তৃষ্ণায় খা খা করা বুক নিয়ে জল অপেক্ষায় ছিলো পরিযায়ী পাখিটির, নিথর শীতার্ত জল। অপেক্ষা তার মায়ায় মায়ায় জড়িয়ে নিয়ে পাখিটির দুঃখের সাথে দুঃখ মিশিয়ে আদর করার। অপেক্ষা তার একজন্মের...... মেঘজন্মের। অনন্তর আকুল তৃষা বুকে জল বয়ে যায় , বয়ে যায় অনিরুদ্ধ।
জলের তৃষ্ণা মেটানোর সাধ্য আছে কার?
মেঘজন্মে জলও উড়েছে হাওয়ায় হাওয়ায়। বিচিত্র হাওয়ারা, কেউ তরুন জলমেঘের ঐশ্বরিক একাকীত্বের খোঁজ না নিয়েই ছুঁয়ে যেতে চায় ভেতর বাহির। অনুসন্ধিৎসা তরুন জলমেঘের একাকীত্ব আর নির্লিপ্তিও অতিক্রম করে কোন এক পাগলা ঝড়ের বিকেলে। ঝড় থামতেই হাওয়ারা নেই, বরষনও। জল বুঝেছে ওতে তৃষ্ণার নির্বাণ নেই, এ শুধুই এক আজলা জল ছুইয়ে যাওয়া।অস্থির জল।
জলের তৃষ্ণা মেটানোর সাধ্য আছে কার ?
পাখিরও ছিলো জন্মান্তরের প্রতীক্ষা জলে নামবার। আঁচলে সুঘ্রাণ বকুল নিয়ে ভোরের মায়াময় পথে হাটবার......... পাখিটিও দেখেছে সুদীর্ঘ রাত্তিরের ভর ভরন্ত যৌবন কেমনে ক্ষয়াটে আলোয় মিশে গিয়ে ভোর আসে। দেখেছে সে বিপন্ন সময়ের যুদ্ধে পরাজিত কিন্ত অহংকারী বিজিতের মুখ। জলের আহ্বান তাই ফেরাতে পারেনা পাখিটি।
তাই জলে নেমে আসে পাখিটি।
দুই ডানায় মেখে নেয় জলের সোহাগ, মায়ায় মায়ায় মায়ায় মায়ায় মায়ায়। উদ্বেল ভালোবাসাবাসি বেধে নেয় পরাণে পরাণ। ভেলা ভাসে জলে... অপটু হাতের হাল ধরা টলোমলো, যখন তখন সিক্ত হওয়া বরষনে । হাসি হাসি হাসি আলো আলো আলো আলো।
তবুও হাওয়ারা পিছু ছারেনি , থেকে থেকে ডাক পাঠায় । তুষার হিমের হাওয়া... ফুউউউউউউ প্রদীপের শিখা কাপে, কাঁপে দেয়ালের ছায়ারাও। আরও কাঁপে জলের হৃদয়। পাখিটি দেখেও দেখেনা, ভাবে জলের মন নেই ,জলের মন উড়ূ উড়ু
...... সে অভিমানে জল যায় অস্তাচলে।
সে অভিমানে পরিযায়ি পাখিটির চোখে জল।
পাখিটীর অশ্রু দেখে জলের প্রাণে জাগে সুখ।
জল আসলে মিথ্যুক।
জলের তৃষ্ণা মেটানোর সাধ্য আছে কার?
জলের তৃষ্ণা মেটানোর সাধ্য আছে কার?
জলের তৃষ্ণা মেটানোর সাধ্য আছে কার?
ভালোবাসা, একমাত্র ভালোবাসার।
৩৯টি মন্তব্য
জিসান শা ইকরাম
পড়লাম ।
একবার পঠনে সম্পুর্ন বুঝতে না পারায় আরো পাঠ করিতে হইবেক ।
আমারো একটা পাখি আছে
আপনারো দেখি আছে 🙂
আগুন রঙের শিমুল
🙂
পাখিরা বড্ড অভিমানী হয় দাদা ।
জিসান শা ইকরাম
হ , ঠিক ।
তবে পাখি বিনা বাঁচা যায়না —– 🙂
আগুন রঙের শিমুল
🙂
হ দাদা
সিনথিয়া খোন্দকার
“পাখিটি দেখেও দেখেনা, ভাবে জলের মন নেই”
পাখিটি জলে নেমেছিল, জলে ভিজিয়েছিল তার ডানা, পালক, তার ভিতর বাহির
জল পাখিটির আদিখ্যেতায় কি যেন ভুলে গিয়েছিল। ছুঁতে ভুলে গিয়েছিল পাখির পাথর হৃদয়ের তরল মজ্জাটি।
ভালো লেগেছে। 🙂
আগুন রঙের শিমুল
জলের কি দোষ , জল ভেবেছে অন্ধ নির্ভরতায় পাখিটিও বুঝেছে জলের একাকিত্ব ,ভয়, ভাবনা।
পাখি যে পাখি জল নয় সেটাই জলের মনে থাকেনা 🙂
সিনথিয়া খোন্দকার
সেই তরল মজ্জাটাই জল।
শুধু পাথরের আবরণ ভাংলেই তা জলে একাকার।
জল থেকে জলকে আলাদা করে সাধ্য কার?
আগুন রঙের শিমুল
কারুর সাধ্য নেই 🙂
যারা গমসিনে পর শাবাব আনে দে
উসকো হোটোপে মুস্কুরাহাত আনে দে
উসকি আখোমে পেয়ার আনেদে…
পর ,এয় খুদা তেরি খুদায়ি পালাট দুঙ্গা
জুদা করনে কি কৌশিস কি ভি তো
– মখমুর দেহলভী
ওয়ালিনা চৌধুরী অভি
সব পাখি প্রেমিকরা একজোট হইছে । আমরা কান্দি বাগানে 🙂 [ ফান করলাম আপনার আর আব্বার কমেন্ট পড়ে ]
এমন লেখায় রেটিং দিতে হয় । মডারেশনের কেউ কি আছেন ? রেটিং অপশন কি চালু করা যায় ? (y) (y)
আগুন রঙের শিমুল
আরে আরে বাগানে কান্নাকাটি কেন 🙁
ধন্যবাদ
জিসান শা ইকরাম
রেটিং অপশন নাই , এইডা কোনো ব্লগ হইল ? এই অপশন চালুর তীব্র দাবী জানাইলাম। নইলে আন্দোলন করুম 🙂
আগুন রঙের শিমুল
হ দাদা এউকগা ইভেন্ট খুইলা টেকাটুকা উঠান রেটিং চালুর দাবীতে ফেসবুকে মানববন্ধন নাম দিয়া। 😀
আমি ক্যাশিয়ার :p
মশাই
জলদি চালু করা হোক 🙁
মশাই
আপনাকে আবার নূতন করে জানছি, একের পর এক দুর্দান্ত লেখায় এগিয়ে যাচ্ছেন, বাহ!! জলের তৃষ্ণা মেটানো সাধ্য কার আছে??? ভালবাসার!!! এক কোথায় দারুন লিখেছেন মুগ্ধ হয়ে একবার না দুবার পড়লাম।
আগুন রঙের শিমুল
অসংখ্য ধন্যবাদ 🙂
খসড়া
পাখিরে তুই না থাকলে কিছুই আমার ভাল লাগে না।
আগুন রঙের শিমুল
আসলেই ভালো লাগেনা 🙁
ব্লগার সজীব
জলের তৃষ্ণা মেটানোর সাধ্য নেই কারো আগুন রঙের শিমুল ভাই । চমৎকার লেখা ।
আগুন রঙের শিমুল
ধন্যবাদ সজীব ভাই 🙂
আমুতে আমার এক প্রিয় ছোটভাই একসময় ব্লগিং করত সজীব নামের 🙂
রাজনৈতিক মতাদর্শের পার্থক্য এত দূরে নিয়া গেছে 🙁 বহুদুরে 🙁
ব্লগার সজীব
আমার শুরু এখানেই । আপনার আমার রাজনৈতিক মতাদর্শের পার্থক্য শুন্য 🙂
আগুন রঙের শিমুল
😀 খুশী হইলাম
ছাইরাছ হেলাল
দারুণ অভিমানী পাখি খুঁজে ফেরে জল , এমন করে খুঁজলে জল সে পাবেই ।
ভিন্ন রকমের লেখা পড়লাম ।
আগুন রঙের শিমুল
হেলাল ভাই আপনি কমেন্টে প্রতিবারই পাঞ্চলাইনটা চট করে ধরে ফেলেন
স্যালুট বস 🙂
ছাইরাছ হেলাল
বস! উহ , উহা মোটেই চলিবেক না ।
আগুন রঙের শিমুল
:p
লীলাবতী
পরিযায়ি পাখিটির চোখে জল দেখতে চাইনা ভাইয়া । পাখিটি যেন জলে দ্রবীভূত হয় -{@
আগুন রঙের শিমুল
তার চোখের জলেও মিশে আছে ”জল ”
কৃন্তনিকা
কি বলবো বুঝতে পারছি না।
তবে অন্যরকম সুন্দর… (y)
আগুন রঙের শিমুল
ধন্যবাদ 🙂
সাইদুর রহমান সিদ্দিক
বাহবা,না দিয়ে পারলাম না ।
আগুন রঙের শিমুল
থেঙ্কু 🙂
পুষ্পবতী
জলের তৃষ্ণা মেটানোর সাধ্য আছে কার?
ভালোবাসা, একমাত্র ভালোবাসার।
দারুন লিখেছেন। -{@
আগুন রঙের শিমুল
থ্যাঙ্কস 🙂
বনলতা সেন
জলে আর্সেনিক পাওয়া যাচ্ছে যখন তখন । জল ও নিরাপদ মনে হচ্ছে না ।
বিকল্প ভাবতে হবে । অবশ্য চাতক হতেই পারেন । বা শিশির বিন্দুর উপর ভরসা করতে পারেন ।
তবে সমুদ্র মুখো যেন কিছুতেই হতে না হয় । বড্ড লবণ ।
লেখাটি সুন্দর ।
আগুন রঙের শিমুল
জলের জীবন অদ্ভুত
জলে মেঘ , মেঘে জল
পাখিটি জেনেছে অন্ধ নির্ভরতায় আর শিশুর সরলতায় যুক্তিহীন মায়ার আঁধার জল… কিছুতেই ভয় নেই নোনা বা আর্সেনিক কিছুতেই না 🙂
শুন্য শুন্যালয়
হায় আমিতো প্রেমে পতিত হইলাম, লেখার। পাখি আর জলের প্রেম, কানা চোখে বাতাস আর আকাশ ছাড়া পাখির প্রেম যে আর কারো সাথে হবে তাইতো মাথায় আসেনি। দারুন দারুন ।
আগুন রঙের শিমুল
লেখা লজ্জা পাইছে আর লেখক মজা পাইছে 😀
থ্যাঙ্কস 🙂
জিসান শা ইকরাম
পাখিটির সুখ জলের কাছেই
এখানেই থাকুক সে মায়ায় জরিয়ে ।
আগুন রঙের শিমুল
জলের আহ্বান অগ্রাহ্য করা কঠিন 🙂