সাদা সাদা কালা কালা
রং জমেছে সাদা কালা….
আরফান মৃধা শিবলুর গাওয়া এ গানটা কেন জানি আজ সারাদিন আমার মনের গহীনে নীরব সূরে গাইছে।বিষয়টা আমি গান পাগল তা না এর পেছনের কারন হলো মাটির টান।গানটির মাঝে আবহাওয়ামান বাংলার মুল সংস্কৃতি উঠে এসেছে যা আমাদের পূর্ব পূরুষদের মনস্পর্শ অনুভুতি জাগ্রত করে।চিরচেনা গ্রাম বাংলা সেই পল্লীগীতি লালনগীতি  ভাটিয়ালির অনুভুতি পাওয়া যায়।যার কারনে গানটি আজ ভাইরাল।তাছাড়া গানের চিত্রায়ন ছিলো মনে লাগার মতন।আরো একটি কারন হলো ছবির নাম “হাওয়া” এবং গল্প ।
পুরো গানের লিরিক-

তুমি বন্ধু কালা পাখি
আমি যেন কি ?
বসন্ত কালে তোমায়
বলতে পারিনি।

সাদা সাদা কালা কালা
রং জমেছে সাদা কালা,
সাদা সাদা কালা কালা

রং জমেছে সাদা কালা,
হইছি আমি মন পাগলা
বসন্ত কালে ..

তুমি বন্ধু কালা পাখি
আমি যেন কি ?
বসন্ত কালে তোমায়
বলতে পারিনি,
বসন্ত কালে তোমায়
বলতে পারিনি।।

পিরিত ভালা গলার মালা
বল্লে কি আর হয়,
যারে ভালো লাগে আমার
দেখলে তারে চোখে নেশা হয় রে বন্ধু
চোখে নেশা হয়।

সাদা সাদা কালা কালা
রঙ জমেছে সাদা কালা,
সাদা সাদা কালা কালা
রঙ জমেছে সাদা কালা,
হইছি আমি মন পাগলা
বসন্ত কালে ..

তুমি বন্ধু কালা পাখি
আমি যেন কি ?
বসন্ত কালে তোমায়
বলতে পারিনি,
বসন্ত কালে তোমায়
বলতে পারিনি .৴৴৴

আমরা  যারা ৯০ এর যুবক তাদের নিশ্চয় মনে আছে ভারতের সেই “হাওয়া হাওয়া ও হাওয়া” গানটি।ভারতের সিনেমার এই গানটি বাংলাদেশের আনাচে কানাচে সর্বোত্র সব বয়সীদের মুখে শুনা যেত।গানে যদি মনে ফিলিং না আসে সেই গান ভাইরাল হয় না।তেমনি মনে ফিলিং আসা “হাওয়া” ছবির গান ৴
সাদা সাদা কালা কালা
রং জমেছে সাদা কালা….গানটির সূরকার ও লেখক হাসিম মাহমুদ।জলে স্থলে গাইছে মানুষ।ট্রেলার দেখে মানুষ অবাক হয়ে মনে রং মিশিয়ে গাইছেন।ভিজ্যুয়ালে বিশাল ক্যানভাসে সাগরের গর্জনের মাঝে চঞ্চল চৌধুরী,নাফিজা, তুষি রাজদের খন্ড খন্ড অভিনয়ে মুগ্ধ দর্শক।গানের ভিউ লক্ষ লক্ষ।

যাই হোক ৴মুক্তির দুদিন পর যে ছবির অগ্রীম টিকেট পাওয়া যায় না সেই ছবিটির পরিচালক ছোট পর্দার জনপ্রিয় নির্মাতা মেজবাউর রহমান সুমন আর এই ছবি তার প্রথম ছবি।এরকম ইতিহাস বাংলাদেশের সিনেমায় এই প্রথম।

একটি সেবাদানকারী বিজ্ঞাপনে অনন্ত জলিলের একটা কমন ভাইরাল ডায়লগ ছিলো

"অসম্ভবকে সম্ভব করা অনন্তের কাজ"
সেই বিজ্ঞাপনটির নির্মাতাও সে।

একটা ছবি মানুষকে আকর্ষিত করে যখন তার চিরচেন রূপ তৈরী করতে পারে।নিশ্চয় আমাদের মনে আছে চঞ্চলের মনপুড়া ছবিটি এবং ছবির গানগুলোর চিত্রায়ন।ঠিক একই চিত্রগ্রাহক কামরুল হাসান খসরু এই হাওয়া ছবির চিত্রয়ায়ন করেছেন মানুষের মনস্তাত্বিক ভাবনাটা মাথায় রেখেই।এই ছবির চিত্রায়ন হয়েছে গভীর সমুদ্র ঢেউয়ের গর্জনে।এর ভ্যিজুয়ালে গভীর সমুদ্র বৈরী পরিবেশের দৃশ্য বিশাল ক্যানভাসে মন কেড়ে নেয়ার মত।

ছবির আবহাওয়া সঙ্গীতে৴ গভীর সমুদ্র খোলা আকাশ রাতের নির্জনতা৴ ঢেউয়ের গর্জন ৴জল ও হাওয়ার দারুন এক কম্বিকেসন ছবিটাকে মানুষের মনে গেথে দিবে।সেই সাথে মাটি মানুষের চিরচেনা সূরের গান  সাধারন মিউজিকক্যাল ইনট্রুমেন্টের বাজনা গানটি শ্রোতামুগ্ধ করে তুলে জনপ্রিয় সঙ্গীত পরিচালক রাশীদ শরিফ শোয়েব।

অভিনয়ের দিক দিয়ে কেউ কারোর চেয়ে কম মনে হবে বলে মনে হয়না।কারন এ ছবির মুল চরিত্রের প্রায় সবাই অভিজ্ঞ এবং জনপ্রিয়।আর চঞ্চলতো কথাই নেই।ওর ছবি মানে হিট হিট।মনপুড়া আয়নাবাজি দেবী তার সবগুলো ছবিই বাম্পার হিট।চঞ্চলের উপর দর্শকদের আস্থা আছে যে৴ সে যে ছবিই করুক না কেনো দর্শক ঠকবে না।এছবিতে চঞ্চল ছাড়াও আছেন চমক৴ নাফিজা তুষি,শরিফুল রাজ,নাসির উদ্দিন খান,সুমন আনোয়ার৴সোহেল মন্ডল সহ আরো অনেক দক্ষ অভিনেতা যারা ইতিপূর্বে অনেক জনপ্রিয় ছবিতে পরিচিত।

ছবির গল্প মুলত কিসের উপর ভিত্তি করে তা এখনো তেমন জানা যায়নি তবে ছবিটির ট্রেলার খন্ড খন্ড সংলাপ দেখে এবং অনলাইনের মাধ্যমে জানা যায়৴ গভীর সমুদ্রে গন্তব্যহীন আটকে পড়া আটজন মাঝিমাল্লা একজন রহস্যময়ী বেদেনীকে নিয়ে গড়ে উঠেছে।তবে ছবিটি না দেখে কিছুই বলা যাবে না।

আজ ২৯ জুলাই ২০২২ শুভমুক্তি
তথ্য ও ছবিঃ অনলাইনণ

0 Shares

৮টি মন্তব্য

মন্তব্য করুন

মাসের সেরা ব্লগার

লেখকের সর্বশেষ মন্তব্য

ফেইসবুকে সোনেলা ব্লগ