
প্রলোভনে চুক্তিভিত্তিক শারীরিক সম্পর্ক কে ধর্ষন বলা হবে কেন???
দেশে কি আজব ধর্ষণ বেড় হয়েছে। বিয়ের প্রলোভনে ধর্ষণ। এই প্রলোভনে ধর্ষণটা যেন সত্যিকারের ধর্ষণকেই ধর্ষণ করে দিচ্ছে। দেশে ধর্ষণ নামে যে টার্ম শুরু হয়েছে হাজার হাজার মামলা হবে ধর্ষনের। বিয়ের আশ্বাসে ধর্ষণ। প্রলোভনে ধর্ষণ। চানাচুর খাওয়ার লোভ দেখিয়ে ধর্ষণ। এই ধর্ষণ ঐ ধর্ষণ সবশেষে হাজারো মিথ্যা মামলায় জর্জরিত হয়ে একটা সময় যুব সমাজকে ধ্বংসের দিকে ঠেলে দিবে এই ধর্ষণ নামটা।
বিয়ের প্রলোভনে ধর্ষণ বলতে কিছু নেই এটা পকৃতপক্ষে ধর্ষণকে উপহাস করা মাত্র। ধর্ষণ হল অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে কাউকে জোর করে শারীরিকভাবে মিলিত হওয়া। চুক্তিভিত্তিক কারো সাথে শারীরিক সম্পর্ককে ধর্ষণ বলা হবে কেন???
চুক্তিভিত্তিক শারীরিক মিলিত হওয়াকে বলা হয় ব্যাবিচার বা জেনা। আর জেনা বা ব্যাবিচারের শাস্তি ছেলে মেয়ে উভয়েই পাবে।
চুক্তিভিত্তিক ধর্ষনে ছেলে মেয়ে উভয়ইকেই আসামি করে মামলা করেন উভয়ের পরিবার। দেখবেন বিয়ের প্রলোভন বা চকলেটের লোভে কেউ ধর্ষণ করবেনা বা ধর্ষিত হবেনা। ধর্ষণের কোটা নেমে যাবে জিরোতে।
আপনার ছেলেকে শাসন করুন রাত বিরাতে কোথায় থাকে কি করে খোঁজ খবর নিন। ধর্মীয় শিক্ষা দিন। সৃষ্টিকর্তাকে ভয় করতে শিখান। তার বোন তার মা অথবা তার বৌয়ের মর্যাদা সম্বন্ধে জ্ঞান দিন। মেয়েদেরকে সম্মান দিতে শিখান। দেখবেন অটোমেটিক আপনার ছেলেও ভালো হয়ে গেছে এবং সমাজ দেশও ভালো হয়ে গেছে।
আপনার মেয়েকে শাসন করুন কোথায় যায় কি করে কাদের সাথে মিশে খোঁজ খবর রাখুন। প্রয়োজন মত হাতে রাখার চেষ্টা করুন। শালীন পোষাকের দিকে খেয়াল রাখুন। ধর্মীয় শিক্ষার পাশাপাশি ছেলে বন্ধুদের সাথে প্রয়োজনের উর্ধ্বে চলাফেরা থেকে বিরত রাখার চেষ্টা করুন। সৃষ্টিকর্তাকে ভয় করতে শিখান। দেখবেন আপনার মেয়েটাও নিরাপদ আপনার মেয়ের দেখাদেখি পাশের বাসার মেয়েটাও নিরাপদ।
মেয়ে বড় হয়েছে বিয়ে দেওয়ার দায়িত্ব তার গার্জিয়ানদের। মেয়ের পছন্দ করা ছেলে থাকলে তার বাবা মাকে জানাবে আর বাবা মাও মেয়ের পছন্দকে গুরুত্ব দিয়ে সিদ্ধান্ত নিবেন। এইসবের আগেই কেন তার শরীর দেহ দিয়ে ছেলেটাকে নিজের কাছে ধরে রাখার চেষ্টা করবে??? তার মানে এই নয় কি এই মেয়েটা এই ছেলেটার অযোগ্য বলে বিবেচিত???
কেন একটা মেয়ে একটা ছেলের প্রলোভনে সায় দিয়ে নিজের দেহটা বিলিয়ে দিবে???
আর ছেলেদেরই বা কেন বিয়ের আশ্বাস দিয়ে কাউকে ধর্ষণ করতে হবে???
আপনার যোগ্য না এই মেয়েটা তবে কেন আপনি এই মেয়েটার দেহটাকে নিয়ে অযাচিত খেলায় মেতে উঠতে চান??? আপনার চোখে কি পতিতা পাড়া বা আবাসিক হোটেলগুলো চোখে পরেনা???
কি আজব এক কাহিনী প্রলোভনে ধর্ষণ, কি রোমান্টিক একটা বিষয়। বিয়ে করলে সমস্যা নাই আর বিয়ে না করলেই জয় বাংলা বলে ধর্ষণ ধর্ষণ বলে চিল্লানো। উঠের পিটে চলছে দেশ দেখার বাকি কতদূর চলে উট।
১৬টি মন্তব্য
আলমগীর সরকার লিটন
সুন্দর লেখেছেন আপনার লেখনিতে যুক্তি আছে———-
মোঃ তোফাজ্জল হোসাইন
ধন্যবাদ সময় নিয়ে পড়ার জন্য ভাইয়ু
ফয়জুল মহী
https://m.mzamin.com/article.php?mzamin=246505
মোঃ তোফাজ্জল হোসাইন
😥😥😥😥
মোঃ মজিবর রহমান
আমাদের দেশে ধর্ম মানে ধর্মের আইন মানেনা। সবাই আলগা মডার্ন হয়ে থাকতে চাই। আমার খুশি মতই পোশক পরিধান করব, এটাই তাদের মত।
তাই এটা নিয়ে লিখিনা। অনেকে বলবে নারী বিদ্ধুষি মননশীলতার লোক এরা।
পুরুষরা জব ,দখলে বিশ্বাসি।
প্রগতিশীল মানে কি?? অনেকে এটাকে গুলায়ে ফেলে। প্রগতিশীল মানে কি রাস্তায় হাফ প্যান্ট, অর্ধ গেঞ্জি পরব, ছেলেরা দেখুক আমাদের।
বিড়ালের সামনে মাছ পাহারা দিতে বলার মত অবস্থা। ঠিক এই কথাটা শফি হুজুর যখন খুরায়ে বলল, তেতুল চোখে দেখলে জিবায় জল আসবে।
অনেকে নারী বিরোধী বলেছে কিন্তু ধর্মের পোশাকের পক্ষে বলেছে। তা কেউ বলেনি।
তৌহিদ
পোষাক ধর্ষনের জন্য দায়ী বলছেন আপনিও? তাহলে ৭২ বছরের বৃদ্ধা, ২ বছরের শিশু এদের পোষাকের কি দোষ বলবেন?
খোলামেলা পোষাকের কারনে ইউরোপ আমেরিকায় তাহলে প্রতি সেকেন্ডে একটা করে ধর্ষণ হতোনা কি?
মাদ্রাসায় ছাত্র বলাৎকার হচ্ছে সেখানে পোষাকের কি দোষ? রাস্তা দিয়ে একটা মেয়ে টি শার্ট পড়ে বের হলেই যদি আপনার কাম জাগ্রত হয়, ধর্ষণ করতে ইচ্ছে হয় তাহকে সমস্যা আমাদের মননে, চিন্তায়। আগে তার চিকিৎসা হওয়া দরকার।
মোঃ মজিবর রহমান
তৌহিদ ভাই, সমাজে, দেশে কিছু ঘটনা ঘটবেই সেটা দিয়ে সকল বিচার হয়না।
আমি বা যারা ধর্ম বিশ্বাস করি ধর্মীয় আইন ও মানা উচিত। তাছাড়া বিড়ালের সামনে মাছ রাখা আর বিড়াল চুপ থাকবে এটা অকল্পনীয়।
জ্ঞ্যানী জনে কয় ষড়রিপু কন্ট্রল্কারীরা মহা পুরুষ।
তার মাঝে এইটা অন্যতম।
দেখুন অনেক বছর পুর্বে পড়েছিলাম। আমেরিকায় কারেন্ট না থাকলে মিনিটে কয়জন ধর্ষন হত। সেখানে আইনের ভয়ে বা আইন কঠর হওয়ার জন্য সব ঠিক মত চলছে। তাই বুঝব না, ভাই।
আমাদের দেশে সরকার লুজ, জনতাও লুজ। সবাই আত্বীয়, সবাই ছাড়। এই মানসিকতায় আছি।
এই টার চিকিৎসা কে করবে?
শামীম চৌধুরী
বিয়েটাও তো চুক্তিভিত্তিক। আর বিয়ে নামে স্ত্রীর সাথে মিলিত হওয়াটাও ধর্ষন। কারন অনেক সময় স্ত্রীর অমতেই স্বামী যৌন চহিদা মিটায়।
আরজু মুক্তা
এগিলো আর ভালো লাগে না
আরজু মুক্তা
এগুলো
জিসান শা ইকরাম
প্রলোভন কোনো চুক্তি নয়, আপনার শিরোনামটায় দ্বিমত আছে। চুক্তি হয় পতিতার সাথে, যেটা টাকার বিনিময়ে যৌনতা।
বিয়ের প্রলোভনে ধর্ষণ, এখানে নারীর সরল বিশ্বাসের সুযোগ নেয়া হয়। প্রেম ভালোবাসার মধ্যে একসময় এই আশ্বাস দেয়া হয় নারীদের। রাস্তায় হেটে যাওয়া কোনো নারীকে এই প্রলোভন দিয়ে যৌনতার কথা বললে তার খবর আছে।
আর চকলেট, চানাচুরের বিনিময়ে কোনো নারী পুরুষের শয্যা সঙ্গিনী হয়না। এটা বদ পুরুষ শিশুদের প্রলোভন দেখিয়ে করে। চার থেকে ১০ বছরের মেয়ে শিশুরা এই ধরনের অবস্থার শিকার হয়। এই শিশুরা চুক্তির কি বুঝে? চার বয়সের মেয়ে শিশু যৌনতার কি বুঝে যে চুক্তি করবে চকলেটের বিনিময়?
শুভ ব্লগিং।
সুপর্ণা ফাল্গুনী
দাদা ভাইয়ের সাথে আমি ও একমত তাই আলাদা মন্তব্য দিলাম না। শুভ কামনা রইলো
মোঃ মজিবর রহমান
ভাই বিয়ের পুর্বেই কেন একটি মেয়ে বিছানায় যাবে? এটা কি আপনি একমত?
ইজ্জত যদি হয়, অত্যধিক দামি, তবে বিয়ের পুর্বে কে শয্যা সংগী হবে?
উর্বশী
সমসাময়িক পোষ্ট। বড় শিক্ষা তো পরিবার থেকেই পাওয়ার কথা। পাশাপাশি পরিবেশও বটে। খুব সুন্দর উপস্থাপন করেছেন। ভাল থাকুন শুভ কামনা অবিরাম।
তৌহিদ
সে মেয়েই বা কি রকম যে বিয়ের প্রলোভনে বিছানাসঙ্গী হয়? বিছানায় যেতে কি মেয়েটি রাজি ছিলোনা? এসবতো লোভের আওতায় পড়ে। এটি ধর্ষণ হয় কিভাবে?
পোষাক ধর্ষনের জন্য দায়ী বলছেন আপনিও? তাহলে ৭২ বছরের বৃদ্ধা, ২ বছরের শিশু এদের পোষাকের কি দোষ বলবেন?
খোলামেলা পোষাকের কারনে ইউরোপ আমেরিকায় তাহলে প্রতি সেকেন্ডে একটা করে ধর্ষণ হতোনা কি?
মাদ্রাসায় ছাত্র বলাৎকার হচ্ছে সেখানে পোষাকের কি দোষ? রাস্তা দিয়ে একটা মেয়ে টি শার্ট পড়ে বের হলেই যদি আপনার কাম জাগ্রত হয়, ধর্ষণ করতে ইচ্ছে হয় তাহকে সমস্যা আমাদের মননে, চিন্তায়। আগে তার চিকিৎসা হওয়া দরকার।
এসব কথা বললাম কারন, লেখাটির শিরোনামের সাথে সাংঘর্ষিক। আপনার লেখায় আরো মন্তব্য দিতাম, কিন্ত কারো মন্তব্যের জবাব দিচ্ছেন না বলে আর দিলাম না।
ভালো থাকুন।
মোঃ মজিবর রহমান
ভাই বিয়ের পুর্বেই কেন একটি মেয়ে বিছানায় যাবে? এটা কি আপনি একমত?
ইজ্জত যদি হয়, অত্যধিক দামি, তবে বিয়ের পুর্বে কে শয্যা সংগী হবে?