নে উড়াল দিমু?
আজকাল মেঘ দেখলেই মনে হয়, এই মেঘ আমার চায়ের পানি দিয়ে তৈরি হইছে 🙂