4ইতিহাস গড়ে বাংলাদেশের নারী ফুটবলাররা এএফসি বাছাই পর্বে চ্যাম্পিয়ন। এরপরেই থাইল্যান্ডের চুড়ান্ত পর্ব, চুড়ান্ত পর্বে বাংলাদেশ সহ আটটি দল। ফুটবল পাগল এদেশের মানুষ আন্তর্জাতিক অঙ্গনে ফুটবলারদের ক্রমাগত ব্যর্থতায়
ফুটবল খেলা থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছিল। দেশের মানুষ যে ফুটবল খেলে এ কথা প্রায় ভুলে গিয়েছিলাম। ফুটবলের স্থান দখল করে নিয়েছে ক্রিকেট। কিন্তু নারী ফুটবলাররা দেশের ফুটবল পাগল মানুষকে কিছুটা হলেও ঝাঁকি দিয়েছে। বাছাই পর্বের সমস্ত খেলায় প্রবল প্রতাপে জয় ছিনিয়ে নিয়ে চ্যাম্পিয়ন।
krishnaআমার বিবেচনায় দেশের ফুটবল ইতিহাসের সেরা অর্জন এই এটি। এর পূর্বে অনুর্ধ ১৪ মেয়েদের খেলায় সাফ চ্যাম্পিয়নও হয়েছে আমাদের দেশ।  ছবি ২ টা ,* আনন্দিত সমস্ত দেশবাসি। টুর্নামেন্টে আমাদের মেয়েরা এমন ভাবে খেলেছে ভাবাই যায় না। জড়তাহীন ভাবে আমাদের মেয়েরা এমন ফুটবল খেলছে , ডান বাম পায়ে সমান কিক নিয়ে গোল দিতে পারছে এটি না দেখলে বিশ্বাস করা কঠিন। এ কোন দেশের মেয়েরা ফুটবল খেলছে! দেখে অবাক হতেই হবে।  

এই সাফল্যের জোয়ারে ভাসছে দেশ। অভিনন্দন জানাচ্ছি অনুর্ধ ১৬ নারী ফুটবলারদের চ্যাম্পিয়ন হবার জন্য এবং আমাদের এমন আনন্দের জোয়ারে ভাসানোর জন্য -{@

ফুলের বাগানে সর্পঃ
** বিজয় পরবর্তী কিছু ঘটনায় মনে আনন্দের চেয়ে দুঃখ স্থান করে নিয়েছে। টুর্নামেন্টে অংশ গ্রহণকারী বিদেশী খেলোয়াড়দের রাখা হয়েছে অত্যন্ত উন্নত হোটেলে, খাবার খেয়েছে উন্নত খাবার। আর আমাদের নারীদের রাখা হয়েছে ক্যাম্পে, তাদেরকে ক্যান্টিনের খাবার দেয়া হয়েছে।
** টানা দু’বার এএফসি অনূর্ধ্ব-১৪ চ্যাম্পিয়নশিপের গৌরব অর্জনের পর এএফসি অনূর্ধ্ব-১৬ বাছাইপর্বেও অপরাজিত চ্যাম্পিয়ন হয়েছে যেসব ফুটবল কন্যারা তাদের কপালে পুরস্কারের বদলে জুটেছে তিরস্কার! তাদেরকে বাড়ি ফেরত পাঠানো হয়েছে লোকাল বাসে। তাদের কপালে কোন রিজার্ভ করা গাড়ি জুটল না, ছোট একটি মাইক্রোবাসও জুটল না। ঢাকা থেকে ধোবাউড়াগামী লোকাল বাস নিলয় পরিবহন এ তাদের বাড়ি পাঠান হল। সকাল ১০ টায় গাড়ি ঢাকা থেকে ছেড়ে গন্তব্যে পৌছাল বিকেল তিনটায়। প্রচন্ড গরম, দুপুরে না খেয়ে মেয়েগুলো এভাবেই ফিরেছে বাড়িতে।
3পথিমধ্যে একটি মেয়ের টয়লেটে যাওয়াকে কেন্দ্র করে কিছু অসভ্য, অমানুষ এই মেয়েদের অকথ্য ভাষায় গালাগালি করেছে, বাজে আচরন করেছে। ড্রাইভার সহ কিছু যাত্রি এই আচরনের প্রতিবাদ করলে তাদের সাথেও খারাপ আচরন করা হয়েছে। ভিডিওতে দেখুন দেশকে জিতিয়ে দেয়া মেয়েদের অসহায় মুখের লাঞ্চনার বর্ণনা।
** মেয়েদেরকে লোকাল বাসে করে বাড়িতে অভিভাবক বা বাফুফের কোন কর্মকর্তা ব্যতীত বাড়িতে পাঠানো এবং মেয়েদের সাথে খারাপ আচরনের প্রতিবাদ আসতে থাকে বিভিন্ন অনলাইন এবং সামাজিক মাধ্যম সমূহে। প্রচন্ড সমালোচনার মুখে বাফুফে একটি হাস্যকর বক্তব্য দেয়। বক্তব্যে বলা হয়, মেয়েরা এসি বাসে চলতে পারেনা, এতে তারা অভ্যস্ত নয়। তাই তাদের লোকাল বাসে পাঠান হয়েছে। কত হাস্যকর যুক্তি, এই মেয়েরা নেপালে খেলেছে অনুর্ধ ১৪ টুর্নামেন্ট। বিমানে কি এসি ছিলনা? এরা আগামীতে থাইল্যান্ড যাবে চুড়ান্ত পর্ব খেলতে। থাইল্যান্ডে কি বাসে করে পাঠান হবে? নাকি বিমানের এসি বন্ধ করে পাঠান হবে?
** ঘটনা এখানেই শেষ হয়নি।
অনূর্ধ্ব-১৬ নারী ফুটবল টিমে খেলছেন গারো পাহাড়ের কোলঘেঁষা গ্রাম কলসিন্দুরের ৯ ফুটবলার। এএফসি অন‍ূর্ধ্ব-১৬ বাছাইপর্বে অপরাজেয় থেকে  বাড়ি ফিরেছেন গোলাম রব্বানী ছোটনের শিষ্যরা। কিন্তু বাড়ি ফেরার একদিন পরেই সেই আনন্দ যেন ফিকে হয়ে গেছে। আগামী ১৬ সেপ্টেম্বর গ্রীষ্মকালীন ফুটবল প্রতিযোগিতার চূড়ান্ত পর্বে অংশ নিতে কুমিল্লা যাচ্ছে কলসিন্দুর উচ্চ বিদ্যালয়। এই স্কুলেরই ছাত্রী এই নয় জন ফুটবলার। স্কুলের শরীরচর্চা শিক্ষক চাপ দিলেন সবাইকে স্কুলের হয়ে গ্রীষ্মকালীন ফুটবল প্রতিযোগিতার চূড়ান্ত পর্বে খেলার জন্য। মেয়েরা বললো যে আগামী ১৭ সেপ্টেম্বর তাদেরকে সম্বর্ধনা দেয়া হবে ঢাকায়, এরপর তাদের প্রশিক্ষণ শুরু হবে, তাদের পক্ষে স্কুলের হয়ে খেলা কিভাবে সম্ভব? ব্যাস আর যায় কোথায়। একজন খেলোয়াড়ের পিতাকে জুতা পেটা করা হল শরীর চর্চা শিক্ষকের নেতৃত্বে। অন্য সব অভিভাবকদের স্কুলে ডেকে হুমকি দিয়ে মুচলেকা নিয়ে মেয়েদেরকে নিয়ে যেতে বলা হল, স্কুলে যেন তারা আর না আসে। এই সমস্ত সোনালী মেয়েরা এখন চরম শঙ্কায় দিন কাটাচ্ছে। যে স্কুলের নামই আমরা জীবনে জানতাম না, সে স্কুল আজ পরিচিতি পেয়েছে এই ৯ জন মেয়ের কারণে, সে স্কুলের আচরন এমন!

শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ঐ শরীর চর্চা শিক্ষককে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। সাময়িক কেন? একে চুড়ান্ত ভাবে বরখাস্ত করে চরম ভাবে বিচার করা হোক। ১৭ সেপ্টেম্বরের সম্বর্ধনায় বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী উপস্থিত থাকবেন। ক্রীড়া প্রেমি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে দাবী, বাংলাদেশের মুখ উজ্জ্বল করে দিয়েছে যে সমস্ত মেয়েরা তাদেরকে যথাযথ সন্মান দেয়া হোক, তাদেরকে দেশের সম্পদ বিবেচনায় সরকারী খরচে বাংলাদেশ ক্রীড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তি করিয়ে লেখা পড়া এবং ফুটবল খেলার সুযোগ করে দেয়া হোক। এরাই একদিন বড় আসরে আমাদের দেশের জন্য আরো বড় সাফল্য বয়ে নিয়ে আসবে।
0 Shares

২৭টি মন্তব্য

  • সকাল স্বপ্ন

    পুরো ঘটনা দুঃখ জনক—
    আমাদের সচেতন হওয়া উচিত নিজেদের এই অবস্থান নিয়ে—
    যারা দায়িতে রয়েছেন তারা যদি এই সব এর দিকে নজর দেন এবং যথাযথ সচেতন হন তাহলে এই ধরনের দুর্ঘটনা থেকে আগামীতে আর পড়তে হবে না—-
    ——-

    তবে একজন খেলোয়াড় হলেই যে সব সময় সব স্থানে নিজেদের খেলোয়াড় পোশাক পরে থাকতে হবে তাঁর কোণ মানে নেই—
    একজন খেলোয়াড় সুধু একজন খেলোয়াড় না সে যে একজন আট দশ জনের মত সাধারন মানুস সেটা মনে রাখতে হবে—
    আমি জানি তারা শালীন ছিল তবুও খেলা ছারা কিংবা অনুশীলন সময় ছারা অন্য সময় সেই একই পোশাক অন্য সব স্থানে বেমানান!

    ঐ শরীর চর্চা শিক্ষককে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে——– এটা জেনে খুশি হলাম—–
    সব জাতীয় খেলোয়াড় প্রতি রইলো অনাবিল ভালোবাসা—- স্রধা—- আর দোয়া —–
    তাদের ও তাদের ধারা দেশের সুফলতার শুভ কামনা রইলো——

    • লীলাবতী

      ট্রাউজার আর টি শার্ট গায়ে দিয়ে চলাটা শালীন না? ক্লাস এইট, নাইন, টেন এ পড়া মেয়েরা কতটা আর বড়? যারা এই পোষাককে অশালীন হিসেবে দেখে, তাদের চোখ সুই, লোহা দিয়ে গুতো দিয়ে অন্ধ করে দেয়া উচিত।

      • সকাল স্বপ্ন

        এই হচ্ছে আবেগের ধরা—-
        মন দিয়ে লেখা না পরলে আপনি কেন —- কাজী নজরুল—বা রবীন্দ্র ও ভুল করতে পারে—-
        আমি বলেছি তারা শালীন ছিল —
        আমি জানি তারা শালীন ছিল তবুও খেলা ছারা কিংবা অনুশীলন সময় ছারা অন্য সময় সেই একই পোশাক অন্য সব স্থানে বেমানান—– !
        ড্রেস আপ কোথায় কি রকম পড়তে হবে এটা এখন ১ বছরের বাচ্চারাও জানে—-
        আপনার এই চিন্তা ভাবনা সামনে প্রজন্ম কে কি ভিন্নতা সিখাতে সাহায্য করছে ?
        অনুকরন নিজের জন্য কিন্তু সেটা অনুসরনের জন্য নয় তাহলে যে পরিবর্তন তাঁর চেনা রুপ হারাবে—-
        সবার ই অধিকার কাছে নিজেকে ভিন্নতার গর্বের স্থানে দাঁরা করাতে—-
        হোক সে যে যে স্তরের—
        ধন্যবাদ কমেন্টের জন্য—

      • লীলাবতী

        ছেলেরা খেলার ড্রেস গায়ে দিয়ে চলাফেরা করলে সমস্যা নেই? নাকি ছেলেদের সব কিছু বৈধ? খেলা চলাকালীন সময়ে বা পরে, আবাহনী, মোহামেডান, আর্জেন্টিনা, ব্রাজিল, বাংলাদেশের জার্সি কি ছেলেরা গায়ে দিয়ে চলাফেরা করে না? এই যে ড্রেস কোডের কথা বললেন এটিও পুরুষতান্ত্রিক চিন্তা। ঐ বাসে যদি ছেলে ফুটনলাররা যেত তাদের কি অশ্লীল বাক্য শুনতে হত? তাদের সাথে কি খারাপ ব্যাবহার করা হতো?

      • সকাল স্বপ্ন

        সমাজের ভিন্নতা বিষয় টা খেয়াল রাখা উচিত–
        কাকে কতটুকু মূল্যায়ন করা হচ্ছে তাঁর মনে রাখা উচিত–
        এখানে যদি সম অধিকার বিষয় টা আনেন সেটা হবে ভুল–
        সব স্থানে সবাই কে এক স্থানে মাপা যায় না !
        আর নারীদের নিয়ে ভিন্ন উচ্চ মর্যাদার চিন্তা মানবিক সম্মান এর মধ্য পরে–
        ধরুন আপনি একজন ভালো জনগণের গর্বিত বেক্তি — কোণ একটি ইসুর-
        তাই বলে আপনি সেই ইসুর ইঙ্গিত টাকে গায়ে জড়িয়ে বাহবা নেওয়ার জন্য
        সেটার ফায়দা নিতে পারেন না—
        এখন যদি বলেন আপনি তাঁর মানে তারা ফায়দাবাজ—?
        সেটা কখন ই না !
        মাস্টার সেইফে যারা গ্র্যান্ড মাস্টার সেফ হয় তারা তো আর অল টাইম- সেইফ ভেসে থাকে না
        কিংবা দাবা খেলে চেম্পিয়ান মাস্টার তাঁরা তো আর দাবার গুটি পকেটে নিয়ে হাটে
        না !
        ছেলেরা যা কিছু করতে পারে তাঁর সব কিছুই মেয়েরা করতে পারাবে এমন টা ভাবা উচিত নয়—!
        কারন— সিমানা বলে একটা কথা আছে !
        আজকের আমাদের প্রধান মন্ত্রী—– বিরোধী দলীয় নেত্রি— সম্মানিত স্পিকার–
        মাদার তেরেছা– বেগম রোকেয়া— বাংলার প্রথম কো পাইলট মেয়ে-
        এভারেস্ট বিজয়ী লক্ষ্মীপুরের প্রথম বাংলাদেশর নারী অভিযাত্রী—
        সবাই কিন্তু সামাজিক নিতি বাচক চিন্তার আরালে নিজেদের সম্মানিত করেছেন–
        এমন অনেক উধাহরন আছে যা বলে শেষ করে যাবে না–
        আমাদের দেশের সামাজিক প্রেক্ষাপট সব জাতি মিলে একটা গণ্ডির মধ্যে
        একজন মহিলা বা মেয়ে জাতীয় বা যে কোণ পর্যায়ের খেলোয়াড় হোক না সেত
        রোবট না কিংবা কোণ বস্তু না যে তাদের নিজস্ব কোণ
        বেক্তিত থাকবে না–
        বড়লোক বা গরিব বা যে কোণ স্তরের হোক তাঁর নিজস্ব চলার মন ভাবনা থাকতে হবে !
        মেয়েরা খেলছে এটাই তো অনেকেই মেনে নিতে চায় না কারন আমরা এখন অতটুকু সভ্য
        জাতি হই নি !
        আমাদের সমাজে মেয়েদের অবস্থান অনেক স্পসকাতর অনেক সম্মানের
        অনেক কোমল!
        সধু কিছু অমানুসদের কাটা নখের ইঙ্গিত ছারা–
        আমি বোজাতে চাইছি তাদের অনেক হিসাব করে চলতে হবে
        কারন যেই চাদের পূর্ণিমা নিয়ে মানুস ভালোবাসার রচনা করে তাঁকে নিয়ে কলঙ্ক লেপন করে !
        তাই সচেতন হয় চললে নারী সম্মান বেক্তিত সম্মান,সম অধিকার
        ইত্যাদি বিষয় খুব বেশি নষ্ট হবে ?
        আমি সচেতন হত বলছি
        এই কারনে যে
        আমার মা , বোন, ভাবি, এ জাতীয় যারা যখন ঘড়ের বাহিরে থাকে
        তারা যেন সব সময় এমন ভাবে থাকে
        যেন কেহ তাদের কিছু বাজে ইঙ্গিত করুক
        বা কোণ ঝামেলায় জড়াতে পারবে
        তাঁর কোণ সুযোগ থাকুক—
        ঘড়ের বাহিরে পৃথিবী কত ভয়ানক তা পত্রিকার পাতা খুলেইই দেখা যায়- কিংবা আশপাশের
        আচরণ দেখলে বুজা যায়—-
        আমি যেখানে চাইছি আমার বুক পাজর দিয়ে আমার বোন ,মা, মাসি , খালা এ জাতীয়
        নারী জাতিকে নরপশুদের নখের আঁচর থেকে নিরাপথ দুরত্তে রাখতে
        সেখানে আপনি কিসের স্বার্থে সম অধিকার কে ইসু করছেন,
        মানবিক ধর্মে ম—মানে মা—-ন—মানে নারি——ব — মানে –বিবেক—— ক –মানে — কোল—
        আর আদরের, স্নেহের, — নিস্পাপ ভালবাসাই কোলে থাকে—
        ভালো থাকুন– নিরাপথ এ থাকুন—–
        জীবন হোক সফলতার অলঙ্কার–

        ঈদ মুবারক——

  • মিষ্টি জিন

    এই ব্যাপারে লিখবো ভেবে মাএ লগ ইন হলাম.. দেখি আপনি লিখে ফেলেছেন।খুব খুব ভাল একটা পোষ্ট
    :c
    আমাদের দেশে সমঁয় মত প্রতিভার মূল্য কখনই দেয়না।

  • রিমি রুম্মান

    এসি বাসে না হয় মেয়েরা চড়তে পারে না, কিন্তু তাই বলে কি তাঁদের দেখাশোনার দায়িত্বে কেউ নিয়োজিত থাকবে না ! কতভাবে হয়রানির শিকার হল এইসব প্রতিভাধর মেয়েরা ! শরীর চর্চা শিক্ষকের সাময়িক বরখাস্তে খুশি হইনি। পুরোপুরি চাকুরীচ্যুত করে বিচারের মুখোমুখি করা উচিত। 🙁

  • ইঞ্জা

    আমাদের মন এতো ছোট তা আমাদের বারে বারে জানতে হয়, বাফুফের ককর্মকর্তাদের ওই চেয়ারে এক লাথি মেরে চেয়ার শুদ্ধ ফেলে দেওয়া উচিত প্রথমে তারপর কালসিন্ধুরের সেই শিক্ষকে গলায় জুতার মালা গলায় দিয়ে ঘুরানো হোক পুরা কলসিন্ধু জুড়ে, সবাইকে জনে জনে শিখানো উচিত মেয়েদের কিভাবে সম্মান করা উচিত তবেই আমরা শিখবো আর মাননীয় প্রধানমন্ত্রী এই বিষয়ে ব্যবস্থা নেবেন এই কামনা করছি।

  • মুহাম্মদ আরিফ হোসেইন

    এটাই আমাদের দেশ ” বাংলাদেশ “। এখানে সবই সম্ভব। আমি চ্রম চেতনা বাজ। এখানে বিখ্যাত লেখকরা এদের জয়ে গর্বিত হয় কিন্তু এদের জীবন কিভাবে চলছে তার কোন খবর রাখেন না।

  • নীলাঞ্জনা নীলা

    নারীদের উন্নতি-প্রগতি কোনো পুরুষই মেনে নিতে পারেনা। এ যদি হতো পুরুষদের দল, দেখা যেতো একেকজনকে ভি.আই.পি হিসেবে ট্রিট দিচ্ছে বাফুফুকে। পত্রিকায় যখন পড়েছি গর্বে বুক ভরে গেছে একজন বাংলাদেশী হিসেবে। যেখানে ফুটবল খেলে বাংলাদেশের পুরুষদের জাতীয় দল কিছুই করতে পারলো না, সেখানে মেয়েরা বিশ্বের বুকে বাংলাদেশের নাম উঠালো।

    লীলাবতীদি আপনি কি ভারতের “চাক দে ইন্ডিয়া” মুভিটা দেখেছেন? নারীদের কিভাবে ট্রিট করা হয়, কিছু বোঝা যাবে।
    আপনার পোষ্টে দেখলাম সকাল স্বপ্ন লিখেছেন পোষাকের শালীনতার কথা। হাসি পেলো। ঢেকে রেখেও কতো অশালীনতার মুখোমুখি হয় মেয়েরা, উনি বোধ হয় এটা জানেন না। মনে হয় অন্য গ্রহ থেকে এসেছেন।

    আপনার দেয়া দুটো ভিডিওই দেখলাম, কি আর বলবো! ইচ্ছে করে ওই মানুষগুলোকে এমন একটা শিক্ষা দিতে, যে জ্বলবে কিন্তু বলতে পারবে না। আর ডাক্তারও অসুখের ঔষধ দিতে পারবেনা।

    • লীলাবতী

      ঠিকই বলেছেন নীলাদি, পুরুষ হলে ভিআইপি মর্যাদা দেয়া হতো। বাফুফের অযোগ্যতা এখন দেশবাসী জানে। এই নারী ফুটবলারদের তৈরীর পিছনে বাফুফের কোন অবদান নেই।
      চাকদে ইন্ডিয়া কি একজন মেয়ে বক্সিং নিয়ে ঘটনা? তাহলে দেখেছি।
      এদের চোখে সমস্যা, এরাই ইভ টিজার। অবাক হই এদের মানসিকতায়।

      • নীলাঞ্জনা নীলা

        আমাদের সমাজটাই তো নারীদের কেমন করে নীচে নামানো যায়! শুধু কি ফুটবলে? সর্বক্ষেত্রে। কখনো ধর্মের বেড়ি পড়িয়ে, কখনো সমাজ-সংস্কারের ধোঁয়া তুলে।

        লীলাবতীদি চাক দে ইন্ডিয়া শাহরুখ খানের মুভি। বিশ্বকাপে মেয়েদের হকি খেলা নিয়ে কাহিনী। শাহরুখ খান হকির শিক্ষক। বেশ কিছু উঠে এসেছে এই মুভিতে। ধর্ম নিয়ে রাজনীতি এবং নারী-পুরুষের বৈষম্য। দেখবেন ভালো লাগবে মনে হয়। লিঙ্ক দিলাম।

        http://www.einthusan.com/movies/watch.php?hindimoviesonline=Chak+De%21+India&lang=hindi&id=1204

  • মৌনতা রিতু

    আসলে লীলা কুকুরের জিব্হা দেখবা সব সময়ই লক লক করতে থাকে। কিছু মানুষরুপি জানোয়ারও তাই। এদের কাছে কিশোরী কি শিশু কি প্রাপ্ত বয়স্ক নারীই বা কি ! অলাম্পিকে সাদা চামড়ার নগ্নতা এদের খুব মজা লাগে। এদের শরীরে যদি কোনো ক্রমে বাংলাদেশের রক্তের ছিটেফোটা থাকে তবে তার ঐ সাদা চামড়ার নগ্ন শরীর পারলে সোনক দিয়ে মুড়ে দেয়।
    অথচ এই কিশোরী মেয়েদের পোশাক নিয়ে চোখে জালা উঠছে। কুত্তার জাত সব। মেয়েগুলো সব সময়ই অবহেলিত ছিল। তারা যে পোশাকটা পাল্টাবে সেই সুযোগটাই দেয়া হয় নি। মদারু সব কর্মকর্তারা নেশায় তখন মগ্ন ছিল। এখন আবার অন্য নাটক সাজাইছে।
    ভাল লিখেছো।

  • ব্লগার সজীব

    বাফুফের অযোগ্য কমিটি দেশের ফুটবলকে শেষ করে দিয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় এই নারী ফুটবলারদের উপেক্ষা করা হয়েছে। তাদের জন্য আলাদা কোন গাড়ি দেয়া হয়নি, আলাদা গাড়ির ব্যাবস্থা করলে এমন অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটতো না বাসের মধ্যে। এর সম্পুর্ন দায় বাফুকেই নিতে হবে। মেয়েদের স্কুলের শরীর চর্চা শিক্ষককে দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তি দিতে হবে।

  • শুন্য শুন্যালয়

    বাফুফের মাথায় বুদ্ধি আছে, বেশি আদর সোহাগে বাংলাদেশ টিম যেমন মালদ্বীপ, ভূটানের মতো টিমের কাছে গুহারা হেরে আসছে, সেইজন্য মেয়েদের প্রতি এই অবহেলা, এতেই যখন জিতে যাচ্ছে তখন আর খাতিরের কী দরকার! কি মানসিকতা এদের? ছিঃ
    মেয়েদের প্রতি ইভটিজং আমাকে অবাক করেনি, আমাদের দেশের মেয়েরা যখন মাঠে ক্রিকেট কিংবা ফুটবল খেলতে যায়, তখন এরা খেলা দেখতে যায়ই শুধু মজা লুটতে। তাদের হাতের এতো কাছে পেয়ে ছেড়ে দেবে? ভাবাই যায়না।
    শরীরচর্চা শিক্ষক এই কাজ করছে? করবেনা? তার নামডাক নেয়া হয়নাই, এখন নেয়া হবে। শয়তানটারে কানে ধরে উপযুক্তভাবে জুতা মেরে শাস্তি দেয়া হোক, আর সাময়িক নয় চুড়ান্তভাবে বরখাস্ত করা হোক। দেখাই যাক কী হয়, শুধু তো সময় গেলেই সবিকছু ঠিকঠাক আগের মতো হয়ে যায়।
    বাচ্চা মেয়েগুলাকে অনেক অনেক দূর এগিয়ে যাক প্রার্থনা করি। আরো আরো বিজয়ই পারে বাফুফের প্রতি প্রতিশোধ নিতে।
    লীলাবতী মানেই উচ্চকন্ঠস্বর।

  • প্রজন্ম ৭১

    নারী ফুটবলাররা দেশকে আরো এগিয়ে নিয়ে যাক, এই প্রত্যাশা করছি। অভিনন্দন এবং শুভেচ্ছা তাদের প্রতি -{@
    তাদের প্রতি এই আচরন সমাজ ব্যবস্থারই প্রতিফলন, সমাজ ব্যাবস্থা পাল্টে গেলেই এই আচরন কমতে বাধ্য। (y)

মন্তব্য করুন

মাসের সেরা ব্লগার

লেখকের সর্বশেষ মন্তব্য

ফেইসবুকে সোনেলা ব্লগ