রাজনীতি নিয়ে ভাবনা এ দেশে কার না আছে।এ দেশের অধিকাংশ মানুষ রাজনীতির ভাল মন্দ নিয়ে ভাবেন কাজ করেন।আমিও এর ব্যাতিক্রম নই।যদিও জ্ঞানের পরিধি সীমিত তবুও বয়সের ভারে বাস্তব অভিজ্ঞতাও কম নয় সেই আলোকে দেশীয় রাজনীতির কিছু বয়ানে সাহস নিলাম।কারো পক্ষে নয় কিংবা কারো বিপক্ষেও নয় দেশের স্বার্থে দেশের পক্ষ হয়ে কথা বলা প্রতিটি নাগরিকের নৈতিক দায়ীত্ব।যে রাজনীতিতে ব্যাক্তি বা দলীয় স্বার্থ প্রধান্য পায় সে রাজনীতি অন্তত জনগণের কল্যাণে নয় নেতা বা দলের স্বার্থে বা দলবাজিতে চলে দেশের সর্বোনাস।

এবারে একাদশ জাতীয় নির্বাচনটা হবে মুলত বাংলাদেশের ভবিষৎ ভাল আর মন্দ নিয়ে অথাৎ উন্নয়ণ আর সু-শাসন এর বিচার বিশ্লেষণ নিয়ে।আমরা যদি সঠিক ভাবে রাষ্ট্র প্রধান নির্বাচীত করতে না পারি তবে দেশ উন্নয়নে পিছিয়ে পড়বে কেননা আমাদের দেশের রাজনীতিতে নোংরামীটা একটু বেশী আছে।যে দলই কএ যাবৎকাল এসেছে দেখেছি বিজয়ী সরকারের প্রথম কাজই হল পরাজিত প্রার্থীদের নাম নিশানা মুছে ফেলা।অপর দিকে উন্নত বিশ্বের রাজনীতির দিকে তাকালে আমরা স্পষ্ট দেখতে পাই জয়ী ও পরাজিতদের মাঝে কত সুন্দর সখ্যতা।ক্ষমতাসীন দলও যদি ভোট যুদ্ধে হেরে যায় তবে জয়ী নতুন নির্বাচিত সরকারের পক্ষে কাজ করেন দেশের স্বার্থে আর আমাদেরটা হয় তাদের বিপরীতমুখী।ক্ষমতাসীনরা ভোট যুদ্ধে হেরে গেলে ভোট যুদ্ধে জয়ী দল হয় তাদের প্রধান শত্রু সেই সাথে ক্ষমতাসীন ভোটে পরাজিত প্রার্থীদের রেখে যাওয়া সকল উন্নয়ণ কর্মকান্ডগুলোকে ব্লাক লিষ্টে ফেলে তৎপর হয়ে উঠেন বিভিন্ন কায়দায় তাদেরকে দুর্নিতীর দায়ে কি ভাবে মামলায় ফেলানো যায়।

তাই যদি কোন কারনে ক্ষমতাসীন আওয়ামীলীগ সরকার গঠন করতে না পারেন তবে দেশের যে পরিমান ক্ষতি হতে পারে…স্বদেশ খবরের বরাতে তাহলো
(y) পদ্মা সেতু নিয়ে হবে রাজনিতী যা উত্তর বঙ্গ তথা দেশের উন্নয়ণে বাধাগ্রস্থের প্রধান বাধা।
(y) রেমিট্যান্স  ২০০৭-০৮ অর্থবছরের তুলনায় রেমিট্যান্স প্রায় দ্বিগুণ হয়েছিলো।সে সময় রেমিট্যান্স ৫৪২ বিলিয়ন টাকা থেকে বেড়ে ১০১১ বিলিয়ন টাকায় উন্নীত হয়। বিদেশে জনশক্তি রপ্তানি বাড়ানোর জন্য প্রশিক্ষণ সহ সরকার নানা মুখী উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।বাংলাদেশ ব্যাংকও বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোকে বিদেশে এক্সচেঞ্জ হাউজ খোলার অনুমতি দিয়েছে। টাকার বিনিময় মূল্যও স্থিতিশীল ছিল। তাই রেমিট্যান্স দ্রুত বেড়েছে। রেমিট্যান্স বাড়ায় গ্রামীণ অর্থনীতিতে চাহিদাও বেড়েছে। তাই গ্রামীণ ক্ষুদে ও মাঝারি উদ্যোক্তাদের সংখ্যাও বেড়েছে। আর দেশে বাংলাদেশ ব্যাংকের নীতি সহযোগিতায় মোবাইল ও এজেন্ট ব্যাংকিংয়ের প্রচলন হওয়ায় দ্রুত রেমিট্যান্সের লেনদেন হচ্ছে। গ্রামে ব্যাংকের শাখাও এই ৯ বছরে দ্বিগুণেরও বেশি হয়েছে।ফলে গ্রামে বসেই মানুষ আধুনিক ব্যাংকিং সেবা পাচ্ছেন।গ্রামবাংলার অর্থনীতির এই অগ্রগতি সারাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের ওপর ইতিবাচক প্রভাব ফেলেছে।
(y) জিডিপির প্রবৃদ্ধি : ২০০৭-০৮ অর্থবছরের জিডিপির (অর্থনীতির আকার) পরিমাণ ছিল চলতি মূল্যে ৬ লাখ ২৮ হাজার ৬৪২ কোটি টাকা।২০১৬-১৭ অর্থবছরে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৯ লাখ ৭৫ হাজার ৮২০ কোটি টাকায়।এ ৯ বছরে অর্থনীতির আকার বেড়েছে তিন গুণেরও বেশি।জিডিপি প্রবৃদ্ধির হারও পাঁচ-ছয় শতাংশের গন্ডি পেরিয়ে গত দু’বছর ধরে ৭ শতাংশের বেশি হচ্ছে।গত অর্থবছরে তা বেড়েছে ৭ দশমিক ২৮ শতাংশ হারে।
(y) মাথা পিছু আয় : একদিকে জিডিপির আকার বেড়েছে, অন্য দিকে জনসংখ্যা বৃদ্ধির হারও ক্রমান্বয়ে কমেছে।ফলে মাথা পিছু আয় দ্রুত বাড়ছে।২০০৭-০৮ অর্থবছর শেষে আমাদের মাথা পিছু আয় ছিল ৪৩ হাজার ৭১৯ টাকা।আর তা এই ৯ বছরে বেড়ে প্রায় তিনগুণ হয়েছে।গত অর্থবছর শেষে তা ছিল ১ লাখ ২২ হাজার ১৫২ টাকা। আর মূল্যস্ফীতি পাঁচ-ছয় শতাংশের মধ্যে স্থিতিশীল ছিল বলে মানুষের প্রকৃত আয় বেড়েছে।
(y) দারিদ্র্য নিরসন : মাথাপিছু আয় বাড়লে দারিদ্র্য কমে।বিশেষ করে গ্রামের মানুষের আয় রোজ গার কৃষি ছাড়াও অকৃষি খাত থেকেও বেড়েছে।গ্রামের তরুণরা নগরে ও বিদেশে গিয়ে নানা ধরনের আয়-রোজগার করে গ্রামে পাঠাচ্ছে।তাই গ্রামীণ শ্রম বাজার বেশ চাঙা।সে জন্য গ্রামীণ মজুরিও বেড়ে চলেছে।তাই সারা দেশেই দারিদ্র্য কমছে। অতি দারিদ্র্যের হারও কমেছে।তবুও বিরাট সংখ্যক মানুষ অতি দরিদ্রই রয়ে গেছে।তাদের জন্য সরকার নানা ধরনের ভাতা দিচ্ছে।সামাজিক সুরক্ষা কর্ম সূচি গুলোর সংস্কার করে সমুন্নত করা হয়েছে।
২০০৭ সালে জাতীয় দারিদ্র্যের হার যেখানে ছিল ৪০ শতাংশ, সেখানে ২০১৭ সালে তা কমে দাঁড়িয়েছে ২৪ দশমিক ৩ শতাংশে।গ্রামীণ দারিদ্র্য ২০০৭-০৮ অর্থবছরে ছিল ৪৩ দশমিক ৮ শতাংশ। ২০১৭ সালে তা হয়েছে ২৬ দশমিক ৪ শতাংশ।অতি দারিদ্র্যের হারও দ্রুতই কমছে।২০০৫ সালে অতি দারিদ্র্যের হার ছিল ২৫ দশমিক ১ শতাংশ।২০১৭ সালে তা ১২ দশমিক ৯ শতাংশ হয়েছে।
(y) গড় আয়ু : দারিদ্র্য কমেছে এবং সামাজিক সংরক্ষণ বাড়ার কারণে গত ৯ বছরে গড় আয়ুও বেড়েছে। ২০০৭ সালে প্রত্যাশিত আয়ুষ্কাল ছিল ৬৪ দশমিক ৫ বছর। ২০১৭ সালের শেষে তা ৭২ বছরে দাঁড়িয়েছে।
(y) আমদানি-রপ্তানি : এই ৯ বছরে আমাদের বৈদেশিক বাণিজ্যের ব্যাপক পরিবর্তন লক্ষ্য করা যায়।রপ্তানির জন্য যন্ত্রপাতি ও কাঁচামাল আমদানি অপরিহার্য।তাছাড়া বেশ কিছু ভোগ্য পণ্যও আমাদের আমদানি করতে হয়। গত ২০০৭-০৮ অর্থবছরে আমাদের আমদানির পরিমাণ ছিল ১ লাখ ৩৩ হাজার ৬৫০ কোটি টাকা। ২০১৬-১৭ অর্থ বছরে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪৩ লাখ ৪৯ হাজার ১০০ কোটি টাকা।তার মানে আমদানি বেড়েছে ৩৩ গুণ।অন্য দিকে রপ্তানি ওই সময়ের ব্যবধানে বেড়েছে ৩৫ গুণ।
(y)  রিজার্ভ : রপ্তানি ও রেমিট্যান্স বাড়ায় আমাদের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ এই ৯ বছরে বেড়েছে পাঁচ গুণেরও বেশি। ২০১৭ শেষে তা ছিল ৩৩ বিলিয়ন ডলার। আর ২০০৭-০৮ সালে ছিল ৬ বিলিয়ন ডলারের মতো।
(y)  সরা সরি বিদেশি বিনিয়োগ : গত ৯ বছরে সরাসরি বিদেশি বিনিয়োগের পরিমাণও তিনগুণেরও বেশি হয়েছে। সর্বশেষ অর্থবছরে তা আড়াই বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়ে গেছে। ২০০৭-০৮ অর্থবছরে এফডিআই ছিল ৭৬৮ মিলিয়ন ডলার। যা ২০১৬-১৭ অর্থবছরে বেড়ে হয়েছে আড়াই বিলিয়ন ডলারের মতো। প্রস্তাবিত শতাধিক বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল বাস্তবায়িত হলে এর পরিমাণ আরও দ্রুত গতিতে বাড়বে।
(y) বাজেট : ২০০৭-০৮ অর্থ বছরের মোট বাজেট ছিল ৮৭ হাজার ১৮৭ কোটি টাকা।যা ২০১৭-১৮ অর্থবছরে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪ লাখ ২৬৬ কোটি টাকায়।এ ক’বছরে বাজেটের আকার পাঁচ গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে।
(y)  অবকাঠামো উন্নয়ন : বাংলাদেশ সরকার এই ৯ বছরে দেশের অবকাঠামো উন্নয়নের জন্য অসংখ্য উদ্যোগ ছাড়াও ১০টি মেগা প্রকল্পের দ্রুত বাস্তবায়নের জন্য সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়েছে। স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এই ১০টি প্রকল্পের বাস্তবায়ন সরাসরি পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে।
এই মেগাপ্রকল্পগুলো হলো :
সেতু বিভাগ-এর পদ্মা বহু মুখী সেতু নির্মাণ,
রেলপথ মন্ত্রণালয়ের>পদ্মা রেল সেতু সংযোগ ও >দোহাজারী হতে রামু হয়ে কক্সবাজার এবং রামু হতে গুনদুম পর্যন্ত রেলপথ নির্মাণ, সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের ঢাকা মাস র্যাপিড ট্রানজিট ডেভেলপমেন্ট (এমআরটি),
নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয়ের >পায়রাবন্দর নির্মাণ প্রকল্প (১ম পর্যায়) ও সোনাদিয়া গভীর সমুদ্র বন্দর নির্মাণ,
বিদ্যুৎ বিভাগের > মাতারবাড়ী আল্ট্রা সুপার ক্রিটিক্যাল কোলফায়ার্ড পাওয়ার
মৈত্রী সুপার থার্মাল পাওয়ার (রামপাল), জ্বালানি ও খনিজসম্পদ বিভাগের এলএনজি টার্মিনাল নির্মাণ এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপন।
(y)  জ্বালানি : শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন বর্তমান সরকারের সাহসী নানা পদক্ষেপের কারণে জ্বালানি খাতে ব্যাপক উন্নয়ন ঘটেছে। ২০০৮ সালে ৪৫ শতাংশ মানুষের ঘরে বিদ্যুৎ যেত।২০১৫ সালে তা ৭৪ শতাংশ মানুষের ঘরে পৌঁছায়।পরবর্তী দুই বছরে বিদ্যুৎ প্রাপ্তির হার আরও বেড়ে তা আশি শতাংশেরও বেশি মানুষের ঘরে পৌঁছে গেছে।
(y)  ব্যাংকিংখাত : নানা চ্যালেঞ্জ সত্ত্বেও ব্যাংকিং খাত স্থিতিশীল ও ঝুঁকিসহনে সক্ষম অবস্থানে রয়েছে।তবে খেলাপি ঋণের হার কিছুটা অস্বস্তিকর পর্যায়ে রয়ে গেছে। আন্তর্জাতিক মানদ- প্রয়োগের কারণেও এ হার খানিকটা স্ফীত হয়েছে।তারপরও সরকারের নানামুখী উদ্যোগের কারণে এখনও ব্যাংকিং খাত জনগণের আস্থা অর্জনে সক্ষম হয়েছে।
নারী শিশুর উন্নয়নে ১৪ উদ্যোগ
আওয়ামী লীগ সরকারের ৯ বছরের অনেক যুগান্তকারী অর্জন রয়েছে।প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সরকার ২০২১ সালের রূপকল্প বাস্তবায়নের লক্ষ্যে নারী ও শিশুদের উন্নয়নে বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ করেছে।দেশের মোট জন সংখ্যার বৃহৎ অংশ নারী ও শিশু।নারী ও শিশুর সার্বিক অধিকার প্রতিষ্ঠা, ক্ষমতায়ন এবং সামগ্রিক উন্নয়নের মূল ধারায় সম্পৃক্তকরণের জন্য সরকার বিভিন্ন কর্মসূচি পরিচালনা করছে।জানুয়ারি ২০০৯ থেকে ডিসেম্বর ২০১৭ সাল পর্যন্ত সময়ের মধ্যে সরকারের কিছু সাফল্যের বিবরণ তুলে ধরা হলো
গত ৯ বছরে নারী ও শিশুর উন্নয়নে প্রণীত নীতিমালা, আইন ও বিধিমালাগুলো : সরকার গত ৯ বছরে নারী ও শিশুর উন্নয়নে বেশ কিছু আইন-নীতি ও বিধিমালা তৈরি করেছে।তার মধ্যে উল্লেখ যোগ্য হলো
জাতীয় নারী উন্নয়ন নীতি ২০১১; জাতীয় শিশু নীতি ২০১১; শিশুর প্রারম্ভিক যত ও বিকাশের সমন্বিত নীতি ২০১৩; মনো সামাজিক কাউন্সেলিং নীতিমালা ২০১৬ (খসড়া); জাতীয় নারী উন্নয়ন নীতি বাস্তবায়নকল্পে কর্মপরিকল্পনা ২০১৩-২০১৫; পারিবারিক সহিংসতা (প্রতিরোধ ও সুরক্ষা) আইন, ২০১০; ডিঅক্সিরাইবোনিউক্লিক এসিড (ডিএনএ) আইন, ২০১৪; পারিবারিক সহিংসতা (প্রতিরোধ ও সুরক্ষা) বিধিমালা ২০১৩; বাল্য বিবাহ নিরোধ আইন, ২০১৭।
ভিজিডি কার্যক্রম : দুস্থদের জন্য রয়েছে নিরাপত্তামূলক কিছু প্রকল্প; যাকে বলা হয় ভিজিডি কার্যক্রম।মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়াধীন মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর কর্তৃক বাস্তবায়িত ভিজিডি কর্মসূচির মাধ্যমে ২ বছর মেয়াদি চক্রে উপকারভোগী নারীদের মাসিক ৩০ কেজি হারে খাদ্য সহায়তা প্রদানের পাশাপাশি চুক্তিবদ্ধ এনজিওর মাধ্যমে উন্নয়ন প্যাকেজ সেবা প্রদান করা হয়।
গত ৯ বছরে ভিজিডি সুবিধাভোগী নারীর সংখ্যা : ২০০৯ থেকে জানুয়ারি ২০১৭ পর্যন্ত ভিজিডি কার্যক্রমের সহায়তা প্রাপ্ত মোট উপকারভোগী নারীর সংখ্যা ছিল ৪০ লাখ।
দরিদ্র মায়েদের মাতৃত্বকালীন ভাতা প্রদান : মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় পল্লী অঞ্চলের দরিদ্র গর্ভবতী মায়েদের অসহায়ত্বের কথা বিবেচনা করে তাদের দুঃখ-দুর্দশা লাঘবে এবং শিশুর পুষ্টি নিশ্চিত করার জন্য দরিদ্র মায়ের জন্য মাতৃত্বকালীন ভাতা প্রদান কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। এ কার্যক্রমের আওতায় দরিদ্র গর্ভবতী মায়েদের ভাতা প্রদানের পাশাপাশি স্বাস্থ্য, পুষ্টি এবং অন্যান্য বিষয়ের ওপর প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়ে থাকে। এ সময় সরকার ২০০৯ থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত মোট ১৪ লাখ ৯২ হাজার গর্ভবতী নারীকে ভাতা প্রদান করেছে।
কর্মজীবী ল্যাকটেটিং মাদার সহায়তা : মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর কর্তৃক বাস্তবায়িত শহর অঞ্চলে নিম্ন আয়ের কর্মজীবী মা ও তাদের শিশুদের স্বাস্থ্য ও পুষ্টিমান বৃদ্ধি করে তাদেরকে আর্থসামাজিকভাবে স্বাবলম্বী করে গড়ে তোলার লক্ষ্যে সরকার রাজস্ব তহবিল থেকে ২০১০-১১ অর্থবছরে প্রথমবারের মতো ‘কর্মজীবী ল্যাকটেটিং মাদার সহায়তা তহবিল কর্মসূচি চালু করে।
অর্জন : কর্মসূচির শুরু থেকে ২০১৫-১৬ অর্থবছর পর্যন্ত ক্রমপুঞ্জিত ২ লাখ ৪৫ হাজার ১২৫ জন কর্মজীবী দুগ্ধদায়ী মাকে সেবা প্রদান করা হয়েছে।১৬-১৭ অর্থবছরে ১ লক্ষ ৮০ হাজার মাকে এই ভাতা প্রদান করা হয়। জেলাভিত্তিক নারী কম্পিউটার প্রশিক্ষণ প্রকল্প (৬৪ জেলা) : শিক্ষিত বেকার মহিলাদের আত্মকর্মসংস্থান সৃষ্টির লক্ষ্যে জাতীয় মহিলা সংস্থার মাধ্যমে দেশের সবকটি জেলার শিক্ষিত বেকার মহিলাদের কম্পিউটার ও তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ে প্রশিক্ষণ দিয়ে আসছে।এই প্রকল্পের মাধ্যমে ২০১৪-১৫ অর্থবছরে মোট ৪ হাজার ৩৯৩ জন শিক্ষিত বেকার নারীকে প্রশিক্ষণ দেয়া হয়েছে। ২০১৫-১৬ অর্থবছরে মোট ৫ হাজার ৮৮২ জন প্রশিক্ষণার্থীকে প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়। ২০১৬-১৭ অর্থবছরে বরাদ্দকৃত ১১ দশমিক ৪৫ কোটি টাকা থেকে ১৬ হাজার ৬৩৫ জন বেকার নারীকে কম্পিউটার প্রশিক্ষণ দেয়া হয়।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন,গত ৯ বছর ধরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গৃহীত এসব পদক্ষেপের ফলেই মানুষের মাথা পিছু জাতীয় আয় বেড়েছে,বিভিন্ন মানব সম্পদ সূচকে ইতিবাচক পরিবর্তন হয়েছে এবং অর্থনৈতিক ঝুঁকি সূচকে আশানুরূপ উন্নতি ঘটেছে।এসবের ফলশ্রুতিতেই জাতিসংঘ এলডিসিভুক্ত দেশের তালিকা থেকে উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণের স্বীকৃতি দিয়েছে বাংলাদেশকে।
খবরে আসা এ সব প্রকল্পগুলো যদি ক্ষমতাসীন দলের মাননীয় মন্ত্রী মহাদয়ারা সরাসরি ভোক্তাদের নিকট পৌছিয়ে থাকেন তবে নিশ্চিত আওয়ামীলীগকে জনগণ আবারো ভোট দিবে এবং সরকার গঠনের সহায়ক হবে।তাছাড়া চোখে পড়ার মতন যোগাযোগ ব্যাবস্থার উন্নয়ণের ধারাবাহিকতার প্রয়োজনে আওয়ামীলীগকেই জনগণ ভোট দিবে।দেশ স্বাধীনের মুক্তি যুদ্ধের স্বপক্ষের শক্তি বর্তমান সরকার দীর্ঘ দিনের অপেক্ষা জাতির কলংক যুদ্ধাপরাধীদের শুধু বিচারের রায় নয় তা কার্যকরের ভুমিকাও ছিল প্রশংসিত।দেশে স্যাটেলাইট স্থাপনা সহ ছিলো সরকারের আরেকটি যুগান্তকারী সাফল্য।সেনা বাহিনী নৌবাহিনী বিমান বাহিনীতে অভাবনীয় উন্নয়ণ।সমুদ্র বিজয়,রোহিঙ্গা সমস্যাকে বাড়তে না দেয়া,ক্ষমতা লাভের পর হতেই একের পর এক বিভিন্ন ইস্যুকে রাজনৈতিক ভাবে মোকাবেলা করা ছিল জাতির জনকের সুযোগ্য কন্যার সাফল্য-রাজনৈতিক বিচক্ষণতা।

চলবে..

0 Shares

১২টি মন্তব্য

মন্তব্য করুন

মাসের সেরা ব্লগার

লেখকের সর্বশেষ মন্তব্য

ফেইসবুকে সোনেলা ব্লগ