শুনতে পাই কিছু অক্ষরের নীরব-নিঃশব্দ
আত্মহত্যার শব্দগুঞ্জন, নিশুতির প্রকাণ্ড বনে;
বিবাগী কম্পনে কাঁদে বেদনার স্তব্ধতা
বন্ধ হয় অদৃশ্যতায় চোখের পাতা,
না থামা গুঞ্জনস্রোত বয়ে যায় শিরদাঁড়া ছুঁয়ে।
পুষে রাখা শব্দাহংকার পথ হারায় উদাসীন দৃষ্টিতে,
সকাল জেগে ওঠে চা চামচের ঘূর্নীতে।
দুপুরের অগাধ রোদ্দুরের সূর্যটা ছুটে আসে হাঁ করে,
ক্লান্তির বিষণ্ণতা সাড়া শরীর জুড়ে;
রাতজাগা পাখিটি অবিকল ডেকে যায়
অহংকারী শব্দের মত ক্রমাগত প্রতিনিয়ত,
প্রতারক ব্যস্ততার জালে বাঁধা অসমাপ্ত শব্দেরা;
ছুঁয়ে ছিলাম শব্দের রাজফড়িং কোন এক অসমাপ্ত ভোরে!
শব্দশবের বিহ্বলতা পিলপিল করে হামাগুড়ি দেয়
এখনও জেগে থাকা স্বেদাপ্লুত সবুজের হৃদবন্দরে,
৩০টি মন্তব্য
নাসির সারওয়ার
আত্মহত্যার শব্দগুঞ্জন – এ কবিতা কি বলে!! ভয়ে আমার হাত পা কাপা করছে। এই অবস্থায় বুঝি শব্দরাও নিঃশব্দ হয়!
ডরামু কিনা ভাইবা আসি।
ছাইরাছ হেলাল
এ সব শব্দ নিয়ে ভাবলে কাঁপাকাঁপি হতেই পারে, তাই সাধু সাবধান,
ডরাইয়া ডরাইয়া ভাবতে থাকুন।
সাবধানে কিন্তু।
নাসির সারওয়ার
ভাবনার কোনই কূলকিনারা নাই। এই শব্দগুলোর পিতা মাতা কাহারা! এগুলো নিঃশব্দ থাকাই ভালো।
ছাইরাছ হেলাল
দেখুন এই সব শব্দেরা আসমানি নয়, একটু ইতিউতি দিন নিঃশব্দে,
সব কিছু পাওয়া না গেলেও অনেক কিছুই পাওয়ার আছে,
আবু খায়ের আনিছ
যতই নিরব থাকুক, তবু বারবার ফিরে আসুক হামাগুড়ি দিয়ে।
ছাইরাছ হেলাল
তাই তো দেখছি ফিরে ফিরে আসে, আসতেই থাকে,
প্রহেলিকা
সুন্দর!!
সুন্দর বলতে চাইনি আসলে, পড়তে পড়তে যখন শেষটুকু ছুঁয়ে দিলাম তখন অজান্তেই বলে ফেলছিলাম। তাহলে আর টাইপ করতে দোষ কি??
কলম ধরে নানা আঁকাঝাঁকা তখনই করি যখন অব্যক্ত শব্দগুলো কারো কলমের কালিতে ফুঁটে উঠে না। হতাশ হয়ে তখন নিজেই ধরি, ব্যর্থ প্রয়াসে কলঙ্কিত করি। পারি বা না পারি কলম তুলে নেই কিন্তু।
কিন্তু ভালো লাগা দ্বিগুণ বেড়ে যায় যখন কারো লেখায় নিজের শব্দগুলোকে খুঁজে পাওয়া যায়। এই যেমন পেলাম এই লেখাতে। বড্ড বেশি আপন মনে হয়েছে লেখাটিকে।
শাণ ভালোই দিচ্ছেন!
ছাইরাছ হেলাল
না না, টাইপের দোষ হতে যাবে কীসের দুঃখে!
তবে সুন্দরের মাত্রা একটু বেশি বেশি লাগে যে!
এত্ত গপ্পে কাজ নেই দ্রুত লেখা দিয়ে দিন।
নীলাঞ্জনা নীলা
শব্দেরা নীরব হবার পর যদি এমন কবিতার জন্ম হয়, তাহলে থাকনা শব্দেরা নীরবই। ঘুমিয়ে থাকুক নয়তো ঝুলে থাকুক ঝুল-বারান্দায়, সমস্যা নেই। নিঃশব্দ শব্দেরাই নয় কবিতা হয়ে যাক। অক্ষরের কাছে শব্দেরা তো নীরব হবেই, তা না হলে একেকটি অক্ষর যে জোড়া লাগবেনা। বেজোড় অক্ষরে শব্দ সৃষ্টি হয় না যে!
কুবিরাজ ভাই যে একখানা কুবিতা দিলেন, কতো কষ্ট করে মন্তব্য করেছি বুঝতে পারেন? তা তো আর বুঝবেন না। আচ্ছা কুবিতাখানায় এত্তো অভিমান জমা কেন? ;?
ছাইরাছ হেলাল
দেখুন সব সময় ঝুল বারান্দায় ঝুলে থাকতে চায় না,
অন্দরে প্রবেশানুমতি চায়, নিয়েও নেয়, তখনই সমস্যা আর সমস্যা,
জোর বেজোর কোন ব্যাপার না, শুধু অহংকার নিয়েই একটু অসুবিধা,
অনেকদিন পর একটু খাটুনি দিলেন, চর্চা রাখুন, কাজে দেবে,
নাহ, অভিমান দেখা ঠিক না,
লেডি কবির মতই এবারের মন্তব্যটি, ধন্যবাদ,
নীলাঞ্জনা নীলা
পঁচালেন? 🙁
ছাইরাছ হেলাল
নাহ,
অবিশ্রান্ত প্রশংসা,
মিষ্টি জিন
বুঝতে একটু ও কষ্ট হয়নি :D.. ভাললেগেছে।
আচ্ছা কত কিছুর ই তো ট্রেনিং দেয়া হয় তা কবিতা লেখার ট্রেনিং কেউ যদি দিত.,
ছাত্রী হিসাবে খুব একটা খারাপ না। 😀
নাসির সারওয়ার
এই ট্রেনিং এখানে পাবেন না। আমি আদিকাল থেকে সব্বাইকে এই অনুরোধটা করেছিলাম। শেষ অব্দি হাতীর পাঁচ পা শুনতো হলো।
আর দু একজন ছাত্র ছাত্রী জোগার করুন। তারপর আমরা নিজেরাই ইসকুল খুলবো। কুবিতা লেখা আর কুবিতার মানে, দুটোই শিখে নেবো। বিশেষ করি এই লেখকের লেখা।।।
মনির হোসেন মমি(মা মাটি দেশ)
ভাইয়া আমিও আছি
শব্দের আকালে আমি যে মরি মরি -{@
মিষ্টি জিন
হাতীর পাঁচ বা বলুক বা সাপের পা দেখার কথা বলুক শুনলে তো…আমরাও ইস্কুল খুলে দেখিয়ে দেখিয়ে বলবো
” ইস্কুল খুইলাছি কুবি ইস্কুল খুইলাছি
কুবিতার অর্থ বুঁঝতে ইস্কুল খুইলাছি”
:D) :D)
নাসির সারওয়ার
আচ্ছা। আমাদের ইসকুল চালু হচ্ছে তাহলে। আমি কিন্তু হেড মাষ্টারের পদ নিতে পারবোনা। কারন আমারতো কোনো শিক্ষিই নাই। তারপরও, আমি কিন্তু আছি।
এসব লেখকরা কি ভেবেছে!
ছাইরাছ হেলাল
আগাম ভর্তির আবেদন দিয়ে রাখলাম,
শিখমুই এবার।
ছাইরাছ হেলাল
অপেক্ষা করতেই আছিইইইইইইইইইইইইইইইইইইইইইইই!
ছাইরাছ হেলাল
আমি ছাত্র হিসাবে খারাপ তাও ট্রেনিং নিতে চাই মেধাবীদের সাথে,
যদি কিছু লিখতে-টিখতে পারি!
মৌনতা রিতু
রাতজাগা পাখির ডাকে অহংকারি শব্দরা হাসে কিন্তু।
আমি অনবরত শব্দের খোঁজে ছুটি।
শব্দরা মোর অহংকারি, ধরা দেয় না।
কুবি ভাই, সুন্দর সুন্দর হইছে।
ছাইরাছ হেলাল
আপনি শব্দ খুঁজে পেলে আমাকেও জানান দিয়েন,
কুবি হিসাবে খুবই দরকার এই সব শব্দদের,
শুন্য শুন্যালয়
শব্দশব????? শব্দাহংকার পথিকের শব্দের মৃত্যু হাহাকার শুনতে পড়তে ভালো লাগলো।
অনেক অসমাপ্ত লেখা পরে আছে বুঝি?
এমন বিহ্বলতায় কী লেখা শক্তিশালী হয়ে যায়?
শব্দের রাজফরিং। চমৎকার। এমন কবিতার জন্য সব শব্দের আত্মহত্যা করিয়ে দিতে রাজি আছি।
ছাইরাছ হেলাল
শব্দের রাজফড়িং ছুঁয়েছি বলেই
এ বিহ্বলতা,
শব্দ-শব এড়িয়ে শব্দাহংকারের
এই চঞ্চলতা,
জড়িয়ে বিষাদ-কালো শব্দ-ছায়া
অপরাজিতার চেয়েও গাঢ় লাল শব্দ-ফুলের
আজন্ম বিষণ্ণতা!!
প্রজাপতির স্বপ্ন-সাঁতারের হৃদয়-গাঙে
উজানের বন্যতা;
—————————————————————————
টুকে নেয়া শব্দবান থেকে আপনিও টুকুন, তবে আত্মহত্যা করাবেন্না যেন;
প্রহেলিকা
ফাঁকিবাজি বেশি হয়ে যাচ্ছে কিন্তু। পরবর্তী লেখা কই?
ছাইরাছ হেলাল
আমিও খুঁজছি অজুহাতের এক প্রকাণ্ড ফাঁকিবাজ কে!!
ইঞ্জা
অসাধারণ লিখেছেন ভাই।
ছাইরাছ হেলাল
ভাল থাকবে আপনি,
ইঞ্জা
(3
ছাইরাছ হেলাল
ওরে বাবা!