অমিত , খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা বিভাগের প্রথম বর্ষের ছাত্র। নিজের করা portrait Design তার বোন কে দিতে এসেছিলো খুলনা নিউ মার্কেট এলাকায়। বোন কে অটো তে তুলে দিয়ে ফিরে দাড়াতেই টাউন সার্ভিস এর একটা বাস এসে ধাক্কা দিলো অমিত কে। খেই হারিয়ে পড়ে গেল অমিত পাশের ড্রেন এ। কোনমত নিজেকে সামলে নিয়ে উঠে দাঁড়ালো সে । কিন্তু ভাগ্যের কি নির্মম পরিহাস, এবার একটি ইজি বাইক এসে ধাক্কা দিলো তাকে। গুরুতর আহত হয়ে পড়ে গেল অমিত।

গুরুতর আহত অবস্থায় অমিত কে নিয়ে যাওয়া হলো গাজী মেডিকেল কলেজের আই সি ইউ তে । কিন্তু সেখানে কোন ডাক্তার ছিলো না। ক্লিনিক ম্যানেজমেন্ট বারবার আশ্বস্ত করছিলো ডাক্তার আসবে। গুরুতর আহত অমিত কে নিয়ে তখন তার বন্ধুরা অসহায়। কি করবে ভাবতে পারছে না। তখন বাজে বিকাল সারে চারটা। বারবার ডাক্তার ফোন করা হলেও তিনি আসছেন  না  আবার , ছেড়েও দিচ্ছে না। দিন গড়ইয়ে সন্ধ্যা হয়ে গেলো অথচ বিনা চিকিৎসাহে তখন হাহাকার করছে অমিত ।
খবর ছড়িয়ে পরলো সারা ক্যাম্পাসে। ডি এস এ অফিস থেকে ফোন দেওয়া হলো ক্লিনিকে। এই বার তারা বিষয় টাকে সিরিয়াসলি দেখতে শুরু করলো যদিও এর আগে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র বলে পরিচয় দিলেও তারা গুরুত্ব দেয়নি। এর সাড়ে আটটার দিকে তাকে ঢাকায় পাঠানোর পরামর্শ দিলো ক্লিনিক ম্যানেজমেন্ট।

ঢাকায় যাওয়ার পথেই মারা গেলো অমিত।

হাইরে বিজনেস। আই সি ইউ তে ফেলে রেখে কোন চিকিৎসা না দিয়ে খুন করা হলো খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের  চারুকলার অমিত কে। আমরা এর সুষ্ঠু বিচার কামনা করছি।

0 Shares

৮টি মন্তব্য

মন্তব্য করুন

মাসের সেরা ব্লগার

লেখকের সর্বশেষ মন্তব্য

ফেইসবুকে সোনেলা ব্লগ