বন্ধু মানেই এলিয়ে দেয়া নিরাপত্তার নিঃশ্বাস…

পঁয়ত্রিশ – তিরির প্রতি

কি বলছিস তুই ! সত্যিইইইই !!! আমি জানতাম এমন দিন আসবে । উফ আমি যে কি করি এখন । বুঝে পাচ্ছিনা । এই সেরেছে নিজের নাম তো ভুলেছি । এই তোর নাম কি রে ? ধ্যৎ কি হবে নাম দিয়ে নিজেদের ? এখন তো নাম খুঁজতে হবে । অনেক সুন্দর নাম , আদুরে নাম । আলতো করে ছুঁয়ে দেবে ওর উষ্ণতর আহ্লাদী ওম । নাহ আর লিখছি না । আসলে খুঁজে পাচ্ছিনা ।

তোর অহম

 

ছত্রিশ – অহমের প্রতি

উফ তুই বড্ড পাগল রে । তোকে কিচ্ছু করতে হবেনা । শুধু এই পাগলামীটা ধরে রাখিস । আমার আর আমার কুঁড়ির জন্যে ওটা যে আজন্মকাল চাই ।

আজকাল প্রিয় যা শুরু করেছে না ! জ্বালিয়ে মারছে । মোটে প্যাচ সপ্তাহ , আমাকে ঘরের কোনো কাজই করতে দিচ্ছেনা । তবে ভাগ্যিস অফিসে যেতে না করছে না । বললাম অফিস আটকাচ্ছো না কেন ? আমায় কি বলে জানিস ? বলে , “এরপর যদি বলে ফেলো তোমার স্বাধীনতায় আমি ঘর-রক্ষক হয়ে আটকে রাখছি !” চিন্তা কর । জানতে চাইলাম ঘর-রক্ষক মানেটা কি ? হাসি দিয়ে বলে , “ওই আর কি ! কারারক্ষকের জায়গায় ঘর বসিয়ে দিলাম ।” এসব কি পাগলের পাল্লায় পড়েছি আমি ? এদিকে প্রিয় , অন্যদিকে তুই ছাগল ।

তোর তিরি

 

সাঁয়ত্রিশ – তিরির প্রতি

প্রিয় তো ঠিকই বলেছে । তোরা মেয়েরা ঘরের কাজ করতে করতে হাঁপিয়ে যাস । আর বলিস একলা কি এই সংসার আমার ? সারাদিন খেঁটে মরছি । আবার চাকরী করতে দিলেও দোষ , না দিলেও । বাপরে সবদিকেই মারিস । কি জানি একটা প্রবাদ আছে ? ওই যে পড়েছিলাম কবে কোন যুগে ! ধুত্তোর বাংলা ব্যাকরণ পড়ে কি লাভ হয়েছে শুনি ? কাজেই লাগলো না । যা-ও একটা শব্দ লিখতে চাইলাম , মনেই আসছে না । মনে পড়ে গেলো সুনন্দা ম্যাডামের কথা ।

শোন আমার সাথে কাজ করে সিনথিয়া । ওকে বললাম মেয়ে বাচ্চার জন্য সব কিনতে চাই , কই যাবো ? একটু অবাক হয়ে চেয়ে দেখলো । আর কিছু জানতে চাইলো না , শুধু বললো , “OshKosh B’gosh.” বাংলায় লিখতে পারলাম না , এটার উচ্চারণই এমন যে বাংলায় লিখতে গেলে হাসফাস হয়ে যাবে । ঠিকানা দেবার পর গেলাম । শোন ফুলটুসীর নামে রেজিস্টার করে এলাম । অনেক ঝামেলা যদিও করেছে , বিভিন্ন কিছু চাইলো জানতে । শেষে যাক মেয়েটিকে বেশ আয়ত্তে নিয়ে এলাম । জানিসই তো আমি কি না পারি করতে !

তোর অহম

 

আটত্রিশ – অহমের প্রতি

তুই কি পাগল হলি ? আমি আর পারিনা । এখনই কেন এসব কিনতে গেছিস ? যদি ছেলে হয় ! এজন্যই তোকে এতোদিন বলিনি । প্রিয় চিঠিটা পড়ে হাসতে হাসতে শেষ । বলে , “তোমার পাগলী ভাইরাস কাউকে ছাড়েনি । সাথে ধরেছে আমাকেও ।” এরপর বলে “যদি ছেলে হয় , পরে নয় মেয়ে হবে । রেখে দিও । কিন্তু জিজ্ঞাসা করো কোন সাইজের পাঠিয়েছে ?”

ওর এই কথা শুনে আমার মাথায় ঢুকেছে আসলেই তো কোন বয়সের পাঠিয়েছিস ? এবার দয়া করে তোর পায়ে পড়ছি আর পাঠাস না কিছু । আর চরিত্রটা একটু বদল কর । বয়স কম হলোনা । বিয়ে কর নয়তো না । কিন্তু ওসব টোকা মারা স্বভাব ছাড় । অসহ্য লাগে ।

তোর তিরি

 

ক্রমশ প্রকাশ্য

হ্যামিল্টন , কানাডা

১১ আগষ্ট , ২০১৪ ইং ।

0 Shares

১৬টি মন্তব্য

মন্তব্য করুন

মাসের সেরা ব্লগার

লেখকের সর্বশেষ মন্তব্য

ফেইসবুকে সোনেলা ব্লগ