হলের ৬ বছরের সময়কালে তাঁর সাথে কত যে স্মৃতি! প্রকৃত বন্ধু হওয়ার সুবাদে যা যা করা যায় সেসবের আর বিস্তারিততে গেলাম না। বন্ধুত্বের প্রকাশটা প্রায় সবারই এক, হৃদয়ে হৃদয়ে গিট্টু বাঁধার কাহিনীতে ভিন্নতা নেই।
মোটামুটি প্রতিষ্ঠিত এডভোকেট তিনি, প্র্যাকটিস করেন হাইকোর্টে। গলায় গলি হলে যা হয়,অনেক না না করেও ভূড়ি ভোজের আমন্ত্রন রক্ষা করতেই হলো।
বিশাল ড্রইং রুম,আলিশান সোফা,বসে হেলান দিয়ে থাকলেও বিশেষ এক ভাব জাগে মনে।ওয়াল সাইজ শোকেস , ঝাড়বাতি, কিছু এন্টিক এর ডিসপ্লে, বাপ্রে! দোস্তের টাকা তো দেখি সব ড্রইং রুমে ঢালা হয়েছে। ড্রইং রুমে বসেই ডাইনিং টেবিল দেখা যায় হালকার উপ্রে ঝাপসার মত। ভাবির রুচি আছে মানতেই হবে। কিছুক্ষণের মধ্যেই ভাবি আসলেন পরিচিত হতে। ভাবিকে দেখেই আমি ভিমরিফাইড। দোস্তে পরিচয় করিয়ে দিচ্ছেন তার বৌয়ের সাথে, কি বলছে আমার কানে কিছুই যাচ্ছে না, তাকিয়েই আছি ভাবির দিকে, ভাগ্যিস মশা ছিলনা বাসায়। কাহিনী হচ্ছে ভাবি সাজতে ভালোবাসেন। সারাক্ষণ এমন সেজে থাকেন যে মনে হবে কোনো পার্টিতে যাবেন।দোস্তের চোখের দিকে তাকালাম,এক্সরে চোখকে ফাঁকি দেয়ার কোন চেষ্টাই করলো না সে, কারন লাভ নেই তাতে।আমি যে ভিতর পর্যন্ত দেখতে পারি তা সে জানে। প্যাঁদানি খেয়ে আয়ের সব টাকাই যে ড্রইং রুম আর বৌয়ের সাজ সজ্জার পিছনে ব্যয় হয়, তা আর আমাকে বলতে হলো না।
##এত সুন্দর একটি পুতুলের মত তোর বৌ, খুবই ভাগ্যবান তুই দোস্ত।
যাই হোক খাবার পর্ব, টেবিলে একটা মাত্র প্লেট। দোস্তকে বললাম তুই আমার সাথে বসবিনা? না না আমরা পরে খাবো ভাইয়া, বললেন ভাবি। বাহ কত্ত টান আপনাদের, মুগ্ধ হইয়া গেলাম ভাবী। রান্না ভালোই, খেলামও ভালোই। খেয়ে ড্রইং রুমে এসে বসে ম্যাগজিন দেখছি। হঠাৎ খেয়াল হলো, আরে আমি যে প্লেটে খেয়েছি, সেই একই প্লেটে দোস্তে খাচ্ছে! নাহ ভুল হতে পারে আমার। দোস্তে খেয়ে উঠলে হালকা নজর রাখছি ডাইনিং টেবিলের দিকে। তাদের বড় ছেলে বসলো খেতে, ঐ একই প্লেট। এরপর ছোট ছেলে সবশেষে ভাবি। তিনি আবার চামচ দিয়ে খাচ্ছেন। আল্লারে এ আমি কোথায় আসলাম?একই প্লেটে প্লেট না ধুয়ে একের পর এক খেয়ে যাচ্ছে সবাই!
দোস্তে আসলো আমার কাছে, আমার কপাল কুঁচকানো সে চেনে।
** ''দোস্ত কাউরে বলিস না প্লিজ, বৌ এর কষ্ট হবে বেশি প্লেট ধুতে তাই এক প্লেটে সবাই খাই আমরা।এই একটি প্লেট ধোবে সে তাও হাতে গ্লোভস পরে।হাত নষ্ট হয়ে যেতে পারে।''
## তুই বৌরে এই অবস্থায় আনছো, প্রথম দিকে আহ্লাদ না দিয়ে এসব ঠিক করতে পারতি।
** চেষ্টা করেছিলাম দোস্ত
## তাহলে?
** তুই তো জানোস দোস্ত আমি প্যাঁদানি খুব এড়িয়ে চলি 🙁
Thumbnails managed by ThumbPress
৪২টি মন্তব্য
ইলিয়াস মাসুদ
ভাই আপনে পারেনও !
দুর থেকে আমাদের কাছে এর সমাধান খুব সহজ মনে হলেও
আপনার বন্ধু কিন্ত বাস্তবতাটা জানে
আমাদের আধুনিক সংসার করছি আমরা এমন করেই
তাই যত সম্ভব একা থাকা
শশুড় শাশুড়ী থাকতে নেই আধুনিক ঘরে
কি আধুনিক ঘর বানাইলি সংসারে ……….
খুবি সমসাময়িক বিষয় জিসান ভাই ^:^
জিসান শা ইকরাম
আমার এই দীর্ঘ জীবনে আমি এমন অদ্ভুত পরিবার আর দেখিনি
আর একটি পরিবারের কথা বলবো আগামী পোষ্টে
আমার দেখা সম্পুর্নই আলাদা এই দুই পরিবার।
অনিকেত নন্দিনী
কিছু একটা বাদ পড়েছে মনে হচ্ছে।
ঘরে টিভি চলছিলোনা? তাতে ভারতীয় সিরিয়াল দেখা হচ্ছিলোনা? বাজি রেখে বলতে পারি, আপনার দোস্তের বৌ ভারতীয় সিরিয়াল না দেখে যায়ই না!
আলহামদুলিল্লাহ্। আল্লাহ্ এমন আধুনিকতার হাত থেকে দূরে রেখেছেন সেইটাই অনেক বড় ব্যাপার। এঁটো প্লেটে খাওয়ার আধুনিকতা দেখাবার চাইতে ডিশ ওয়াশার ব্যবহারের আধুনিকতা ভালো। আপনার দোস্তরে বলেন তার বৌরে একটা ডিশ ওয়াশার কিনে দিতে। তাহলে বেচারিকে আর এঁটো প্লেটে চামচ দিয়ে খেতে হবেনা। ^:^
জিসান শা ইকরাম
টিভির কথা আসলেই বাদ পড়েছে, টিভি বাসায় দুটো একটা ড্রইং রুমে অন্যটা বন্ধুর বেড রুমে।
বেড রুমে উনি ভারতীয় সিরিয়াল না দেখে পারেননা 🙂
বাহ! ডিশ ওয়াশার এর বুদ্ধিটা দিয়ে দিতে হয় ভাবিকে 😀 আপনি তো বুদ্ধির খনি দেখতে পাচ্ছি।
আর একটি পরিবারকে জানি আমি,যা বিশ্বে বিরল পরিবার হতে গন্য হবার দাবী রাখে।
শুভ মালাকার
যে লাঠি দিয়ে অন্ধ মানুষ পথ চলে, সেই লাঠি দিয়ে মানুষও খুন করা যায়।
**দেয়াল–হুমায়ূন আহমেদ**
“টিভির কথা আসলেই বাদ পড়েছে, টিভি বাসায় দুটো একটা ড্রইং রুমে অন্যটা বন্ধুর বেড রুমে।
বেড রুমে উনি ভারতীয় সিরিয়াল না দেখে পারেননা”
কোন ব্যাক্তি বা বস্তুর “খারাপের” পাশাপাশি “ভাল” দিকটাও বিবেচনায় রাখা উচিত। কেন-না আমি এটা বাস্তবিক ভাবে বিশ্বাস করি যে “পৃথিবীতে এমন কোন বিষয় নেই, যার শুধুমাত্র একটা দিক আছে”
ভারতীয় টিভি সিরিয়াল কেন, কোন টিভি সিরিয়াল-ই আমি দেখিনা। কারন এগুলো দেখার আমার সময় নেই।
আমার শ্রদ্ধা জানবেন -{@
অনিকেত নন্দিনী
সিরিয়াল বলতে একটা জিনিসই চিনি যা আমার কন্যা-পুত্র দুধে ভিজিয়ে খায়। -:-
বুদ্ধির খনিকে এত্ত দেরিতে বুঝলেন! 🙁
এবং এইভাবেই আমার মতো প্রতিভাধর ব্যক্তিত্ব অবহেলার ছায়া ঢাকা পড়ে থাকে। ;(
জিসান শা ইকরাম
#শুভ মালাকার, ঠিক বলেছেন খারাপকে খুঁজবো না আমরা ভালো দিকটা খুঁজবো।
এই পোষ্টের একটি উদ্দেশ্যও আছে অবশ্য
এই ভাবির মত, বা এনার কাছাকাছি গুনের কোন মানুষ দেশ,সমাজ এর কোনো কাজে লাগেনা
আমরা যেন তেমন না হই।
জিসান শা ইকরাম
#অনিকেত নন্দিনী, আপনার মত প্রতিভাধর ব্যক্তিত্ব অবহেলার ছায়া ঢাকা পড়ে থাকে কোথায়?
সোনেলার শীর্ষ মন্তব্যকারী হিসেবে একজনের নাম দেখা যাচ্ছে,তাঁকে ঢেকে রাখে কার সাধ্য?
শুন্য শুন্যালয়
হৃদয়ে হৃদয়ে গিট্টু বাঁধার কাহিনীতে ভিন্নতা নেই। বেশ বললেন তো !! বাঁধার কাহিনী এক হলেও খোলার কাহিনী কিন্তু আলাদা হইতারে। যেমন হটকা গিট্টু সহজেই খুলে যায়। 🙂
গলায় গলি হয়ে কিন্তু ভালই হয়েছে, নইলে এমন আজব চিড়িয়া দুইন্যাতে আছে এমন ঘটনা গলির ভেতরেই চাপা পড়ে যেত। ভাবীজানের হাতখানা একবার স্পর্শ করিয়া দেখিতে মুন চায়।
পনে আটটায় ছেলেকে ঘুম থেকে তুলে, দৌড়ে দৌড়ে সব কাজ শেষ করে যখন সাড়ে আটটায় বাসস্ট্যান্ডে পৌঁছাই, তখন আমার ছেলের সহপাঠির মা’কে দেখি, অই সক্কালেই আপনার মতই ভিরমিফাইড খাবার মত সাজসজ্জা। মেকাপের কোন জায়গা খালি নাই। প্রতিদিন নখে ভিন্ন ভিন্ন সাজের নেইলপালিশ, প্রথমে ভাবতাম আর্টিফিসিয়াল নখ, একদিন জানালো না ইহা ন্যাচারাল, অতি পরম যত্নে সে প্রতিদিন উহা আঁকে।
কিছু মেয়েরা আসলে নিজেরাই দামী শোপিচের মত থাকতে ভালোবাসে। আধুনিকতার এক চরম রূপ দেখালেন ভাইয়া, এদের স্থান ড্রয়িংরুমে না হয়ে মেন্টাল হসপিটালে হলেই ভাল হয়। যাউক, আপনার আবার গলাগলির বন্ধু, কি বলতে কি বলি!
জিসান শা ইকরাম
হ্যাঁ, বাঁধার কাহিনী এক হলেও খোলার কাহিনী কিন্তু আলাদা হইতারে
তবে খোলার কাহিনী কিছু প্যাটার্ন মেনে চলে……… প্যাটার্নের বাইরের উদহারণ খুব কম।
দেশে আসুন,ততদিন পর্যন্ত ইচ্ছে বজায় থাকলে ভাবী জানের হাত মুলাকাত হইতারে আপনার,এমন চিজ না দেখলে মিস।
ভালোই বললেন- কিছু মেয়ে নিজেকে শোপিচের মত রাখতে ভালোবাসে,সাজ সজ্জা বাদে আর কোনো কাজ নেই এদের দুনিয়ায়।
আর একটি আজব পরিবারের কথা জানি আমি, সময় পেলে দ্রুতই জানাবো, টাসকিত হবেন আশাকরি।
শুন্য শুন্যালয়
খানাপিনা না হয় কাঁটা চামচ দিয়েই করেন, কিন্তু বাকি কাজ ;?
এমন একপিস চিজের লোভে দেশে আগে আগেই আসুম সিদ্ধান্ত নিয়া ফেললাম।
টাসকিত হবার জন্য অপেক্ষা করতেই আছি। সময় এখনো পাননি? ভালো করে খুঁজুন। আজই চাই পোস্ট।
জিসান শা ইকরাম
আগে ভাগেই চলে আসুন,
শুভ কাছে বিলম্ব করতে নেই।
দিয়েছি, অবশ্য দুদিন পরে
শুভ কামনা -{@
আবু খায়ের আনিছ
মধ্য রাতে বেশি হাসা ভালো না, পাশের রুমের বা ফ্ল্যাটের ভাবি যদি কোন ভাবে টের পায় তাহলে পরের রাতটা কি এই বাসায় কাটাতে পারব কিনা জানি না। সেই সাথে আছে গলায় গলি দোস্ত রা। যদি কিছু হয় তার জন্য জিসান ভাই দায়ী আমি না।
জিসান শা ইকরাম
বেশী হাসা ভালো না
মশারা মুখের ভিতরে চলে যেতে পারে 🙂
আবু খায়ের আনিছ
\|/ \|/ \|/
মোঃ মজিবর রহমান
হ্যাঁ জিসান ভাই,
কাঁচায় না নোয়ালে বাঁশ
পাকলে করে ঠন ঠন।
ভাইরে কি আজব যুগ আইল যে প্লেট ধোয়ার ভয়ে এক প্লেট!
বৌএর কি যে বায়না যাই না শুধরানো!
আবার অন্যরা চেহারা দেখতে খারাপ হবে বিধায় বাচ্চাকে বুকের দুধ খাওয়ান না।
আর এমন কি হাত খারাপ তো হতেই পারে, তাই না।
বন্ধুত্ব গাঢ় গভীর হোক এই আশা রাখি।
আপনার রম্য লেখা সুধু ভালই না বাস্তবের ভিতরই রম্য ।
জিসান শা ইকরাম
এমন বিচিত্র পরিবার আমি আর দেখিনি ভাই।
এর সমালোচনার ভাষাও জানা নেই আমার।
মোঃ মজিবর রহমান
২য় পর্বের জন্য অপেক্ষায় থাকলাম। -{@ -{@
জিসান শা ইকরাম
এরপরেই ২য় পর্ব দিয়ে দেবো।
ছাইরাছ হেলাল
আমার মনে হচ্ছে তাদের টুথব্রাশ ও একটি ই।
মাইঙ্কাচিপা ইহাকেই বলে। ইঁদুর কল ও বলা যেতে পারে।
জিসান শা ইকরাম
হতে পারে একটিই টুথব্রাশ, জিজ্ঞেস করা হয়নি।
মাইঙ্কাচিপা, ইঁদুর কল সবকিছুই বলা যেতে পারে।
ভোরের শিশির
হাআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআহহহহহহহহহহহহহহহহহহহহহহহহহহহহহহহহহহহহহহহহহহহহহহহহহহহহহহহহহহহহহহহহহহহহহহহহহহহহহহহহহহহহহহহহহহহহহহহহহহাহাহাহাহহাহাহাহাহাহাহাহাহাহহাহাহাহাহাহাহাহাহাহহা :D)
জিসান শা ইকরাম
🙂 মুখ বন্ধ করে না হাসলে সমস্যা হতে পারে।
ভোরের শিশির
আপনি কতদিন পরে এভাবে লিখলেন???
ইদানীং সোনেলায় হাসির লেখা একেবারেই কমে এসেছে। তাজ আর সজু বাইয়া-এই দুইজনের ঘাটতি আপনি এই লেখায় একাই পুষিয়ে দিলেন বেশ…
সমাজের বেখাপ্পা বিষয়গুলো হাসির সাথে উপথাপনা করাটা অনেক কঠিন… আপনারা কত সহজেই তা করে ফেলছেন 😀
জিসান শা ইকরাম
তাজ আর সজীব এর মত আমি লিখতে পারবো না, এরা দুজনই স্বভাবজাত রম্য লেখক।
তারপরেও সত্যি কিছু কাহিনী নিয়ে লেখার ইচ্ছে আছে
তাতে যতটা রম্য আসে 🙂
এখন একটি ব্রেক
সাথেই থাকুন 🙂
শুন্য শুন্যালয়
:D) আপনি দেখি খাঁটি বাংলাদেশি টিভি চ্যানেল। ব্রেক কতক্ষন হয়?
জিসান শা ইকরাম
ব্রেক এর ব্রেক
এটা ইস্পিশাল ব্রেক,তাই একটু সময় বেশী লাগে 🙂
অপার্থিব
হাহাহা…
হুমায়ুন আজাদের একটা উক্তি মনে পড়লো- “বাঙ্গালী পুরুষেরা নারীবাদী না হলেও এরা স্ত্রীবাদী”। স্ত্রী আদেশ মেনে চলা ভদ্রলোকের গুণ। আপনার বন্ধু যে ভদ্র লোক তাতে কোন সন্দেহ নেই।
জিসান শা ইকরাম
স্ত্রী আদেশ মেনে চলা ভদ্রলোকের গুণ 🙂 একমত আপনার সাথে।
মারজানা ফেরদৌস রুবা
ভাই, কি গল্প শুনাইলেন! এমন দম্পতিও আছে????
মারজানা ফেরদৌস রুবা
প্রয়োজনে যে যার নিজের প্লেট ধুয়ে নেবে, তাই বলে এঁটো প্লেট? :D) মেহমানকে একা খেতে দেওয়াও তো একপ্রকার অসৌজন্যতা। এমন অদ্ভুত জীবন-যাপন রীতিমত অস্বাভাবিক। আর আমি মনে করি ভদ্র-অভদ্রতার ব্যাপার নয়, ব্যক্তিত্ববোধের অভাব! কষ্ট পাবেন না, বন্ধুকে নিয়ে এমন বলছি বলে।
শুন্য ঠিক বলেছেন, কিছু মেয়েরা আসলে নিজেরাই দামী শোপিচের মত থাকতে ভালোবাসে। এদের স্থান ড্রয়িংরুমে না হয়ে মেন্টাল হসপিটালে হলেই ভাল হয়।
^:^ ^:^ ^:^
জিসান শা ইকরাম
হ্যাঁ এমন পরিবারও আছে।
কষ্ট পাইনি, এমন অদ্ভুত পরিবার বিরল বলেই লিখেছি এদের কথা।
আর একটি পরিবারের কথা বলবো আগামীতে
গিনেজ বুক এ এদের নাম আসা উচিৎ বলে মনে হয় আমার।
ব্লগার সজীব
এটা আপনি কি শুনালেন ভাইয়া!! এটি সত্যি নাকি গল্প? অবিশ্বাস্য মনে হচ্ছে।এমন ভাবিকে তো দেখতে ইচ্ছে করছে।
জিসান শা ইকরাম
গল্প নয় সত্যি এটি
ভাবিকে দেখান যাবেনা, এত কষ্ট করে নিজকে ঠিক রাখছেন, তাঁকে দেখা কঠিন অনেক।
নতুন লেখা কৈ? লেখা দিন।
অরুনি মায়া
এ কি লিখলেন! এও কি বাস্তবে সম্ভব! 😮
এতো অনেকটাই অসম্ভব একটি ঘটনা | এই বাড়ির গৃহকর্ত্রী নাহয় অলস ,তাই বলে বাকিরাও এমন!
ঘেন্না বলে কিছু নেই নাকি, একি প্লেটে খাওয়া 😮
জিসান শা ইকরাম
ভাবি কুংফু কারাতে না হলেও অন্য কোন ফাইটিং এ বিশেষ পারদর্শি
আমার বন্ধু যে মাইরের নাম দিয়েছেন ‘প্যাদানী’
আসলে অনেক সময় কিছু করার থাকেনা।
অরুনি মায়া
হায়রে, সত্যি মানুষ কত বিচিত্র , আর বিচিত্র তাদের মানুসিকতা | আপনার বন্ধুর জন্য মায়াই হচ্ছে |
জিসান শা ইকরাম
মানুষ যে কত বিচিত্র হতে পারে,তা আমরা ধারনাও করতে পারবো না।
তানজির খান
হাহাহাহাহাহাহ পড়ে খুব মজা পেলাম। শুভ কামনা ভাইয়া।
জিসান শা ইকরাম
শুভ কামনা।
ঘুমের ঘোরে কেটে যাওয়া অনন্ত পথ
এটা কি উপন্যাস লিখছেন নাকি জ়ীবন কাহিনি?
একই প্লেটে সবাই খাওয়া তাও আবার প্লেট না ধুয়ে!! ইয়াক
জিসান শা ইকরাম
বিভিন্ন অস্বাভাবিক পরিবারের কাহিনী লিখছি।